ঘুষ ও দুর্নীতি বিরোধীর উপর প্রশিক্ষন Anti Bribery & Corruption Training ঘুষঃ
ঘুষ হলো ব্যক্তি স্বার্থ সিদ্ধিও জন্য এক ধরনের পুরস্কার। ইহার ব্যক্তির কর্তব্যকে প্রভাবিত করে অসততার দিকে নিয়ে যায়। সকল প্রকার ব্যবসায়িক লেনদেনে ঘুষ নিষিদ্ধ, ব্যবসায়িক লেনদেনগুলো সরাসরি হোক অথবা তৃতীয় পক্ষের দ্বারা হোক অর্থাৎ এজেন্ট, ঠিকাদারকারী, সরবারাহকারী দ্বারা।
দুর্নীতির কারণ সমূহঃ
০১। অপর্যাপ্ত বেতন ও পারিশ্রমিক।
০২। যথাযথ শিক্ষার অভাব।
০৩। আর্থিক অসচ্ছলতা।
০৪। দুর্নীতি দমনে সদিচ্ছার অভাব।
০৫। উচ্ছাভিলাষী জীবনের মোহ।
কারখানায় সম্ভাব্য যে সকল স্থানে ঘুষবা দুনীতি হতে পারে, সেই সকল স্থান গুলো হলোঃ নিয়োগ সংক্রান্তঃ
০১। নিয়োগ সংক্রান্ত পরীক্ষায় অকৃতাকার্য কোন ব্যক্তির ব্যাপাওে সুপারিশ ঘুষ নেওয়া হয়েছে হিসাবে গন্য হবে।
০২। কারখানায় কর্মরত কোন কর্মচারীর পদোন্নতি, বেতনবৃদ্ধি বা কোন অভিযোগ নামার ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্মকর্তার নিকট তথ্য প্রদান।
০৩। কোন ব্যক্তি চাকুরী সংক্রান্ত কোন ব্যাপাওে ঘুষ নেওয়া বাকাউকে ঘুষ দেওয়া যাবে না। ০৪। কারো ব্যাপাওে অবৈধ কোন সুপারিশ।
০৫। কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে কোন দলিল দস্তাবেজ হুবহু নকল দুর্নীতি হিসাবে গন্য হবে। আরো জানতে মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান কার্যাবলী বেতন, ছুটি, কর্মঘন্টা সংক্রান্তঃ
০১। অবৈধভাবে কোন শ্রমিককে ছুটি পাশের অনুমতি দেওয়া।
০২। কোন কিছুর বিনিময়ে অতিরিক্ত ওভারটাইম দেওয়া।
০৩। সম্পর্কেও উপর নির্ভর করে ছুটি বা অতিরিক্ত ওভারটাইম দেওয়া।
স্টোরের মালামাল সংক্রান্তঃ
০১। স্টোরের মালামাল ঠিক মত হিসাব না করে গ্রহন করা।
০২। স্টোরে খারাপ মালামাল গ্রহন করা।
০৩। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে কারখানা হতে মালামাল বাহির করা।
০৪। সাপ্লায়ারের কাছ থেকে কোন কিছুর বিনিময়ে অবৈধ সুযোগ নেওয়া।
ক্রয় সংক্রান্তঃ
০১। কোন পন্য ক্রয় করিয়া বেশী বিল করা।
০২। কোন একটি পন্যের স্যম্পল কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে অনুমোদন করিয়া একই ধরনের নি¤œ মানের পন্য ক্রয় করা।
০৩। কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত নির্ধারিত কোন সাপ্লাাইয়ের নিকট হইতে কোন পণ্য না কিনিয়া অন্য কোন সাপ্লায়ারের নিকট হইতে পন্য ক্রয় করা।
০৪। প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্ধারিত সাপ্লাইয়ার ব্যতীত অন্য কোনস াপ্লাইয়ারের জন্য সুপারিশ করা।
০৫। আভ্যন্তরীণ কোন তথ্য বাহিওে আদান প্রদান করা।
শ্রমিক / অংশীদারী / ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিয়োগের ক্ষেত্রেঃ
০১। ক্ষেত্রে ঠিকাদার/অংশীদারী প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়োগ শর্তে অর্থ বা দামী উপহার গ্রহনের সম্ভাবনা।
০২। শ্রমিক/ঠিকাদার/অংশীদারী প্রতিষ্ঠান নিয়োগের ক্ষেত্রে ঠিকাদার / অংশীদারী প্রতিষ্ঠান নিয়োগের ক্ষেত্রে কোম্পানীর নীতিমালা এবং পদ্ধতি সমূহ যথাযথভাবে অনুসরণ নিশ্চিত না করা।
০৩। শ্রমিক/ঠিকাদার/অংশীদারী প্রতিষ্ঠান নিয়োগের ক্ষেত্রে ঠিকাদার/অংশীদারী প্রতিষ্ঠান নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে লিখিত চুক্তি নিশ্চিত না করা ।
০৪। শ্রমিক/ঠিকাদার/ অংশীদারী প্রতিষ্ঠান নিয়োগের ক্ষেত্রে কোন প্রকার দুর্ণীতি বা অবৈধ কার্যক্রম প্রমাণিত হলে ঐ নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা না করা।
কর্তৃপক্ষ দুর্নীতি ও ঘুষের বিরুদ্ধে সব সময়ই সচেতন থাকে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীদের ঘুষ ও দুর্নীতির ভয়াবহতা সম্পর্কে অবগত করার জন্য যুগোপযোগী ও কার্যকরী প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করেছে।
০১। ধর্মীয় অনুশাসন প্রচার।
০২। ভালো ও মন্দেও দিক নির্দেশনা।
০৩। অধিকার বিষয়ক আলোচনা।
০৪। সংশোধন মূলক আলোচনা।
০৫। দুর্নীতি বিরোধী সংস্কৃতিক কর্মকান্ড।
০৬। উপদেশ বাণী ।
বাস্তব পদক্ষেপঃ
০১। ব্যাপক প্রচারনা
০২। উপযুক্ত পারিশ্রমিক প্রদান
০৩। যোগ্য, অভিজ্ঞ ও সৎকর্মচারী নিয়োগ
০৪। জবাবদিহিতা
০৫। দুর্নীতিবাজদের উপযুক্ত শাস্তি প্রদান আরো জানতে নতুন নিয়োগকৃত শ্রমিক/কর্মচারীদের প্রশিক্ষন ও বিস্তারিত আলোচনা || New Employee orientation training কর্তৃপক্ষ দূর্নীতি চিরতরে উচ্ছেদ করতে চায়। এ জন্য শুধুমাত্র উপদেশ, সর্তকবানী ও প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা গ্রহন করেই তার দায়িত্ব শেষ করেনি। বরং কোন ব্যক্তি যদি এ সকল ব্যবস্থার পরও দুনীতি করে, তাহলে এর জন্য কর্তৃপক্ষআইন অনুযায়ী শাস্তির ব্যবস্থা করেছে।
কর্তৃপক্ষ ঘুষ বা দুর্নীতির ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করে থাকে। নিম্নলিখিত কাজ গুলোর ক্ষেত্রে ঘুষ ও দুর্নীতির দায়ে অসদাচরনের আওতায় তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনকরা হয়ে থাকে।
ক) মালিকের ব্যবস্য বা সম্পত্তিসম্পর্কে চুরি, প্রতারনা বা অসাধুতা।
খ) মালিকের অধীনতাহার বা অন্য কোন শ্রমিকের চাকুরী সংত্ক্রান্ত ব্যাপারে ঘুষ গ্রহন ও প্রদান।
গ) মালিকের অফিসিয়াল রেকর্ডেও রদবদল, জাল করন, অন্যায় পরিবর্তন, উহার ক্ষতি করন বা উহা হারাইয়া ফেলা। আরো জানতে শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ , রিপোর্ট তৈরি ও সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স অডিট ফেস।| Training of workers, report making and social compliance audit face.
শাস্তিমূলক ব্যবস্থার পদক্ষেপ সমূহঃ কোন শ্রমিকের বিরুদ্ধে শাস্তির আদেশ নিম্নলিখিত ভাবে করতে হবেঃ
ক) তাহার বিরুদ্ধে অভিযোগ লিখিত ভাবে করে থাকে।
খ) অভিযোগের একটি কপিঅভিযোগকারীকে দিতে হবে এবং এর জবাব দেওয়ার জন্য তাকে অন্তত সাত দিন সময় দিতে হইবে।
গ) তাহাকে শুনানীর সুযোগ দিতে হবে।
ঘ) তদন্তের পর তাকে দোষী সাব্যস্ত করতেহবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন