মার্চেন্ডাইজারদের আর ফেক্টরির মালিকদের যুক্তি অনুযায়ী বায়ার তাদের প্রাইস বাড়ায় না, মানলাম তাদের প্রাইস বাড়াবে কিভাবে যেখানে তাদের হাতে প্রচুর সাপ্লাইয়ার সবাই নিজের ওর্ডার নেয়ার জন্য কোটেশন প্রাইস কমানোর চিন্তা করে । তবে কি করে প্রাইস বাড়াবে বায়ার যেখানে আমারা কমিয়ে দিচ্ছি । এর জন্য এখন BGMEA এর ভুমিকা জরুরী তাদের উচিৎ নির্দিষ্ট প্রডাক্ট ডিজাইন অনুযায়ী একটা প্রাইস নির্ধারণ করে দেয়া যে এর নিচে কোন ফেক্টরি প্রাইস দিতে পারবে না , একটা বেসিক টি শার্ট এর প্রাইস কতো হবে, প্রিন্টেড হলে কতো হবে, ইয়ার্ন ডাইড হলে কতো হতে পারে এর পর ডিজাইন অনুযায়ী যে যার প্রাইস সাবমিশন করবে। এটা বায়াতে সিন্ডিকেট করা দূরে থাক তারা নিজেরাই সিন্ডকেটে পড়বে , আর বিজিএমইএ আমাদের আমাদের শ্রমিক কস্ট, আমাদের এনভাইরনমেন্ট হেজার্ড ইত্যাদি বিষয়ে তাদের কাছে পজিটিভ ব্রেন্ডিং করবে। মনে হতে পারে তারা এতে অর্ডার কমিয়ে দিতে পারে!!! এরা অর্ডার এমনি কইয়ে দিয়েছে তাই আমাদের সময় এসেছে আমাদের অধিকার আদায় করে নেয়ার । আমাদের প্রাইস কমাতে গিয়ে কোয়ালিটি নস্ট করে ফেলছি আমাদের অনেক বিষয় কস্টিং কাট ছাট করতে হচ্ছে । আমাদের টাকা হলে আর টেক্সটাইল এর কোন সমস্যা হবে না টাক্স বেতন ভাতা মুল সমস্যা এটা ঠিক আগামি ৫০ বছরে টেক্সটাইল এর কিছু হবে না । এটার দায়িত্ব বড়দের অর্গানাইজেশন, সরকারের। মনে হতে পারে বিদেশে চলে যাবে বায়ার কিন্ত তার উপায় নেই গিয়েছিলো অনেক দেশে কিন্ত তাদের ইফিসিয়েন্সি আর আমাদের অনেক ব্যাবধান আছে ।
আমাদের দেশের যারা গ্রুপ ফেক্টরির উদ্যোক্তা আছেন তারা চাইলে বিদেশে নিজস্ব ফ্যাশন হাউস এর আউটলেট খুলতে পারেন কারন ধরুন যে গার্মেন্টস টার FOB প্রাইস $ 7 নিশ্চয় এর রিটেইল প্রাইস $25 - $30 এখন আমাদের উদ্যোক্তা গন নিজেদের আউটলেট থাকে তবে তাদের পুরো $25 - $30 থেকে যাবে , পুরো লাভ তাদের আর কয়দিন আমরা ফরেইন বায়ারদের কাজ করে যাবো যারা আমাদের গার্মেন্টস নিয়ে তারা ৬০০% এর মতো লাভ করে। আমাদের যেহেতু সোর্সিং এবং প্রডাকশন এর ক্যাপাসিটি আছে তাই আমাদের বিদেশি বায়াদের কাছে জিম্মি হয়ে থাকতে হচ্ছে । আমাদের দেশের নামি ব্রেন্ড যেমন বেক্সিমকোর ইয়োলো এরা বা এদের শো রুম বিদেশি দের চেয়ে কম সুন্দর নয় তাই আমাদের নিজস্ব ব্রেন্ড গুলিতে ফরেইনার বিজনেস এক্সপানশন, ডেভলমেন্ট এর সুযোগ দেয়া হোক ।
মিডেল ইস্ট, মালয়েশিয়া, আফ্রিকার এর মতো উন্নায়নশীল দেশে যেখানে বাইরের লোক জন কাজ করে এসকল দেশে লো কস্ট ব্রেন্ডেড গার্মেন্টস এর ডিমান্ড আছে আমরা এই বাজার গুলিতে কম প্রতিযোগিতা দিয়ে শুরু করতে পারি। মালিকরা এমনি তে বিদেশে বাড়ি করছেন তারা তারা সাথে যদি নিজস্ব শো রুম করেন তাতে তারা লাভবান হবেন, একর্ড এলায়েন্স এর চাপে বায়ার চলে গেলেও নিজেরাই নিজেদের ব্যাবসা চালু রাখতে পারবেন।
গ্যাস সংযোগ
টেক্সটাইল মিলের গ্যাসের সংযোগ কাটার অনেক রেকর্ড আছে এবং অনেক ফেক্টরি বসে গেছে এতে, কিন্ত একটু ভিন্ন ভাবে ভাবলেও সরকারের হতো । ইলিগাল লাইন না কেটে একে জরিমানা দিয়ে লিগালাইজ করা । কিংবা যাদের ক্যাপাসিটি বেশি তাদের কে লোড বাড়িয়ে দেয়া ।
কঠোর ভাবে ভাবলে লাইন কেটে দিন জরিমানা করেন ২ বছরের সাসপেনশন দিন , ফেক্টরি অফ বায়ার নাই , ২-৩ হাজার লোকের কর্মস্থল শেষ ।
আমরা জেনারেল লোক এতো ভেবে লাভ নাই , বিটিএমএ এর ভাবনা উচিৎ এসব বিষয়ে , যেহেতু LNG আসছে আমাদের টেক্সটাইল মিল গুলিতে ফাস্ট ট্রেক সার্ভিস দেয়া উচিৎ ।
শিল্প বাচাতে মালিক তিতাসের অফিসে নয় উচিৎ ছিলো তিতাস নিয়ে অফিস নিয়ে তাদের কাছে যাওয়া , আমার শিল্প আগে, শিল্প বাচলে দেশ বাছবে ।
আমরা যানি আমাদের শিল্প অনেকটাই অপরিকল্পিত কিন্ত আমাদের সবার ব্যার্থতা এটা কিন্ত একটা ঠান্ডা মাথায় আইনের পেচে চলমান শিল্প অফ করে দেয়া শ্রম ঘন দেশের জন্য নির্বুদ্ধিতা
ট্রান্সপোর্ট
পোশাক শিল্পের রপ্তানির গতি আনতে গাজীপুর নারায়ণগঞ্জ জোনে ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপো করা উচিৎ । গাজীপুর জয়দেবপুরে নারায়নগঞ্জের ফতুল্লা হতে পারে বেটার চয়েস । পোশাক শিল্পের মেজরিটি ফেক্টরি গুলি এই দুই জোনে । ট্রাক কাভার্ড ভ্যানে শিপমেন্ট করার চেয়ে এখানে ICD তে লোড করে ট্রেনে চিটাগাং নিলে সেটা আরো সময় সাশ্রয়ী হবে । এমনিতে ঢাকা জয়েদেবপুর ঢাকা নারায়নগঞ্জের, ঢাকা চিটাগং ডাবল লাইন হচ্ছে ।
ভিশন ৫০ বিলিয়ন RMG এক্সপোর্ট
নিজস্ব অফিসের প্রস্তাবনাঃ
বাংলাদেশ সরকারে হাইটেক পার্ক করার উদ্যোগ নিয়েছেন যাতে এক লোকেশনে সব গুলি আইটি ইন্ড্রাস্ট্রি থাকতে পারে । বাংলাদেশের সরকার + বিজিএমইএ + বিটিএমএ কি এমন উদ্যোগ নিতে পারে না যেখানে আমাদের সকল টেক্সটাইল মিল, গার্মেন্টস গুলির হেড অফিস এক লোকেশনে থাকবে !
আমরা বাড়িধারা, মিরপুর, উত্তরা, গুলশান, নিকুঞ্জ , বনানী, মহাখালী তে বিভিন্ন আবাসিক লোকেশনে ভাড়া বাসায় অফিস চালাচ্ছি ।
ব্যাপার টা এমন হতে পারতো না, যেমন পুর্বাচলে একটা স্পেসে কিছু সরকারি বা বেসরকারি বানিজ্যিক ভাবন থাকতো যে গুলি সুলভ মুল্যে ভাড়া হতো ।
অফিস গুলি ব্লক আকারে থাকতো যেমন স্পিনিং এর অফিস এগুলি একসাথে, গার্মেন্টসের হেড অফিস এক সাথে থাকতো, বাইং হাউস এর অফিস গুলি আলাদা ব্লকে, সাপ্লাইয়ার রা আলাদা ব্লকে ।
এমন যদি হতো আমার মনে হয় না কারো এতো দৌড়ানো লাগতো । আপনি ধরেন লেকসিটি কনকর্ড এর কথা ধরেন ১৭ তলা করা এক এরিয়ায় ১০-১৫ টা ভবন , এখন এমন যদি অফিস ভবন হতো তবে কি পরিমান অফিস এক এরিয়ায় হতো ।
মার্কেটিং এর জন্য গাড়িতে ঢাকা সিটিতে ঘোরা লাগতো না। এক এরিয়ায় আপনি চাইলে সব অফিস পেতে পারতেন । স্যাম্পল সাবমিট করার জন্য দৌড়ে বেড়ানো লাগতো না এক এরিয়া টু অন্য এরিয়া ।
ব্যাংক, বিমা, লজিস্টিকস, টেস্টিং হাউস এক এরিয়ায় পাওয়া যেতো সব ।
নিজস্ব ব্যাংকিং ব্যাবস্থাঃ
১৯৮০ দশকের শুরু থেকে টেক্সটাইল বিজনেস শুরু হয় আমাদের দেশে BGMEA, BTMA, BKMEA এর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় টেক্সটাইল সেক্টর ৩০ বিলিয়ন ডলারের একটা বড় সেক্টর । আমরা প্রবাসী কল্যানের জন্য যদি NRB ব্যাংক করতে পারি কিন্ত আমরা টেক্সটাইল সেক্টরের জন্য একটা ফান্ড করতে পারি নাই । আমাদের উচিৎ ছিলো টেক্সটাইল গার্মেন্টসের জন্য একটি কল্যাণ ব্যাংক করা উচিৎ ছিলো বিজিএমইএ বিকেএমইএ, বিটিএমএর যৌথ উদ্যোগে একটা ব্যাংক করা তবে ৫-৮ হাজার ফেক্টরি ১ কোটি করি দিলেও এর মুলধন ৫-৮ হাজার কোটি টাকা হতো । ৫-৮ হাজার কোটির নিজস্ব ফান্ড থাকলে কতোটা আত্ন নির্ভরশীল হতো BGMEA এটা সহজে কল্পনা করা যায় ?
এদের প্রাইভেট ব্যাংক গুলি যখন ভয়ে ফেক্টরি গুলিকে ঋন দিতে চায় না আর সুদের % অনেক চড়া আর কন্ডিশন অনেক বেশি কিন্ত অর্গানাইজেশনের নিজস্ব ব্যাংকিং ব্যাবস্থা থাকলে এতে আর এতো কিছুর দরকার হতো না ! বিজিএমইএ এর লাইসেন্স ছাড়া আপনি এক্সপোর্ট করতে পারবেন না এর চেয়ে বড় গেরান্টি আর হতে পারে না টাকা লোন দেয়ার জন্য ।
দেশে NRB, Police, Army ( Trust) র ব্যাংকিং ব্যাবস্থা আছে তবে কেনো BGMEA এর দ্বারা এটা করা সম্ভব হবে না ।
এটা একটা ফিউচার কন্সেপ্ট, অমন হলে মন্দ হতো না ।
ম্যান পাওয়ার ডেভেলপমেন্টঃ
হায়ার স্টাডি করার জন্য আমাদের ফ্রেশার গ্রেজুয়েটরাটা যখন সুযোগ চায় তখন আমাদের দেশের টেক্সটাইল মালিক ম্যানেজমেন্ট তাদের সুযোগ তেমন একটা দিতে চাননা, এটা আমাদের দেশের সমস্যা যেখানে জব ম্যানেজ করার চেয়ে মিল ভিজিট, ইন্টার্ন ম্যানেজ করা জটিল সময় সাপেক্ষ।
প্রায় অনেকের মুখে শুনি ভাইয়া আমার ম্যানেজার জিএম, ডিরেক্টর, MD স্যারের সাথে কথা বললাম যে আমি ...... জায়গায় চান্স পাইসি!!! এরা নুন্যতম স্বদুবাদ দূরে থাকে বলে যে এতো পড়ে কি হবে কাজ করতে করতে শিখবা !!!!
আমাদের দেশের উইকেন্ড কোর্স গুলি শুক্রবার শনিবার করে ক্লাস থাকে শুক্রবার ক্লাস থাকলেও শনিবার ক্লাস করা সম্ভব হয়ে ওঠে না কারন ম্যানেজমেন্ট ফেবারে থাকে না এরা সময় দিতে চায় না, এদের ভাষ্য অনুযায়ী পড়াশোনা করলে কাজ করতে আসচো কেন ???
মুলত আমাদের প্রফেশনাল দক্ষিতা বৃদ্ধির জন্য আমাদের আন্ডার গ্রেজুয়েশন এবং গ্রেজুয়েশন করা জরুরী কিন্ত আমাদের দেশে সপ্তাহে ৬ দিন অফিস করে ম্যানেজমেন্ট এর অসযোগিতার কারনে অনেক স্টুডেন্ট এর পক্ষে ডিগ্রী + চাকুরী করা সম্ভব হয় না।
অনেক MSc in Textile, MBA in Textile রত স্টুডেন্ট সব কোম্পানিতে আছে কোম্পানি গুলির উচিৎ ছিলো এদের স্পন্সর করা, এদের সুযোগ দেয়া, এদের রিসার্চ এর সুযোগ দেয়স বিনিময়ে এদের মেধাদিয়ে কোম্পানির ডেভলপমেন্ট করা।
আমাদের টেক্সটাইল শিল্পময় দেশের ইন্ড্রাস্ট্রি গুলি শিক্ষা বান্দভ না । আমাদের ট্রলি খোজা, প্রোগাম দেয়া, অনেক বড় টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার দের কাজ । যেখানে এদের দিয়ে R&D চালাতে পারে । আমরা সেক্টরের ভলিউম বাড়াচ্ছি কিন্ত সাসটেইনিবিলিটি বাড়াতে পারি নাই সেক্টরের।
ডিরেক্টরি
বিজিএমইএ এর তরফ থেকে কি অনলাইনে ফেক্টরি, সাপ্লাইয়ার, দের ডিরেক্টরি করা যায় না ?
যেখানে অনলাইনে সব ফেক্টরির অনলাইনে তাদের এক ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে, কে কি আইটেম করে তা সহজে বের করা যাবে । ডিরেক্ট তাদের মার্কেটিং এর সাথে কমিউনিকেশন করা যাবে, তাদের ক্যাপাসিটি খুজে বের করা যাবে, তাদের প্রাইস জানা যাবে । কার কাজ করার ক্যাপাসিটি ফাকা আছে আপনি চাইলে দেখতে পারেন ।
নিরমালি ডিরেকটরির জন্য আমাদের বইয়ের সাহায্য নিতে হয় । বা পরিচিত কারো সাহায্য নিতে হয়।
কালার ক্যামিকেল কিনতে যে সাপ্লাইয়ার যায় তার উপর আপনাকে নির্ভর করতে হয় । সুতার বাজার মুল্য আপনি চাইলে কম্পেয়ার করতে পারছেননা । একসোসরিস এর মুল্যা কে কেমন নিচ্ছে বাজার মুল্য ২-৪ জনের টা ভেরিফাই করতে পারছেন না
যার ফলে আমাদের ট্রান্সপারেন্সির অভাব হয়।
আপনাকে খোজার জন্য কেনো কারো দ্বারস্থ হতে জবে প্রযুক্তির যুগে । বর্তমানে বিজিএমইএ এর বর্তমানের শিক্ষিত তরুন উদ্যক্তাদের সমন্নয়ে ভরা । তাদের উচিৎ একটু ভিন্নভাবে ভাবা । আলিবাবা যদি আপনি জাস্ট একটা ওয়েবসাইট ভাবেন এটা ভুল এটা দিয়ে বিশ্বের মাল্টি বিলিয়ন ডলারের বিজনেস হচ্ছে । যা আপনি খোজার আগেই আপনাকে তথ্য দিচ্ছে । তাও ৫-১০ টা ফেক্টরির তথ্য, সাপ্লাইয়ার এর তথ্য কম্পেয়ার করে।
আমাদের টেক্সটাইল গার্মেন্টস মাল্টি বিলিয়ন ডলারের বিজনেস তাই আমাদের জন্য এমন সাস্টেইনিবল প্লাটফর্ম থাকা উচিৎ ।
এটা নিয়ে দ্বিমত থাকার মতো কোন যুক্তি কারো কাছে থাকার কথা না।
সফটওয়্যার সার্ভার বিজিএমইএ এর কর্তিক করা যায় , যার অংশ হিসেবে বিটিএমএ, বিকেএমইএ, ডাইজ ক্যামিকেল, ফেব্রিক, একসোসরিস, মেশিন, বাইং হাউস গুলি এতে এড করা । প্রতিটি ফেক্টরি প্রোফাইল নিয়ন্ত্রণ হবে তাদের ফেক্টরি এডমিন কর্তিক । ফেক্টরি , কোম্পানির সার্টিফিকেট, মেশিন, প্রডাকশন ক্যাপাসিটি, বায়ার, গুলি তাদের প্রোফাইল এ এড করবেন।
আর যাদের সোর্সিং অর্ডার করা দরকার তারা প্রাইস, লোকেশন, আইটেম অনুযায়ী ফিল্টার করে বের করা যাবে ।
টেক্সটাইল জিএমদের ভাষাগত দক্ষতা : ভিশন ৫০ বিলিয়ন এক্সপোর্ট
আমাদের দেশের এক্সপোর্ট রেভিনিউ ৫০ বিলিয়ন পার করতে হলে আরেকটি বিষয়ে টেক্সটাইল এসোসিয়েশন এর গুরুত্ব দেয়া উচিৎ বলে আমরা মনে করি, তা হবে কমিউনিকেশন স্কিল ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রাম । আমাদের এক্সপার্ট লেভেলের এখনো কমিউনিকেশন স্কিল এতোটা দক্ষ না বিশেষ করে বায়ার অডিটে আসলে আমাদের দেশের টপ ম্যানেজমেন্ট এর ইংরেজিতে কথা বলা দেখলে আপনার বুকে একটু হলেও আফসোসে ব্যাথা হবে।
ভাংগা ইংরেজি দিয়ে মার্কেটিং হয় না , সেইম ফ্লোর,মেশিন এর উপর তাদের কে কিভাবে প্রশ্ন এবং উত্তর দিতে হয় তার উপর কোর্স করানো যেতে পারে । আপনারা জানেন টেক্সটাইল এর টপ ম্যানেজমেন্ট এর ৮০% নন টেক্সটাইল এবং নন ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাক গ্রাউন্ড । তাই তাদের মার্কেটিং প্রেজেন্টেশন এর জন্য ট্রেইন আপ করা উচিৎ । এক্ষত্রে সার্টিফাইড জিএম হওয়া উচিৎ অর্থাৎ আপনি বিজিএমইএ থেকে মান নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষা দিয়ে সার্টিফিকেট নিবেন ।
প্রয়োজনে ডন সামাদানী, সাইফুরস এর মতো অর্গানাইজেশনের মতো তারা এটার আয়োজন করতে পারেন ।
বাংলাদেশি টেক্সটাইল মালিক,
ফেক্টরি ক্যাপাসিটি ৩০ টন
ওর্ডার নেয় ৫০ টন
প্রসেস টার্গেট দেয় ৪০ টন
ডাইং হয় ৩০ টন
৫ টন রিপ্রসেস
পরেরদিন আবার আবার ৩০ টন টার্গেট
৫ টন পড়লো ফাঁকে :(
ফলাফলঃ-
শিডিউল বিপর্যয়
ডেলিভারি লেইট
শিপমেন্ট এয়ার
দাংগা হাংগমা
প্রসেস লস
কোয়ালিটি ফেইল
টেক্সটাইল একটা সাইন্স, তাই সাইন্স বলে ডিজাইন ক্যাপাসিটির ৮০% ইফেক্টিভ ক্যাপাসিটি, ৩০ টন এর অর্থ এই না যে ৩০ টনি ডাইং করতে হবে তার ৮০% করা যায় এবং রিপ্রসেস এর জন্য ১০-২০% স্কোপ রাখা লাগে। এসব আমাদের শিডিউল বিপর্যয় এর কারন তাই এতো প্রডাকশন দিয়েও মালিক বলে লস :( ।
আমাদের দেশে টেক্সটাইল মালিক গন ফেক্টরিকরার ৪-৫ বছরের মাথায় গ্রুপ করে আবার ১৫-২০ গ্রুপ বসে যায় বিক্রি হয়ে যায় , ইন্ডিয়ায় অরবিন্দ, বোম্বে ডাইং ২০০ বছর ব্যাবসা করে যাচ্ছে কারন তারা ফেক্টরি ১০--২০ বছরের জন্য করেনি তারা ৫-৬ প্রজন্ম ব্যাবসা করছে আরো করে যাবে তারা শ্রমিক এর ঠকায় নি , করেছে শ্রমিক বান্ধব পরিবেশ যার কারনে শত বছর পার করেছে ফেক্ট্রি গুলি। আমাদের মালিকগন একটা ফেক্টরি এমন ভাবে খালি করে যে এর একাউন্টস এর পয়সা পর্যন্ত থাকে না। ফলাফল লেজেগোবরে অবস্থা ঋন খেলাপি ফেক্টরি অফ। সুযোগ যাই দেয়া হোক দেয়া হয় বায়ারের চাপে মালিক নিজে থেকে করেছে বলে মনে হয় না ।
সবার ক্ষত্রে প্রযোজ্য নয়
এক্সপেয়ার পার্টসঃ
টেক্সটাইল ইন্ড্রাস্ট্রির জন্য টাইম কিলিং একটা ফেক্ট হচ্ছে তার এক্সপেয়ার পার্টস যার জন্য ফেক্টরি গুলিতে বেশিরভাগ প্রডাকশন লস হয়।
নবাব পুর একমত্র যায়গা যেখানে আপনি স্পেয়ার পার্টস গুলি পাওয়ার বড় যায়গা । আপনি সাধারণ বেল্ট পুলি বেয়ারিং সহ স্বাভাবিক সকল প্রোডাক্ট ঢাকার ভেতরে থেকে কেনা লাগে অথচ আমাদের টেক্সটাইল ইন্ড্রাস্ট্রি গুলি জোনে বিভক্ত ।
যেমন গাজীপুর সাভার নারায়নগঞ্জ, নরসংদী কিন্ত আমাদের এসব স্পেয়ার পার্টস এর জন্য জোন ভিত্তিক কোন সোর্স নেই ।
অনেক ডাইজ ক্যামিকেল এর সাপ্লাইয়ার গন এখন বিসিক এলাকায় বা জোন ভিত্তিক তাদের ওয্যার হাউস রেখেছে তাদের সাপ্লাই ঠিক রাখার জন্য কিন্ত আমাদের স্পেয়ার পার্টস এর জন্য তেমন সুবিধা নেই ।
ধরেন আপনার ব্রুকনার স্টেনটারের একটি ওভার ফিড রোলারের মটরের বেল্ট ছিড়ে গেলো, মেশিন অফ এখন আপনাকে এট বেল্ট আনার জন্য যেতে হবে ঢাকা । গাজীপুর থেকে যদি আপনি ঢাকা ঢুকতে চান আর দিনে দিনে ফেরত আসতে চান আপনার এটা চিন্তা করলে গায়ে জ্বর এসে যাবে মিনিমাম আপনার ৮-১০ ঘন্টা ট্রান্সপোর্ট টাইম লাগবে বাকি সময় তো বাদ দিলাম ।
আপনাদের যদি ৫০ বিলিয়ন ডলারের এক্সপোর্ট এর ইচ্ছে থাকে তবে আপনাদের বলছি এসব সমস্যা গুলি দূর করুন । ৫০ বিলিয়ন এক্সপোর্ট এর ইচ্ছে থাকলে কোন ফেক্টরির মেশিন বিনা কারনে এতো ক্ষন অফ রাখা যাবে না ।
এসব এক্সপেয়ার পার্টস বিটিএমইএ এর উদ্যোগে লোকালাইজ করে দিতে এসব যাতে আঞ্চলিক ভাবে পাওয়া যায়। এর জন্য প্রধান শহরে যাতে না আসার দরকার হয় ।
কেমন হতে পারে আমাদের টেক্সটাইল গার্মেন্টস এর ভবিষ্যৎ :
হতে পারে আমাদের টেক্সটাইল এবং গার্মেন্টস শিল্প আর ৮-১০ বছর আমাদের দেশে থাকবে এরর পর এর গ্রোথ কমে যাবে, পরে এটা মায়ানমার, ভিয়েতনাম, ইজিপ্ট, উজবেকিস্তান, ইথিওপিয়া, ইইতি, জর্ডান আআফ্রিকান দেশ গুলিতে ডেভেলপ করবে তার মুল কারন হবে তাদের স্যালারি কম যযেহেতু ততারা সসেক্টর শুরু করছে আর তাদের নিজস্ব কটন আছে আর তারা প্রযুক্তি ব্যাবহার করবে যার ফলে তাদের দক্ষতা কম হলেও চলবে । তারা নতুন করে GSP পাবে।
মুলত বায়ারদের হাতে যতো বেশি সাপ্লাইয়ার থাকবে তারা ততো সেইভ থাকবে এবং তাদের বিজনেস সিকিউর থাকবে । এমনকি আমাদের দেশের রিজনাল অফিস ব্যাবহার করা বায়ার রা মায়ানমার এর টেক্সটাইল ইন্ড্রাস্ট্রি ডেভেলপ করছে। আর প্রতিযোগিতা এখন ১০০/১০০ একটু ভুল হলে বায়ার অর্ডার উইড্রো করবে তার সাপ্লাইয়ার দেশ গুলিতে তারা দিয়ে দিবে।
প্রডাকশন এর ১ বছরের অভিজ্ঞতা মার্চেন্ডাইজাইং এর ৫ বছরের সমান। প্রডাকশনে আমাদের লোকজন কম ফিউচারে ফরেইন কান্ট্রিতে গেলে প্রডাকশন এক্সপেরিয়েন্স বেশি কাজে লাগবে ।
আমাদের টেক্সটাইল নির্ভর ইকোনোমি হলেও ২০-২০ বিলিয়ন ডলার এর এক্সপোর্ট রেমিটেন্স থাকলেও আমাদের দেশের সুইং এবং প্রসেসিং ফেক্টরি গুলি ছাড়া অন্য কোন টেক্সটাইল নির্ভর ফেক্টরি গড়ে ওঠেনি
যেমন :
১. সিনথেটিক ফাইবার ম্যানুফেকচারিং কোম্পানি
২. টেক্সটাইল গার্মেন্টস মেশিন ম্যানুফেকচারিং কোম্পানি
৩. ডাইজ ক্যামিকেল ম্যানুফেকচারিং কোম্পানি
এই এতে ম্যানুফেকচারিং কোম্পানি গুলি আমাদের দেশে হলে আমাদের দেশের অনেক ইম্পোর্ট কারেন্সি সেইভ হতো, এখনো অনেক টেক্সটাইল ম্যানুফেকচারিং কোম্পানির এশিয়ান রিজনের অফিস গুলি ইন্ডিয়া, চায়না, মালয়েশিয়ায় কিন্ত ২য় RMG এক্সপোর্টিং দেশ হয়েও আমাদের দেশে এই ম্যানুফেকচারিং কোম্পানি হচ্ছে না ।
যেমন একটি ব্রুকনার মেশিন আনতে আমাদের নুনতম ৮-১০ কোটি লাগে কিন্ত আমাদের দেশের একটি মাঝারি ফেক্টরির এতো হায় হুতাস করেও আমাদের টার্ন ওভার প্রফিট ৮-১০ কোটি হবে কিনা সন্দেহ । আমাদের ব্যাক ওয়ার্ড লিংকেজ ইন্ডাস্ট্রি গুলি যদি ডেভেলপ করে তবে আমাদের RMG Export Gole 100 Bilion পর্যন্ত পাওয়া সম্ভব । আমাদের যে সুইং চার্জেবং প্রেসেসিং চার্জ পাই তা আমাদের টার্গেট ফিলাপে পর্যাপ্ত না । আমাদের দেশে হয়তো কটন প্লান্টেশন করা সম্ভব না কিন্তু আমাদের দেশে ডাইজ ক্যামিকেল মেশিনারি ম্যানুফেকচার করা সম্ভব এবং আমাদের দেশেই ডাইজ ক্যামিকেল মেশিনারির বিশাল বাজার।
আমাদের গ্লোবাল প্রতিযোগিতায় আমাদের টেক্সটাইল এর অভিজ্ঞতা অনুযায়ী মাল্টি ফাংশনাল বিজনেস এ যুক্ত হতে হবে।
আমাদের দেশে Huntsman, Invista, Brucknar ,Fongs, Binaco, Mayar & Cie, Lafar এর মতো কোম্পানি গুলি চাইলে আমাদের দেশে তাদের ম্যানুফেকচারিং ইউনিট খুলতে পারে । আর আমাদের কেনো বায়ার এর গ্লোবাল মিটিং এর জন্য চায়না, থাইল্যান্ড যেতে হবে আমাদের দেশে কি খুব বেশি অসুবিধা ।
এর জন্য সরকার মালিক সমিতির যৌথ উদ্যোগ জরুরী । আমাদের ৫০ বিলিয়ন লক্ষমাত্রায় এই এজেন্ড গুলি থাকা জরুরী।
প্রতিটি গ্রুপ ফেক্টরির উচিৎ ১-২ করে ছোট ফেক্টরি স্পন্সর করা
বিজিএমইএ এর উদ্যোগে যদি প্রতিটি গ্রুপ ফেক্টরি তারা ১-২ ছোট বা মিড ফেক্টরির দায়িত্ব বা এদের সাথে লিয়াজু করে দেয়া উচিৎ । একটি কথায় আছে একটা গ্রুপ ফেক্টরির যে পরিমান ঝুট হয় তা দিয়ে ৪-৫ মিনি ফেক্টরি চালানো যায় । আমাদের দেশের ঝুট বেশিরভাগ লোকাল পলিটিশিয়ানের হাত ধরে চলে যায় দেশের বাইরে মুলত ফেক্টরির মালিকরা একটা গ্রুপিং এর স্বিকার হন এখানে তারা অনেকটা বাধ্য হয়ে দিতে হয় এটা নাম মাত্র মুল্যে ।
এখন আপনার কাছে যদি ২-৩ টা ফেক্টরি থাকতো আপনি আপনার ঝুট, লেফট ওভার ফেব্রিক, লেফট ওভার একসোসরিস গুলি দিয়ে ওই ফেক্টরিতে আপনি প্রোডাক্ট বানাতে পারতেন ।
প্রয়োজনে আপনার যে স্টাইলে চাপ বেশি সে গুলি এদের দিয়ে করিয়ে নিতে পারতেন । একটি গ্রুপের কাজ করতে করতে এদের মুখস্থ হয়ে যেতো সব স্টাইল আর প্রসেস ।
এদের বায়ার নেই বলে এদের সমস্যা এতোটা নেই ।
আপনি সর্টশিপমেন্ট এর কাজ গুলি এদের দিয়ে করিয়ে নিতে পারতেন এর জন্য আপনার লাইন চেইঞ্জ এর মতো অসুবিধা থাকতো না ।
সেডের সমস্যা এদের দিয়ে আস্তে আস্তে হেন্ড কাটিং করে মিলাতে পারতেন বডি ।
রিজেকশন অলটার পাঠিয়ে দিন নিরিবিলি এরা ঠিক করুক ।
এদের সাপোর্ট হিসেবে আপনার পুরাতন মেশিন, একসোসরিস, ফেব্রিক সহ সব দিতে পারেন । আপনার ঝুট যদি মনের করেন বায়ার ধরবে এটা ভুল এটা যখন ইন্ডিয়া চলে যাবে তখন কি তারা বানাবে না পোশাক ।
আপনার এক্সপোর্ট ক্লাসের ফেব্রিক গুলি দিয়ে বাংলাদেশের ফ্যাক্টর ব্রেন্ডে সাপ্লাই দিতে পারেন বা মিডেলইস্ট, ইন্ডিয়ান, নেপাল, ভুটানে দিতে পারেন ।
আপনি ঝুট হিসেবে বেচলে যা পাবেন তার ১০০-২০০% বেশি নিজে ডেভেলপমেন্ট করলে পাবেন । লিয়াজু থাকলে ম্যানপাওয়ার এক্সচেইঞ্জ করতে পারেন । আর ছোট ফেক্টরি গুলির ম্যানপাওয়ার কস্ট অনেক কম । এদের কম্পলায়েন্সের ১০০% রুলস ফলো করা লাগে না ।
টেক্সাস মিল গুলি গার্মেন্টস- গুলি বাচাতে সরকারের নিরাপত্তা আর বিজিএমইএ এর পৃষ্টোপোশকতায় অনেক ইফেক্টিভ হতে পারে আমাদের সেক্টর ।
BTMA এর অধীনের ফেক্টরি গুলির কথা ভাবেন তারা যদি তাদের স্পিনিং মিল গুলির বেবি কোন ববিন এর যে সুতা থাকে তাও দিয়ে থাকেন তার পরেও ২-৩ টি স্মল নীটিং উইভিং প্লান্ট তারা চালিয়ে রাখতে পারেন । তারা ঝুট সারপ্লাস আকারে না কম দামে না বিক্রি করে রিটুইস্ট, রিইন্ডিং করে সেগুলি দিয়ে ফেব্রিক করে এর ভ্যালু এডেড প্রডাক্ট বানাতে পারেন ।
ছোট ফেক্টরি হলে তাদের ফেক্টরিতে স্যাম্পল ডাইং করতে পারেন সর্ট কোয়ানটিটি ইমার্জিন্সি ডাইং করাতে পারতেন । এতে বড় একটির প্রেশার কমতো ছোট গুলিতেও ভরপুর অর্ডার থাকতো ।
এটা হতে পারে একটা সমন্নিত ব্যাবস্থা যার সাহায্যে টোটাল সেক্টরের ওয়েস্টেজ কমানো যাবে, ভ্যালু এড করা যাবে । এমন ব্যাবস্থা একমাত্র মালিক পক্ষের এসোসিয়েশন এর পক্ষে করা সম্ভব । আর সরকারের পৃষ্টপোষকতা এতে জরুরী ।
টেক্সটাইল মালিকদের ছেলেদের টেক্সটাইল ট্রেইনিং
বাংলাদেশের বেশিরভাগ টেক্সটাইল মালিকদের ছেলে মেয়েরা ফরেইন ডিগ্রী অর্জন করেন , যাদের বেশীরভাগ টেক্সটাইল রিলেটেড ডিগ্রী নেই । টেক্সটাইল একটা ডিফারেন্ট সাইন্স আপনি টেক্সটাইল এ নিজে না পড়লে আপনি এর রেগুলার প্রসেস, প্রসেসিং টাইম ,প্রসেস লস এগুলি আপনি বুঝতে পারবেন না ।
বেশিরভাগ যারা ডিরেক্টর থাকেন তাদের ডিগ্রী গুলি ম্যানেজমেন্ট রিলেটেড সাবজেক্ট এ করে থাকেন , টেক্সটাইল সাইন্সে আপনার প্রডাকশন কন্ট্রোল সেইভিং করার জন্য আপনাকে টেক্সটাইল নলেজ থাকতে হবে।
যেহেতু টেক্সটাইল নিয়ে নতুন করে পড়া তাদের সম্ভব না তাদের জন্য আলাদা করে ট্রেইনিং এর ব্যাবস্থা করা উচিৎ তাদের যে সব বিষয়ে ট্রেইন করা উচিৎ প্রসেস টাইম, টাইম সেইভিং স্কোপ, ইউটিলিটি সেইভিং, ম্যাকানিকাল ইলেক্ট্রিক্যাল প্রবলেম সলিউশন , সাসটেইনেবিলিটি, ক্যামিকেল, ওয়েস্ট মিনিমাইজ স্কোপ, RFT ইম্পলিমেন্টেশন, IE ইম্পলিমেন্টেশন ।
বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ যেহেতু মালিকদের অর্গানাইজেশন তাই তারা এর উদ্যোগে এই ট্রেইনিং সেশন তারা চালু করতে পারেন ।
তারা স্টেন্ডার্ড অর্গানাইজেশন যারা টেক্সটাইল বিজনেস ভালো করছেন , তাদের ফেক্টরিতে ভিজিট এর সুযোগ করে দেয়া , এবং তাদের বিজনেস পলিসি তাদের শেখানো ।
প্রতিটি ডিরেক্টর কে মালিকের উচিৎ প্রডাকশন লেভেলে আগে ছেড়ে দেয়া যারা তারা ফ্লোরে থেকে ফ্লোরের রুট প্রবলেম গুলি আগে বের করতে পারে সব পারলে এমডি এর সামনে ভাইবায় উত্তীর্ণ হলে তাকে ডিরেক্টর হিসেবে প্রোমোট করা । বা এদের অপারেশন ম্যানেজমেন্টের হিসেবে কাজ করানো ।
আমাদের দেশের টেক্সটাইল অনেক ফেক্টরি সেকেন্ড জেনারেশন পর্যন্ত টিকে যা , মালিকের আশেপাশের যারা থাকেন পলিসি মেকার তাদের অনেক ভুল ধারনা দেন মালিকের নিজের ফ্লোরের অভিজ্ঞতা না থাকলে তারা বিজনেস পরিচালনা করতে পারবেন না ।
... চলবে
আমাদের কিছু সমস্যা :
ইতোমধ্যে আমাদের গার্মেন্টস গুলি চাইনিজ ফেব্রিক নির্ভর হয়ে উঠেছে যার প্রভাব গুলি আমাদের নীটিং উইভিং কারখানা গুলির উপর পড়ছে । আমাদের উইভিং নীটিং কারখানা গুলির ৩০-৪০% মেশিন অলস বসে থাকে।
বড় বড় গ্রুপ ফেক্টরি গুলি যেমন DBL, Sunman ইথিওপিয়ায় তাদের ফেক্টরি করেছে এভাবে ফেক্টরির পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে আমাদের।
আমাদের টেক্সটাইল শিক্ষাব্যাবস্থা সেকেলে তাই ম্যানপাওয়ার এক্সপোর্ট করার চান্স আমাদের খুবি কম আর আমাদের কমিউনিকেশন স্কিল খুবি পুয়র।
গ্যাস এর সমসা আমাদের বড় সমস্যা , গ্যাস এর অভাবে অনেক ফেক্টরি শিফট করে চালাতে হচ্ছে ।
ফরেইন এক্সপার্ট রা আমাদের দেশের বড় পরিমাণ টাকা নিয়ে যাচ্ছে বেতন ভাতার নামে, আমাদের এডুকেশন কারিকুলাম সেকেলে ।
ভাই আমরা সেক্টর বড় করেছি নন টেকদের দিয়ে তাই আমরা সাস্টেইনিবিলিটি নিয়ে ভাবি বা ফিউচার ইস্যু গুলি হবে জিরো ডিসচার্জ, কম্পলায়েন্স, গ্রীন প্রডাকশন, GSP, স্যালারি, ওয়াটার,পাওয়ার ক্রাইসিস , কটন প্রাইস, অটোমোশন । এদের কোনটাই আমাদের ভালো অভিজ্ঞতা নাই করার। BGMEA গভমেন্ট এর কোন প্লান নেই এমনি চেয়ারে টেবিলে ৫০ বিলিয়ন টার্গেট নিয়ে বসে আছে।
আমাদের টেক্সটাইল নির্ভর ইকোনোমি হলেও ২০-২০ বিলিয়ন ডলার এর এক্সপোর্ট রেমিটেন্স থাকলেও আমাদের দেশের সুইং এবং প্রসেসিং ফেক্টরি গুলি ছাড়া অন্য কোন টেক্সটাইল নির্ভর ফেক্টরি গড়ে ওঠেনি
যেমন :
১. সিনথেটিক ফাইবার ম্যানুফেকচারিং কোম্পানি
২. টেক্সটাইল গার্মেন্টস মেশিন ম্যানুফেকচারিং কোম্পানি
৩. ডাইজ ক্যামিকেল ম্যানুফেকচারিং কোম্পানি
এই এতে ম্যানুফেকচারিং কোম্পানি গুলি আমাদের দেশে হলে আমাদের দেশের অনেক ইম্পোর্ট কারেন্সি সেইভ হতো, এখনো অনেক টেক্সটাইল ম্যানুফেকচারিং কোম্পানির এশিয়ান রিজনের অফিস গুলি ইন্ডিয়া, চায়না, মালয়েশিয়ায় কিন্ত ২য় RMG এক্সপোর্টিং দেশ হয়েও আমাদের দেশে এই ম্যানুফেকচারিং কোম্পানি হচ্ছে না ।
যেমন একটি ব্রুকনার মেশিন আনতে আমাদের নুনতম ৮-১০ কোটি লাগে কিন্ত আমাদের দেশের একটি মাঝারি ফেক্টরির এতো হায় হুতাস করেও আমাদের টার্ন ওভার প্রফিট ৮-১০ কোটি হবে কিনা সন্দেহ । আমাদের গ্লোবাল প্রতিযোগিতায় আমাদের টেক্সটাইল এর অভিজ্ঞতা অনুযায়ী মাল্টি ফাংশনাল বিজনেস এ যুক্ত হতে হবে।
আমাদের দেশে Huntsman, Invista, Brucknar ,Fongs, Binaco এর মতো কোম্পানি গুলি চাইলে আমাদের দেশে তাদের ম্যানুফেকচারিং ইউনিট খুলতে পারে । আর আমাদের কেনো বায়ার এর গ্লোবাল মিটিং এর জন্য চায়না, থাইল্যান্ড যেতে হবে আমাদের দেশে কি খুব বেশি অসুবিধা । এর জন্য সরকার মালিক সমিতির যৌথ উদ্যোগ জরুরী । আমাদের ৫০ বিলিয়ন লক্ষমাত্রায় এই এজেন্ডা গুলি থাকা জরুরী।
গ্যাস, ইলেক্ট্রিসিটি, GSP, গার্মেন্টস টেক্সটাইল এর দুর্ঘটনা গুলি এমনি আমাদের পিছিয়ে দিয়েছে।
তার উপর
শ্রীলংকার গৃহযুদ্ধ শেষ তাই তাদের বায়াররা ফিরতে শুরু করেছে।
পাকিস্থান বন্যার কারনে GSP পাচ্ছে , চায়না তাদের ট্রাস্টেড ফ্রেন্ড চায়না বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে পাকিস্থানে ।
মায়ানমার তাদের টেক্সটাইল শিল্প ডেভলপ করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে আর বায়াররা বাংলাদেশের কান্ট্রি অফিস ব্যাবহার করে মায়ানমার এর টেক্সটাইল বিজনেস ডেভেলপ করছে ।
ভারত ১৫০ বিলিয়ন এর টার্গেট হাতে নিয়ে নেমেছে, তাদের নিজস্ব কটন আছে আছে প্রচুর মানবশক্তি সাথে আছে তাদের নিজস্ব ডাইজ ক্যামিকেল, মেশিন এর সাপোর্ট , পাকিস্তান এর অবস্থা ও সেইম ।
ভিয়েতনাম তুরস্ক তাদের টেক্সটাইল এর পরিধি বাড়িয়েছে।
ইথোপিয়ার, জর্দান এর মমতো উন্নায়ন শীন দেশ আফ্রিকান দেশ গুলি প্রডাকশন শুরু করেছে পুরো দমে, তাদের ম্যান পাওয়ার সস্তা ...
এখন গ্লোবালাইজেশন এর যুগ বায়ার রা যেখান থাকে সোর্সিং করলে সময় বাঁচবে , ঝামেলা কম হবে তারা তাই খুজবে, এখন মর্ডান টেকনোলজির যুগ তাই গার্মেন্টস টেক্সটাইল শিল্প ডেভলপ করা কঠিন কোন বিষয় নয় কোন দেশের জন্য। তাই একথা ভাবার অবকাশ নেই যে আমাদের দেশ থেকে টেক্সটাইল চলে যাবে না.... ইতোমধ্যে চলে গিয়েছে । বারে বারে ফায়ার সেইফটি, এনভাইরমেন্ট, কম্পলায়েন্স, বিল্ডিং সেইফটি ইত্যাদি ইস্যুতে আমাদের উপর বায়াররা বিরক্ত । একক রানা প্লাজা ইস্যুর পরে বাংলাদেশের টেক্সটাইল ট্রেডের অবস্থা খারাপ হয়েছে।
আমাদের সেক্টর নিয়ে মাথাব্যথার সময় এসে গিয়েছে। এখন সিমপ্যাথি পেয়ে নয় যোগ্যতা এবং প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকতে হবে।
টেক্সটাইল বন্ধ হওয়া মিল গুলির বন্ধের কারন গুলির বিজিএমইএ এবং বিটিএমএ এর পক্ষ থেকে কেইস স্টাডি হওয়া উচিৎ এবং এটা সব মালিকদের এর রেজাল্ট ফরোয়ার্ড করা উচিৎ । কারো ম্যানেজমেন্ট এর সমস্যা, কারো পাওয়ার সাপ্লাই, কারো ফিনেন্স, কারো মালিকানা দন্দ । যাই হোক এটা সবার জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকুক । আমরা চাইনা শুধু ঠুনকো কারনে দেশের কোন কারখানা অফ হয়ে যাক । এতো শ্রম ঘনো আর কনো ফেক্টরি সেক্টর নাই দেশে । যেখানে প্রচুর শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয় ।
মাজেদুল হাসান শিশির
mazadulhasan@yahoo.com
Cheif Editior & Blogger
www.textilelab.blogspot.com
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন