ইন্টার্নিতে প্রজেক্ট/থিসিসি
টেক্সটাইল ইন্জিনিয়ারিং এর বি এস সি শিক্ষার্থীদের কে তাদের শেষ সেমিষ্টার এ এসে ইন্টার্নশিপ এর সাথে একটি করে (গ্রুপ ভিত্তিক) প্রজেক্ট/থিসিস করতে হয় । অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে ইন্টার্নি প্রায় শেষ এর দিকে তবুও তাদের প্রজেক্ট/থিসিস এর বিষয় এ কোন কাজই করা হয় নাই , এমনকি কেউ কেউ প্রজেক্ট/থিসিস এর বিষয় ই বাছাই করে নাই ।
ফলে , শেষ এর দিকে এসে প্রজেক্ট/থিসিস এর বিষয় এ কোন কাজ ই করা হয় না ।তখন তারা তাদের সিনিয়রদের পেছনে লেগে থাকে তাদের প্রজেক্ট/থিসিস সংগ্রহ করা নিয়ে । তাদের সিনিয়ররাও তখন উপায় না দেখে জুনিয়রদের কে তাদের করা প্রজেক্ট টা দিয়ে দেন তার জুনিয়ররা সেটাকে কপি পেষ্ট আর এডিট করে নিজেদের বলে চালিয়ে দেন ।এমন কি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারা প্রজেক্ট টা নিয়ে ষ্টাডিও করেনা ।
শুধুমাত্র নাম , রোল নাম্বার আর ব্যাচ পরিবর্তন করেই পার পেয়ে যেতে চায় তারা । কিন্তু এতে কি জুনিয়র রা লাভবান হয় ? নিশ্চই না । কেননা , এই প্রজেক্ট এর উপর যখন ভাইভা হয় তখন ভাইভা বোর্ডের শিক্ষকবৃন্দ প্রজেক্ট এর উপর চোখ বুলিযেই বুঝতে পারেন কোনটা কপি পেষ্ট করা আর কোনটা তাদের নিজের করা ।
ফলে , শেষ এর দিকে এসে প্রজেক্ট/থিসিস এর বিষয় এ কোন কাজ ই করা হয় না ।তখন তারা তাদের সিনিয়রদের পেছনে লেগে থাকে তাদের প্রজেক্ট/থিসিস সংগ্রহ করা নিয়ে । তাদের সিনিয়ররাও তখন উপায় না দেখে জুনিয়রদের কে তাদের করা প্রজেক্ট টা দিয়ে দেন তার জুনিয়ররা সেটাকে কপি পেষ্ট আর এডিট করে নিজেদের বলে চালিয়ে দেন ।এমন কি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারা প্রজেক্ট টা নিয়ে ষ্টাডিও করেনা ।
শুধুমাত্র নাম , রোল নাম্বার আর ব্যাচ পরিবর্তন করেই পার পেয়ে যেতে চায় তারা । কিন্তু এতে কি জুনিয়র রা লাভবান হয় ? নিশ্চই না । কেননা , এই প্রজেক্ট এর উপর যখন ভাইভা হয় তখন ভাইভা বোর্ডের শিক্ষকবৃন্দ প্রজেক্ট এর উপর চোখ বুলিযেই বুঝতে পারেন কোনটা কপি পেষ্ট করা আর কোনটা তাদের নিজের করা ।
কারণ একই বিষয়ের প্রজেক্ট হয়তো ইতিপূর্বে তাদের হাতে এসেছে যা অবশ্যই তাদের মাথায় গেথে আছে । আর তখনই তারা ক্ষুদ্রতিক্ষুদ্র বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করতে থাকেন । স্বাভাবিক অর্থে যারা ইস্টার্নিতে ফাকি দিয়ে এসেছে তারা প্রজেক্টটাও ভালো করে ষ্টাডি করবেনা । আর ষ্টাডি করলেও কোন বিশেষ রাভ হয়না । কেননা বাস্তবিকভাবে কাজ করা আর মুখস্ত করার মধ্যে বিস্তর ব্যাবধান থাকে । যার ফলে শেষ সেমিস্টার এ এসেও একটা বড় ধরনের বিপদে পড়তে হয় । আর তখনই দোষ দেয় ভাইভা বোর্ড এর শিক্ষকদের ।ঐ স্যার এমন , ঐ স্যার তেমন ইত্যাদি ইত্যাদি ।কিন্তু আসলেই কি শিক্ষকরা দোষী ? অবশ্যই না । আপনারা যদি ইন্টার্নি টা মন দিয়ে করতেন , প্রজেক্ট এর বিষয় নিয়ে আগে থেকেই সিরিয়াস হতেন , প্রেক্টিক্যালই সব কাজ নিজে করতেন তাহলে প্রজেক্ট এর ভাইভাতে স্যার রা যেমন প্রশ্নই করুক না কেন , অবশ্যই উত্তর দিতে পারতেন ।
এবার আসুন জেনে নেই এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ এর উপায়ঃ
১) ইন্টার্নি শুরুর প্রথম দিকে আপনার শিক্ষক এর সাথে আলোচনা করে প্রজেক্ট/থিসিস এর বিষয় নির্ধারন করে নিন ।
১) ইন্টার্নি শুরুর প্রথম দিকে আপনার শিক্ষক এর সাথে আলোচনা করে প্রজেক্ট/থিসিস এর বিষয় নির্ধারন করে নিন ।
২) যার যার ডিপার্টমেন্ট ( গার্মেন্টস / নিটিং / ডায়িং) এ ইন্টার্নি করার ২/১ দিন এর মধ্যেই প্রজেক্ট/থিসিস এর বিষয় নিয়ে কাজ শুরু করে দিন ।
৩) কতটুকু কাজ করলেন , কিভাবে কাজ করলেন , কাজ করতে কি কি সমস্যার সম্মুখনি হচ্ছেন তা নিয়ে শিক্ষকের সাথে নিয়মিত ফোনে বা ইমেইল এ আলোচনা করুন । সপ্তাহে অন্তত একদিন শিক্ষকের সাথে মুখোমুখি আলোচনা করুন ।
৪) প্রজেক্ট/থিসিস এর বিষয় টা যেন আনকমন / ইউনিক হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখুন ।
৫) প্রজেক্ট এর শেষে অবশ্যই একটা লাভ-ক্ষতির হিসাব বের করুন।
৬) প্রয়োজনে সিনিয়রদের সাহায্য নিন ।
ধন্যবাদান্তে
মোঃ ফরিদুল ইসলাম রুম্মান
এক্সিকিউটিভ ( ইন্ডাষ্ট্রিয়াল ইন্জিনিয়ার )
তুরাগ গার্মেন্টস এন্ড হুসিয়ারী মিলস লিমিটেড ।
1 টি মন্তব্য:
apni j post ta korlen ai tai copy kora
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন