ওয়েলফেয়ার অফিসার দায়িত্ব ও কর্তব্যাবলী গুলো কি কি? - Textile Lab | Textile Learning Blog
ওয়েলফেয়ার অফিসার দায়িত্ব ও কর্তব্যাবলী গুলো কি কি?

দায়িত্ব ও কর্তব্যাবলী –ওয়েলফেয়ার অফিসারঃ

কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের সুবিধা-অসুবিধা ও বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে সরাসরি কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনার জন্য একটি শ্রমিক কল্যাণ সংঘ বা ওয়ারকার্স ওয়েলফেয়ার কমিটি রয়েছে। শ্রমিক কল্যাণ ও মালিক উভয় পক্ষের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষা করা, একটি হৃদ্যতাপূর্ণ মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক সৃষ্টি ও পরিচালনা করা, কাজের শর্ত ও পরিবেশ উন্নত করা এবং দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর লক্ষে। প্রত্যেক ফ্লোরের নির্দিষ্ট সংখ্যক শ্রমিক নিয়ে এই সংঘ গঠন করা হয়। এই কমিটিতে ব্যবস্থাপনা বা মালিক পক্ষের প্রতিনিধি থাকবে। কমিটির মেয়াদকাল ১ বছর এবং এতে নারী শ্রমিকেরও প্রতিনিধিত্ব থাকবে। 

১. বর্তমান ও নতুন যোগদানকৃত কর্মীদের ফ্যাক্টরীর নিয়ম কানুন ও বাংলাদেশ লেবার ‘ল’ বিষয়ে বিভিন্ন সঠিক তথ্য প্রয়োজনীতার বিত্তিতে অবগত করা।

২. শ্রমিক ও কর্মচারীদের কল্যাণ সংক্রান্ত নিম্নলিখিত বিষয়গুলি পর্যবেক্ষণ এবং নিশ্চিত করা।

খাবার পানি ও টয়লেটের সুবিধাদি।

 মজুরী সংক্রান্ত বিষয়।

প্রাথমিক চিকিৎসা সরঞ্জামাদি।

পদোন্নতি।

খাবার ঘর।

হাজিরা বোনাস / অভার টাইম।

শিশু পরিচর্যা কক্ষ।

প্রয়োজনীয় অন্যান্য বিষয়।

৩. কল্যাণ সংক্রান্ত নিম্নলিখিত বিষয়গুলির উপর শ্রমিকদের প্রশিক্ষন নিশ্চিত করা।

ব্যক্তি, বস্তু ও তথ্যের নিরাপত্তা। ক্স পেশাগত স্বাস্থ্য।
ছুটির নীতিমালা এবং ছুটি নেওয়ার সহজ পদ্ধতি। ক্স মনো-সামাজিক সংকট।
অনুপস্থিতির জন্য সৃষ্ট সমস্যা ও সমাধান। ক্স ব্যাক্তিগত স্বাস্থ্য সমস্যা।
চাকুরী থেকে অব্যহতির নিয়ম। 
বর্তমান ও নতুন  রিক্স এ্যসেসমেন্ট। ক্প্রয়োজনীয় অন্যান্য বিষয়।

৪. সঠিক পদ্ধতিতে নিয়মিত নতুন যোগদানকৃত শ্রমিকদের ইন্ডাকশন ফ্লো নিশ্চিত করা ও রেজিষ্টার সংরক্ষন করা।

৫. পদত্যাগকৃত কর্মচারীদের সাক্ষ্যাৎকার গ্রহণ ও রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করা।

৬. উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা পূর্বক ফ্লোরে সৃষ্ট বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা এবং রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করা।

৭. মাতৃকালীন সুবিধা নীতিমালার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা।

৮. জেনারেল ম্যানেজার (এডমিন) এর অনুমতিক্রমে কমপ্লায়েন্সে ইনচার্জের সহায়তায় প্রতি সপ্তাহে অভিযোগ বাক্স এবং পরামর্শ বক্স খুলে প্রাপ্ত অভিযোগ এবং পরামর্শ গুলো উর্র্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিতকরণ পূর্বক সিদ্ধান্ত গ্রহন এবং তা রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ ও সংরক্ষন করা।

৯. শ্রম কল্যাণ কমিটি যথাযথভাবে পরিচালনা করা ও প্রয়োজন অনুযায়ী মিটিং এর আয়োজন করা।

১০. বিভিন্ন ওয়ার্কার, সুপারভাইজার ও লাইন চীফদের নিয়ে গ্রুপ মিটিং করে পারস্পারিক সহযোগীতার মনোভাব উন্নয়নের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা। উর্দ্ধতন এবং অধঃস্তনদের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নে ভূমিকা পালন করা।

১১. অসুস্থ ও দূর্ঘটনা কবলিত শ্রমিকদের সুস্থতার ব্যাপারে আন্তারক ভ’মিকা পালন করা।

১২. কর্মস্থলে অনুপস্থিত এবং দেরীতে ফ্যাক্টরীতে প্রবেশকৃত কর্মচারীদের নিয়মিত প্রেষণা প্রদান ও উভয় পক্ষের ক্ষতির বিষয়ে আলোচনা করা।

১৩. কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে কাজে অনুপস্থিত না থাকা এবং সময়মত কাজে হাজির হওয়া।

ওয়ারকার্স ওয়েলফেয়ার কমিটির দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ

শ্রমিক ও মালিক উভয় পক্ষের অধিকার ও স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করা।

শ্রমিক ও মালিক উভয় পক্ষের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস, সহযোগিতা ও সমঝোতা সৃষ্টি করা।
কারখানার উন্নয়ন কর্মকান্ডে শ্রমিকদের সম্পৃক্ত করা।

জাতীয় শ্রম আইনের সুবিধাদি যাতে শ্রমিকরা গ্রহণ করতে পারে সে বিষয়ে কাজ করা।

সাধারণ শিক্ষা, বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ বিষয়ক উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা পালন করা।

কারখানার উন্নয়নের সাথে সম্পর্কিত নিয়ম নীতি বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দেয়া এবং শ্রমিকদের অবহিত করা।

স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়টি সহ শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ এবং জীবন ব্যবস্থার উন্নয়নে ভূমিকা পালন করা।

পণ্যের মাণ উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখা।

সকল প্রয়োজনীয় তথ্য শ্রমিকদের অবহিত করা।



ওয়ারকার্স ওয়েলফেয়ার কমিটির কর্মপন্থা

প্রতি ১৫ দিনে একবার কমিটির মিটিং করা (প্রয়োজনে জরুরী মিটিং করা যেতে পারে)।

কাজ চলাকালে অথবা কাজের পরে মিটিং করা যাবে।

মিটিং এর আলোচ্য সূচী মিটিং এর পূর্বেই স্থির করা।

মিটিং এর কার্য বিবরণী লিপিবদ্ধ করা।

সভার কার্য বিবরণী কারখানা কর্মীদের মধ্যে প্রচার করা।

মিটিং এর যে কোন তথ্য বা আলোচনা কারখানার বাইরে প্রচার করা যাবে না।

ওয়েলফেয়ার অফিসার দায়িত্ব ও কর্তব্যাবলী গুলো কি কি?

ওয়েলফেয়ার অফিসার দায়িত্ব ও কর্তব্যাবলী গুলো কি কি?

দায়িত্ব ও কর্তব্যাবলী –ওয়েলফেয়ার অফিসারঃ

কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের সুবিধা-অসুবিধা ও বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে সরাসরি কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনার জন্য একটি শ্রমিক কল্যাণ সংঘ বা ওয়ারকার্স ওয়েলফেয়ার কমিটি রয়েছে। শ্রমিক কল্যাণ ও মালিক উভয় পক্ষের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষা করা, একটি হৃদ্যতাপূর্ণ মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক সৃষ্টি ও পরিচালনা করা, কাজের শর্ত ও পরিবেশ উন্নত করা এবং দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর লক্ষে। প্রত্যেক ফ্লোরের নির্দিষ্ট সংখ্যক শ্রমিক নিয়ে এই সংঘ গঠন করা হয়। এই কমিটিতে ব্যবস্থাপনা বা মালিক পক্ষের প্রতিনিধি থাকবে। কমিটির মেয়াদকাল ১ বছর এবং এতে নারী শ্রমিকেরও প্রতিনিধিত্ব থাকবে। 

১. বর্তমান ও নতুন যোগদানকৃত কর্মীদের ফ্যাক্টরীর নিয়ম কানুন ও বাংলাদেশ লেবার ‘ল’ বিষয়ে বিভিন্ন সঠিক তথ্য প্রয়োজনীতার বিত্তিতে অবগত করা।

২. শ্রমিক ও কর্মচারীদের কল্যাণ সংক্রান্ত নিম্নলিখিত বিষয়গুলি পর্যবেক্ষণ এবং নিশ্চিত করা।

খাবার পানি ও টয়লেটের সুবিধাদি।

 মজুরী সংক্রান্ত বিষয়।

প্রাথমিক চিকিৎসা সরঞ্জামাদি।

পদোন্নতি।

খাবার ঘর।

হাজিরা বোনাস / অভার টাইম।

শিশু পরিচর্যা কক্ষ।

প্রয়োজনীয় অন্যান্য বিষয়।

৩. কল্যাণ সংক্রান্ত নিম্নলিখিত বিষয়গুলির উপর শ্রমিকদের প্রশিক্ষন নিশ্চিত করা।

ব্যক্তি, বস্তু ও তথ্যের নিরাপত্তা। ক্স পেশাগত স্বাস্থ্য।
ছুটির নীতিমালা এবং ছুটি নেওয়ার সহজ পদ্ধতি। ক্স মনো-সামাজিক সংকট।
অনুপস্থিতির জন্য সৃষ্ট সমস্যা ও সমাধান। ক্স ব্যাক্তিগত স্বাস্থ্য সমস্যা।
চাকুরী থেকে অব্যহতির নিয়ম। 
বর্তমান ও নতুন  রিক্স এ্যসেসমেন্ট। ক্প্রয়োজনীয় অন্যান্য বিষয়।

৪. সঠিক পদ্ধতিতে নিয়মিত নতুন যোগদানকৃত শ্রমিকদের ইন্ডাকশন ফ্লো নিশ্চিত করা ও রেজিষ্টার সংরক্ষন করা।

৫. পদত্যাগকৃত কর্মচারীদের সাক্ষ্যাৎকার গ্রহণ ও রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করা।

৬. উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা পূর্বক ফ্লোরে সৃষ্ট বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা এবং রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করা।

৭. মাতৃকালীন সুবিধা নীতিমালার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা।

৮. জেনারেল ম্যানেজার (এডমিন) এর অনুমতিক্রমে কমপ্লায়েন্সে ইনচার্জের সহায়তায় প্রতি সপ্তাহে অভিযোগ বাক্স এবং পরামর্শ বক্স খুলে প্রাপ্ত অভিযোগ এবং পরামর্শ গুলো উর্র্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিতকরণ পূর্বক সিদ্ধান্ত গ্রহন এবং তা রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ ও সংরক্ষন করা।

৯. শ্রম কল্যাণ কমিটি যথাযথভাবে পরিচালনা করা ও প্রয়োজন অনুযায়ী মিটিং এর আয়োজন করা।

১০. বিভিন্ন ওয়ার্কার, সুপারভাইজার ও লাইন চীফদের নিয়ে গ্রুপ মিটিং করে পারস্পারিক সহযোগীতার মনোভাব উন্নয়নের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা। উর্দ্ধতন এবং অধঃস্তনদের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নে ভূমিকা পালন করা।

১১. অসুস্থ ও দূর্ঘটনা কবলিত শ্রমিকদের সুস্থতার ব্যাপারে আন্তারক ভ’মিকা পালন করা।

১২. কর্মস্থলে অনুপস্থিত এবং দেরীতে ফ্যাক্টরীতে প্রবেশকৃত কর্মচারীদের নিয়মিত প্রেষণা প্রদান ও উভয় পক্ষের ক্ষতির বিষয়ে আলোচনা করা।

১৩. কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে কাজে অনুপস্থিত না থাকা এবং সময়মত কাজে হাজির হওয়া।

ওয়ারকার্স ওয়েলফেয়ার কমিটির দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ

শ্রমিক ও মালিক উভয় পক্ষের অধিকার ও স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করা।

শ্রমিক ও মালিক উভয় পক্ষের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস, সহযোগিতা ও সমঝোতা সৃষ্টি করা।
কারখানার উন্নয়ন কর্মকান্ডে শ্রমিকদের সম্পৃক্ত করা।

জাতীয় শ্রম আইনের সুবিধাদি যাতে শ্রমিকরা গ্রহণ করতে পারে সে বিষয়ে কাজ করা।

সাধারণ শিক্ষা, বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ বিষয়ক উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা পালন করা।

কারখানার উন্নয়নের সাথে সম্পর্কিত নিয়ম নীতি বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দেয়া এবং শ্রমিকদের অবহিত করা।

স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়টি সহ শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ এবং জীবন ব্যবস্থার উন্নয়নে ভূমিকা পালন করা।

পণ্যের মাণ উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখা।

সকল প্রয়োজনীয় তথ্য শ্রমিকদের অবহিত করা।



ওয়ারকার্স ওয়েলফেয়ার কমিটির কর্মপন্থা

প্রতি ১৫ দিনে একবার কমিটির মিটিং করা (প্রয়োজনে জরুরী মিটিং করা যেতে পারে)।

কাজ চলাকালে অথবা কাজের পরে মিটিং করা যাবে।

মিটিং এর আলোচ্য সূচী মিটিং এর পূর্বেই স্থির করা।

মিটিং এর কার্য বিবরণী লিপিবদ্ধ করা।

সভার কার্য বিবরণী কারখানা কর্মীদের মধ্যে প্রচার করা।

মিটিং এর যে কোন তথ্য বা আলোচনা কারখানার বাইরে প্রচার করা যাবে না।

কোন মন্তব্য নেই: