৩০ বিলিয়ন ডলারের গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রির কিছু তিক্ত সত্য | RMG Bangladesh - Textile Lab | Textile Learning Blog
৩০ বিলিয়ন ডলারের গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রির কিছু তিতা সত্যি -

১। গত ৩০ বছর ধরে দেশের অর্থনীতি আর কর্মসংস্থানে ১ নাম্বার ভূমিকা রেখেছে।

২। ২০১৩ সালের আগে পরিবেশ এবং আচরণে গার্মেন্টস কর্মীদের মানুষ মনে করা হতো কম।

৩। এই সেক্টরকে দাড়া করাতে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন যৌবন ত্যাগ করতে হয়েছে।

৪। এখানে শ্রমিক কর্মচারী কর্মকর্তা নিজের জীবনের দিকে তাকানোর সময় কম। কাজের ঘন্টা সবচেয়ে বেশি। এখানে কর্মরত সবার প্রাণশক্তি মোটামুটি নিংরে ফেলা হয়।

৫। এখানে উপরে আয়ের ব্যবস্থা বেশ ভালো। আয় ভালো। কিন্তু সেই আয় করতে গিয়ে জীবনের সময়গুলো এই সেক্টরেই দিয়ে দিতে হয়।

৬। এখানে টপ আর মিড লেভেল ম্যানেজমেন্টে দক্ষতার প্রবল সংকট রয়েছে। এই সংকটের রেডিমেড সমাধান হিসাবে বিদেশ থেকে লক্ষাধিক মানুষ আনা হয়েছে।

৭। এখানে উপরের লেভেলে লোভনীয় বেতন পাওয়া যায়। তবে এই লোভনীয় বেতনের বড় অংশটা বিদেশিরা নিয়ে যায়।

৮। মার্কেটিং এ বাংলাদেশের সব ব্যবসাতেই দক্ষ ছেলেমেয়ের ভীষণরকম সংকট আছে। আর গার্মেন্টস এ তা প্রবল। ফলে শ্রীলংকানরা আমাদের মার্কেটিং এর অনেকটা দখল করে ফেলেছে। তাদের বেতন এবং সুবিধাদি শুনলে মোটামুটি মাথা খারাপ হয়ে যাবে।

৯। গত ৩০ বছরে সম্ভবত প্রথমদিকে ভালো উচ্চ শিক্ষিত ট্যালেন্টেড ছেলেমেয়েরা এখানে আসে নি তেমন। ফলে কোটি কোটি ডলারের ব্যবসা, শত শত কোটি টাকার ইন্ডাস্ট্রি ম্যানেজ করার মতো কেইপাবল লোকজন আমাদের কম। ফলে এর বড় অংশটা ভারতীয় আর কিছু অংশ পাকিস্তানিরা দখল করে আছে। এবং ভালো বেতনের ভাগিদার আমরা ততটা পাচ্ছি না।

১০। স্ট্রাটেজিক্যালি আমরা খুব দূরদর্শী না। যদি দূরদর্শী হতাম, তবে এই বিদেশীদের আনতে হতো না। এবং দুঃখজনক হলো আগামী ৮/১০ বছরে এইসব বিশাল বিশাল ইন্ডাস্ট্রি ম্যানেজ করার জন্য অভ্যন্তরীণ দক্ষ বিপুল মানব সম্পদ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা কম।

১১। অভিযোগ আছে, বাংলাদেশের স্টাফরা নিজের দক্ষতা বাড়ানো, লিডারশিপ বাড়ানোর চেয়ে অবৈধ কমিশন আর দুর্নীতির দিকে ঝুকে পড়ে। এখানে মার্চেন্ডাইজারদের বৈধ পথে আয়ের সুযোগের পরেও অনেকে অনেক দিকে আয় করে। কোয়ালিটি কন্ট্রোলে যারা আছে, তাদের নিয়েও অনেক প্রশ্ন আছে। এটা তিতা সত্যি যে এদের বড় অংশটা এই ইন্ডাস্ট্রিতে তাদের সম্ভাবনা ঠিকভাবে মেজার করতে পারে নি। এর মধ্যে যারা করেছে, সেইসব বাংলাদেশিরা বেশ ভালো আছে, তারা ভালোভাবেই ইন্ডাস্ট্রি চালাচ্ছে। কিন্তু সংখ্যাটা অনেক বেশি দরকার ছিলো।

১২। আবার এই অভিযোগও আছে, মালিকদের অনেকের বিদেশি শ্রমিকদের প্রতি আগ্রহ বেশি। মালিকদের যুক্তি হলো বিদেশিরা তাদের ব্যবসা যতটা এনে দেন, এবং ম্যানেজমেন্ট কস্ট ইফেকটিভলি করতে পারেন, বাংলাদেশিদের বেশিরভাগ তা পারে না।

১৩। আর দেশি বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র তো আছেই। বিশেষ করে বিদেশি এনজিওগুলোকে গার্মেন্টস থেকে দূরে রাখা দরকার। বিজিএমই নেতারা বলছেন, এইসব বিদেশি এনজিওগুলো নানা ক্ষতিকর কাজের উস্কানি দাতা।

১৪। মালিক, কর্মচারী, শ্রমিকদের মধ্যে সম্পর্কের পদে পদে কিছু গ্যাপ আছে। এর মধ্যে আচরণগত সমস্যা বড় বড় কমিউনিকেশন গ্যাপ তৈরি করে।

১৫। গার্মেন্টস মালিকদের অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। তারা বিপুল অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন এবং করছেন। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী এও বলেছেন, এই শিল্পের আয়ের অনেক অংশ দেশে আসে না।

১৬। সাম্প্রতিক সময়ে অনেকেই তাদের দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু স্ট্রেইট বলা যায়, বাংলাদেশে দক্ষতা বাড়ানোর প্রতিষ্ঠান তারা পায় না। যেসব প্রতিষ্ঠান আছে, এগুলা অধিকাংশই মানহীন, টাকা কামানোর ধান্ধায় নেমেছে এবং এই ইন্ডাস্ট্রির প্রয়োজনকে বুঝে সেইভাবে দক্ষ করে তোলার মতো এসব প্রতিষ্ঠানগুলোরই যোগ্যতার অভাব আছে। মিড লেভেলের প্রচুর কর্মকর্তা এদের কাছে গিয়ে টাকা আর সময় নষ্ট করেছে, তাদের চেষ্টা সত্ত্বেও তারা তৈরি হতে পারছে না।


আপাতত সমাধান-

১। মিড লেভেলে আমাদের লোকজন নাই। এটা গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি নয়, সব ইন্ডাস্ট্রিতে একই অবস্থা। এটা গত ১০ বছর যাবত হাড়ে হাড়ে টের পেলেও সমাধানের ম্যাসিভ উদ্যোগ নেয়া হয় নি। বিদেশিদের এনে এনে সমস্যার সমাধানটা গ্রহণযোগ্য নয়। এটা এখন থেকেই শুরু করতে হবে যাতে আগামী ১০/১২ বছরের মধ্যে এই সংকট থেকে বাংলাদেশ বেরিয়ে আসতে পারে। উদ্যোগ নিলে এটা কঠিন নয়, বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা ভেরি মাচ ট্যালেন্টেড। এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়, সরকার, ইন্ডাস্ট্রি মালিকদের সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। শুধুমাত্র বিজিএমই বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে বিশাল চাহিদার কিছুই পূরণ হবে না।

২। গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিতে ক্যারিয়ারের বিশাল সম্ভাবনা আছে। সেটা আমরা দেখতে পাই না, বিদেশিরা ঠিকই দেখতে পেরেছে এবং গেইন করছে তারা। এখানে উচ্চ শিক্ষিত ট্যালেন্টেড ছেলেমেয়েদের জন্য নিঃসন্দেহে ভালো ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব (বেতন, মাশা আল্লাহ, বেশ ভালো)।

৩। এই সেক্টরের ব্র‍্যান্ডিং কেমন? গার্মেন্টস মালিকরা বলছেন তাদের সেকটর এখন থার্ড জেনারেশনে যাচ্ছে। আমাদের আচার আচরণ, গুণগত মান থার্ড জেনারেশনের উপযোগী করতে হবে তো। সেখানেও নজর দিলে ভালো। এই সেক্টরের জবকে এক সময় সম্মানের চোখে দেখা হতো না। এটা তিতা সত্যি।
আমরা স্বপ্ন দেখছি ১০০ বিলিয়ন ডলার রফতানির। বিশাল বিশাল সেট আপ গড়ে উঠেছে। অবকাঠামো বিশাল থেকে বিশালতর হচ্ছে। কিন্তু লোকবল?

নজর দিন। আর দেশপ্রেমটা বাড়ান আরেকটু। বাংলাদেশের ছেলেমেয়েদের কীভাবে এই সেক্টরে আকৃষ্ট করা যায়, সেগুলো ব্র‍্যান্ডিং করুন। নিশ্চয় আপনাদের অনেক ত্যাগ আর পরিশ্রমে এই বিশাল সেক্টর গড়ে উঠেছে। আর একটু দেয়ার চেষ্টা করুন। দেশি ছেলেমেয়েদের সুযোগ দিন, তাদের তৈরি করার জন্য যা যা করা দরকার আপনারা ইনভেস্ট করুন। এবং সেটা আপনাদের সামর্থ্য আছে।


Credit & Copyright : 
খাজা নিজাম উদ্দিন ( বুয়েট )  

৩০ বিলিয়ন ডলারের গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রির কিছু তিক্ত সত্য | RMG Bangladesh

৩০ বিলিয়ন ডলারের গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রির কিছু তিতা সত্যি -

১। গত ৩০ বছর ধরে দেশের অর্থনীতি আর কর্মসংস্থানে ১ নাম্বার ভূমিকা রেখেছে।

২। ২০১৩ সালের আগে পরিবেশ এবং আচরণে গার্মেন্টস কর্মীদের মানুষ মনে করা হতো কম।

৩। এই সেক্টরকে দাড়া করাতে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন যৌবন ত্যাগ করতে হয়েছে।

৪। এখানে শ্রমিক কর্মচারী কর্মকর্তা নিজের জীবনের দিকে তাকানোর সময় কম। কাজের ঘন্টা সবচেয়ে বেশি। এখানে কর্মরত সবার প্রাণশক্তি মোটামুটি নিংরে ফেলা হয়।

৫। এখানে উপরে আয়ের ব্যবস্থা বেশ ভালো। আয় ভালো। কিন্তু সেই আয় করতে গিয়ে জীবনের সময়গুলো এই সেক্টরেই দিয়ে দিতে হয়।

৬। এখানে টপ আর মিড লেভেল ম্যানেজমেন্টে দক্ষতার প্রবল সংকট রয়েছে। এই সংকটের রেডিমেড সমাধান হিসাবে বিদেশ থেকে লক্ষাধিক মানুষ আনা হয়েছে।

৭। এখানে উপরের লেভেলে লোভনীয় বেতন পাওয়া যায়। তবে এই লোভনীয় বেতনের বড় অংশটা বিদেশিরা নিয়ে যায়।

৮। মার্কেটিং এ বাংলাদেশের সব ব্যবসাতেই দক্ষ ছেলেমেয়ের ভীষণরকম সংকট আছে। আর গার্মেন্টস এ তা প্রবল। ফলে শ্রীলংকানরা আমাদের মার্কেটিং এর অনেকটা দখল করে ফেলেছে। তাদের বেতন এবং সুবিধাদি শুনলে মোটামুটি মাথা খারাপ হয়ে যাবে।

৯। গত ৩০ বছরে সম্ভবত প্রথমদিকে ভালো উচ্চ শিক্ষিত ট্যালেন্টেড ছেলেমেয়েরা এখানে আসে নি তেমন। ফলে কোটি কোটি ডলারের ব্যবসা, শত শত কোটি টাকার ইন্ডাস্ট্রি ম্যানেজ করার মতো কেইপাবল লোকজন আমাদের কম। ফলে এর বড় অংশটা ভারতীয় আর কিছু অংশ পাকিস্তানিরা দখল করে আছে। এবং ভালো বেতনের ভাগিদার আমরা ততটা পাচ্ছি না।

১০। স্ট্রাটেজিক্যালি আমরা খুব দূরদর্শী না। যদি দূরদর্শী হতাম, তবে এই বিদেশীদের আনতে হতো না। এবং দুঃখজনক হলো আগামী ৮/১০ বছরে এইসব বিশাল বিশাল ইন্ডাস্ট্রি ম্যানেজ করার জন্য অভ্যন্তরীণ দক্ষ বিপুল মানব সম্পদ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা কম।

১১। অভিযোগ আছে, বাংলাদেশের স্টাফরা নিজের দক্ষতা বাড়ানো, লিডারশিপ বাড়ানোর চেয়ে অবৈধ কমিশন আর দুর্নীতির দিকে ঝুকে পড়ে। এখানে মার্চেন্ডাইজারদের বৈধ পথে আয়ের সুযোগের পরেও অনেকে অনেক দিকে আয় করে। কোয়ালিটি কন্ট্রোলে যারা আছে, তাদের নিয়েও অনেক প্রশ্ন আছে। এটা তিতা সত্যি যে এদের বড় অংশটা এই ইন্ডাস্ট্রিতে তাদের সম্ভাবনা ঠিকভাবে মেজার করতে পারে নি। এর মধ্যে যারা করেছে, সেইসব বাংলাদেশিরা বেশ ভালো আছে, তারা ভালোভাবেই ইন্ডাস্ট্রি চালাচ্ছে। কিন্তু সংখ্যাটা অনেক বেশি দরকার ছিলো।

১২। আবার এই অভিযোগও আছে, মালিকদের অনেকের বিদেশি শ্রমিকদের প্রতি আগ্রহ বেশি। মালিকদের যুক্তি হলো বিদেশিরা তাদের ব্যবসা যতটা এনে দেন, এবং ম্যানেজমেন্ট কস্ট ইফেকটিভলি করতে পারেন, বাংলাদেশিদের বেশিরভাগ তা পারে না।

১৩। আর দেশি বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র তো আছেই। বিশেষ করে বিদেশি এনজিওগুলোকে গার্মেন্টস থেকে দূরে রাখা দরকার। বিজিএমই নেতারা বলছেন, এইসব বিদেশি এনজিওগুলো নানা ক্ষতিকর কাজের উস্কানি দাতা।

১৪। মালিক, কর্মচারী, শ্রমিকদের মধ্যে সম্পর্কের পদে পদে কিছু গ্যাপ আছে। এর মধ্যে আচরণগত সমস্যা বড় বড় কমিউনিকেশন গ্যাপ তৈরি করে।

১৫। গার্মেন্টস মালিকদের অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। তারা বিপুল অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন এবং করছেন। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী এও বলেছেন, এই শিল্পের আয়ের অনেক অংশ দেশে আসে না।

১৬। সাম্প্রতিক সময়ে অনেকেই তাদের দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু স্ট্রেইট বলা যায়, বাংলাদেশে দক্ষতা বাড়ানোর প্রতিষ্ঠান তারা পায় না। যেসব প্রতিষ্ঠান আছে, এগুলা অধিকাংশই মানহীন, টাকা কামানোর ধান্ধায় নেমেছে এবং এই ইন্ডাস্ট্রির প্রয়োজনকে বুঝে সেইভাবে দক্ষ করে তোলার মতো এসব প্রতিষ্ঠানগুলোরই যোগ্যতার অভাব আছে। মিড লেভেলের প্রচুর কর্মকর্তা এদের কাছে গিয়ে টাকা আর সময় নষ্ট করেছে, তাদের চেষ্টা সত্ত্বেও তারা তৈরি হতে পারছে না।


আপাতত সমাধান-

১। মিড লেভেলে আমাদের লোকজন নাই। এটা গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি নয়, সব ইন্ডাস্ট্রিতে একই অবস্থা। এটা গত ১০ বছর যাবত হাড়ে হাড়ে টের পেলেও সমাধানের ম্যাসিভ উদ্যোগ নেয়া হয় নি। বিদেশিদের এনে এনে সমস্যার সমাধানটা গ্রহণযোগ্য নয়। এটা এখন থেকেই শুরু করতে হবে যাতে আগামী ১০/১২ বছরের মধ্যে এই সংকট থেকে বাংলাদেশ বেরিয়ে আসতে পারে। উদ্যোগ নিলে এটা কঠিন নয়, বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা ভেরি মাচ ট্যালেন্টেড। এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়, সরকার, ইন্ডাস্ট্রি মালিকদের সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। শুধুমাত্র বিজিএমই বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে বিশাল চাহিদার কিছুই পূরণ হবে না।

২। গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিতে ক্যারিয়ারের বিশাল সম্ভাবনা আছে। সেটা আমরা দেখতে পাই না, বিদেশিরা ঠিকই দেখতে পেরেছে এবং গেইন করছে তারা। এখানে উচ্চ শিক্ষিত ট্যালেন্টেড ছেলেমেয়েদের জন্য নিঃসন্দেহে ভালো ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব (বেতন, মাশা আল্লাহ, বেশ ভালো)।

৩। এই সেক্টরের ব্র‍্যান্ডিং কেমন? গার্মেন্টস মালিকরা বলছেন তাদের সেকটর এখন থার্ড জেনারেশনে যাচ্ছে। আমাদের আচার আচরণ, গুণগত মান থার্ড জেনারেশনের উপযোগী করতে হবে তো। সেখানেও নজর দিলে ভালো। এই সেক্টরের জবকে এক সময় সম্মানের চোখে দেখা হতো না। এটা তিতা সত্যি।
আমরা স্বপ্ন দেখছি ১০০ বিলিয়ন ডলার রফতানির। বিশাল বিশাল সেট আপ গড়ে উঠেছে। অবকাঠামো বিশাল থেকে বিশালতর হচ্ছে। কিন্তু লোকবল?

নজর দিন। আর দেশপ্রেমটা বাড়ান আরেকটু। বাংলাদেশের ছেলেমেয়েদের কীভাবে এই সেক্টরে আকৃষ্ট করা যায়, সেগুলো ব্র‍্যান্ডিং করুন। নিশ্চয় আপনাদের অনেক ত্যাগ আর পরিশ্রমে এই বিশাল সেক্টর গড়ে উঠেছে। আর একটু দেয়ার চেষ্টা করুন। দেশি ছেলেমেয়েদের সুযোগ দিন, তাদের তৈরি করার জন্য যা যা করা দরকার আপনারা ইনভেস্ট করুন। এবং সেটা আপনাদের সামর্থ্য আছে।


Credit & Copyright : 
খাজা নিজাম উদ্দিন ( বুয়েট )  

কোন মন্তব্য নেই: