জিন্সের ইতিহাস ও জিন্সের কিছু বিস্ময়কর তথ্য | History Of Jeans - Textile Lab | Textile Learning Blog


জিন্সের ইতিহাস ও জিন্সের কিছু অজানা বিস্ময়কর তথ্য

01. সর্বপ্রথম জিন্স এর ব্যাবহার শুরু হয়েছিল ইংল্যান্ডে। তবে এর নামকরণ হয় ইটালিতে । জিন্স শব্দটি এসেছে ফ্রেন্স শব্দ জিন ফুস্তিয়ান থেকে,জিন ফুস্তিয়ান ছিল তুলা থেকে তৈরি একটি টূয়াইল ফেব্রিক যার উৎপত্তিস্থল ইটালির, জেনয়া শহর।

02. ১৮৮০ সালে নিজের আলাদা সংস্থা খুললেন লিভাই স্ট্রস। ফ্রান্সের নিমেস শহরের থেকে ডেনিম নামটা এসেছে। ‘ডি নিমেস’ মানে ‘অব নিমেসর ।

০৩. ১৮৯০ সালের মধ্যে তার সংস্থার তৈরি ‘জিনস’ আমেরিকায় বিপুল জনপ্রিয়তা পায়।

০৪. ১৯২০ সালের মধ্যে আমেরিকা ছেয়ে ফেলল লিভাইস-এর তৈরি করা ‘ডেনিম ওয়েস্ট’ জিন্স।

০৪. জিন্স প্যান্ট প্রধানত চার প্রকারের হয়ে থাকে
১)এমব্রয়ডারি জিন্স
২)রংচটা জিন্স
৩)স্লিম জিন্স
৪)স্ট্রেইট কাট জিন্স

০৫. স্কিন টাইট জিন্স পরছেন, হারাতে পারেন পুরুষত্ব।

০৬. কখনও কল্পনা করতে পেরেছেন এক ভরি সোনার যা দাম, এক সেন্ট হীরের যা দাম তার থেকেও বেশি দামী এক জোড়া সিক্রেট সার্কাস জিনস্-এর দাম ১৩ লক্ষ মার্কিন ডলার। এটিই পৃথিবীর সবথেকে দামি জিনস্। এছাড়া মার্কিন মুলুকের লস অ্যাঞ্জেলেসে ট্রু রিলিজিয়ন নামের এক সংস্থার এই জিন্স প্যান্টের দাম ৪৩,০০৪ টাকা।

০৭. জেনোয়া শহরের নাবিকদের পরনে এই জিস ফুস্তিয়ানের প্যান্ট থাকত। এভাবেই নামটি সংক্ষিপ্ত হয়ে বহুবচন জিন্স নামে অগ্রসর হয় ।

০৮. উত্তর কোরিয়ায় নিষিদ্ধ নীল জিনস। শুধু কি ওখানে, আমাদের দেশের ,
হরিয়ানার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের জিন্সের প্যান্ট পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে বর্তমান বিজেপি শাসিত রাজ্য সরকার।ক্ষমতায় আসার ৬ দিনের মাথায় হোয়াইট হাউসে জিনস নিষিদ্ধ করে ছিলেন জর্জ ডব্লুউ বুশ।


০৯. একদম গোড়ার দিকে জিনস্-কে ওয়েস্ট ওভারঅল বলে ডাকা হোত। ‘রেবেলরা বড্ড বেশি জিনস্ পরে।’ তাই পাঁচের দশকে মার্কিনদেশে স্কুল,কলেজ আর থিয়েটারে নিষিদ্ধ হয়েছিল জিনস্।

১০. জিন্সের প্যান্টে ছোট পকেট কেন থাকে?১৮০০ শতকের কথা। রোদে পোড়া তামাটে চেহারার কাউবয়রা মাঠে কঠিন পরিশ্রম করেন। সে সময় ঘড়ি হাতে নয়, বরং পকেটে রাখার রীতি ছিল। কাউবয়দের পছন্দের জিন্সের সঙ্গে তাই যুক্ত হয় সামনে একটি ছোট পকেট, যাতে তারা সহজেই ঘড়িটি রাখতে পারত। বর্তমানে প্রয়োন নেই, তবু স্মৃতিটা আছে।

১১. জানেন, জিন্সের প্যান্টে এই তিনটি বোতাম কেন থাকে? :::: শ্রমিকদের কারখানা বা অন্যত্র কাজ করার সময়ে প্যান্ট হামেশাই ছিঁড়ে যেত। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ছিঁড়ত পকেট বা পকেটের কাছে। অথচ এই পকেট ছিল শ্রমিকদের কাছে মহামূল্যবান বস্তু। ১৮৭৩ লেভি স্ট্রস অ্যান্ড কোম্পানির এক সাধারণ ক্রেতা, পেশায় দর্জি জেকব ডেভিস সেলাইয়ের উপরে পকেটের কোণ ঘেঁষে তিনটি তামার বোতাম সেঁটে দেন তিনি। স্রেফ তিনটি ছোট্ট বোতাম বড় সমস্যার চিরকালীন সমাধান এনে দেন। এর পেটেন্ট চেয়েছিলেন জেকব। কিন্তু পর্যাপ্ত অর্থ না-থাকায় তিনি পেটেন্ট পাননি।

১২. কাচা হলে একটা নির্দিষ্ট ধাঁচে জিনস্-এর রঙ ওঠে। এই ইউনিক প্যাটার্ন এফবিআই অপরাধী সনাক্তকরণে কাজে লাগায়। জিনসের জন্য প্রাথমিকভাবে এই নীল রঙটাকে বেছে নেওয়ার কারণ ময়লা হলেও চট করে এই রঙে সেটা বোঝা যায় না।







১৩. পৃথিবীর ৫০% বেশি জিনস্ ভারত, আর চিনে তৈরি হয়।
গড়ে প্রত্যেক অ্যামেরিকান সাতটি জিন্স প্যান্ট ব্যাবহার করেন ।

১৪. জাপানে ইচ্ছা হলে ভেন্ডিং মেশিন থেকেও আপনি জিনস্ কিনতে পারেন।

১৫. জেকব আর লিভাই স্ট্রস মিলিতভাবে একটি সংস্থা খুললেন যার নাম দিলেন ‘লিভাই স্ট্রস অ্যান্ড কোং’। ১৮৭৩ সালের ২০ মে এই বিশেষ ধরনের জিনিস তৈরির পেটেন্ট পেল ‘লিভাই স্ট্রস অ্যান্ড কোং’।

কপিকৃতঃ নেট থেকে সংগ্রহ করা 


জিন্সের ইতিহাস ও জিন্সের কিছু বিস্ময়কর তথ্য | History Of Jeans



জিন্সের ইতিহাস ও জিন্সের কিছু অজানা বিস্ময়কর তথ্য

01. সর্বপ্রথম জিন্স এর ব্যাবহার শুরু হয়েছিল ইংল্যান্ডে। তবে এর নামকরণ হয় ইটালিতে । জিন্স শব্দটি এসেছে ফ্রেন্স শব্দ জিন ফুস্তিয়ান থেকে,জিন ফুস্তিয়ান ছিল তুলা থেকে তৈরি একটি টূয়াইল ফেব্রিক যার উৎপত্তিস্থল ইটালির, জেনয়া শহর।

02. ১৮৮০ সালে নিজের আলাদা সংস্থা খুললেন লিভাই স্ট্রস। ফ্রান্সের নিমেস শহরের থেকে ডেনিম নামটা এসেছে। ‘ডি নিমেস’ মানে ‘অব নিমেসর ।

০৩. ১৮৯০ সালের মধ্যে তার সংস্থার তৈরি ‘জিনস’ আমেরিকায় বিপুল জনপ্রিয়তা পায়।

০৪. ১৯২০ সালের মধ্যে আমেরিকা ছেয়ে ফেলল লিভাইস-এর তৈরি করা ‘ডেনিম ওয়েস্ট’ জিন্স।

০৪. জিন্স প্যান্ট প্রধানত চার প্রকারের হয়ে থাকে
১)এমব্রয়ডারি জিন্স
২)রংচটা জিন্স
৩)স্লিম জিন্স
৪)স্ট্রেইট কাট জিন্স

০৫. স্কিন টাইট জিন্স পরছেন, হারাতে পারেন পুরুষত্ব।

০৬. কখনও কল্পনা করতে পেরেছেন এক ভরি সোনার যা দাম, এক সেন্ট হীরের যা দাম তার থেকেও বেশি দামী এক জোড়া সিক্রেট সার্কাস জিনস্-এর দাম ১৩ লক্ষ মার্কিন ডলার। এটিই পৃথিবীর সবথেকে দামি জিনস্। এছাড়া মার্কিন মুলুকের লস অ্যাঞ্জেলেসে ট্রু রিলিজিয়ন নামের এক সংস্থার এই জিন্স প্যান্টের দাম ৪৩,০০৪ টাকা।

০৭. জেনোয়া শহরের নাবিকদের পরনে এই জিস ফুস্তিয়ানের প্যান্ট থাকত। এভাবেই নামটি সংক্ষিপ্ত হয়ে বহুবচন জিন্স নামে অগ্রসর হয় ।

০৮. উত্তর কোরিয়ায় নিষিদ্ধ নীল জিনস। শুধু কি ওখানে, আমাদের দেশের ,
হরিয়ানার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের জিন্সের প্যান্ট পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে বর্তমান বিজেপি শাসিত রাজ্য সরকার।ক্ষমতায় আসার ৬ দিনের মাথায় হোয়াইট হাউসে জিনস নিষিদ্ধ করে ছিলেন জর্জ ডব্লুউ বুশ।


০৯. একদম গোড়ার দিকে জিনস্-কে ওয়েস্ট ওভারঅল বলে ডাকা হোত। ‘রেবেলরা বড্ড বেশি জিনস্ পরে।’ তাই পাঁচের দশকে মার্কিনদেশে স্কুল,কলেজ আর থিয়েটারে নিষিদ্ধ হয়েছিল জিনস্।

১০. জিন্সের প্যান্টে ছোট পকেট কেন থাকে?১৮০০ শতকের কথা। রোদে পোড়া তামাটে চেহারার কাউবয়রা মাঠে কঠিন পরিশ্রম করেন। সে সময় ঘড়ি হাতে নয়, বরং পকেটে রাখার রীতি ছিল। কাউবয়দের পছন্দের জিন্সের সঙ্গে তাই যুক্ত হয় সামনে একটি ছোট পকেট, যাতে তারা সহজেই ঘড়িটি রাখতে পারত। বর্তমানে প্রয়োন নেই, তবু স্মৃতিটা আছে।

১১. জানেন, জিন্সের প্যান্টে এই তিনটি বোতাম কেন থাকে? :::: শ্রমিকদের কারখানা বা অন্যত্র কাজ করার সময়ে প্যান্ট হামেশাই ছিঁড়ে যেত। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ছিঁড়ত পকেট বা পকেটের কাছে। অথচ এই পকেট ছিল শ্রমিকদের কাছে মহামূল্যবান বস্তু। ১৮৭৩ লেভি স্ট্রস অ্যান্ড কোম্পানির এক সাধারণ ক্রেতা, পেশায় দর্জি জেকব ডেভিস সেলাইয়ের উপরে পকেটের কোণ ঘেঁষে তিনটি তামার বোতাম সেঁটে দেন তিনি। স্রেফ তিনটি ছোট্ট বোতাম বড় সমস্যার চিরকালীন সমাধান এনে দেন। এর পেটেন্ট চেয়েছিলেন জেকব। কিন্তু পর্যাপ্ত অর্থ না-থাকায় তিনি পেটেন্ট পাননি।

১২. কাচা হলে একটা নির্দিষ্ট ধাঁচে জিনস্-এর রঙ ওঠে। এই ইউনিক প্যাটার্ন এফবিআই অপরাধী সনাক্তকরণে কাজে লাগায়। জিনসের জন্য প্রাথমিকভাবে এই নীল রঙটাকে বেছে নেওয়ার কারণ ময়লা হলেও চট করে এই রঙে সেটা বোঝা যায় না।







১৩. পৃথিবীর ৫০% বেশি জিনস্ ভারত, আর চিনে তৈরি হয়।
গড়ে প্রত্যেক অ্যামেরিকান সাতটি জিন্স প্যান্ট ব্যাবহার করেন ।

১৪. জাপানে ইচ্ছা হলে ভেন্ডিং মেশিন থেকেও আপনি জিনস্ কিনতে পারেন।

১৫. জেকব আর লিভাই স্ট্রস মিলিতভাবে একটি সংস্থা খুললেন যার নাম দিলেন ‘লিভাই স্ট্রস অ্যান্ড কোং’। ১৮৭৩ সালের ২০ মে এই বিশেষ ধরনের জিনিস তৈরির পেটেন্ট পেল ‘লিভাই স্ট্রস অ্যান্ড কোং’।

কপিকৃতঃ নেট থেকে সংগ্রহ করা 


কোন মন্তব্য নেই: