রুগ্ন ফেক্টরি ডেভেলপ করার পলিসি
অনেক ফেক্টরির ক্ষত্রে দেখা যায় তাদের ফ্লোরের একটা সময় পার হবার পর তাদের কন্টিনিউয়াস কোন না কোন মেশিন এদের সার্ভিস করা লাগে । ডেইলি হুট হাট মেশিন অফ হয়ে যায়। আজ এই সমস্যা কাল অন্যটা । সমপ্রতি একটা ফেক্টরির অভিজ্ঞতা থেকে দেখলাম তাদের এমন সমস্যা খুব ভালো করে রিকোভার করেছে । সমস্যা কমন হলে ফেব্রিক ক্যামিকেল নস্ট হবে শিডিউল বিপর্যয় হবে বায়ার দের আস্থা কম্ব যায় । এটা টোটাল প্রডাকশন কমিয়ে ফেলে । নারায়ণগঞ্জ জোনের একটা ফেক্টরির নতুন জিএম নিয়োগ দেয়ার পর প্রায় সমস্যায় রুগ্ন একটা ফেক্টরির মেজর সমস্যা দেখলেন এই মেশিনের সমস্যা । তিনি মালিকের কাছে পরামর্শ করলেন তার কাছে সময় চাইলেন ৬-৭ দিন । সব মেশিনের পার্টসের তালিকা হলো মালিক ম্যানেজমেন্ট এর উদ্যোগে প্রায় ৮-১০ দিন অফ রেখে সব মেশিনের ওভার হোলিং এবং সার্ভিসিং করা হলো । এর পর সব মেশিন চললো স্মুথ ভাবে । এখন যখন তারা শিডিউল মেক আপ করতে পারছে তারা তাদের রেইট বাড়িয়ে দিলো । মালিকের একবারে ৫-৬ কোটি খরচ হলেও তারা সেই টাকা রেইট বাড়িয়ে প্রডাকশন বাড়িয়ে তুলে নিতে সক্ষম হলো ।
অনেক টেক্সটাইল ইন্ড্রাস্ট্রি দেখেছি এভাবে ধুকে ধুকে চলে । এতে প্রফিটের চেয়ে লসের হার বেশি হয় । ক্লায়েন্টের ফেব্রিক নস্ট হয় শিডিউল বিপর্যয় হয় । যার ফলে বায়াতরা বড় লটের অর্ডার করাতে চান না । কাপড়ের সমস্যার ডেমারেজ দেয়া লাগে ।
মুলত এর জন্য মালিক এমডি ডিরেক্টর দের সহযোগীতা জরুরী সে ক্ষত্রে বড় ফান্ড বা লোনের দরকার হয় । তারা যদি ফিনেনশিয়াল সাপোর্ট দেন তবে এটা করা সম্ভব হয় । মালিক নিজে অডিট করে লিস্ট করে মেশিন পার্টস সোর্সিং করে নিতে পারেন । পরে সাপ্লাইয়ার, থার্ড পার্টি ক্ন্ট্রাকটর, নিজস্ব মেইনটেইন্সেস টিম দিয়ে সার্ভিস করাতে পারেন ।
এর জন্য সুবিধা জনক সময় ২ ঈদের ১০ দিনের ছুটির গ্যাপ । সব পার্টস কিনে রেখে মেশিনের কিছু লোক ক্লিনিংয়ের জন্য রেখে দিয়ে বাকি লোক ছুটিতে পাঠানো যায় । ডেমেজ পার্টস গুলি পরে ওভার হোলিং করে নেয়া যায় ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন