প্রতিদিন একটু একটু করে তোমার চাকরি কি চলে যাচ্ছে ? - Textile Lab | Textile Learning Blog
বন্ধু, প্রতিদিন একটু একটু করে তোমার চাকরি কি চলে যাচ্ছে?

প্রথমেই একটি সত্যি ঘটনা বলি। আশরাফ সাহেব (ছদ্মনাম) একটি গার্মেন্ট কারখানায় ১৬ বছর ধরে কাজ করছিলেন। তাঁর শেষ পোস্ট ছিল জিএম। মাঝারি মানের সেই গার্মেন্ট কারখানা রানা প্লাজা পরবর্তী ঝড়ে বন্ধ হয়ে গেলে আশরাফ সাহেব অথৈ সাগরে পড়লেন। তারপর যত বড় বড় কারখানায় চাকুরির জন্য যান, সেখানেই প্রত্যাখ্যাত হন!

১৬ বছরের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা সত্ত্বেও এই প্রত্যাখানের কারন কী? কারন, তিনি ধরেই নিয়েছিলেন যে তাঁর চাকুরি আজীবনের, প্রতিষ্ঠানটিতে তিনি আজীবন চাকুরি করবেন।

কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি যে বন্ধ হয়ে যেতে পারে, সেক্ষেত্রে তাঁর স্কিল সেট এই মাঝারিমানের কারখানার জন্য চলনসই হলেও বাইরের দুনিয়ার জন্য চলনসই কী না, সেটার খোঁজ রাখেননি।

আমি তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি। কয়েকবছর আগেই তাঁকে অনুরোধ করেছিলাম যে কারখানা ম্যানেজমেন্টে অনেক নতুন নতুন আধুনিক ব্যাপার স্যাপার আসা শুরু করেছে, সেগুলোর দিকে নজর দিন। যেমন ধরা যাক, উইকিপিডিয়া ঘাটলেই লীন ম্যানেজমেন্টের উপর কয়েকটি গাব্দাগোব্দা আর্টিকেল আছে, টয়োটা প্রোডাকশন সিস্টেম আছে, সিক্স সিগমা আছে-এগুলো পড়ে আত্মস্থ করলে তাঁর লাভ হবে। তিনি আমাকে মুখের উপর বলেছিলেন, 'আরে আমার কত্তো বছরের অভিজ্ঞতা-এখন এইসব আমারে শিখাইতে আসছেন!'

ব্যস, এই পয়েন্টেই আমি আজকে কথা বলব।

প্রথম কথা হচ্ছে কোনো গড়পড়তা কাজেই ৩ বছরের বেশি অভিজ্ঞতার পরে আর নতুন করে তেমন কিছু শেখার থাকে না। আপনি যা শেখার প্রথম ৩ বছরেই শিখে নেন, বাকি সময়টা হচ্ছে এই একই স্কিলের পুনরাবৃত্তি। তারপরে আপনি যদি নিজের জন্য নতুন দক্ষতা অর্জন না করেন, তাহলে আপনি আসলে ধীরে ধীরে নিজের সর্বনাশ ডেকে আনছেন।

কারন ধরা যাক আবেদ ( উদাহরনের জন্য নেয়া নাম) এক অফিসে জুনিয়ার একাউন্টেন্ট, তাঁর বেতন ২০ হাজার টাকা। প্রতিষ্ঠানের বেতন স্কেলে ঐ পোস্টে এই বেতনই আছে। এখন বছর বছর আবেদ যদি একই পোস্টে গড়াগড়ি খান, তাহলে ইনক্রিমেন্ট হতে হতে একসময় তাঁর বেতন দাঁড়াবে ৩০ হাজার টাকা। যদি সেই কোম্পানিতে কখনো ছাটাই হয়, তাহলে প্রথম কোপটি পড়বে তাঁর উপর। কারন আরেকজন ফ্রেশ গ্রাজুয়েটকে দিয়ে তাঁরা ২০ হাজার টাকায় এই কাজ করাতে পারবে, খামোখাই কেন আবেদের জন্য ১০ হাজার টাকা অতিরিক্ত গুনবে?

সুতরাং আবেদের মূল দায়িত্ব হচ্ছে সময় থাকতে আখের গুছিয়ে নেয়া। নতুন স্কিল সেট ডেভেলপ করে ঐ কোম্পানি অথবা অন্য কোম্পানিতে উপরের অন্য কোনো পোস্টে চলে যাওয়া।

আমাদের দেশে অনেককে আমি বলতে শুনি, 'কোম্পানি ট্রেনিং করায় না।' কথা সত্যি, বড় কর্পোরেট হাউস ছাড়া বাকিদের নিয়মিত কোনো ট্রেনিং-প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা কোম্পানি করে দেয় না। তাই বলে আপনি যদি কোম্পানির ঘাড়ে দোষারোপ করে বসে থাকেন, তাহলে আপনার নিজের বিপদই ডেকে আনছেন। নিজের স্কিল নিজে ডেভেলপ করুন, কারন দিন শেষে স্কিল আপনার সঙ্গে থাকবে, যে কোম্পানির জন্য আপনি দিনকে রাত করছেন, সেই কোম্পানি আপনার সঙ্গে না-ও থাকতে পারে।

এতো কথার সারমর্ম এটাই-

১. কোনো পোস্টেই ৩/৪ বছরের বেশি না থাকার চেষ্টা করুন। নিজের কোম্পানিতে হোক কি অন্য কোম্পানিতে, অন্য বড় কাজে চলে যাওয়ার চেষ্টা করুন।

২. ক্রমাগত নিজের দক্ষতা বাড়িয়ে চলুন। কোম্পানির মুখ চেয়ে বসে থাকবেন না। যদি গ্রাজুয়েশন না থাকে তো গ্রাজুয়েশন করুন, যদি গ্রাজুয়েট হোন তো পোস্ট গ্রাজুয়েট করুন। যদি কম্পিউটারে দক্ষতা না থাকে তো সেটি বাড়ান, যদি ভাষায় সমস্যা থাকে তো সিরিয়াসলি ভাষার দক্ষতা বৃদ্ধি করুন।

৩. প্রশিক্ষন কাজে দেয়। অনেক সময় প্রশিক্ষনের খরচ দেখে অনেকে নাক কুঁচকায়। আপনি যদি মনে করেন যে এই প্রশিক্ষনটি আপনার কাজে দেবে, তাহলে অতিরিক্ত

৫ হাজার টাকার জন্য বসে থাকবেন না, কষ্ট করে হলেও ম্যানেজ করুন, দীর্ঘমেয়াদে এই টাকা আপনার পুষিয়ে যাবে।

৪. বইয়ের বেলাতেও একই কথা। একটি বই কত টাকায় কিনছেন সেটি বড় নয়, সেই বইটি থেকে আপনি কতটাকার উপকার পাবেন সেটি আসল কথা।

৫. ইন্টারনেট হচ্ছে একটা জ্ঞানসমুদ্র। বই নামান, ইউটিউবে ভালো ভালো লেকচারগুলো শুনুন, ওয়েবিনারগুলোতে অংশ নিন। আপনার টাকা না থাকুক, প্রচুর ফ্রি ম্যাটেরিয়ালে নেট জগত ভরপুর, আছে যেগুলো অনেক কাজে লাগে।

৬. উপরের দিকে টার্গেট করুন। উপরের দিকে ভিড় কম, যোগ্য লোকের অভাব। একটি কোম্পানিতে পিওন চাইলে ২শ লোক পাবে, সেক্ষেত্রে আপনি ২শ লোকের সঙ্গে গড়পড়তা প্রতিযোগিতা করবেন-অনেকটা লটারির মতো, আপনার লাগতে পারে অন্য কারোও লাগতে পারে। উপরের দিকে যোগ্য লোকের অভাব আছে। যদি ভালো কাজের রেকর্ড থাকে তাহলে আপনারই খোঁজ পড়বে। ড্রিম বিগ।

৭. নেটওয়ার্ক একটা বড় শক্তি। প্রাইভেট সেক্টরে পেশাগত জীবনে নেটওয়ার্কিং একটা পুঁজি। এই মূলধন ক্রমাগত বাড়িয়ে চলুন, বিপদে কাজে লাগবে। নিজের সেক্টরের লোকজন যারা অন্য অফিসে সিনিয়ার পোস্টে আছেন তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করুন। নিজের ক্যাম্পাসের বড় ভাইরা একই পেশায় অন্যান্য অফিসে কে কোথায় আছেন, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করুন। আজকাল তো ফেসবুকের কারনে এটি আরো সহজ হয়ে গেছে। এই নেটওয়ার্ক আপনার কাজে লাগবে। যদি কখনো চাকুরি হারান, তখন আপনি নেটওয়ার্কের কুড়ি জনকে ফোন দিন, আঠারো জন হয়তো ফোনই ধরবে না, কিন্তু একজন হয়তো আপনার অনেক বড় কাজে লেগে যাবে।
মুভ ফরোয়ার্ড এন্ড জাস্ট ইগনোর মাই বেয়াদবি ফর দিস পোস্ট। আপনার হয়তো কাজে লাগবে না, কিন্তু কিছু তরুন কর্মজীবি এরকম পরামর্শ চেয়েছিলেন, হয়তো আর কারো কাজে লাগতেও পারে।

সংগৃহীত 

প্রতিদিন একটু একটু করে তোমার চাকরি কি চলে যাচ্ছে ?

বন্ধু, প্রতিদিন একটু একটু করে তোমার চাকরি কি চলে যাচ্ছে?

প্রথমেই একটি সত্যি ঘটনা বলি। আশরাফ সাহেব (ছদ্মনাম) একটি গার্মেন্ট কারখানায় ১৬ বছর ধরে কাজ করছিলেন। তাঁর শেষ পোস্ট ছিল জিএম। মাঝারি মানের সেই গার্মেন্ট কারখানা রানা প্লাজা পরবর্তী ঝড়ে বন্ধ হয়ে গেলে আশরাফ সাহেব অথৈ সাগরে পড়লেন। তারপর যত বড় বড় কারখানায় চাকুরির জন্য যান, সেখানেই প্রত্যাখ্যাত হন!

১৬ বছরের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা সত্ত্বেও এই প্রত্যাখানের কারন কী? কারন, তিনি ধরেই নিয়েছিলেন যে তাঁর চাকুরি আজীবনের, প্রতিষ্ঠানটিতে তিনি আজীবন চাকুরি করবেন।

কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি যে বন্ধ হয়ে যেতে পারে, সেক্ষেত্রে তাঁর স্কিল সেট এই মাঝারিমানের কারখানার জন্য চলনসই হলেও বাইরের দুনিয়ার জন্য চলনসই কী না, সেটার খোঁজ রাখেননি।

আমি তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি। কয়েকবছর আগেই তাঁকে অনুরোধ করেছিলাম যে কারখানা ম্যানেজমেন্টে অনেক নতুন নতুন আধুনিক ব্যাপার স্যাপার আসা শুরু করেছে, সেগুলোর দিকে নজর দিন। যেমন ধরা যাক, উইকিপিডিয়া ঘাটলেই লীন ম্যানেজমেন্টের উপর কয়েকটি গাব্দাগোব্দা আর্টিকেল আছে, টয়োটা প্রোডাকশন সিস্টেম আছে, সিক্স সিগমা আছে-এগুলো পড়ে আত্মস্থ করলে তাঁর লাভ হবে। তিনি আমাকে মুখের উপর বলেছিলেন, 'আরে আমার কত্তো বছরের অভিজ্ঞতা-এখন এইসব আমারে শিখাইতে আসছেন!'

ব্যস, এই পয়েন্টেই আমি আজকে কথা বলব।

প্রথম কথা হচ্ছে কোনো গড়পড়তা কাজেই ৩ বছরের বেশি অভিজ্ঞতার পরে আর নতুন করে তেমন কিছু শেখার থাকে না। আপনি যা শেখার প্রথম ৩ বছরেই শিখে নেন, বাকি সময়টা হচ্ছে এই একই স্কিলের পুনরাবৃত্তি। তারপরে আপনি যদি নিজের জন্য নতুন দক্ষতা অর্জন না করেন, তাহলে আপনি আসলে ধীরে ধীরে নিজের সর্বনাশ ডেকে আনছেন।

কারন ধরা যাক আবেদ ( উদাহরনের জন্য নেয়া নাম) এক অফিসে জুনিয়ার একাউন্টেন্ট, তাঁর বেতন ২০ হাজার টাকা। প্রতিষ্ঠানের বেতন স্কেলে ঐ পোস্টে এই বেতনই আছে। এখন বছর বছর আবেদ যদি একই পোস্টে গড়াগড়ি খান, তাহলে ইনক্রিমেন্ট হতে হতে একসময় তাঁর বেতন দাঁড়াবে ৩০ হাজার টাকা। যদি সেই কোম্পানিতে কখনো ছাটাই হয়, তাহলে প্রথম কোপটি পড়বে তাঁর উপর। কারন আরেকজন ফ্রেশ গ্রাজুয়েটকে দিয়ে তাঁরা ২০ হাজার টাকায় এই কাজ করাতে পারবে, খামোখাই কেন আবেদের জন্য ১০ হাজার টাকা অতিরিক্ত গুনবে?

সুতরাং আবেদের মূল দায়িত্ব হচ্ছে সময় থাকতে আখের গুছিয়ে নেয়া। নতুন স্কিল সেট ডেভেলপ করে ঐ কোম্পানি অথবা অন্য কোম্পানিতে উপরের অন্য কোনো পোস্টে চলে যাওয়া।

আমাদের দেশে অনেককে আমি বলতে শুনি, 'কোম্পানি ট্রেনিং করায় না।' কথা সত্যি, বড় কর্পোরেট হাউস ছাড়া বাকিদের নিয়মিত কোনো ট্রেনিং-প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা কোম্পানি করে দেয় না। তাই বলে আপনি যদি কোম্পানির ঘাড়ে দোষারোপ করে বসে থাকেন, তাহলে আপনার নিজের বিপদই ডেকে আনছেন। নিজের স্কিল নিজে ডেভেলপ করুন, কারন দিন শেষে স্কিল আপনার সঙ্গে থাকবে, যে কোম্পানির জন্য আপনি দিনকে রাত করছেন, সেই কোম্পানি আপনার সঙ্গে না-ও থাকতে পারে।

এতো কথার সারমর্ম এটাই-

১. কোনো পোস্টেই ৩/৪ বছরের বেশি না থাকার চেষ্টা করুন। নিজের কোম্পানিতে হোক কি অন্য কোম্পানিতে, অন্য বড় কাজে চলে যাওয়ার চেষ্টা করুন।

২. ক্রমাগত নিজের দক্ষতা বাড়িয়ে চলুন। কোম্পানির মুখ চেয়ে বসে থাকবেন না। যদি গ্রাজুয়েশন না থাকে তো গ্রাজুয়েশন করুন, যদি গ্রাজুয়েট হোন তো পোস্ট গ্রাজুয়েট করুন। যদি কম্পিউটারে দক্ষতা না থাকে তো সেটি বাড়ান, যদি ভাষায় সমস্যা থাকে তো সিরিয়াসলি ভাষার দক্ষতা বৃদ্ধি করুন।

৩. প্রশিক্ষন কাজে দেয়। অনেক সময় প্রশিক্ষনের খরচ দেখে অনেকে নাক কুঁচকায়। আপনি যদি মনে করেন যে এই প্রশিক্ষনটি আপনার কাজে দেবে, তাহলে অতিরিক্ত

৫ হাজার টাকার জন্য বসে থাকবেন না, কষ্ট করে হলেও ম্যানেজ করুন, দীর্ঘমেয়াদে এই টাকা আপনার পুষিয়ে যাবে।

৪. বইয়ের বেলাতেও একই কথা। একটি বই কত টাকায় কিনছেন সেটি বড় নয়, সেই বইটি থেকে আপনি কতটাকার উপকার পাবেন সেটি আসল কথা।

৫. ইন্টারনেট হচ্ছে একটা জ্ঞানসমুদ্র। বই নামান, ইউটিউবে ভালো ভালো লেকচারগুলো শুনুন, ওয়েবিনারগুলোতে অংশ নিন। আপনার টাকা না থাকুক, প্রচুর ফ্রি ম্যাটেরিয়ালে নেট জগত ভরপুর, আছে যেগুলো অনেক কাজে লাগে।

৬. উপরের দিকে টার্গেট করুন। উপরের দিকে ভিড় কম, যোগ্য লোকের অভাব। একটি কোম্পানিতে পিওন চাইলে ২শ লোক পাবে, সেক্ষেত্রে আপনি ২শ লোকের সঙ্গে গড়পড়তা প্রতিযোগিতা করবেন-অনেকটা লটারির মতো, আপনার লাগতে পারে অন্য কারোও লাগতে পারে। উপরের দিকে যোগ্য লোকের অভাব আছে। যদি ভালো কাজের রেকর্ড থাকে তাহলে আপনারই খোঁজ পড়বে। ড্রিম বিগ।

৭. নেটওয়ার্ক একটা বড় শক্তি। প্রাইভেট সেক্টরে পেশাগত জীবনে নেটওয়ার্কিং একটা পুঁজি। এই মূলধন ক্রমাগত বাড়িয়ে চলুন, বিপদে কাজে লাগবে। নিজের সেক্টরের লোকজন যারা অন্য অফিসে সিনিয়ার পোস্টে আছেন তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করুন। নিজের ক্যাম্পাসের বড় ভাইরা একই পেশায় অন্যান্য অফিসে কে কোথায় আছেন, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করুন। আজকাল তো ফেসবুকের কারনে এটি আরো সহজ হয়ে গেছে। এই নেটওয়ার্ক আপনার কাজে লাগবে। যদি কখনো চাকুরি হারান, তখন আপনি নেটওয়ার্কের কুড়ি জনকে ফোন দিন, আঠারো জন হয়তো ফোনই ধরবে না, কিন্তু একজন হয়তো আপনার অনেক বড় কাজে লেগে যাবে।
মুভ ফরোয়ার্ড এন্ড জাস্ট ইগনোর মাই বেয়াদবি ফর দিস পোস্ট। আপনার হয়তো কাজে লাগবে না, কিন্তু কিছু তরুন কর্মজীবি এরকম পরামর্শ চেয়েছিলেন, হয়তো আর কারো কাজে লাগতেও পারে।

সংগৃহীত 

কোন মন্তব্য নেই: