ইমপ্রেস গ্রুপ | Impress-Newtex Composite Textiles Limited (INCTL)
গার্মেন্ট, ফার্মাসিউটিক্যালস ও গণমাধ্যমে ইমপ্রেস গ্রুপ
১৯৭৮ সালে কয়েকজন বন্ধু মিলে গড়ে তোলেন ইমপ্রেস গ্রুপ (আইজি)। তখন তারা অ্যাডভারটাইজিং ফার্মের মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করেন। প্রতিষ্ঠানটির নাম দেওয়া হয় ইমপ্রেস লিমিটেড। এরপর অল্প সময়ের মধ্যে গার্মেন্ট খাতে বিনিয়োগ করে প্রতিষ্ঠানটি। গার্মেন্ট শিল্পের কারণেই ১৯৮৩ সাল থেকে দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে আসছে তারা। বর্তমানে ইলেকট্রনিক মিডিয়া, গার্মেন্ট, টেলিকম, ফার্মাসিউটিক্যালসসহ তাদের কয়েকটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।
ইমপ্রেস গ্রুপে ১৪ হাজারের বেশি কর্মী রয়েছে। ইমপ্রেস গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হলেন আবদুর রশীদ মজুমদার, মুকিত মজুমদার বাবু, ফরিদুর রেজা সাগর, জহিরুদ্দিন মাহমুদ, রেজা আহমেদ খান, মো. এনায়েত হোসেন প্রমুখ। গ্রুপটিতে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন আবদুর রশীদ মজুমদার।
✅ ইমপ্রেস গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠানঃ
ফ্যাশরোব গার্মেন্টস লিমিটেড
ইমপ্রেস ফ্যাশন লিমিটেড
ইমপ্রেস ওয়্যার লিমিটেড
ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস
চ্যানেল আই
ইমপ্রেস এভিয়েশন লিমিটেড
ইমপ্রেস-নিউটেক্স কম্পোজিট টেক্সটাইলস লিমিটেড
আই সফটওয়্যার
আই ডিজিটাল
অ্যালায়েড গার্মেন্টস লিমিটেড
ইমপ্রেস অডিও ভিশন
ইমপ্রেস প্রিন্টিং লি.
আইকন টেলিফিল্ম লি.
আই পজিটিভ
মাহিন লেবেল টেক্স লিমিটেড
ইমপ্রেস অ্যাকসেসরিজ লি.
এমআরএস সিন্ডিকেট লি.
আইপোর্ট লজিস্টিকস লি.
আই এক্সপ্রেস লি.
নেক্সটস্পেসেজ লিমিটেড
ইমপ্রেস এনার্জি অ্যান্ড সার্ভিসেস লি.
আনন্দ আলো
আই ক্রিয়েশন লি.
ইনোভেটিভ রিসার্চ অ্যান্ড কনসালট্যান্সি লি.
রেডিও ভূমি
ইমপ্রেস লিমিটেড
নেক্সাস ইন্টারন্যাশনাল
আরআর ব্রাদার্স লিমিটেড
অ্যালাইড গার্মেন্ট লিমিটেড
এমআরএস সিন্ডিকেট লিমিটেড
ঢাকা-বেইজিং ডাইং অ্যান্ড ওয়েভারিং ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড
নিউ এজ বিজনেস লিমিটেড
ইনসেপ্টা
ওষুধশিল্পের সম্ভাবনা বিবেচনায় ১৯৯৯ সালে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস গড়ে তোলে ইমপ্রেস গ্রুপ। এর আগে ১৯৯৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর তারা কারখানা তৈরির কাজ শুরু
করে। আর ওষুধ বিপণন শুরু করে ২০০০ সালে। দেশের ওষুধ খাতে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ইনসেপ্টা। তাদের কারখানা ঢাকার সাভার ও ধামরাইয়ে।
ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, অ্যামপুল, পাউডার, অ্যান্টিবায়োটিক, আইড্রপ, নাকের ড্রপ, অয়েনমেন্ট, লোশন, জেল, সিরিঞ্জ, ভ্যাক্সিন প্রভৃতি তৈরি করে ইনসেপ্টা। প্রসঙ্গত, দেশে প্রথম ইনসুলিন উৎপাদন শুরু করে এ প্রতিষ্ঠান। সারা দেশে তাদের ২১টি ডিপো রয়েছে।
গুণগতমানের কারণে তাদের ওষুধ এশিয়ার মধ্যে ভুটান, শ্রীলংকা, মিয়ানমার, আফগানিস্তান, মালদ্বীপ, সিঙ্গাপুর, হংকং, ম্যাকাও, কম্বোডিয়া, জর্জিয়া, আর্মেনিয়া, লাওস, ভিয়েতনাম, মঙ্গোলিয়া, তাজিকিস্তান, ইউএই, জর্ডান, তুর্কমেনিস্তান, ইয়েমেন, ইস্ট তিমুর, ফিলিপাইন, উজবেকিস্তান প্রভৃতি দেশে। ইউরোপের মধ্যে ব্রিটেন, ফিনল্যান্ড, মলডোভা, ইউক্রেন ও বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভিনা প্রভৃতি দেশে রফতানি হয়। এছাড়া আফ্রিকার কয়েকটি দেশে বিপণন হয় তাদের ওষুধ। দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে আলজেরিয়া, কঙ্গো, কেনিয়া, ঘানা, ইথিওপিয়া, মৌরিতানিয়া, সেচেলিস, সোমালিয়া, সোয়াজিল্যান্ড, টোগো, বেলিজ প্রভৃতি। এর বাইরে কোস্টারিকা, সুরিনাম, ডোমিনিকান রিপাবলিক, এল সালভাদর, গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস ও ফিজিতেও রফতানি হয় ইনসেপ্টার ওষুধ। বিশ্বের অন্যান্য কয়েকটি দেশেও ওষুধ রফতানির পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। ২০০৮ সালে তারা ইউরোপ, কেনিয়া ও ইথিওপিয়া থেকে সার্টিফিকেট অব জিএমপি কমপ্লায়েন্স অর্জন করে। পরের বছর তুরস্ক ও ইয়েমেন এ সার্টিফিকেট দেয়। এছাড়া উগান্ডা ও কঙ্গো থেকে সার্টিফিকেট অর্জন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০১০ সালে ইউনিসেফ, ইউএনডিপি ও ইউনেস্কোর অধীনে বিশ্বব্যাপী ওষুধ সরবরাহের জন্য তালিকাভুক্ত হয় ইনসেপ্টা।
হৃদয়ে বাংলাদেশ
১৯৯৯ সালের ১ অক্টোবর দেশে প্রথম বাংলা ডিজিটাল চ্যানেল চালু করে ইমপ্রেস গ্রুপ। নাম রাখা হয় ‘চ্যানেল আই’। এ চ্যানেলের ইতিহাস জানার জন্য আমাদের একটু অতীতে ফিরে যেতে হবে। সত্তর দশকের শেষদিকে গ্রুপটির অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ইমপ্রেস টেলিফিল্ম বিটিভির জন্য নানা অনুষ্ঠান তৈরি শুরু করে। ব্যাপক ব্যবসা সফল হয় তাদের অনুষ্ঠান। এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য ১৯৯৭ সালে নিজস্ব চ্যানেল খোলার পরিকল্পনা করে। বর্তমানে বিটিভির পাশাপাশি এটিএন, ইটিভি (বাংলা-কলকাতা) ও একুশে টেলিভিশনসহ আরও কয়েকটি স্যাটেলাইট চ্যানেলের জন্য নানা অনুষ্ঠান তৈরি করছে।
২৪ ঘণ্টা অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে চ্যানেল আই। বিশ্বের প্রায় ৮৪টি দেশে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানসহ অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সাংস্কৃতিক বিকাশ ও খাদ্য নিরাপত্তাবিষয়ক খবরাখবরও প্রচার করে চ্যানেলটি। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর।
তাদের কার্যক্রমে প্রতি বছর যুক্ত হয় নতুন নতুন উদ্যোগ। নানা সময়ে দেশের নানা ক্ষেত্রের গুণী শিল্পীকে আজীবন সম্মাননা দিয়েছে। গুণী মানুষকে নিয়মিত পৃষ্ঠপোষকতাও অব্যাহত রেখেছে তারা। পরিবেশ রক্ষায় নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে চ্যানেল আই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন