এনজাইম বা বায়ো-ফিনিশিং এর আদ্যোপান্ত | Bio Polishing Enzyme Wash - Textile Lab | Textile Learning Blog
বায়ো-ফিনিশিং এর আদ্যোপান্ত



এনজাইমের মাধ্যমে ফেব্রিকের অতিরিক্ত ফ্লোটিং ফাইবার দূর করার প্রক্রিয়া হলো বায়ো পলিশিং।
সাধারণ নিট ফেব্রিকে বায়ো পলিশিং করা হয়ে থাকে।বায়ো পলিশিং করা হয় মূলত সেলুলেস এনজাইম দিয়ে। 

এনজাইম ডিসাইজিং এর মত বায়ো-পলিশিং এ সেলুলেস এনজাইম দিন দিন গ্রহনযোগ্যতা পাচ্ছে।
সেলুলেস এনজাইম কটন ফেব্রিকের উপরের অতিরিক্ত মাইক্রোফাইবার গুলো নস্ট করে ফেব্রিকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে, ফেব্রিক পৃষ্ঠ নরম করে নতুন ইফেক্ট দেয়।

বায়ো-পলিশিং কে বায়ো ফিনিশিং ও বলা হয়ে থাকে। এনজাইমের হাইড্রোলাইসিস ক্রিয়া ফেব্রিকের পৃষ্ঠের অতিরিক্ত ফাইবারকে দুর্বল করে দিয়ে ফেব্রিকের হেইরিনেস দূর করে।এই প্রসেসটি ওয়েট প্রসেসিং এর যেকোনো সময়ই করা যায় কিন্তু ব্লিচিং এর পর বায়ো পলিশিং করলে সবচেয়ে ভালো ইফেক্ট পাওয়া যায়।
ব্লিচিং এর পার-অক্সাইড গুলো এই প্রসেসে দূর হয়।

বায়ো পলিশিং এর রেসিপিঃ

সেলুলেস এনজাইম -১গ্রাম/লি.
ওয়েটিং এজেন্ট -১গ্রাম/লি.
এসিটিক এসিড - ১সি.সি./লি.
পার-অক্সাইড কিলার-০.১গ্রাম/লি.
ম্যটেরিয়ালঃলিকুইড - ১:১০
তাপমাত্রা -৫৫-৬০°সে.গ্রে.
পি.এইচ -৪.৫ - ৫.৫
সময় - ৪০ - ৫০ মিনিট



বায়ো পলিশিং কিছু ফ্যক্টর দ্বারা প্রভাবিত হয়। সেগুলো হলোঃ

* এনজাইমের ঘনমাত্রা

* তাপমাত্রা

* পি.এইচ

* সময়

* ম্যটেরিয়াল:লিকুইড


এনজাইমের ঘনমাত্রাঃ 
সাধারণত ০.৫% থেকে ৩.৫% ঘনমাত্রার সেলুলেস এনজাইম ব্যবহার হয়।
এনজাইমের ঘনমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে ফেব্রিকের ক্ষয় বাড়তে থাকে এবং ফেব্রিকের ওজন কমতে থাকে। সাধারণ ৩% ঘনমাত্রায় সবচেয়ে বেশি ফেব্রিক এর ওজন কমে। এনজাইমের ঘনমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে ফেব্রিক দুর্বল হতে থাকে।

তাপমাত্রাঃ
বিভিন্ন ধরনের এনজাইমের জন্যে তাপমাত্রার পরিসর ভিন্ন ভিন্ন। সাধারণ ৭০°সে.গ্রে. তাপমাত্রার উপরে সকল এনজাইম কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি করলে এনজাইমের কর্মক্ষমতা বাড়ে এবং তা ৭০° এর উপরে গেলে অক্ষম হয়ে পড়ে।

পি.এইচঃ সাধারণত ৪.৫- ৫.৫ পি.এইচ উত্তম।

সময়ঃ ৩০-৫০ মিনিট বায়ো-পলিশিং এর জন্য পর্যাপ্ত সময়।

ম্যটেরিয়াল : লিকার :-
এই অনুপাত যত কম হবে তত বেশি ফেব্রিক ক্ষয় হবে এবং অনুপাত বেশি হলে পলিশিং ঠিকমতো হবেনা। তাই ১ঃ১০ এই অনুপাত কেই উপযুক্ত অনুপাত ধরা হয়।


লেখকঃ ওয়েজ আহমাদ রিপন 
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বেগমগঞ্জ নোয়াখালী (৯ম ব্যচ)

এনজাইম বা বায়ো-ফিনিশিং এর আদ্যোপান্ত | Bio Polishing Enzyme Wash

বায়ো-ফিনিশিং এর আদ্যোপান্ত



এনজাইমের মাধ্যমে ফেব্রিকের অতিরিক্ত ফ্লোটিং ফাইবার দূর করার প্রক্রিয়া হলো বায়ো পলিশিং।
সাধারণ নিট ফেব্রিকে বায়ো পলিশিং করা হয়ে থাকে।বায়ো পলিশিং করা হয় মূলত সেলুলেস এনজাইম দিয়ে। 

এনজাইম ডিসাইজিং এর মত বায়ো-পলিশিং এ সেলুলেস এনজাইম দিন দিন গ্রহনযোগ্যতা পাচ্ছে।
সেলুলেস এনজাইম কটন ফেব্রিকের উপরের অতিরিক্ত মাইক্রোফাইবার গুলো নস্ট করে ফেব্রিকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে, ফেব্রিক পৃষ্ঠ নরম করে নতুন ইফেক্ট দেয়।

বায়ো-পলিশিং কে বায়ো ফিনিশিং ও বলা হয়ে থাকে। এনজাইমের হাইড্রোলাইসিস ক্রিয়া ফেব্রিকের পৃষ্ঠের অতিরিক্ত ফাইবারকে দুর্বল করে দিয়ে ফেব্রিকের হেইরিনেস দূর করে।এই প্রসেসটি ওয়েট প্রসেসিং এর যেকোনো সময়ই করা যায় কিন্তু ব্লিচিং এর পর বায়ো পলিশিং করলে সবচেয়ে ভালো ইফেক্ট পাওয়া যায়।
ব্লিচিং এর পার-অক্সাইড গুলো এই প্রসেসে দূর হয়।

বায়ো পলিশিং এর রেসিপিঃ

সেলুলেস এনজাইম -১গ্রাম/লি.
ওয়েটিং এজেন্ট -১গ্রাম/লি.
এসিটিক এসিড - ১সি.সি./লি.
পার-অক্সাইড কিলার-০.১গ্রাম/লি.
ম্যটেরিয়ালঃলিকুইড - ১:১০
তাপমাত্রা -৫৫-৬০°সে.গ্রে.
পি.এইচ -৪.৫ - ৫.৫
সময় - ৪০ - ৫০ মিনিট



বায়ো পলিশিং কিছু ফ্যক্টর দ্বারা প্রভাবিত হয়। সেগুলো হলোঃ

* এনজাইমের ঘনমাত্রা

* তাপমাত্রা

* পি.এইচ

* সময়

* ম্যটেরিয়াল:লিকুইড


এনজাইমের ঘনমাত্রাঃ 
সাধারণত ০.৫% থেকে ৩.৫% ঘনমাত্রার সেলুলেস এনজাইম ব্যবহার হয়।
এনজাইমের ঘনমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে ফেব্রিকের ক্ষয় বাড়তে থাকে এবং ফেব্রিকের ওজন কমতে থাকে। সাধারণ ৩% ঘনমাত্রায় সবচেয়ে বেশি ফেব্রিক এর ওজন কমে। এনজাইমের ঘনমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে ফেব্রিক দুর্বল হতে থাকে।

তাপমাত্রাঃ
বিভিন্ন ধরনের এনজাইমের জন্যে তাপমাত্রার পরিসর ভিন্ন ভিন্ন। সাধারণ ৭০°সে.গ্রে. তাপমাত্রার উপরে সকল এনজাইম কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি করলে এনজাইমের কর্মক্ষমতা বাড়ে এবং তা ৭০° এর উপরে গেলে অক্ষম হয়ে পড়ে।

পি.এইচঃ সাধারণত ৪.৫- ৫.৫ পি.এইচ উত্তম।

সময়ঃ ৩০-৫০ মিনিট বায়ো-পলিশিং এর জন্য পর্যাপ্ত সময়।

ম্যটেরিয়াল : লিকার :-
এই অনুপাত যত কম হবে তত বেশি ফেব্রিক ক্ষয় হবে এবং অনুপাত বেশি হলে পলিশিং ঠিকমতো হবেনা। তাই ১ঃ১০ এই অনুপাত কেই উপযুক্ত অনুপাত ধরা হয়।


লেখকঃ ওয়েজ আহমাদ রিপন 
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বেগমগঞ্জ নোয়াখালী (৯ম ব্যচ)

1 টি মন্তব্য:

নামহীন বলেছেন...

ভালো লেগেছে আপনার লেখা।
আপনি কি করেন?