একজন অনন্য স্বপ্নবাজ রিয়াজ উদ্দিন আল মামুন | Epylliyon Group - Textile Lab | Textile Learning Blog
একজন অনন্য স্বপ্নবাজ রিয়াজ উদ্দিন আল মামুন
   


নিজের আন্তরিক প্রচেষ্টা, মেধা মনন আর কর্মদক্ষতায় অনেকেই জীবনের প্রতিটি ধাপে রাখেন সাফল্যের পদচিহ্ন। চলার পথে প্রতিটি বাঁকে সফল হয়ে পৌছান অন্য উচ্চতায়। এমনই একজন ব্যক্তিত্ব রিয়াজ উদ্দিন আল মামুন। শিক্ষাঙ্গনে, খেলার মাঠে, মাঠের বাইরে এবং বর্তমানে ব্যবসায় ধারাবাহিকভাবে সফলতার স্বর্ণ শিখরে আরোহন করছেন তিনি। বিশেষ করে ক্রিকেট খেলোয়াড় এবং পরবর্তীতে সংগঠক হিসেবে নিজের দক্ষতায় বিস্তর জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।


নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যার পাড়ে এক শান্ত সুনিবিড় সৌন্দর্যমন্ডিত বন্দর থানার নবীগঞ্জ এলাকায় ১৯৬৭ সালে জন্মগ্রহন করেন রিয়াজ উদ্দিন আল মামুন। ছোট বেলা থেকেই লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায় মেধার স্বাক্ষর রাখেন তিনি। বাংলাদেশে ফুটবলের জনপ্রিয়তা যখন তুঙ্গে সেই সময় ক্রিকেটের প্রতি ঝোঁক ছিল তাঁর। মাত্র দশ বছর বয়েছেই ক্রিকেট খেলা শুরু করেন তিনি। অল্প সময়ে তার ক্রিকেট প্রতিভা অনেককে মুগ্ধ করে। দোর্দান্ত নৈপুন্যে ১৯৭৯ সালে নারায়ণগঞ্জের অগ্রদূত ক্লাবের হয়ে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট ডাক পড়ে তাঁর। বিভিন্ন টুর্নামেন্টে এ ক্লাবের হয়ে অলরাউন্ড নৈপুন্য প্রদর্শন করে জেলায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন রিয়াজ উদ্দিন আল মামুন। পরবর্তীতে ১৯৮৬ সালে নারায়ণগঞ্জ থেকে ডাক পড়ে ঢাকায়। ঢাকার ওল্ড ডিওএইচএস ক্লাবের হয়ে দ্বিতীয় বিভাগে ক্রিকেট খেলা শুরু করেন তিনি। এ ক্লাবের হয়ে খেলেন টানা তিন বছর। এ সময় ক্লাবের বিভিন্ন সাফল্যে গুরুত্বপূর্ন অবদান রাখেন তিনি।



খেলার পাশাপাশি লেখাপড়াটাও সমান তালে চলতে থাকে রিয়াজ উদ্দিন আল মামুনের। প্রথমে নারায়ণগঞ্জ প্রিপারেটরী স্কুল। এরপর নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী আইইটি স্কুল হয়ে ঢাকার খ্যাতিমান প্রতিষ্ঠান রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ। প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানেই মেধা, পরিশ্রম আর ভাল রেজাল্ট করে শিক্ষকদের মন জয় করেন তিনি। আদমজী ক্যান্টমেন্ট কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন করেন তিনি।

খেলা থেকে অবসর নেয়ার পরও ক্রিকেটকে ভুলে থাকতে পারেননি রিয়াজ উদ্দিন আল মামুন। যার প্রতিটি শিরায় প্রবাহিত ক্রিকেট তিনি কি ভুলে থাকবেন তার প্রিয় খেলাকে। তাইতো ক্রিকেট খেলোয়াড় সংগঠক হিসেবে শুরু হয় নতুন পথ চলা। প্রথমেই প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের দল সিটি ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। এ ক্লাবের জন্য খেলোয়াড় নির্বাচন থেকে শুরু করে বিদেশী কোচ আনাসহ বিভিন্ন সময়ে গুরুত্বপূর্ন অবদান রেখেছেন এ কুশলী সংগঠক। এছাড়া নারায়ণগঞ্জের মহসিন ক্লাবের জন্যও নিজের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন এ ক্রিকেট প্রেমী ব্যক্তিত্ব। অসামান্য সাংগঠনিক দক্ষতায় ২০০৫-০৬ মৌসুমে তাঁর দল ইপিলিয়ন ক্লাব কর্পোরেট লিগে রানার্সআপ হয়। ২০০২ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন। ২০০৫ সালে বিসিবির যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন রিয়াজ উদ্দিন আল মামুন। বর্তমানেও তিনি ক্রিকেট উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখছেন তিনি।

ক্রিকেটের পাশাপাশি ফুটবলকেও পছন্দ করেন তিনি। তাইতো বাংলাদেশের ফুটবল উন্নয়নে বয়সভিত্তিক ফুটবলে সহযোগীতার হাত বাড়িয়েছেন তিনি। এছাড়া নিজ এলাকায় সম্প্রতি একটি ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন রিয়াজ উদ্দিন আল মামুন।

ব্যবসা ক্ষেত্রেও ব্যাপক সফল হয়েছেন রিয়াজ উদ্দিন আল মামুন। ইপিলিয়ন গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মামুন ২০০৪ সালে তরুন শিল্পোদোক্তা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পুরষ্কৃত হন। এছাড়া ২০০৮ সালে রপ্তানী ক্ষেত্রে অবদানের জন্য সিআইপি নির্বাচিত হন।

সম্প্রতি রপ্তানীকারকদের কাজের স্বীকৃতি দেয়ার পাশাপাশি উৎসাহ দেয়ার লক্ষ্যে পঞ্চমবারের মতো দেশের সেরা পাঁচ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করেছে দ্য হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন (এইচএসবিসি)। বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে প্রধান অতিথি হিসেবে সম্মাননা তুলে দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত রিয়াজ উদ্দিন আল মামুন তিন সন্তানের জনক। তাঁর বড় ছেলে নূর উদ্দিন আল রিয়াজ গ্রেড-৫, মুনিসাহ বিনতে রিয়াজ গ্রেড-১ এবং পারিসাহ বিনতে রিয়াজ প্রি কেজিতে অধ্যয়নরত। পরিবার নিয়ে রাজধানীর বনানী ডিওএইচএস-এ বসবাস করছেন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সফল এ ব্যক্তিত্ব।



একজন অনন্য স্বপ্নবাজ রিয়াজ উদ্দিন আল মামুন | Epylliyon Group

একজন অনন্য স্বপ্নবাজ রিয়াজ উদ্দিন আল মামুন
   


নিজের আন্তরিক প্রচেষ্টা, মেধা মনন আর কর্মদক্ষতায় অনেকেই জীবনের প্রতিটি ধাপে রাখেন সাফল্যের পদচিহ্ন। চলার পথে প্রতিটি বাঁকে সফল হয়ে পৌছান অন্য উচ্চতায়। এমনই একজন ব্যক্তিত্ব রিয়াজ উদ্দিন আল মামুন। শিক্ষাঙ্গনে, খেলার মাঠে, মাঠের বাইরে এবং বর্তমানে ব্যবসায় ধারাবাহিকভাবে সফলতার স্বর্ণ শিখরে আরোহন করছেন তিনি। বিশেষ করে ক্রিকেট খেলোয়াড় এবং পরবর্তীতে সংগঠক হিসেবে নিজের দক্ষতায় বিস্তর জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।


নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যার পাড়ে এক শান্ত সুনিবিড় সৌন্দর্যমন্ডিত বন্দর থানার নবীগঞ্জ এলাকায় ১৯৬৭ সালে জন্মগ্রহন করেন রিয়াজ উদ্দিন আল মামুন। ছোট বেলা থেকেই লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায় মেধার স্বাক্ষর রাখেন তিনি। বাংলাদেশে ফুটবলের জনপ্রিয়তা যখন তুঙ্গে সেই সময় ক্রিকেটের প্রতি ঝোঁক ছিল তাঁর। মাত্র দশ বছর বয়েছেই ক্রিকেট খেলা শুরু করেন তিনি। অল্প সময়ে তার ক্রিকেট প্রতিভা অনেককে মুগ্ধ করে। দোর্দান্ত নৈপুন্যে ১৯৭৯ সালে নারায়ণগঞ্জের অগ্রদূত ক্লাবের হয়ে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট ডাক পড়ে তাঁর। বিভিন্ন টুর্নামেন্টে এ ক্লাবের হয়ে অলরাউন্ড নৈপুন্য প্রদর্শন করে জেলায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন রিয়াজ উদ্দিন আল মামুন। পরবর্তীতে ১৯৮৬ সালে নারায়ণগঞ্জ থেকে ডাক পড়ে ঢাকায়। ঢাকার ওল্ড ডিওএইচএস ক্লাবের হয়ে দ্বিতীয় বিভাগে ক্রিকেট খেলা শুরু করেন তিনি। এ ক্লাবের হয়ে খেলেন টানা তিন বছর। এ সময় ক্লাবের বিভিন্ন সাফল্যে গুরুত্বপূর্ন অবদান রাখেন তিনি।



খেলার পাশাপাশি লেখাপড়াটাও সমান তালে চলতে থাকে রিয়াজ উদ্দিন আল মামুনের। প্রথমে নারায়ণগঞ্জ প্রিপারেটরী স্কুল। এরপর নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী আইইটি স্কুল হয়ে ঢাকার খ্যাতিমান প্রতিষ্ঠান রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ। প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানেই মেধা, পরিশ্রম আর ভাল রেজাল্ট করে শিক্ষকদের মন জয় করেন তিনি। আদমজী ক্যান্টমেন্ট কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন করেন তিনি।

খেলা থেকে অবসর নেয়ার পরও ক্রিকেটকে ভুলে থাকতে পারেননি রিয়াজ উদ্দিন আল মামুন। যার প্রতিটি শিরায় প্রবাহিত ক্রিকেট তিনি কি ভুলে থাকবেন তার প্রিয় খেলাকে। তাইতো ক্রিকেট খেলোয়াড় সংগঠক হিসেবে শুরু হয় নতুন পথ চলা। প্রথমেই প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের দল সিটি ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। এ ক্লাবের জন্য খেলোয়াড় নির্বাচন থেকে শুরু করে বিদেশী কোচ আনাসহ বিভিন্ন সময়ে গুরুত্বপূর্ন অবদান রেখেছেন এ কুশলী সংগঠক। এছাড়া নারায়ণগঞ্জের মহসিন ক্লাবের জন্যও নিজের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন এ ক্রিকেট প্রেমী ব্যক্তিত্ব। অসামান্য সাংগঠনিক দক্ষতায় ২০০৫-০৬ মৌসুমে তাঁর দল ইপিলিয়ন ক্লাব কর্পোরেট লিগে রানার্সআপ হয়। ২০০২ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন। ২০০৫ সালে বিসিবির যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন রিয়াজ উদ্দিন আল মামুন। বর্তমানেও তিনি ক্রিকেট উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখছেন তিনি।

ক্রিকেটের পাশাপাশি ফুটবলকেও পছন্দ করেন তিনি। তাইতো বাংলাদেশের ফুটবল উন্নয়নে বয়সভিত্তিক ফুটবলে সহযোগীতার হাত বাড়িয়েছেন তিনি। এছাড়া নিজ এলাকায় সম্প্রতি একটি ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন রিয়াজ উদ্দিন আল মামুন।

ব্যবসা ক্ষেত্রেও ব্যাপক সফল হয়েছেন রিয়াজ উদ্দিন আল মামুন। ইপিলিয়ন গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মামুন ২০০৪ সালে তরুন শিল্পোদোক্তা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পুরষ্কৃত হন। এছাড়া ২০০৮ সালে রপ্তানী ক্ষেত্রে অবদানের জন্য সিআইপি নির্বাচিত হন।

সম্প্রতি রপ্তানীকারকদের কাজের স্বীকৃতি দেয়ার পাশাপাশি উৎসাহ দেয়ার লক্ষ্যে পঞ্চমবারের মতো দেশের সেরা পাঁচ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করেছে দ্য হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন (এইচএসবিসি)। বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে প্রধান অতিথি হিসেবে সম্মাননা তুলে দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত রিয়াজ উদ্দিন আল মামুন তিন সন্তানের জনক। তাঁর বড় ছেলে নূর উদ্দিন আল রিয়াজ গ্রেড-৫, মুনিসাহ বিনতে রিয়াজ গ্রেড-১ এবং পারিসাহ বিনতে রিয়াজ প্রি কেজিতে অধ্যয়নরত। পরিবার নিয়ে রাজধানীর বনানী ডিওএইচএস-এ বসবাস করছেন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সফল এ ব্যক্তিত্ব।



কোন মন্তব্য নেই: