১৯৯৩ সালে সম্ভবত আমি আমার জীবনের কঠিনতম সিদ্ধান্তটি নিয়েছিলাম। আমার জীবন সম্পূর্ণ ভিন্ন কোনো দিকে মোড় নিতে পারতো। ওপেক্স গ্রুপ এ চাকরিরত অবস্থায় তারা আমাকে হংকং এ পোস্টিং করতে চাচ্ছিলো। সেই সময় ৭০ হাজার টাকা বেতন,পরবর্তীতে আমেরিকায় পোস্টিং ও সাথে আরো সুযোগ সুবিধা। একই সময়ে বুটেক্সে শিক্ষক হিসেবে জয়েন করার সুযোগ এলো। আমি দোটানায় পড়ে গেলাম।
মনের মধ্যে সবসময় পুষে রাখা উচ্চশিক্ষা আর গবেষণার স্বপ্ন একপাশে, আর অন্যপাশে কর্পোরেট জীবনের চাকচিক্য আর বিলাসিতার হাতছানি। স্বপ্নের জয় হলো। বাবার পরামর্শে ও নিজের ইচ্ছায় বুটেক্সে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করলাম।বুটেক্সের শিক্ষক হিসাবে তখন বেতন ২৮৫০ টাকার স্কেলে সবমিলিয়ে মাত্র ৫০০০ টাকা হলেও কৈশোরের উচ্চশিক্ষার তীব্র ইচ্ছাকে টাকার কাছে বিসর্জন দিতে পারি নি।
আমার ছোটবেলা কেটেছে টাঙ্গাইলের আগদিগুলিয়া নামের সাজানো এক গ্রামে। তখন থেকেই মেধাবী ছাত্র হিসেবে ভালোই খ্যাতি থাকার কারণে সবার আশা ছিল আমি ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হবো। আমার ঝোঁক ছিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার দিকেই। ১৯৮৪ সালে এইচ এস সি পাশ করার পর প্রথম ইচ্ছা ছিল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়,কিন্তু তখন বন্যা হওয়ায় পরীক্ষার চিঠিটি আমার কাছে এসে পৌঁছায় নি। ফলে সেখানে পরীক্ষা দেওয়া হয় নি। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেই, মেধা তালিকায় ১০৬ তম হয়ে এপ্লাইড ফিজিক্সে ভর্তি হই। সেখানে তিন মাস ক্লাস করার পরে বুটেক্সে( তৎকালীন টেক্সটাইল কলেজ) পরীক্ষা দেই ও চান্স পাই। সুযোগের পরিধি বিবেচনা করে শেষ পর্যন্ত বুটেক্স ১২ তম ব্যাচই হয় আমার ঠিকানা।
পাশ করার ছয় মাস আগেই আমার চাকরি হয়। দেড় বছর চাকরি করার পর ছেড়ে দিয়ে বুটেক্সের শিক্ষক হিসেবে জয়েন করি। এক বছরের মাথায় চীন ও বেলজিয়াম থেকে দুটি স্কলারশিপ পাই। ১৯৯৪ সালে বেলজিয়ামের BADC স্কলারশিপ নিয়ে Ghent University তে মাস্টার্স করার উদ্দেশ্যে যাই। এরপর University of Manchester এ পিএইচডি করার সুযোগ পাই। কিন্তু তখন বুটেক্সে শিক্ষক সংকট ছিল বলে আমাকে দেশে ফিরে আসতে হয়। পিএইচডি করার জেদ বজায় থাকে। বিভিন্ন নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসরদের সাথে যোগাযোগ করতে থাকি। তিন বছর পর জাপানের মনবুশো স্কলারশিপ পাই যার মূল্য ছিল মাসে এক লাখ পঁচাশি হাজার ইয়েন, বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় দেড় লাখ টাকা।টেক্সটাইলের জন্য বিখ্যাত শিনশু ইউনিভার্সিটিতে শুরু হয় পিএইচডি অধ্যায়। যেখানে সাধারণত পিএইচডি করতে তিন বছর দরকার হয়, কিন্তু আমি দুই বছরেই সব রিকয়ারমেন্ট ফুলফিল করে ফেলি। এরপর এক বছর জাপানের প্রায় ৫০টি বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে বেড়াই। বাংলাদেশে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এ আমি প্রথম পিএইচডি ডিগ্রিধারী।
২০০৩ সালে দেশে ফিরে আসার পর এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর পদে পদোন্নতি পাই। ২০০৯ সালে প্রফেসর পদ গ্রহণ করি। এখন পর্যন্ত বুটেক্সে শিক্ষকতাই আমার ধ্যান জ্ঞান। শিক্ষকতা জীবনের সকল ধাপই পূর্ন করেছি।আল্লাহর অশেষ রহমতে অন্য সবার তুলনায় দ্রুত সর্বোচ্চ ধাপে পৌঁছাতে পেরেছি। আমার সহপাঠী অনেকেই কর্পোরেট জব করে প্রচুর সম্পদ অর্জন করেছে। আমার সামনেও সেই সুযোগ ছিল, কিন্তু আমি আমার লক্ষ্যে অটল ছিলাম। দেশের যেখানেই যাই, আমি আমার ছাত্রদের খুঁজে পাই। এই দেশটার চালিকাশক্তি যে টেক্সটাইল খাত, তার ১৫ হাজার টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার তৈরির পেছনে আমার অবদান আছে, এটা ভাবতেই জীবন সার্থক মনে হয়। অনেক বড় বড় ইন্ড্রাস্টির জিএম আমার ছাত্র। অসম্ভব রকমের সম্মান এরা আমাকে করে। আমার পরামর্শ দিকনির্দেশনা কে এরা সবসময় আদেশ হিসেবে মেনে নিয়েছে। যার একশ কোটি টাকা আছে সে এই সম্মানটা পাবে না। এখনো ১৩ বছর চাকরি আছে, বাংলাদেশের টেক্সটাইল শিক্ষায় আরো বড় অবদান রাখা আমার লক্ষ্য। জীবনে বহু বাধা বিপত্তি পেরিয়ে আজ আমি এই অবস্থানে আসতে পেরেছি। এখনো অনেক কিছু করা বাকি, দেশকে অনেক কিছু দেবার বাকি। শিক্ষার্থীদের জন্য আমার সাজেশন থাকবে তোমরা মন দিয়ে পড়ালেখা করবে। টেক্সটাইল এমন একটি খাত যেখানে করে দেখানোর অনেক সুযোগ আছে। গবেষণা, প্রযুক্তির উন্নয়ন এই ক্ষাতে প্রতিনিয়ত নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিচ্ছে। আমরা যে আলোকবর্তিকা বয়ে এনেছি এতোকাল, এর দায়িত্ব ধীরে ধীরে এখন তোমাদের নিতে হবে। তোমাদের মধ্য থেকেই উঠে আসবে ভবিষ্যতের দেশের কাণ্ডারি, সম্ভাবনাময় গবেষক। টেক্সটাইল শিল্পে নতুন দিগন্ত তোমাদের হাত ধরেই আসবে। সকলের জন্য শুভকামনা।
প্রফেসর ড. ইঞ্জি. মোহাম্মদ জুলহাস উদ্দিন
বিভাগীয় প্রধান
ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং (১২ তম ব্যাচ)
Probably, I took the hardest decision of my life in 1993. My life could have taken a completely different direction. The company I was working for after graduation offered me a salary 70 thousand taka and a deputation in Hong Kong. At that time, I had the chance to join BUTEX as a teacher. I fell into a dilemma.
At one side, pursuing higher studies and research which was always my aim and at another, the glazing and luxury life of a corporate career. Dream won. My father’s advice and for my own desire, I joined BUTEX as a teacher. Even for so much dilemma, I couldn’t sacrifice my intense ambition of my childhood against money even though it was total of 5000 taka of a basic scale of 2850 taka as a teacher of BUTEX.
I spent my childhood in a village called Agdigulia in Tangail. As I was a meritorious student in my early days, since then, my family had hope I would become an engineer or a doctor. Although I had interest in engineering discipline. After passing HSC in 1984, my first interest for engineering was Bangladesh University of Engineering and Technology (BUET) but because of a flood I didn’t receive any examination letter. For that, I couldn’t sit for the admission exam. Later, I sat for the Dhaka University admission exam and got admitted into Applied Physics department by becoming 106th in the merit list. After attending classes for 3 month there, I sat for the admission exam of BUTEX (then Textile College) and got selected. Considering the scope of facilities, BUTEX 12th batch became my destination.
I got my first job 6 months before my graduation in OPEX textile group as a merchandiser. After doing the job for 18 months, I joined BUTEX in 1993 as a teacher. After 1 year, I got scholarships from China and Belgium. In 1994, I went to Ghent University, Belgium for Master of Textile Engineering degree offered by the Belgian Govt. International Scholarship Authority (BADC). Following my MSc completion, I got an offer in University of Manchester for my post-graduate degree. But I had to come back as there was a shortage of faculty in BUTEX. Yet I never gave my urge to go after my post graduate degree. Subsequently, I continued to contact various renowned university professors. After 3 years, I achieved Monbusho scholarship of Japan (Japanese Govt. Intl, Scholarship) which offered me 1,85,000 Yen per month which was approx. 1,50,000 in Taka. My post graduate chapter started in a renowned university for textile named Shinshu University. Usually students have to continue their post-graduate studies for 3 years, I completed mine in 2 years and after that I visited at least 50 universities of Japan. I am the first Ph.D holder in Bangladesh Textile Engineering.
I returned to the country in 2003 and had a promotion to become an Assistant Professor. I took responsibility as a Professor in 2009. Teaching in BUTEX is my heart and soul. I respectfully completed every step as a teacher. By the grace of almighty Allah, I reached the apex faster than. A lot of my classmates climbed the corporate tree and earned a great quantity. I had the fortune in front me too but I was steadfast towards my goal. Wherever I go at any place of the country, I find my students. I have contributed to produce 15000 textile engineers in the textile sector which is the driving force of this country, I feel my life worthwhile to think that. A great deal of GMs of industries are my students. They have enormous amount of respect towards me. They always took my advice, direction as their order. He who has even 100 crores of taka, he will not get this honor. Today, I have come to this position by having overcome many obstacles in life. I still have a lot to do, a lot to give for the country. I have a suggestion to the students that you should study attentively. Textile is a sector where there are many opportunities to show. Research, technological advancement creating new possibilities every day. You have to take the responsibility of the illumination that we have carried. Future technologist, prospering researcher would come out of your midst. The new horizon of textile industry will come from your hands. Best wishes for everyone.
Prof. Dr. Engr. Md. Zulhash Uddin
Head, Dept. of Wet Process Engineering.
BUTEX. (12th Batch)
মনের মধ্যে সবসময় পুষে রাখা উচ্চশিক্ষা আর গবেষণার স্বপ্ন একপাশে, আর অন্যপাশে কর্পোরেট জীবনের চাকচিক্য আর বিলাসিতার হাতছানি। স্বপ্নের জয় হলো। বাবার পরামর্শে ও নিজের ইচ্ছায় বুটেক্সে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করলাম।বুটেক্সের শিক্ষক হিসাবে তখন বেতন ২৮৫০ টাকার স্কেলে সবমিলিয়ে মাত্র ৫০০০ টাকা হলেও কৈশোরের উচ্চশিক্ষার তীব্র ইচ্ছাকে টাকার কাছে বিসর্জন দিতে পারি নি।
আমার ছোটবেলা কেটেছে টাঙ্গাইলের আগদিগুলিয়া নামের সাজানো এক গ্রামে। তখন থেকেই মেধাবী ছাত্র হিসেবে ভালোই খ্যাতি থাকার কারণে সবার আশা ছিল আমি ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হবো। আমার ঝোঁক ছিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার দিকেই। ১৯৮৪ সালে এইচ এস সি পাশ করার পর প্রথম ইচ্ছা ছিল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়,কিন্তু তখন বন্যা হওয়ায় পরীক্ষার চিঠিটি আমার কাছে এসে পৌঁছায় নি। ফলে সেখানে পরীক্ষা দেওয়া হয় নি। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেই, মেধা তালিকায় ১০৬ তম হয়ে এপ্লাইড ফিজিক্সে ভর্তি হই। সেখানে তিন মাস ক্লাস করার পরে বুটেক্সে( তৎকালীন টেক্সটাইল কলেজ) পরীক্ষা দেই ও চান্স পাই। সুযোগের পরিধি বিবেচনা করে শেষ পর্যন্ত বুটেক্স ১২ তম ব্যাচই হয় আমার ঠিকানা।
পাশ করার ছয় মাস আগেই আমার চাকরি হয়। দেড় বছর চাকরি করার পর ছেড়ে দিয়ে বুটেক্সের শিক্ষক হিসেবে জয়েন করি। এক বছরের মাথায় চীন ও বেলজিয়াম থেকে দুটি স্কলারশিপ পাই। ১৯৯৪ সালে বেলজিয়ামের BADC স্কলারশিপ নিয়ে Ghent University তে মাস্টার্স করার উদ্দেশ্যে যাই। এরপর University of Manchester এ পিএইচডি করার সুযোগ পাই। কিন্তু তখন বুটেক্সে শিক্ষক সংকট ছিল বলে আমাকে দেশে ফিরে আসতে হয়। পিএইচডি করার জেদ বজায় থাকে। বিভিন্ন নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসরদের সাথে যোগাযোগ করতে থাকি। তিন বছর পর জাপানের মনবুশো স্কলারশিপ পাই যার মূল্য ছিল মাসে এক লাখ পঁচাশি হাজার ইয়েন, বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় দেড় লাখ টাকা।টেক্সটাইলের জন্য বিখ্যাত শিনশু ইউনিভার্সিটিতে শুরু হয় পিএইচডি অধ্যায়। যেখানে সাধারণত পিএইচডি করতে তিন বছর দরকার হয়, কিন্তু আমি দুই বছরেই সব রিকয়ারমেন্ট ফুলফিল করে ফেলি। এরপর এক বছর জাপানের প্রায় ৫০টি বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে বেড়াই। বাংলাদেশে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এ আমি প্রথম পিএইচডি ডিগ্রিধারী।
২০০৩ সালে দেশে ফিরে আসার পর এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর পদে পদোন্নতি পাই। ২০০৯ সালে প্রফেসর পদ গ্রহণ করি। এখন পর্যন্ত বুটেক্সে শিক্ষকতাই আমার ধ্যান জ্ঞান। শিক্ষকতা জীবনের সকল ধাপই পূর্ন করেছি।আল্লাহর অশেষ রহমতে অন্য সবার তুলনায় দ্রুত সর্বোচ্চ ধাপে পৌঁছাতে পেরেছি। আমার সহপাঠী অনেকেই কর্পোরেট জব করে প্রচুর সম্পদ অর্জন করেছে। আমার সামনেও সেই সুযোগ ছিল, কিন্তু আমি আমার লক্ষ্যে অটল ছিলাম। দেশের যেখানেই যাই, আমি আমার ছাত্রদের খুঁজে পাই। এই দেশটার চালিকাশক্তি যে টেক্সটাইল খাত, তার ১৫ হাজার টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার তৈরির পেছনে আমার অবদান আছে, এটা ভাবতেই জীবন সার্থক মনে হয়। অনেক বড় বড় ইন্ড্রাস্টির জিএম আমার ছাত্র। অসম্ভব রকমের সম্মান এরা আমাকে করে। আমার পরামর্শ দিকনির্দেশনা কে এরা সবসময় আদেশ হিসেবে মেনে নিয়েছে। যার একশ কোটি টাকা আছে সে এই সম্মানটা পাবে না। এখনো ১৩ বছর চাকরি আছে, বাংলাদেশের টেক্সটাইল শিক্ষায় আরো বড় অবদান রাখা আমার লক্ষ্য। জীবনে বহু বাধা বিপত্তি পেরিয়ে আজ আমি এই অবস্থানে আসতে পেরেছি। এখনো অনেক কিছু করা বাকি, দেশকে অনেক কিছু দেবার বাকি। শিক্ষার্থীদের জন্য আমার সাজেশন থাকবে তোমরা মন দিয়ে পড়ালেখা করবে। টেক্সটাইল এমন একটি খাত যেখানে করে দেখানোর অনেক সুযোগ আছে। গবেষণা, প্রযুক্তির উন্নয়ন এই ক্ষাতে প্রতিনিয়ত নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিচ্ছে। আমরা যে আলোকবর্তিকা বয়ে এনেছি এতোকাল, এর দায়িত্ব ধীরে ধীরে এখন তোমাদের নিতে হবে। তোমাদের মধ্য থেকেই উঠে আসবে ভবিষ্যতের দেশের কাণ্ডারি, সম্ভাবনাময় গবেষক। টেক্সটাইল শিল্পে নতুন দিগন্ত তোমাদের হাত ধরেই আসবে। সকলের জন্য শুভকামনা।
প্রফেসর ড. ইঞ্জি. মোহাম্মদ জুলহাস উদ্দিন
বিভাগীয় প্রধান
ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং (১২ তম ব্যাচ)
Probably, I took the hardest decision of my life in 1993. My life could have taken a completely different direction. The company I was working for after graduation offered me a salary 70 thousand taka and a deputation in Hong Kong. At that time, I had the chance to join BUTEX as a teacher. I fell into a dilemma.
At one side, pursuing higher studies and research which was always my aim and at another, the glazing and luxury life of a corporate career. Dream won. My father’s advice and for my own desire, I joined BUTEX as a teacher. Even for so much dilemma, I couldn’t sacrifice my intense ambition of my childhood against money even though it was total of 5000 taka of a basic scale of 2850 taka as a teacher of BUTEX.
I spent my childhood in a village called Agdigulia in Tangail. As I was a meritorious student in my early days, since then, my family had hope I would become an engineer or a doctor. Although I had interest in engineering discipline. After passing HSC in 1984, my first interest for engineering was Bangladesh University of Engineering and Technology (BUET) but because of a flood I didn’t receive any examination letter. For that, I couldn’t sit for the admission exam. Later, I sat for the Dhaka University admission exam and got admitted into Applied Physics department by becoming 106th in the merit list. After attending classes for 3 month there, I sat for the admission exam of BUTEX (then Textile College) and got selected. Considering the scope of facilities, BUTEX 12th batch became my destination.
I got my first job 6 months before my graduation in OPEX textile group as a merchandiser. After doing the job for 18 months, I joined BUTEX in 1993 as a teacher. After 1 year, I got scholarships from China and Belgium. In 1994, I went to Ghent University, Belgium for Master of Textile Engineering degree offered by the Belgian Govt. International Scholarship Authority (BADC). Following my MSc completion, I got an offer in University of Manchester for my post-graduate degree. But I had to come back as there was a shortage of faculty in BUTEX. Yet I never gave my urge to go after my post graduate degree. Subsequently, I continued to contact various renowned university professors. After 3 years, I achieved Monbusho scholarship of Japan (Japanese Govt. Intl, Scholarship) which offered me 1,85,000 Yen per month which was approx. 1,50,000 in Taka. My post graduate chapter started in a renowned university for textile named Shinshu University. Usually students have to continue their post-graduate studies for 3 years, I completed mine in 2 years and after that I visited at least 50 universities of Japan. I am the first Ph.D holder in Bangladesh Textile Engineering.
I returned to the country in 2003 and had a promotion to become an Assistant Professor. I took responsibility as a Professor in 2009. Teaching in BUTEX is my heart and soul. I respectfully completed every step as a teacher. By the grace of almighty Allah, I reached the apex faster than. A lot of my classmates climbed the corporate tree and earned a great quantity. I had the fortune in front me too but I was steadfast towards my goal. Wherever I go at any place of the country, I find my students. I have contributed to produce 15000 textile engineers in the textile sector which is the driving force of this country, I feel my life worthwhile to think that. A great deal of GMs of industries are my students. They have enormous amount of respect towards me. They always took my advice, direction as their order. He who has even 100 crores of taka, he will not get this honor. Today, I have come to this position by having overcome many obstacles in life. I still have a lot to do, a lot to give for the country. I have a suggestion to the students that you should study attentively. Textile is a sector where there are many opportunities to show. Research, technological advancement creating new possibilities every day. You have to take the responsibility of the illumination that we have carried. Future technologist, prospering researcher would come out of your midst. The new horizon of textile industry will come from your hands. Best wishes for everyone.
Prof. Dr. Engr. Md. Zulhash Uddin
Head, Dept. of Wet Process Engineering.
BUTEX. (12th Batch)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন