টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের বই লিখার উপায় | Textile Book - Textile Lab | Textile Learning Blog
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের বই লিখাঃ

আমাদের একজন সিনিয়র ভাইয়ের আগ্রহের কারনে লেখাটি লিখা

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার যারা ফ্রেশ জব বা ইন্টার্নিশিপ  করতে আসেন তাদের মেজরিটির ভাষ্য যে তাদের বইয়ে যা পড়ায় তার ৫% এর মিল আমরা বাস্তবে পাই না , এটা ঠিক আমাদের যে বই গুলি আছে এগুলি সময়ের সাথে আপডেট করা হয় না  যার ফলে আমরা বইয়ে যা শিখি তার মেজরিটি কাজে লাগে না ।

কিভাবে লিখা যায়ঃ

কম বেশি অনেক ভালো ভালো স্টুডেন্ট আছেন যাদের লেখার হাত ভালো বা ভালো ডিজাইন পারেন , তাদের বলছি আপনাদের অফিসের ডেক্সে কাগজ কলম থাকে সব সময় ।

১. আপনি যদি ওভেন ডাইংয়ে জব করেন আপনি আপনার জিগার, সিপিবি, সেটেন্টারের প্রসেস মেশিন প্যারামিটার ইত্যাদির নোট আপনি অবসর সময় রাফ করে লিখে লিখে রাখতে পারেন , এবং সময় মতো সেগুলি আপনাদের সিনিয়রদের কাছ থেকে চেক করিয়ে নিতে পারেন।

২. আপনি যদি নীটিং এর হন তবে প্যারামিটার গুলি ফেব্রিকের ডিজাইন গুলি ভালোকে লিখে ড্র করে রাখতে পারেন।

৩. যেমন আমি যদি R&D Designer হতাম তবে আমার কি কি ডিজাইন করা আছে তা করার নিয়ম কি, কিভাবে নতুন ডিজাইন ডেভেলপমেন্ট করা হয়  তা নিয়ে লিখতাম।  আর ডিজাইন যেহেতু বাস্তব অভিজ্ঞতা নিয়ে তাই ছেলে মেয়েরা শিখতে পারতো ।

৪. টেক্সটাইল ল্যাবের হলে আমরা ল্যাবের সব টেস্টিং প্রসেস মেথোড নিয়ে লিখা যায় ।

আপনি অল্প অল্প করে লিখলেও ডে নাইট শিফটে মিলিয়ে একটা সময় এটা অনেক বড় পান্ডুলিপিটি হয়ে যাবে ।

আমরা আমাদের অফিসে তো অনেক কাজ করেই থাকি আমরা যারা ইঞ্জিনিয়ার আছি তারা যদি কাজ গুলি  একজন ইন্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারের মতো লিখে ফেলি খাতায়  একজন ইন্টার্ন পুরো সে ফ্লোর প্রসেস সম্পর্কে লিখতে পারে না কিন্ত, একজন  ইঞ্জিনিয়ার যে জব করেন উনি চাইলে সময়  করে কাজে কলমে অনেক লিখা তিনি লিখতে পারেন ।

আমাদের ইঞ্জিনিয়ার দের ফেক্টরিতে নাইট ডে শিফটিং করতে হয় তাই আমাদের যতোই চাপ থাকুক এর আমাদের হাতেই পর্যাপ্ত সময় থাকে ।

 আমরা যদি একটু আগ্রহী বা ডেডিকেটেড হই ১ মাস ২ মাস ৬ মাস ১ বছর যাই লাগুক আমরা কিন্ত আমাদের ফ্লোরে ছোট ছোট কাজ, প্রসেস, টিপস, মেশিন, প্যারামিটার হতে সব লিখে ফেলতে পারি ।

আমরা একটা ম্যাথের খাতা নিয়ে তাতে আমরা প্রথমে কি কি লিখা যায় তার ছক একে ফেলতে পারি পরে আস্তে আস্তে আমরা সময় পেলে ডাইরিতে একটু একটু নোট করতে পারি  ।  এমনকি অনেক অপারেটর সুপারভাইজার কে দিলে তাকে বলে দিলে সে তার নিজের মেশিন প্রসেস বিস্তারিত লিখতে পারবে ।  কিংবা ফ্লোরে ইন্টার্ন আসলে তাদের কাজ শেখানোর বিনিময়ে আপনি আপনার তথ্য লেখা গুলি  তাদের মাধ্যমে লিখাতে পারেন ।

 এখানে আপনার মুল শক্তি হচ্ছে এর সব ডাটা অথেনটিক আর বাজারের অনেক বই দেখবে কপি পেস্ট করে চালানো  ।

 আপনার লিখা শেষ হলে আপনার কস্ট করে টাইপ করা লাগবে না আপনি নীলক্ষতে পারো কাছে চুক্তি দিলে আপনার বই টাইপ হয়ে যাবে ।  টাইপ হলে এটা সাজানো কোন বিষয় হবে না । সেটা আপনি নিজে সাজিয়ে নিতে পারেন ।  ডেমো প্রিন্ট করে ভার্সিটির ফেকাল্টিদের কাছে চেক এবং ভেরিফাই করে নিতে পারেন ।  এর পর টেক্সটাইল এর বইয়ের জন্য নীলক্ষেত এর ইউসুফ সহ অনেক টেক্সটাইল বইয়ের পাব্লিসার আছেন যাদের কাছে আপনি এটা পাব্লিশ করাতে পারেন ।  প্রয়োজনে একে কপিরাইট করিয়ে নিতে পারেন ।  বইয়ের সাইজ ফেক্ট অথেনটিক বই ১০ টাকার দোয়ার কালামের বইয়ের মতো হলেও তাও কিনবে শিখার জন্য ।

আসি টেক্সটাইল একটি বইয়ে উদাহরণ দেই "নীটিং এবং নীট ডাইং টেকনোলজি " এটা একটা ডাইং রিলেটেড বাংলা টেক্সটাইল বই যাই ফেক্টরির রিয়েল প্রসেস বেইজ ।  যে কাওকে বললে আপনাকে এই বইটি কিনতে বলবে।  ভালো ইউনিক কিছুর মুল্য থাকবেই ।


মার্কেটিং পাব্লিসিটিঃ 

টেক্সটাইল বই গুলো মার্কেটিং তেমন করা লাগবে না কারন এসব অথেনটিক বই গুলি এমনি সবাই খোজে ।  স্যোশাল নেটওয়ার্ক অন্যতম প্লাটফর্ম । "রকোমারি" সহ অনেক অনলাইন বইয়ের সাইটে এটা বিক্রি করা যাবে ।

ধরুন এবং ভাবে গার্মেন্টস নীটিং উইভিং, নীট ডাইং ওভেন ডাইং নিয়ে যদি লিখা যায় তবে মনে হয় অন্তরে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের ফেক্টরির জবের তেমন কোন অসুবিধা হবে না ।  এমন এখনো করা হয়নি তাই শুরু করলে খারাপ হবে না ।

আমরা নিজের লেখা একটা আমাদের নিজস্ব অর্জন বলেই দেখতেই পারি।

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের বই লিখার উপায় | Textile Book

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের বই লিখাঃ

আমাদের একজন সিনিয়র ভাইয়ের আগ্রহের কারনে লেখাটি লিখা

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার যারা ফ্রেশ জব বা ইন্টার্নিশিপ  করতে আসেন তাদের মেজরিটির ভাষ্য যে তাদের বইয়ে যা পড়ায় তার ৫% এর মিল আমরা বাস্তবে পাই না , এটা ঠিক আমাদের যে বই গুলি আছে এগুলি সময়ের সাথে আপডেট করা হয় না  যার ফলে আমরা বইয়ে যা শিখি তার মেজরিটি কাজে লাগে না ।

কিভাবে লিখা যায়ঃ

কম বেশি অনেক ভালো ভালো স্টুডেন্ট আছেন যাদের লেখার হাত ভালো বা ভালো ডিজাইন পারেন , তাদের বলছি আপনাদের অফিসের ডেক্সে কাগজ কলম থাকে সব সময় ।

১. আপনি যদি ওভেন ডাইংয়ে জব করেন আপনি আপনার জিগার, সিপিবি, সেটেন্টারের প্রসেস মেশিন প্যারামিটার ইত্যাদির নোট আপনি অবসর সময় রাফ করে লিখে লিখে রাখতে পারেন , এবং সময় মতো সেগুলি আপনাদের সিনিয়রদের কাছ থেকে চেক করিয়ে নিতে পারেন।

২. আপনি যদি নীটিং এর হন তবে প্যারামিটার গুলি ফেব্রিকের ডিজাইন গুলি ভালোকে লিখে ড্র করে রাখতে পারেন।

৩. যেমন আমি যদি R&D Designer হতাম তবে আমার কি কি ডিজাইন করা আছে তা করার নিয়ম কি, কিভাবে নতুন ডিজাইন ডেভেলপমেন্ট করা হয়  তা নিয়ে লিখতাম।  আর ডিজাইন যেহেতু বাস্তব অভিজ্ঞতা নিয়ে তাই ছেলে মেয়েরা শিখতে পারতো ।

৪. টেক্সটাইল ল্যাবের হলে আমরা ল্যাবের সব টেস্টিং প্রসেস মেথোড নিয়ে লিখা যায় ।

আপনি অল্প অল্প করে লিখলেও ডে নাইট শিফটে মিলিয়ে একটা সময় এটা অনেক বড় পান্ডুলিপিটি হয়ে যাবে ।

আমরা আমাদের অফিসে তো অনেক কাজ করেই থাকি আমরা যারা ইঞ্জিনিয়ার আছি তারা যদি কাজ গুলি  একজন ইন্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারের মতো লিখে ফেলি খাতায়  একজন ইন্টার্ন পুরো সে ফ্লোর প্রসেস সম্পর্কে লিখতে পারে না কিন্ত, একজন  ইঞ্জিনিয়ার যে জব করেন উনি চাইলে সময়  করে কাজে কলমে অনেক লিখা তিনি লিখতে পারেন ।

আমাদের ইঞ্জিনিয়ার দের ফেক্টরিতে নাইট ডে শিফটিং করতে হয় তাই আমাদের যতোই চাপ থাকুক এর আমাদের হাতেই পর্যাপ্ত সময় থাকে ।

 আমরা যদি একটু আগ্রহী বা ডেডিকেটেড হই ১ মাস ২ মাস ৬ মাস ১ বছর যাই লাগুক আমরা কিন্ত আমাদের ফ্লোরে ছোট ছোট কাজ, প্রসেস, টিপস, মেশিন, প্যারামিটার হতে সব লিখে ফেলতে পারি ।

আমরা একটা ম্যাথের খাতা নিয়ে তাতে আমরা প্রথমে কি কি লিখা যায় তার ছক একে ফেলতে পারি পরে আস্তে আস্তে আমরা সময় পেলে ডাইরিতে একটু একটু নোট করতে পারি  ।  এমনকি অনেক অপারেটর সুপারভাইজার কে দিলে তাকে বলে দিলে সে তার নিজের মেশিন প্রসেস বিস্তারিত লিখতে পারবে ।  কিংবা ফ্লোরে ইন্টার্ন আসলে তাদের কাজ শেখানোর বিনিময়ে আপনি আপনার তথ্য লেখা গুলি  তাদের মাধ্যমে লিখাতে পারেন ।

 এখানে আপনার মুল শক্তি হচ্ছে এর সব ডাটা অথেনটিক আর বাজারের অনেক বই দেখবে কপি পেস্ট করে চালানো  ।

 আপনার লিখা শেষ হলে আপনার কস্ট করে টাইপ করা লাগবে না আপনি নীলক্ষতে পারো কাছে চুক্তি দিলে আপনার বই টাইপ হয়ে যাবে ।  টাইপ হলে এটা সাজানো কোন বিষয় হবে না । সেটা আপনি নিজে সাজিয়ে নিতে পারেন ।  ডেমো প্রিন্ট করে ভার্সিটির ফেকাল্টিদের কাছে চেক এবং ভেরিফাই করে নিতে পারেন ।  এর পর টেক্সটাইল এর বইয়ের জন্য নীলক্ষেত এর ইউসুফ সহ অনেক টেক্সটাইল বইয়ের পাব্লিসার আছেন যাদের কাছে আপনি এটা পাব্লিশ করাতে পারেন ।  প্রয়োজনে একে কপিরাইট করিয়ে নিতে পারেন ।  বইয়ের সাইজ ফেক্ট অথেনটিক বই ১০ টাকার দোয়ার কালামের বইয়ের মতো হলেও তাও কিনবে শিখার জন্য ।

আসি টেক্সটাইল একটি বইয়ে উদাহরণ দেই "নীটিং এবং নীট ডাইং টেকনোলজি " এটা একটা ডাইং রিলেটেড বাংলা টেক্সটাইল বই যাই ফেক্টরির রিয়েল প্রসেস বেইজ ।  যে কাওকে বললে আপনাকে এই বইটি কিনতে বলবে।  ভালো ইউনিক কিছুর মুল্য থাকবেই ।


মার্কেটিং পাব্লিসিটিঃ 

টেক্সটাইল বই গুলো মার্কেটিং তেমন করা লাগবে না কারন এসব অথেনটিক বই গুলি এমনি সবাই খোজে ।  স্যোশাল নেটওয়ার্ক অন্যতম প্লাটফর্ম । "রকোমারি" সহ অনেক অনলাইন বইয়ের সাইটে এটা বিক্রি করা যাবে ।

ধরুন এবং ভাবে গার্মেন্টস নীটিং উইভিং, নীট ডাইং ওভেন ডাইং নিয়ে যদি লিখা যায় তবে মনে হয় অন্তরে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের ফেক্টরির জবের তেমন কোন অসুবিধা হবে না ।  এমন এখনো করা হয়নি তাই শুরু করলে খারাপ হবে না ।

আমরা নিজের লেখা একটা আমাদের নিজস্ব অর্জন বলেই দেখতেই পারি।

কোন মন্তব্য নেই: