সরকারি টেক্সটাইল মিল বনাম বেসরকারি টেক্সটাইল মিল I Public Vs Privet Textile industry - Textile Lab | Textile Learning Blog
সরকারি Vs বেসরকারি টেক্সটাইল প্রতিষ্ঠান


একটি প্রচলিত কথা আছে সরকারি কারখানা চালাইলে লস ৮ কোটি আর বন্ধ রাখলে লস ৪ কোটি 😊 যার ফলে সরকারি মিল গুলি চালুর চেয়ে অফ থাকে বেশি । সরকারি মিল গুলি প্রডাকশন ফ্লোরের চেয়ে এদের কোয়াটারের পরিমান বেশি । আর বেসরকারি মিল গুলিতে স্টেনটার বসাইলে কম্পেক্টর বসানোর স্পেস পায় না । বেসরকারি মিলে কোয়াটার তো বাদ দিলাম ।


আদমজীতে সরকারি যখন মিল ছিলো তখন কাজ করতেন ১০০০ লোক যখন তা বন্ধ হয়ে যায় তখন তার জন্য হায় হুতাশ করেছিলাম কিন্ত এখন আদমজী ইপিজেড হয়ে ৭০ হাজার লোকের একটা কর্মমেলা । সরকারি একটা মিলে ৫-৬ টা বেসরকারি গ্রুপ ফেক্টরি এমনি সহযে এটে যাবে । ৫-৬ টা গ্রুপ ফেক্টরির প্রডাকটিভিটি অনেক হাই। অনেক ম্যান পাওয়ারের স্পেস হয় সেখানে ।


এদের ফেক্টরি গেটে ছিলো দোকান এদের ২৫% দেয় পরিশ্রম ৭৫% দেয় ফাকি ৭৫% এর কিছু করে রাজনীতি । পাটকল গুলির দশা পুরাই কেরোসিন, অন্য ফেক্টরির গুলির দশা তো আরো বেগতিক ।


সরকার প্রতি বছর লস না করে সেই খালি যায়গায় গার্মেন্টস ফ্লোর ভাড়া দিলেও লস হতো না , কারন সরকারি মিল গ্যাস ইলেকট্রিসিটি সব থাকতো সরকার স্পেস ভাড়া পেতো । কম্পলায়েন্সের ঝামেলা সরকার বুঝতো । লস বলতে কিছুই থাকতো না ।


টংগীর নিউ মেঘনা টেক্সটাইল এর মতো মেশিন সরকারি কাজ লোকাল পার্টির । কালার ক্যামিকেল ফেব্রিক পার্টির তারা মেশিন ভাড়া দিয়ে কাজ করিয়ে নেয় এখানেও লসের কোন বালাই নেই । কাজের চাপে শিডিউল দেয়ার সময় নাই ।


আপনি জেনারেটর আর স্টিম বয়েলার দিয়ে মিনি স্পেস ভাড়া দেন মানুষ এখানে উইভিং মেশিন নীটিং মেশিন বসিয়ে ফ্লোর ভাড়া দিয়ে উলটা প্রফিট করে দেখাবে । সরকারি মিলের চেয়ে বেশি লোক কাজ করবে।


সরকারি মিলের মেশিন ফ্লোর দেখলে বমি আসবে এলার্জি হয়ে যাবে এদের মেশিন পরিস্কার আর বালাই নেই এরা আছে ট্রেড ইউনিয়ন নিয়ে । বেসরকারি ম্যানেজমেন্ট হলে সকালে ৮ ঢুকে আগে মেশিন পরিস্কার করাইয়া নিতো ।


গভমেন্ট ফেক্টরি লস নিয়ে প্রতিযোগিতা করে কার কতো বেশি সভা সেমিনার হয় কিন্ত লসের বিষয়ে কেইস স্টাডি হয় না । ১০০ কোটি লস হলেও তার জন্য থার্ড পার্টি অডিট হয় না । হাজিরার যাচাইয়ের জন্য বায়োমেট্রিক এটেন্ডডেন্স নেয়া হয় না, ফ্লোরে সারভেইলেন্স ক্যামরা খুজে পাবেন না কে এলো কে গেলো তা বুঝবেন কিভাবে । প্রডাকশন না হলে বেতন আসবে কি করে ।


আমাদের মনে হয় সরকারের এখনো সময় আছে সরকারি কারখানা গুলি নিয়ে ভাবার । স্পেস ধরে রেখে বাগান বাড়ি সাজিয়ে রেখে লাভ নাই দেশে ২ কোটি বেকার । কাজের স্পেস বাড়াতে হবে ।


একটা কথায় বলে সরকারি ফেক্টরিতে ইয়ার্ডে যে পরিমান লেন্ড আছে তা দিয়ে কাঠ গাছ লাগালে তা বিক্রি করে তা দিয়ে তাদের লোন শোধ করে দেয়া যায় ।


প্রডাকশন এর লোক ওভার এইজ হলে তাকে দিয়ে আপনি প্রডাকশন বের করতে পারবেন না আপনাকে আর্মির মতো ম্যান পাওয়ার সিলেক্ট করতে হবে ১৮-৪৫ বছরের মাঝে । না হয় এরা ইয়ার্ন এর মতো সুক্ষ বিষয় চোখে দেখবে না স্পিড বোট না কাজে । ওভার এইজ লোক প্রসেস লসের একটা কারন , এইজ লিমিট প্রাইভেট কোম্পানির প্লাস পয়েন্ট ।


সরকারি নিয়োগের আরেকটা দিক হলো এরা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার একজন নিয়োগ হলে মালিক, ধোপা, ড্রাইভার, অফিস সহকারী, স্টেনোগ্রাফার নিয়োগ হয় ৫০ জন , তাও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার ডিপ্লোমা ধারী । ডিসিশন মেকার নন টেক্সটাইল তারা প্রসেস কি বোঝেন যে তারা একটি মিলের ডিসিশন দিতে পারেন ?


কিংবা অনেক জিএম আছেন বাংলাদেশের যারা মরা ফেক্টরি দাড় করানোর অভিজ্ঞতা আছে মন্ত্রণালয়ের সচিব না পুষে সরকার ৩-৪ লক্ষ খরচ করে প্রাইভেট জিএম নিয়োগ দিন ১ বছর ট্রায়াল দিন দেখানে । ৫০% লোক রিজেক্ট হবে শো কজ লেটার দিনে ১০০ টাইপ হবে । ফ্লোরে এক চুল বালি পাবেন না। মেইন্টেনেন্স দৌড়াবে মেশিনে । এডমিন টেবিলে বসার চান্স পাবে না সোর্সিং পার্চেসের লোক আল্লাহ আল্লাহ বাচান করবে । লাভ হবে না কি করে ।


বেসরকারি মালিক হলে বলতেন ঘর দিসি ফ্লোর দিসি কামাই করে নাও ।


আমাদের রাস্ট্রের সম্পদ যেমন বাচাতে হবে তেমনি আমাদের মতো গরীব দেশের বিপুল কর্মসংস্থান এর ব্যাবস্থা করতে হবে ।






সরকারি টেক্সটাইল মিল বনাম বেসরকারি টেক্সটাইল মিল I Public Vs Privet Textile industry

সরকারি Vs বেসরকারি টেক্সটাইল প্রতিষ্ঠান


একটি প্রচলিত কথা আছে সরকারি কারখানা চালাইলে লস ৮ কোটি আর বন্ধ রাখলে লস ৪ কোটি 😊 যার ফলে সরকারি মিল গুলি চালুর চেয়ে অফ থাকে বেশি । সরকারি মিল গুলি প্রডাকশন ফ্লোরের চেয়ে এদের কোয়াটারের পরিমান বেশি । আর বেসরকারি মিল গুলিতে স্টেনটার বসাইলে কম্পেক্টর বসানোর স্পেস পায় না । বেসরকারি মিলে কোয়াটার তো বাদ দিলাম ।


আদমজীতে সরকারি যখন মিল ছিলো তখন কাজ করতেন ১০০০ লোক যখন তা বন্ধ হয়ে যায় তখন তার জন্য হায় হুতাশ করেছিলাম কিন্ত এখন আদমজী ইপিজেড হয়ে ৭০ হাজার লোকের একটা কর্মমেলা । সরকারি একটা মিলে ৫-৬ টা বেসরকারি গ্রুপ ফেক্টরি এমনি সহযে এটে যাবে । ৫-৬ টা গ্রুপ ফেক্টরির প্রডাকটিভিটি অনেক হাই। অনেক ম্যান পাওয়ারের স্পেস হয় সেখানে ।


এদের ফেক্টরি গেটে ছিলো দোকান এদের ২৫% দেয় পরিশ্রম ৭৫% দেয় ফাকি ৭৫% এর কিছু করে রাজনীতি । পাটকল গুলির দশা পুরাই কেরোসিন, অন্য ফেক্টরির গুলির দশা তো আরো বেগতিক ।


সরকার প্রতি বছর লস না করে সেই খালি যায়গায় গার্মেন্টস ফ্লোর ভাড়া দিলেও লস হতো না , কারন সরকারি মিল গ্যাস ইলেকট্রিসিটি সব থাকতো সরকার স্পেস ভাড়া পেতো । কম্পলায়েন্সের ঝামেলা সরকার বুঝতো । লস বলতে কিছুই থাকতো না ।


টংগীর নিউ মেঘনা টেক্সটাইল এর মতো মেশিন সরকারি কাজ লোকাল পার্টির । কালার ক্যামিকেল ফেব্রিক পার্টির তারা মেশিন ভাড়া দিয়ে কাজ করিয়ে নেয় এখানেও লসের কোন বালাই নেই । কাজের চাপে শিডিউল দেয়ার সময় নাই ।


আপনি জেনারেটর আর স্টিম বয়েলার দিয়ে মিনি স্পেস ভাড়া দেন মানুষ এখানে উইভিং মেশিন নীটিং মেশিন বসিয়ে ফ্লোর ভাড়া দিয়ে উলটা প্রফিট করে দেখাবে । সরকারি মিলের চেয়ে বেশি লোক কাজ করবে।


সরকারি মিলের মেশিন ফ্লোর দেখলে বমি আসবে এলার্জি হয়ে যাবে এদের মেশিন পরিস্কার আর বালাই নেই এরা আছে ট্রেড ইউনিয়ন নিয়ে । বেসরকারি ম্যানেজমেন্ট হলে সকালে ৮ ঢুকে আগে মেশিন পরিস্কার করাইয়া নিতো ।


গভমেন্ট ফেক্টরি লস নিয়ে প্রতিযোগিতা করে কার কতো বেশি সভা সেমিনার হয় কিন্ত লসের বিষয়ে কেইস স্টাডি হয় না । ১০০ কোটি লস হলেও তার জন্য থার্ড পার্টি অডিট হয় না । হাজিরার যাচাইয়ের জন্য বায়োমেট্রিক এটেন্ডডেন্স নেয়া হয় না, ফ্লোরে সারভেইলেন্স ক্যামরা খুজে পাবেন না কে এলো কে গেলো তা বুঝবেন কিভাবে । প্রডাকশন না হলে বেতন আসবে কি করে ।


আমাদের মনে হয় সরকারের এখনো সময় আছে সরকারি কারখানা গুলি নিয়ে ভাবার । স্পেস ধরে রেখে বাগান বাড়ি সাজিয়ে রেখে লাভ নাই দেশে ২ কোটি বেকার । কাজের স্পেস বাড়াতে হবে ।


একটা কথায় বলে সরকারি ফেক্টরিতে ইয়ার্ডে যে পরিমান লেন্ড আছে তা দিয়ে কাঠ গাছ লাগালে তা বিক্রি করে তা দিয়ে তাদের লোন শোধ করে দেয়া যায় ।


প্রডাকশন এর লোক ওভার এইজ হলে তাকে দিয়ে আপনি প্রডাকশন বের করতে পারবেন না আপনাকে আর্মির মতো ম্যান পাওয়ার সিলেক্ট করতে হবে ১৮-৪৫ বছরের মাঝে । না হয় এরা ইয়ার্ন এর মতো সুক্ষ বিষয় চোখে দেখবে না স্পিড বোট না কাজে । ওভার এইজ লোক প্রসেস লসের একটা কারন , এইজ লিমিট প্রাইভেট কোম্পানির প্লাস পয়েন্ট ।


সরকারি নিয়োগের আরেকটা দিক হলো এরা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার একজন নিয়োগ হলে মালিক, ধোপা, ড্রাইভার, অফিস সহকারী, স্টেনোগ্রাফার নিয়োগ হয় ৫০ জন , তাও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার ডিপ্লোমা ধারী । ডিসিশন মেকার নন টেক্সটাইল তারা প্রসেস কি বোঝেন যে তারা একটি মিলের ডিসিশন দিতে পারেন ?


কিংবা অনেক জিএম আছেন বাংলাদেশের যারা মরা ফেক্টরি দাড় করানোর অভিজ্ঞতা আছে মন্ত্রণালয়ের সচিব না পুষে সরকার ৩-৪ লক্ষ খরচ করে প্রাইভেট জিএম নিয়োগ দিন ১ বছর ট্রায়াল দিন দেখানে । ৫০% লোক রিজেক্ট হবে শো কজ লেটার দিনে ১০০ টাইপ হবে । ফ্লোরে এক চুল বালি পাবেন না। মেইন্টেনেন্স দৌড়াবে মেশিনে । এডমিন টেবিলে বসার চান্স পাবে না সোর্সিং পার্চেসের লোক আল্লাহ আল্লাহ বাচান করবে । লাভ হবে না কি করে ।


বেসরকারি মালিক হলে বলতেন ঘর দিসি ফ্লোর দিসি কামাই করে নাও ।


আমাদের রাস্ট্রের সম্পদ যেমন বাচাতে হবে তেমনি আমাদের মতো গরীব দেশের বিপুল কর্মসংস্থান এর ব্যাবস্থা করতে হবে ।






কোন মন্তব্য নেই: