TNA & Lead Time
আজকে আমরা মার্চেন্ডাইজিং এর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ টার্ম TNA এবং Lead Time সম্পর্কে খুবই সাধারণভাবে জানার চেষ্টা করবো।
কি বুঝায় :
গার্মেন্টস ট্রেডে TNA বা Time & Action বলতে বুঝায় একটি গার্মেন্টস অর্ডার বায়ারের কাছ থেকে কনফার্মেশন পাওয়ার পর থেকে গার্মেন্টস শিপমেন্ট পর্যন্ত কোন সময়ে ঠিক কোন কাজটা করতে হবে তার কর্ম প্রক্রিয়া বা Work Flow কে। তাত্ত্বিকভাবে ব্যাপারটা গুরুগম্ভীর মনে হলে একটু সহজ করে বলছি। ধরুন বায়ার আপনাকে বললো নভেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ৫০,০০০ পিসের একটি ওভেন প্যান্টের শিপমেন্ট করতে হবে এবং সে অনুযায়ী আপনাকে TNA দিতে হবে। তখন আপনাকে হিসেব করা লাগবে কবে আপনাকে অর্ডার কনফার্ম করলে এবং এরপর ধারাবাহিক যেই কাজগুলো রয়েছে সেগুলো ঠিক কোন কোন সময়ে করতে পারলে আপনি নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে সেই অর্ডারটির শিপমেন্ট করতে পারবেন। TNA র সাথে আরেকটি টার্ম অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত সেটা হচ্ছে লিডটাইম। একটা অর্ডারের কনফার্মেশন থেকে শিপমেন্ট পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন পুরো সময়কে সেই অর্ডারের লিড টাইম (Lead Time) বলে।
ব্যাপ্তিকাল :
TNA এর ব্যাপ্তিকাল নির্ভর করে অর্ডারটি কতদিন লিডটাইমের তার উপর।আবার লিডটাইম আনুষঙ্গিক অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। ভিন্ন ভিন্ন দেশের ভিন্ন ভিন্ন বায়ার তাদের মার্কেট এনালাইসিস অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন প্রডাক্টের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন রকম লিড টাইমের TNA আশা করে। সেটা ১২০ দিন, ৯০ দিন, ৬০ দিন এরকম হতে পারে। তবে দেখা যায় একদম নতুন অর্ডারের ক্ষেত্রে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ৯০ দিনের লিড টাইম প্রাধান্য পায়। এখানে কয়েকদিন এদিক সেদিক হতে পারে।
ফ্যাক্টরসমূহ:
প্রথমে আসি গার্মেন্টসের লিডটাইমের ফ্যাক্টরের ব্যাপারে। লিডটাইমের ক্ষেত্রে প্রধানত তিনটি ফ্যাক্টর প্রাধান্য পায়। প্রথমত ফেব্রিক প্রোডাকশন লিড টাইম। অর্থাৎ যেই গার্মেন্টসের অর্ডার নিয়ে কাজ করছেন সেই গারমেন্টসের ফেব্রিক প্রোডাকশনের জন্য কতদিন সময় লাগে। ফেব্রিকের স্ট্রাকচার অনুযায়ী সাধারণত সেটা ৪-৮ সপ্তাহ হতে পারে। দ্বিতীয় হচ্ছে ফেব্রিক মিলের লোকেশন। যদি ফেব্রিক মিল বাংলাদেশের হয় সেক্ষেত্রে ফেব্রিকের ট্রানজিট টাইম সেভ হয়। অর্থাৎ ফেব্রিক মিল থেকে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে আসার সময়টা কমে আসে। আর যদি বাংলাদেশের বাহিরে হয় তাহলে সেই দেশ থেকে বাংলাদেশে আসা পর্যন্ত ট্রানজিট টাইম হিসেব করা লাগবে। আবার চট্টগ্রাম পোর্ট থেকে আনলোডিং, চেকিং এবং প্রয়োজনীয় কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স শেষে ফ্যাক্টরিতে আসার সময়ও হিসেব করা লাগবে। তৃতীয়ত হচ্ছে গামেন্টস বাল্ক প্রোডাকশনের লিড টাইম। অর্থাৎ বাল্ক গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে সাইজসেট থেকে শুরু করে ডেলিভারি করার আগের সময় পর্যন্ত সময়।
এতক্ষণ তো আমরা কথা বললাম লিডটাইমের ফ্যাক্টর নিয়ে। এখন আমরা জানবো TNA র ফ্যাক্টরগুলো নিয়ে।ভিন্ন ভিন্ন বায়ারের TNA র জন্য ভিন্ন ভিন্ন ফরম্যাট থাকলেও নিচের কমন বিষয়গুলো সাধারণত প্রাধান্য পায়।
1) Order Commit Date : Order Commit Date বলতে বুঝায় বায়ার যখন অফিশিয়ালি অর্ডার কনফার্ম করে। এক্ষেত্রে বায়ার যাবতীয় ডেভেলপমেন্ট এবং কস্টিং শেষে কনফার্ম করে যে নির্দিষ্ট স্টাইলের নির্দিষ্ট ফেব্রিকের উপর এতো পিস অর্ডার প্লেস করা হলো। এই কনফার্মেশন পাওয়ার পর অর্ডারপ্রাপ্ত ফ্যাক্টরি ফেব্রিক মিলকে প্রাথমিকভাবে ফেব্রিক বুকিং দেয়।
2) Color Commit Date : অনেক বায়ারের ক্ষেত্রে Order Confirm date এ একইসাথে কালারও কনফার্ম করে দেয়। অর্থাৎ ধরুন একইসাথে উল্লেখ করে দেয় যে, ৫০,০০০ পিস অর্ডারের মধ্যে কয়টি কালারের কত পিস Quantity থাকবে। সেরকম না হলে এই ডেটে বায়ার আলাদাভাবে কালার কনফার্ম করে দেয়।
3) PO Receive Date : এই তারিখের মধ্যে বায়ার অফিশিয়াল PO (Purchase Order) Issue করে। PO পাওয়ার পর Factory Colorwise Size Breakdown বুঝতে পারে এবং সে অনুযায়ী Size Variable বিভিন্ন Trims যেমন Zipper, Label, Joker tag এর বুকিং দেয়।
4) Fit Approval Date : ফ্যাক্টরি বায়ারকে ফিট স্যাম্পল এপ্রোভালের জন্য একটা প্রাথমিক ডেডলাইন দিয়ে দেয় যাতে শিপমেন্ট ডেট Maintain করার জন্য বায়ারের পক্ষ থেকে ফ্যাক্টরি সেই ডেটের মাঝে ফিট এপ্রোভাল পেতে পারে।
5) Fabric Ex-Fty Date : এই ডেটে ফেব্রিক মিল থেকে ফেব্রিক শিপমেন্টের জন্য পোর্টে ডেলিভারি করা হয়।
6) Fabric ETD : Fabric Estimated Time of Departure মানে হচ্ছে এই ডেটে ফেব্রিক যেই কান্ট্রি থেকে আনা হচ্ছে সেই পোর্ট থেকে শিপ স্টার্ট করার সম্ভাব্য সময়।
7) Fabric ETA : Fabric Estimated Time of Arrival মানে হচ্ছে ফেব্রিকের শিপমেন্ট চট্টগ্রাম পোর্টে আসার সম্ভাব্য সময়।
8) Trims Approval Date : মানে হচ্ছে নির্দিষ্ট অর্ডারের সব Trims বায়ারের কাছ থেকে এপ্রোভাল দেয়ার জন্য সর্বশেষ সময়।
9) Fabric In-house Date: মানে হচ্ছে চট্টগ্রাম পোর্ট থেকে ফেব্রিক ফ্যাক্টরিতে আসার সম্ভাব্য সময়।
10) PP Approval date : Fit Sample এপ্রোভালের পর বায়ারের কাছ থেকে PP Sample এপ্রোভালের সময়।
11) PP Meeting Date : Pre Production Meeting Date মানে হচ্ছে যেই তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে ফ্যাক্টরি এবং বায়িং অফিসের সংশ্লিষ্ট সবার উপস্থিতিতে বাল্ক প্রোডাকশন স্টার্ট করার আনুষঙ্গিক ব্যাপারসমূহ ফ্যাক্টরির মার্চেন্ডাইজারের কাছ থেকে ফ্যাক্টরির প্রোডাকশন টিমের কাছে Hand Over করে দেওয়া হয়।
12) Bulk Wash Approval Date : মানে হচ্ছে বাল্ক প্রোডাকশনে যেই ওয়াশ হবে তা প্রাথমিকভাবে কয়েকশ পিস ট্রায়াল করে বাল্ক ওয়াশ করার জন্য এপ্রোভাল নেওয়ার সময়।
13) Final Inspection Date: মানে হচ্ছে যে তারিখে গার্মেন্টস সব প্যাকিং করে শিপমেন্ট করার আগে বায়িং QC অথবা থার্ড পার্টির কাছে Inspection করানো হয়।
14) Garment Shipment Date : অর্থাৎ বায়ারের PO অনুযায়ী যেই তারিখে গার্মেন্টস চট্টগ্রাম পোর্টে বায়ারের অথরাইজড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টের কাছে Hand Over করার তারিখ।
উপরোক্ত আলোচনা কখনোই একজন এক্সপার্ট হওয়ার জন্য যথার্থ না। এরসাথে আনুষঙ্গিক অনেক বিষয় জড়িত। যেহেতু এটা আমাদের সবার জন্য একটা লার্নিং প্ল্যাটফর্ম সেই হিসেবে ব্যাপারগুলো খুবই সাধারনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আজকে এই পর্যন্তই। আর ঈদের পর চেষ্টা করবো এই মার্চেন্ডাইজারের ডায়রি সিরিজের পাশাপাশি যারা অন্য বিষয়ে পড়ালেখা করেছেন তাদের জন্য টেক্সটাইলের সাধারন বিষয়গুলো নিয়ে আরো একটি নতুন সিরিজ শুরু করতে। তার আগ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন, নিজে জানুন এবং অন্যকে জানানোর চেষ্টা করুন।
আজকে আমরা মার্চেন্ডাইজিং এর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ টার্ম TNA এবং Lead Time সম্পর্কে খুবই সাধারণভাবে জানার চেষ্টা করবো।
কি বুঝায় :
গার্মেন্টস ট্রেডে TNA বা Time & Action বলতে বুঝায় একটি গার্মেন্টস অর্ডার বায়ারের কাছ থেকে কনফার্মেশন পাওয়ার পর থেকে গার্মেন্টস শিপমেন্ট পর্যন্ত কোন সময়ে ঠিক কোন কাজটা করতে হবে তার কর্ম প্রক্রিয়া বা Work Flow কে। তাত্ত্বিকভাবে ব্যাপারটা গুরুগম্ভীর মনে হলে একটু সহজ করে বলছি। ধরুন বায়ার আপনাকে বললো নভেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ৫০,০০০ পিসের একটি ওভেন প্যান্টের শিপমেন্ট করতে হবে এবং সে অনুযায়ী আপনাকে TNA দিতে হবে। তখন আপনাকে হিসেব করা লাগবে কবে আপনাকে অর্ডার কনফার্ম করলে এবং এরপর ধারাবাহিক যেই কাজগুলো রয়েছে সেগুলো ঠিক কোন কোন সময়ে করতে পারলে আপনি নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে সেই অর্ডারটির শিপমেন্ট করতে পারবেন। TNA র সাথে আরেকটি টার্ম অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত সেটা হচ্ছে লিডটাইম। একটা অর্ডারের কনফার্মেশন থেকে শিপমেন্ট পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন পুরো সময়কে সেই অর্ডারের লিড টাইম (Lead Time) বলে।
ব্যাপ্তিকাল :
TNA এর ব্যাপ্তিকাল নির্ভর করে অর্ডারটি কতদিন লিডটাইমের তার উপর।আবার লিডটাইম আনুষঙ্গিক অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। ভিন্ন ভিন্ন দেশের ভিন্ন ভিন্ন বায়ার তাদের মার্কেট এনালাইসিস অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন প্রডাক্টের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন রকম লিড টাইমের TNA আশা করে। সেটা ১২০ দিন, ৯০ দিন, ৬০ দিন এরকম হতে পারে। তবে দেখা যায় একদম নতুন অর্ডারের ক্ষেত্রে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ৯০ দিনের লিড টাইম প্রাধান্য পায়। এখানে কয়েকদিন এদিক সেদিক হতে পারে।
ফ্যাক্টরসমূহ:
প্রথমে আসি গার্মেন্টসের লিডটাইমের ফ্যাক্টরের ব্যাপারে। লিডটাইমের ক্ষেত্রে প্রধানত তিনটি ফ্যাক্টর প্রাধান্য পায়। প্রথমত ফেব্রিক প্রোডাকশন লিড টাইম। অর্থাৎ যেই গার্মেন্টসের অর্ডার নিয়ে কাজ করছেন সেই গারমেন্টসের ফেব্রিক প্রোডাকশনের জন্য কতদিন সময় লাগে। ফেব্রিকের স্ট্রাকচার অনুযায়ী সাধারণত সেটা ৪-৮ সপ্তাহ হতে পারে। দ্বিতীয় হচ্ছে ফেব্রিক মিলের লোকেশন। যদি ফেব্রিক মিল বাংলাদেশের হয় সেক্ষেত্রে ফেব্রিকের ট্রানজিট টাইম সেভ হয়। অর্থাৎ ফেব্রিক মিল থেকে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে আসার সময়টা কমে আসে। আর যদি বাংলাদেশের বাহিরে হয় তাহলে সেই দেশ থেকে বাংলাদেশে আসা পর্যন্ত ট্রানজিট টাইম হিসেব করা লাগবে। আবার চট্টগ্রাম পোর্ট থেকে আনলোডিং, চেকিং এবং প্রয়োজনীয় কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স শেষে ফ্যাক্টরিতে আসার সময়ও হিসেব করা লাগবে। তৃতীয়ত হচ্ছে গামেন্টস বাল্ক প্রোডাকশনের লিড টাইম। অর্থাৎ বাল্ক গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে সাইজসেট থেকে শুরু করে ডেলিভারি করার আগের সময় পর্যন্ত সময়।
এতক্ষণ তো আমরা কথা বললাম লিডটাইমের ফ্যাক্টর নিয়ে। এখন আমরা জানবো TNA র ফ্যাক্টরগুলো নিয়ে।ভিন্ন ভিন্ন বায়ারের TNA র জন্য ভিন্ন ভিন্ন ফরম্যাট থাকলেও নিচের কমন বিষয়গুলো সাধারণত প্রাধান্য পায়।
1) Order Commit Date : Order Commit Date বলতে বুঝায় বায়ার যখন অফিশিয়ালি অর্ডার কনফার্ম করে। এক্ষেত্রে বায়ার যাবতীয় ডেভেলপমেন্ট এবং কস্টিং শেষে কনফার্ম করে যে নির্দিষ্ট স্টাইলের নির্দিষ্ট ফেব্রিকের উপর এতো পিস অর্ডার প্লেস করা হলো। এই কনফার্মেশন পাওয়ার পর অর্ডারপ্রাপ্ত ফ্যাক্টরি ফেব্রিক মিলকে প্রাথমিকভাবে ফেব্রিক বুকিং দেয়।
2) Color Commit Date : অনেক বায়ারের ক্ষেত্রে Order Confirm date এ একইসাথে কালারও কনফার্ম করে দেয়। অর্থাৎ ধরুন একইসাথে উল্লেখ করে দেয় যে, ৫০,০০০ পিস অর্ডারের মধ্যে কয়টি কালারের কত পিস Quantity থাকবে। সেরকম না হলে এই ডেটে বায়ার আলাদাভাবে কালার কনফার্ম করে দেয়।
3) PO Receive Date : এই তারিখের মধ্যে বায়ার অফিশিয়াল PO (Purchase Order) Issue করে। PO পাওয়ার পর Factory Colorwise Size Breakdown বুঝতে পারে এবং সে অনুযায়ী Size Variable বিভিন্ন Trims যেমন Zipper, Label, Joker tag এর বুকিং দেয়।
4) Fit Approval Date : ফ্যাক্টরি বায়ারকে ফিট স্যাম্পল এপ্রোভালের জন্য একটা প্রাথমিক ডেডলাইন দিয়ে দেয় যাতে শিপমেন্ট ডেট Maintain করার জন্য বায়ারের পক্ষ থেকে ফ্যাক্টরি সেই ডেটের মাঝে ফিট এপ্রোভাল পেতে পারে।
5) Fabric Ex-Fty Date : এই ডেটে ফেব্রিক মিল থেকে ফেব্রিক শিপমেন্টের জন্য পোর্টে ডেলিভারি করা হয়।
6) Fabric ETD : Fabric Estimated Time of Departure মানে হচ্ছে এই ডেটে ফেব্রিক যেই কান্ট্রি থেকে আনা হচ্ছে সেই পোর্ট থেকে শিপ স্টার্ট করার সম্ভাব্য সময়।
7) Fabric ETA : Fabric Estimated Time of Arrival মানে হচ্ছে ফেব্রিকের শিপমেন্ট চট্টগ্রাম পোর্টে আসার সম্ভাব্য সময়।
8) Trims Approval Date : মানে হচ্ছে নির্দিষ্ট অর্ডারের সব Trims বায়ারের কাছ থেকে এপ্রোভাল দেয়ার জন্য সর্বশেষ সময়।
9) Fabric In-house Date: মানে হচ্ছে চট্টগ্রাম পোর্ট থেকে ফেব্রিক ফ্যাক্টরিতে আসার সম্ভাব্য সময়।
10) PP Approval date : Fit Sample এপ্রোভালের পর বায়ারের কাছ থেকে PP Sample এপ্রোভালের সময়।
11) PP Meeting Date : Pre Production Meeting Date মানে হচ্ছে যেই তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে ফ্যাক্টরি এবং বায়িং অফিসের সংশ্লিষ্ট সবার উপস্থিতিতে বাল্ক প্রোডাকশন স্টার্ট করার আনুষঙ্গিক ব্যাপারসমূহ ফ্যাক্টরির মার্চেন্ডাইজারের কাছ থেকে ফ্যাক্টরির প্রোডাকশন টিমের কাছে Hand Over করে দেওয়া হয়।
12) Bulk Wash Approval Date : মানে হচ্ছে বাল্ক প্রোডাকশনে যেই ওয়াশ হবে তা প্রাথমিকভাবে কয়েকশ পিস ট্রায়াল করে বাল্ক ওয়াশ করার জন্য এপ্রোভাল নেওয়ার সময়।
13) Final Inspection Date: মানে হচ্ছে যে তারিখে গার্মেন্টস সব প্যাকিং করে শিপমেন্ট করার আগে বায়িং QC অথবা থার্ড পার্টির কাছে Inspection করানো হয়।
14) Garment Shipment Date : অর্থাৎ বায়ারের PO অনুযায়ী যেই তারিখে গার্মেন্টস চট্টগ্রাম পোর্টে বায়ারের অথরাইজড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টের কাছে Hand Over করার তারিখ।
উপরোক্ত আলোচনা কখনোই একজন এক্সপার্ট হওয়ার জন্য যথার্থ না। এরসাথে আনুষঙ্গিক অনেক বিষয় জড়িত। যেহেতু এটা আমাদের সবার জন্য একটা লার্নিং প্ল্যাটফর্ম সেই হিসেবে ব্যাপারগুলো খুবই সাধারনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আজকে এই পর্যন্তই। আর ঈদের পর চেষ্টা করবো এই মার্চেন্ডাইজারের ডায়রি সিরিজের পাশাপাশি যারা অন্য বিষয়ে পড়ালেখা করেছেন তাদের জন্য টেক্সটাইলের সাধারন বিষয়গুলো নিয়ে আরো একটি নতুন সিরিজ শুরু করতে। তার আগ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন, নিজে জানুন এবং অন্যকে জানানোর চেষ্টা করুন।
আসিফ বিন আসগর
এক্স টেক্সটাইল স্টুডেন্ট
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন