কারখানা লে-অফ এবং শ্রম আইন ২০১৬ ( ধারা-১৬ ) - Textile Lab | Textile Learning Blog
বিগত কয়েকদিন যাবত অনেকে নিম্নোক্ত বিষয়টি জানার জন্য একই পোস্ট বারবার দিয়ে যাচ্ছেন! আপনাদের জন্য আইনের ধারাটি হুবুহু তোলে ধরা হলোঃ




লে- অফ বলতে কি বুঝঃ

সাধারণভাবে লে অফ বলতে শিল্প বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কাজ বন্ধ থাকার দরুন সাধারণভাবে কাজ হতে অব্যাহতি বুঝায়।একে নির্দিষ্ট কারণে কাজ বন্ধ বলা হয়ে থাকে। বাংলাদেশ শ্রম আইন ২(৫৮) তে লে অফ এর সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে।এখানে বলা হয়েছে যে, কয়লা, বিদ্যুৎ, গ্যাস অথবা কাঁচা মালের ঘাটতি অথবা মালপত্র জমা হয়ে যাওয়া কিংবা কলকব্জা বিকল হয়ে যাওয়া বা ভেঙে যাওয়া বা নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে কোন শ্রমিককে কাজ দিতে ব্যর্থতা,অস্বীকৃতি বা অপারগতাকে লে অফ বলা হয়।


মালিক কর্তৃক লে অফ ঘোষণাঃ

কয়লা,শক্তি বা কাঁচা মালের স্বল্পতার কারণে অথবা উৎপাদিত পণ্য জমে থাকা অথবা যন্ত্রপাতি বা কলকব্জা বিকল হলে বা ভেঙে গেলে মালিক পক্ষ লেঅফ ঘোষণা করতে পারে।

লে অফকৃত শ্রমিকের ক্ষতি পূরণ পাওয়ার অধিকারঃ

শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা১৬ তে বলা হয়েছে কোন কোন ক্ষেত্রে লে অফকৃত শ্রমিকগন ক্ষতি পূরণ পাওয়ার অধিকারী, এখানে বলা হয়েছে যে,

১/ যে ক্ষেত্রে বদলী বা সাময়িক শ্রমিক নয় এরূপ কোন শ্রমিককে।যার নাম কোন প্রতিষ্ঠানে মাস্টার রোলে অন্তর্ভুক্ত আছে এবং যিনি মালিকের অধীনে অন্তত একবছর চাকুরী সম্পূর্ণ করেছেন। তাহলে মালিক তাকে সাপ্তাহিক ছুটির দিন ব্যতিত তার লে অফের সকল দিনের জন্য ক্ষতি পূরণ প্রদান করিবেন।

২/ ক্ষতি পূরণের পরিমাণ হবে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকের মোট মূল মজুরি এবং মহার্ঘ ভাতা এবং অন্তবর্তী মজুরি যদি থাকে এর অর্ধেক এবং তাহাকে লে অফ করা না হইলে তিনি যে আবাসিক ভাতা পাইতেন তার সম্পূর্নের সমান।
৩/ যে বদলি শ্রমিকের নাম কোন প্রতিষ্ঠানের মাস্টার রোলে অন্তর্ভুক্ত আছে, তিনি এই ধারার প্রয়োজনে বদলি বলে গণ্য হবে না যদি সে উক্ত প্রতিষ্ঠানে একবছর চাকুরী সম্পূর্ণ করে থাকেন।

৪/ মালিক এবং শ্রমিকের মধ্যে ভিন্ন রুপ কোন চুক্তি না থাকলে, কোন শ্রমিক এই ধারার অধীনে কোন পন্জ্ঞিকা বছরে পয়তাল্লিশ দিনের অধিক সময়ের জন্য ক্ষতি পূরণ পাবে না।

৫/ উপধারা (৪) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন যদি কোন পন্জ্ঞিকা বছরের কোন শ্রমিকে অবিচ্ছিন্নভাবে বা বিচ্ছিন্নভাবে পয়তাল্লিশ দিনের অধিক সময়ের জন্য লেঅফ করা হয় এবং উক্ত পয়তাল্লিশ দিনের পর লে অফের সময় যদি আরো ও পনের দিন বা তদুর্ধ্ব হয় তাহলে উক্ত শ্রমিককে,শ্রমিক এবং মালিকের মধ্যে ভিন্ন রুপ কোন চুক্তি না থাকলে পরবর্তী প্রত্যেক পনের বা তদুর্ধ্ব দিন সমূহের লে অফের জন্য ক্ষতি পূরণ প্রদান করতে হবে।

৬/ উপধারা(৫) এ উল্লেখিত ক্ষতি পূরণের পরিমাণ হইবে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকের মোট মূল মজুরি এবং মহার্ঘভাতা বা অন্তবর্তী মজুরী যদি থাকে এর এক চতুর্থাংশ এবং যদি আবাসিক ভাতা থাকে, তাহার সম্পূর্ণের সমান।

যে সব ক্ষেত্রে লে অফকৃত শ্রমিকগণ ক্ষতি পূরণ পাওয়ার অধিকারী হবে নাঃ

শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ১৮ তে বলা হয়েছে যে, কোন কোন ক্ষেত্রে লে অফ কৃত শ্রমিকগন ক্ষতি পূরণ পাওয়ার অধিকারী হবে না।এখানে বলা হয়েছে যে,

(১) এই অধ্যায়ের অন্যত্র যাহা কিছুই থাকুক না কেন কোন লে অফ কৃত শ্রমিক ক্ষতি পূরণ প্রদেয় হবেনা যদি -

( ক) তিনি একই প্রতিষ্ঠানে বা একই মালিকের অধীনে একই শহরে বা গ্রামে অথবা আট কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে অবস্থিত ভিন্ন কোন প্রতিষ্ঠানে দক্ষতা বা পূর্ব অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নাই এরূপ কোন বিকল্প পদে একই মজুরীতে কাজ গ্রহণ করিতে অস্বীকার করেন।

(খ) তিনি মালিকের নির্দেশ সত্ত্বেও অন্ততঃ দিনে একবার প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক কর্ম সময়ের মধ্যে কোন নির্দিষ্ট সময়ে কাজের জন্য হাজিরা না দেন।

(২) উপ-ধারা (১) (খ) এর উদ্দেশ্যে, যদি লে-অফকৃত কোন শ্রমিক কোন দিনে স্বাভাবিক কর্ম সময়ের মধ্যে নির্ধারিত কোন সময়ের মধ্যে হাজিরা দেন, এবং হাজিরার দুই ঘণ্টার মধ্যে যদি তাহাকে কোন কাজ দেওয়া না হয়, তাহা হইলে তিনি সেই দিনের জন্য এই ধারার অর্থ মোতাবেক লে-অফকৃত হইয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন।

(৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিতরুপে যদি কোন লে-অফকৃত শ্রমিক কাজের জন্য হাজিরা দেন, এবং তাহাকে কোন দিনের কোন পালায় উহা শুরু হওয়ার প্রাক্কালে কাজ দেওয়ার পরিবর্তে তাহাকে একই দিনে পালার দ্বিতীয়ার্ধে কাজে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয় এবং তিনি তদনুযায়ী কাজের জন্য হাজিরা দেন, তাহা হইলে তিনি ঐ দিনের অর্ধেক কর্ম সময়ের জন্য লে-অফ হইয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন এবং অবশিষ্ট অর্ধেক কর্মসময়ে, তাহাকে কোন কাজ দেওয়া হউক বা না হউক, তিনি চাকুরীতে ছিলেন বলিয়া বিবেচিত হইবেন।




শ্রম আইন নিয়ে আরও জানতে চাইলে কমেন্টে দেয়া লিংক থেকে পিডিএফ ফাইলা টি স্টাডি করুন ‌!

কারখানা লে-অফ এবং শ্রম আইন ২০১৬ ( ধারা-১৬ )

বিগত কয়েকদিন যাবত অনেকে নিম্নোক্ত বিষয়টি জানার জন্য একই পোস্ট বারবার দিয়ে যাচ্ছেন! আপনাদের জন্য আইনের ধারাটি হুবুহু তোলে ধরা হলোঃ




লে- অফ বলতে কি বুঝঃ

সাধারণভাবে লে অফ বলতে শিল্প বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কাজ বন্ধ থাকার দরুন সাধারণভাবে কাজ হতে অব্যাহতি বুঝায়।একে নির্দিষ্ট কারণে কাজ বন্ধ বলা হয়ে থাকে। বাংলাদেশ শ্রম আইন ২(৫৮) তে লে অফ এর সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে।এখানে বলা হয়েছে যে, কয়লা, বিদ্যুৎ, গ্যাস অথবা কাঁচা মালের ঘাটতি অথবা মালপত্র জমা হয়ে যাওয়া কিংবা কলকব্জা বিকল হয়ে যাওয়া বা ভেঙে যাওয়া বা নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে কোন শ্রমিককে কাজ দিতে ব্যর্থতা,অস্বীকৃতি বা অপারগতাকে লে অফ বলা হয়।


মালিক কর্তৃক লে অফ ঘোষণাঃ

কয়লা,শক্তি বা কাঁচা মালের স্বল্পতার কারণে অথবা উৎপাদিত পণ্য জমে থাকা অথবা যন্ত্রপাতি বা কলকব্জা বিকল হলে বা ভেঙে গেলে মালিক পক্ষ লেঅফ ঘোষণা করতে পারে।

লে অফকৃত শ্রমিকের ক্ষতি পূরণ পাওয়ার অধিকারঃ

শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা১৬ তে বলা হয়েছে কোন কোন ক্ষেত্রে লে অফকৃত শ্রমিকগন ক্ষতি পূরণ পাওয়ার অধিকারী, এখানে বলা হয়েছে যে,

১/ যে ক্ষেত্রে বদলী বা সাময়িক শ্রমিক নয় এরূপ কোন শ্রমিককে।যার নাম কোন প্রতিষ্ঠানে মাস্টার রোলে অন্তর্ভুক্ত আছে এবং যিনি মালিকের অধীনে অন্তত একবছর চাকুরী সম্পূর্ণ করেছেন। তাহলে মালিক তাকে সাপ্তাহিক ছুটির দিন ব্যতিত তার লে অফের সকল দিনের জন্য ক্ষতি পূরণ প্রদান করিবেন।

২/ ক্ষতি পূরণের পরিমাণ হবে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকের মোট মূল মজুরি এবং মহার্ঘ ভাতা এবং অন্তবর্তী মজুরি যদি থাকে এর অর্ধেক এবং তাহাকে লে অফ করা না হইলে তিনি যে আবাসিক ভাতা পাইতেন তার সম্পূর্নের সমান।
৩/ যে বদলি শ্রমিকের নাম কোন প্রতিষ্ঠানের মাস্টার রোলে অন্তর্ভুক্ত আছে, তিনি এই ধারার প্রয়োজনে বদলি বলে গণ্য হবে না যদি সে উক্ত প্রতিষ্ঠানে একবছর চাকুরী সম্পূর্ণ করে থাকেন।

৪/ মালিক এবং শ্রমিকের মধ্যে ভিন্ন রুপ কোন চুক্তি না থাকলে, কোন শ্রমিক এই ধারার অধীনে কোন পন্জ্ঞিকা বছরে পয়তাল্লিশ দিনের অধিক সময়ের জন্য ক্ষতি পূরণ পাবে না।

৫/ উপধারা (৪) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন যদি কোন পন্জ্ঞিকা বছরের কোন শ্রমিকে অবিচ্ছিন্নভাবে বা বিচ্ছিন্নভাবে পয়তাল্লিশ দিনের অধিক সময়ের জন্য লেঅফ করা হয় এবং উক্ত পয়তাল্লিশ দিনের পর লে অফের সময় যদি আরো ও পনের দিন বা তদুর্ধ্ব হয় তাহলে উক্ত শ্রমিককে,শ্রমিক এবং মালিকের মধ্যে ভিন্ন রুপ কোন চুক্তি না থাকলে পরবর্তী প্রত্যেক পনের বা তদুর্ধ্ব দিন সমূহের লে অফের জন্য ক্ষতি পূরণ প্রদান করতে হবে।

৬/ উপধারা(৫) এ উল্লেখিত ক্ষতি পূরণের পরিমাণ হইবে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকের মোট মূল মজুরি এবং মহার্ঘভাতা বা অন্তবর্তী মজুরী যদি থাকে এর এক চতুর্থাংশ এবং যদি আবাসিক ভাতা থাকে, তাহার সম্পূর্ণের সমান।

যে সব ক্ষেত্রে লে অফকৃত শ্রমিকগণ ক্ষতি পূরণ পাওয়ার অধিকারী হবে নাঃ

শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ১৮ তে বলা হয়েছে যে, কোন কোন ক্ষেত্রে লে অফ কৃত শ্রমিকগন ক্ষতি পূরণ পাওয়ার অধিকারী হবে না।এখানে বলা হয়েছে যে,

(১) এই অধ্যায়ের অন্যত্র যাহা কিছুই থাকুক না কেন কোন লে অফ কৃত শ্রমিক ক্ষতি পূরণ প্রদেয় হবেনা যদি -

( ক) তিনি একই প্রতিষ্ঠানে বা একই মালিকের অধীনে একই শহরে বা গ্রামে অথবা আট কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে অবস্থিত ভিন্ন কোন প্রতিষ্ঠানে দক্ষতা বা পূর্ব অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নাই এরূপ কোন বিকল্প পদে একই মজুরীতে কাজ গ্রহণ করিতে অস্বীকার করেন।

(খ) তিনি মালিকের নির্দেশ সত্ত্বেও অন্ততঃ দিনে একবার প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক কর্ম সময়ের মধ্যে কোন নির্দিষ্ট সময়ে কাজের জন্য হাজিরা না দেন।

(২) উপ-ধারা (১) (খ) এর উদ্দেশ্যে, যদি লে-অফকৃত কোন শ্রমিক কোন দিনে স্বাভাবিক কর্ম সময়ের মধ্যে নির্ধারিত কোন সময়ের মধ্যে হাজিরা দেন, এবং হাজিরার দুই ঘণ্টার মধ্যে যদি তাহাকে কোন কাজ দেওয়া না হয়, তাহা হইলে তিনি সেই দিনের জন্য এই ধারার অর্থ মোতাবেক লে-অফকৃত হইয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন।

(৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিতরুপে যদি কোন লে-অফকৃত শ্রমিক কাজের জন্য হাজিরা দেন, এবং তাহাকে কোন দিনের কোন পালায় উহা শুরু হওয়ার প্রাক্কালে কাজ দেওয়ার পরিবর্তে তাহাকে একই দিনে পালার দ্বিতীয়ার্ধে কাজে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয় এবং তিনি তদনুযায়ী কাজের জন্য হাজিরা দেন, তাহা হইলে তিনি ঐ দিনের অর্ধেক কর্ম সময়ের জন্য লে-অফ হইয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন এবং অবশিষ্ট অর্ধেক কর্মসময়ে, তাহাকে কোন কাজ দেওয়া হউক বা না হউক, তিনি চাকুরীতে ছিলেন বলিয়া বিবেচিত হইবেন।




শ্রম আইন নিয়ে আরও জানতে চাইলে কমেন্টে দেয়া লিংক থেকে পিডিএফ ফাইলা টি স্টাডি করুন ‌!

২টি মন্তব্য:

Unknown বলেছেন...

এখন আমি জানতে চাই,আমার বেসিক যদি ৫২০০ টাকা হয় তাহলে আমি লে অফ এর মাধ্যমে কত বেতন পাবো

Unknown বলেছেন...

Lay Off ar somoy Eid Bonas paba ke na.amar batan 7500.00Tk bachk ami koto taka pabo