Lotus Effect of Textiles : (Smart Textiles)
পদ্ম সকল ধর্মের মানুষের কাছে অনেক প্রিয় একটি ফুল। আধুনিক কালে পদ্মের ধর্ম গবেষকদের কাছে অনুপ্রেরনার পাত্র হয়ে দাড়িয়েছে। পদ্মের নিজের সারফেস থেকে পানিকে বিতাড়িত করার ধর্মই এই গবেষনার মূল বিষয়।
আমরা সচারচর সবাই জানি পদ্মের পৃষ্টের উপর পতিত পানি গোলাকৃতির আকারে সারফেস বা পৃষ্ট ত্যাগ করে। এবং সাথে সাথে এটি সারফেসের উপর থাকা ধুলোবালি ও ময়লাকেও পরিস্কার করে৷ এটার মুল কারন হলো পদ্মের সারফেসে থাকা মোম ও সুক্ষ্ম বাম্ব থাকে যেটা এই বৈশিষ্ট্যের জন্য দায়ী, পদ্মের সারফেসের গঠন ন্যানো স্টাকচার। এছাড়া আরো কিছু কারন এখানে দায়ী সেটি হলো পদ্মের পৃষ্টের পৃষ্টটান বেশি থাকে এবং পানির অনুর সংসক্তি বলের কারনে এটি মুলত ঘঠে। এতে পানির অনু ও পদ্মের পদার্থের অনুর মধ্যে আসন্জন বল কম হওয়া এর কারন। (পদার্থ বিজ্ঞান যারা বুঝেন তারা আশাকরি বুঝতে পারবেন সহজে)।
এখন ফেব্রিকের উপর পদ্মের ঐ গুনাবলি গুলো আনতে হবে। এটা মোটেও সহজ কাজ নয়। ৯০ এর দশকে মানুষ মোম ও বিভিন্ন ক্যামিকেল ব্যবহার করতো কাপড় থেকে অটোমেটিক্যালী ময়লা ও পানি দূর করার জন্য কিন্তু এই পদ্ধতির প্রয়োগের ফলে কাপড় শক্ত হয়ে যায় ও রং নষ্ট হয় অতি দ্রুত।
পদ্মের মতো ইফেক্ট কাপড়ে আনার জন্য প্রথমত আমাদের পদ্মের মতো ন্যানো স্টাকচার আনতে হবে সুপার প্যারাম্যাগনেটিক ন্যানো পার্টিকেল দিয়ে। এই প্যারাম্যাগনেটিক স্ট্রাকচার ও উচ্চ শক্তিসম্পন্ন ম্যাগনেটিক ফিল্ডের কয়েল স্পিনারেটের পর বসানো হয়ে থাকে। তারপর স্পিনিং করা হয়। এর ফলে প্রাপ্ত সুতা দিয়ে তৈরি ফেব্রিকের মধ্যে আমরা লোটাস ইফেক্ট পাবো।
সাধারন কাপড়ের উপর পানি পড়লে পানি কাপড়ের মধ্যে প্রবেশ করে। বাট লোটাস ইফেক্ট দেয়ার পর পানি আর প্রবেশ করবে না অটোমেটিক্যালী কাপড় থেকে ময়লা সহ বাহিরে পড়ে যাবে৷ এটা শুধু পানির ক্ষেত্রে প্রযোয্য নয়, পানি,কফি,চা, তেল সব ক্ষেত্রে লোটাস ইফেক্ট দেয়ার পর একই ফলাফল দিবে।
লোটাস ইফেক্ট মূলত স্যুট, প্যান্ট, কোর্ট, টেবিল কাভারে দেয়া হয়। ফ্লুরোকার্বন ফেব্রিক স্পোর্টস পোষাক ও কলকারখানার শ্রমিকের পোষাকের জন্য ব্যবহার করা হয়।
Writer :
Zobayer Hossain Noyon
B.Sc in Textile Engineering (SKTEC).
Zobayer's Textile Note
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন