সাব্জেক্ট রিভিউ -ডাইস এন্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
নাম শুনেই তোমরা বুজতে পারছ এটি একটি ক্যামিস্ট্রি বেইসড অর্থাৎ ক্যামিকেল রিলেটেড একটি সাব্জেক্ট।টেক্সটাইল ফিল্ডের ক্যামিকেল ইঞ্জিনিয়ার ও বলত্র পার। আচ্ছা এখন তোমাদের প্রশ্ন হল ডাইক্যাম ইঞ্জিনিয়ারদের কাজ কি!
আচ্ছা ধর আমাদের চারপাশে সবকিছু সাদা আর সাদা।আরও সুনির্দিষ্ট ভাবে বলতে গেলে আমাদের পরিধেয় সকল কাপড় যদি সাদা হয় তাহলে কেমন হত! নিশ্চয় সেটা বেমানান হত। এই বেমানানকে দূর করার জন্য আমাদের পরিধেয় কাপড়কে রঙিন করার চিন্তাভাবনা শুরু হয়।আর কাপড়কে রঙিন করার জন্য প্রয়োজন ডাই অর্থাৎ রঙ।যখন সুতা থেকে ফেব্রিক তৈরি করা হয় তখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ফেব্রিক আঁশটে রঙের হয়ে থাকে।টেক্সটাইলের ভাষায় এই ধরনের ফেব্রিককে ধূসর (grey) ফেব্রিক বলে।আর এসব ধূসর ফেব্রিককে রঙিন করে সাজিয়ে তোলার জন্য প্রয়োজন হয় ডাই।এখন নিশ্চয়ই বুঝতে পারছ ডাইস এন্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের কাজ হচ্ছে কম্পোজিশন ঠিক রেখে একদম পারফেক্ট ডাই তৈরি করা। ডায়িং দীর্ঘ ও জটিল একটি প্রক্রিয়া এবং বিভিন্ন ধরনের অক্সিলারি ক্যামিকেলস এর প্রয়োজন হয় এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার জন্য। ডাইক্যাম হল ওয়েটের (ওয়েট হল বুটেক্সের অন্য একটি সাব্জেক্ট। রিভিউ দেখে নিবে) জময ভাই অনেকটা।
কি পড়ানো হয় এখানে ?
নাম শুনেই বুজতে পারছ ক্যামিকেল রিলেটেড অর্থাৎ বেশিরভাগ পড়ালেখাই হবে কেমিস্ট্রি নির্ভর। তাই কেমিস্ট্রি যাদের পছন্দের সাব্জেক্ট তাদের জন্য বেষ্ট চয়েজ হবে ডাইক্যাম।এছাড়াও ক্যামিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং এর অনেক কিছুই পড়ানো হবে ডাইক্যামে কারন কম্পোজিশন ঠিক রেখে একদম পারফেক্ট ডাই তৈরি করার জন্য ক্যামিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং এর নলেজ থাকা খুবই জরুরি।
ডিপার্টমেন্টাল কোর্স হিসেবে যা পড়ানো হয় -
1.Chemistry of dyes and pigments
2.Chemistry of textile preparatory chemicals
3.Wet Processing
4.Chemical reaction engineering
5.Chemical testing and quality control
6.Theory of color physics
7.Biochemical engineering
8.Application of computer in dyes & amp chemical engineer
আচ্ছা পড়ালেখা তো হলো এখন চল জব সেক্টর ঘুরে আসি
বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে সম্ভাবনাময় খাত টেক্সটাইল ক্যামিকেল। প্রতিবছর বাইরে থেকে প্রচুর পরিমাণ ডাইস এন্ড কেমিক্যাল ইম্পোর্ট করা হয়।এর কিছু অংশ ও যদি আমরা আমাদের দেশে তৈরি করতে পারি তাহলে আমারা হিউজ পরিমাণ কারেন্সি সেইভ করতে পারব।চল আমরা ছোট্ট একটি পরিসংখ্যান দেখি।ডাইস স্টাফ ইম্পোর্ট রিপোর্ট অনুযায়ী প্রতি অর্থবছর ইম্পোর্ট করা হচ্ছে,
১.২০১৫-২০১৬ সালে ৭৮৪ মিলিয়ন ডলার (প্রায়)
২.২০১৬-২০১৭ সালে ৮০০ মিলিয়ন ডলার (প্রায়)
৩.২০১৭-২০১৮ সালে ৮৭০ মিলিয়ন ডলার (প্রায়)
৪.২০১৮-২০১৯ সালে বা বর্তমান হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী ১০০ মিলিয়ন ডলার
সুতরাং বুঝতেই পারছ বর্তমানে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ডাইস এন্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের গুরুত্ব কতটা। ভবিষ্যৎ এ বাংলাদেশে ডাইস ইন্ডাস্ট্রি স্থাপন হবে সে সময়ের জন্য প্রস্তুতি ও ম্যান পাওয়ার তৈরির লক্ষ্যেই এই
সুতরাং বুঝতেই পারছ বর্তমানে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ডাইস এন্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের গুরুত্ব কতটা। ভবিষ্যৎ এ বাংলাদেশে ডাইস ইন্ডাস্ট্রি স্থাপন হবে সে সময়ের জন্য প্রস্তুতি ও ম্যান পাওয়ার তৈরির লক্ষ্যেই এই
ডিপার্টমেন্ট খোলা হয়।সুতরাং তোমরা ডায়িং এবং ক্যামিকেল ইন্ডাস্ট্রিতে চাকরি করতে পারবে।তাছাড়া বায়িং হাউজ ও ডাইস এন্ড কেমিক্যাল মার্কেটিং এ চাকরি করতে পারবে।আর চাইলেই তোমরা ডাইক্যাম থেকে অন্য সেক্টরে শিফট করতে পারবে যেহেতু তোমরা বুটেক্সে পড়বে।
হায়ার স্টাডিজের সু্যোগ -
ডাইক্যামে রিসার্চ করার সুযোগ অনেক বেশি বলা যায়
এখানে তুমি নিজের ক্রিয়েটিভিটি দেখানোর সর্বোচ্চ সুযোগ পাবে।প্রতিনিয়ত উন্নতমানের ডাইস এন্ড কেমিক্যালের প্রয়োজন হচ্ছে।তাই তোমার কাছে অফুরন্ত সুযোগ থাকবে উন্নতমানের ডাই তৈরি করে নিজেকে তুলে ধরার।সাব্জেক্টটা যেহেতু ক্যামিকেল রিলেটেড তাই প্রচুর পরিমাণে ক্যামিকেল নিয়ে রিসার্চ করার সুযোগ পাবে। দেশে এখনও কোনো ডাইক্যাম গ্র্যাজুয়েট বের হয় নি তাই এখান থেকে পাশ করে পরবর্তীতে U.S.A.,GERMANY, JAPAN,AUSTRALIA, EUROPE এর মত দেশগুলো থেকে MSc ও PhD করার সুযোগ রয়েছে।
বুটেক্সে প্রতিবছর ৪০ জন শিক্ষার্থী ডাইস এন্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ পায়।
Sujan Debnath
Department of Dyes and Chemical Engineering
Butex - 45th batch
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন