BUTEX এর সাব্জেক্ট গুলির রিভিউ জেনে রাখুন - Textile Lab | Textile Learning Blog
BUTEX এর সাব্জেক্ট রিভিউ

ফ্যাকাল্টি অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংঃ
1. Yarn Engineering
2. Fabric Engineering

ফ্যাকাল্টি অফ টেক্সটাইল ক্যামিকেল ইঞ্জিনিয়ারিংঃ
1. Wet Process Engineering
2. Dyes & Chemicals Engineering



Yarn Engineering ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং Mother of Textile

ইয়ার্ন কি??

ইয়ার্ন মানে সুতা। স্বাভাবিক ভাবেই মনে হওয়ার কথা যে “তাইলে সুতারও ইঞ্জিনিয়ারিং আছে??” এটার উত্তর “অবশ্যই”।

ফাইবার বা খাটি বাংলায় বললে আঁশ থেকে কিভাবে সুতা তৈরি হবে সেটা এই ইঞ্জিনিয়ারিং এর মূলমন্ত্র। দুনিয়ায় যত ধরনের ফাইবার আছে তা থেকে ব্যবহারযোগ্য সুতা তৈরির জন্য ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং অত্যাবশ্যক। সবচেয়ে পুরাতন সাব্জেক্ট হিসেবে টেক্সটাইল সেক্টরের যেকোন জবের জন্য ইয়ার্নের বেসিক কোর্স করা সব বুটেক্সিয়ান এর জন্য অনিবার্য।



কি পড়ানো হয় এখানে??

তুলা থেকে শুরু করে লিনেন, বাস্ট ফাইবার (পাট), ম্যানমেড ফাইবার (কার্বন ফাইবার, নাইলন)- এই সবকিছুর সাথে ইয়ার্ন সম্পর্কিত। ফাইবার হচ্ছে সুতা তৈরির মূল উপাদান। ফাইবার থেকে সুতা তৈরি সংক্রান্ত সকল পড়াশুনা ইয়ার্নের অন্তর্ভুক্ত। কোনও ফাইবার কে আদৌ স্পিনিং এর মাধ্যমে ইয়ার্নে পরিণত করা যাবে কি না, তার কোয়ালিটি কেমন হবে, কোন ক্ষেত্রে সেই ইয়ার্ন ব্যবহৃত হবে, কোন দেশের আবহাওয়ার জন্য তা পারফেক্ট হবে এইসব কিছু ইয়ার্নের রিসার্চ সেক্টরের মধ্যে পড়ে। এছাড়াও কোয়ালিটি কন্ট্রোল ইন্ডাস্ট্রি, লেভেলের প্রোডাকশন সহ আরও অনেক বিষয় এখানে গুরুত্বপূর্ণ।

কোন সাব্জেক্টের সাথে মিল বেশি??

আগেই বলছি একটা ব্লেন্ডারে মেক্যানিক্যাল আর টেক্সটাইল কে মিক্স করলে ইয়ার্ন আর ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং উৎপন্ন হয়। স্বাভাবিকভাবেই তাহলে ইয়ার্ন এর জন্য ফিজিক্সের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। ফাইবার থেকে ইয়ার্ন প্রোডাকশনের জন্য মেশিনসমূহের স্ট্রাকচারাল ডিজাইন থেকে শুরু করে ওয়ার্কিং এবং প্রসেসিং মেথড সহ সবকিছু বুঝার জন্য মেক্যানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর জ্ঞান আবশ্যক। তাই মেক্যানিক্যাল এর সাথেও ভালো মিল আছে ইয়ার্নের।

হায়ার স্টাডিজের সুযোগ কেমন??

হায়ার স্টাডিজের জন্য ইয়ার্ন পারফেক্ট সাব্জেক্ট। ইয়ার্নের ক্ষেত্রে রিসার্চের সুযোগ সবচেয়ে বেশি কারণ ইয়ার্ন টেক্সটাইলের বেস। বেস লেভেলে চেঞ্জ এনে অনেক কিছুই চেঞ্জ করা সম্ভব। জেনেটিক্যালি মডিফাইড ফাইবার এই মুহূর্তে রিসার্চের জন্য একটি ট্রেন্ডিং সেক্টর। এছাড়াও ফাইবার এর স্ট্রেংথ বা কোয়ালিটি ইম্প্রুভ করার জন্যও প্রতিনিয়ত গবেষণা চলছে বাইরের ভার্সিটিগুলোতে। বুটেক্স থেকেও প্রতিবছর স্কলারশীপের মাধ্যমে জার্মানী, তুরস্কে স্টুডেন্ট পাঠানো হয়।

"কিন্তু ভাই এত পুরান সাব্জেক্ট। চাকরী আছে??"

আরে ভাই/বোন চাকরী রিজিকের ব্যাপার। যার Capability আছে সে এমনিতেই চাকরী পাবে। এটা সব ডিপার্টমেন্ট এর জন্য সেম। আর হ্যা চাকরি আছে। ইয়ার্ন এর সবচেয়ে পরিচিত চাকরি স্পিনিং। বাংলাদেশের সকল স্পিনিং মিলে বুটেক্সের গ্র্যাজুয়েট আছেন। বাংলাদেশের টেক্সটাইলে প্রথম সাব্জেক্ট ইয়ার্ন তাই স্বাভাবিকভাবেই ইয়ার্নের অ্যালামনাই এর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। শুধু যে স্পিনিং এই চাকরী সীমাবদ্ধ তা নয়। চাইলে ইয়ার্ন থেকে টেক্সটাইলের অন্য সেক্টরেও শিফট করা সম্ভব।

Fabric Engineering ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং

ফেব্রিক কি??

ফেব্রিক মানে কাপড়। বুটেক্সের চালু হওয়া প্রথম তিনটা সাব্জেক্টের একটা এটা। ইয়ার্ন(সুতা) কে ফেব্রিকে(কাপড়ে) রূপান্তর করার ইঞ্জিনিয়ারিং হল ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং। বাংলা ভাষায় বলতে গেলে তাঁতি   না মানুষ তাঁতি বলবে না.   আসলে তাঁতিদের তাঁত থেকে কাপড় তৈরি করার মত এতটা সহজ না ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং। তবে কন্সেপটা ওইরকমই। জাস্ট তাঁত কে টাইম ট্রাভেলের মাধ্যমে আপডেট করলে ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং আসে।  


কি পড়ানো হয় এখানে??

কি পড়ানো হয় না বলে বলা উচিৎ কি পড়ানো হয় না। ফেব্রিকের বেসিক দুইটা টার্ম হলো নিটিং ও উইভিং। এগুলো সুতা থেকে কাপর তৈরি করার দুটি উপায় এবং এই দুই সেক্টরই সমান গুরুত্ব রাখে। সুতা থেকে কাপড় তৈরি খুব স্বাভাবিক মনে হলেও আসলে এর সাথে প্রোগ্রামিংও সমান গুরুত্বপূর্ণ এখানে। ভবিষ্যতে নিটিং ও উইভিংকে আলাদা সাব্জেক্ট করা হতে পারে। কিন্তু এখন যারা ফেব্রিকে পড়বে তাদের দুটোই পড়ার সুযোগ আছে। নিটেড ফেব্রিক হোক আর ওভেন ফেব্রিক হোক কোয়ালিটি কন্ট্রোল খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রোডাকশন এর ক্ষেত্রে না হইলে কেউ কিনবে না কাপড়। ছেড়া জিন্স হয়ত বাইরে ফ্যাশন কিন্তু সবাই কি ছেড়া জিন্স পড়বে?? :3

কোন সাব্জেক্টের সাথে মিল বেশি??

আগেই বলছি একটা ব্লেন্ডারে মেক্যানিক্যাল আর টেক্সটাইল কে মিক্স করলে ইয়ার্ন আর ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং উৎপন্ন হয়। ফেব্রিক প্রোডাকশনে মেশিনারিজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই ফেব্রিকে মেক্যানিক্যালের অনেক কিছুই মিল আছে। ফিজিক্সের নলেজ যাদের ভালো তাদের জন্য পারফেক্ট একটা সাব্জেক্ট ফেব্রিক। ফেব্রিকের স্ট্রাকচার ডিজাইন এবং সে ডিজাইন এক্সিকিউট করতে প্রোগ্রামিং ও গুরুত্বপূর্ণ।

হায়ার স্টাডিজের সুযোগ কেমন??

হায়ার স্টাডিজ এর জন্য ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়েও ইয়ার্নের মতই সুযোগ আছে। মডিফাইড ইয়ার্ন থেকে ওয়্যারেবল ফেব্রিক প্রোডাকশনে বর্তমানে আমাদের দেশ এখনও পিছিয়ে। তাই এই বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নিয়ে দেশে কিছু করার ভালো স্কোপ আছে এখনও। শুধু চিন্তা করা আমরা যদি অ্যাভেঞ্জারসের ব্ল্যাক প্যানথার এর মত একটা ভাইব্রেনিয়াম স্যুট বানাইতে পারতাম দেশে কত জোস হইত :3 ওরা টেক্সটাইলে আমাদের থেকে এখনও অনেক আগায়া আছে।

জব সেক্টর কেমন??

ফেব্রিকের জব সেক্টর সবসময়ই ভালো। বর্তমানে বাংলাদেশের দৈদেশিক মুদার প্রধান যোগান দেয় যেই আরএমজি সেক্টর তার অন্যতম কারণ ডেনিম। খাটি “বাংলা”য় বলতে গেলে জিনস। আর ডেনিম প্রোডাকশন মানেই ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারদের ছড়াছড়ি। নিটিং ফ্যাক্টরি হোক আর ওভেন ফ্যাক্টরি হোক, ফেব্রিকের ইঞ্জিনিয়ার ছাড়া আমাদের চলেই না।
মানসম্পন্ন ফেব্রিক তৈরির জন্যও(ছেড়া জিন্স প্রতিরোধের আন্দোলন) অনেক ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ার নেওয়া হয় যাতে ফেব্রিকের কোয়ালিটি ঠিক থাকে।
আর বুটেক্সের ফেব্রিকের অ্যালামনাই নাই এরকম কোন ফ্যাক্টরি আমার জানামতে নাই


Wet Process Engineering ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং The Land of Colors

WPE কি??

Wet Process Engineering অর্থাৎ খাটি বাংলায় বলতে গেলে ভেজা প্রক্রিয়া প্রকৌশল। একটু কঠিন হয়ে গেল না?? 

যদি সহজভাবে বলি তাহলে সুতা, কাপড় বা জামায় রঙ সংক্রান্ত সকল বিষয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ওয়েট প্রসেস। বুটেক্সে চালু হওয়া প্রথম তিনটা সাব্জেক্টের একটা। নিশ্চিতভাবেই আমাদের সবার প্রতিদিন সাদা রঙের জামা পড়া সম্ভব না,  জীবনে একটু রং এর দরকার।


কি পড়ানো হয় এখানে??

মূলত ইয়ার্ন(সুতা), ফেব্রিক(কাপড়) বা জামা(অ্যাপারেল) এগুলোর ওয়াশিং, প্রিন্টিং(ডিজাইন/ প্যাটার্ন), ডায়িং(রং) ইত্যাদি সংক্রান্ত সকল কিছু এই সাব্জেক্টে পড়ানো হবে। শুধুমাত্র ডায়িং দিয়ে একটি সাব্জেক্ট তৈরি করা সম্ভব সেখানে ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারদের এর সাথে প্রিন্টিং, ওয়াশিং সবই পড়তে হয়। কোনও ইয়ার্ন বা ফেব্রিকে কোন ধরনের ডায়িং করলে সেটা লং লাস্টিং হবে, কোনও অ্যাপারেলের জন্য হাই ডেনসিটি প্রিন্ট ভালো নাকি স্ক্রিন প্রিন্ট ভালো এগুলো সবই এখানে পড়ানো হবে।

কোন সাব্জেক্টের সাথে মিল বেশি এটার??

মূলত কেমিস্ট্রির সাথেই সবচেয়ে বেশি মিল ওয়েট প্রসেসের। রং করার জন্য প্রথমে রং লাগবে এবং কোথায় কি ধরনের রং লাগবে সেটার জন্য ওই পার্টিকুলার ইয়ার্ন বা ফেব্রিকের কেমিক্যাল প্রোপার্টিগুলো জানতে হবে এবং সেই অনুযায়ী ডাই ইউজ করতে হবে। এজন্য কেমিস্ট্রি বিশেষ করে অরগানিক কেমিস্ট্রির ভালো নলেজ থাকা অত্যাবশ্যক।

উচ্চশিক্ষার সুযোগ কেমন??

ওয়েট প্রসেস থেকে বুটেক্সের অন্যান্য সাব্জেক্টের মতই উচ্চশিক্ষার ভাল সুযোগ আছে। ভার্সিটি থেকে অনেকেই ইউরোপের বিভিন্ন ভার্সিটি থেকে স্নাতোকোত্তর সম্পন্ন করে দেশে এসেছেন।

চাকরীর বাজার কেমন??

বুটেক্সের জন্য চাকরীর বাজার সবসময়ই সুবিধাজনক আর ওয়েট প্রসেস বর্তমানে চাকরির ক্ষেত্রে  ভালো একটি জায়গা কারণ বাংলাদেশে এখন এই মুহুর্তে কোয়ালিটিসম্পন্ন ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা বেশি। ইদানিং অনেক ছোট থেকে মাঝারি উৎপাদনক্ষম ফ্যাক্টরিগুলোতে ওয়েটের ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা বাড়ছে। চাইলে ওয়েট থেকে কেমিক্যাল মার্কেটিং এর মত সম্ভাবনাময় সেক্টরগুলোতেও শিফট করা সম্ভব। দেশের সব বড় ফ্যাক্টরি বা টেক্সটাইল বেসড কোম্পানিগুলোতেই বুটেক্সের ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়াররা রয়েছেন।

Dyes & Chemical Engineering ডাইস অ্যান্ড ক্যামিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং

ডাইক্যাম আবার কি জিনিস??

ডাইক্যাম হল ওয়েটের জময ভাই অনেকটা। EEE আর ECE যেমন দুই ভাই, ডাইক্যাম আর ওয়েটও তেমন দুই ভাই। ডাইক্যাম বুটেক্সের সর্বশেষ চালু হওয়া সাব্জেক্ট। সময়ের চাহিদা মেনে গত বছর থেকে ডাইক্যাম সাব্জেক্টটা চালু হয়। সর্বশেষ হলেও গুরুত্ব বিবেচনায় অনেক এগিয়ে।


কি পড়ানো হয় এখানে??

ডায়িং বা প্রিন্টিং যাই হোক তার জন্য সবার আগে ডাই মানে রং দরকার। আর ডাই কিভাবে বানাতে হয় তারই ইঞ্জিনিয়ারিং হল ডাইক্যাম। প্রত্যেকটা কালার জিভাবে তৈরি করতে হবে জন্য একেকটা বই আছে। সুতরাং কালার তৈরির জন্য ডায়িং যে কতটা ইম্পর্ট্যান্ট তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আর কারও যদি মনে হয় যে কয়টাই বা কালার আছে দুনিয়ায়, কি এত কঠিন তাহলে! অনুরোধ থাকবে Pantone এর লেটেস্ট কালার চার্ট টা ডাউনলোড করে একটু দেখার জন্য। তাহলেই সব কনিফিউশন দূর হয়ে যাবে।

কোন সাব্জেক্টের সাথে মিল বেশি??

নাম থেকেই বুঝা যায় কেমিস্ট্রি কত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও ক্যামিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং এর অনেক কিছুই পড়ানো হবে ডাইক্যামে কারণ কম্পোজিশন ঠিক রেখে একদম পারফেক্ট ডাই তৈরি করার জন্য ক্যামিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং এর নলেজ থাকা খুবই জরুরি।

হায়ার স্টাডিজের সুযোগ কেমন??

সাব্জেক্ট যেহেতু নতুন তাই উচ্চশিক্ষার সুযোগও সবচেয়ে বেশি এখানে। কারণ দেশে এখনও কোন ডাইক্যামের গ্র্যাজুয়েট নাই। এখান থেকে পড়াশুনা করে বাইরে স্কলারশীপ নিয়ে পড়তে যাওয়া সবচেয়ে সহজ হবে। আর ডাইক্যামে রিসার্চ করার স্কোপও এখন খোলা কারণ টেক্সটাইল ক্যামিকেল নিয়ে রিসার্চ সবসময়ই চালু থাকবে নতুন ও ভালো ক্যামিকেল প্রোডিউস করার জন্য।

জব সেক্টর কেমন??

বাংলাদেশের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় খাত এখন টেক্সটাইল ক্যামিকেল। বাইরে থেকে ক্যামিকেল আনা লাভজনক না তাই দেশেই নতুন ক্যামিকেলের ফ্যাক্টরি গড়ে উঠছে। আর এই ফ্যাক্টরি তে কাদের দরকার?? অবশ্যই ডাইক্যামের ইঞ্জিনিয়ারদের। এই সেক্টর এখন একদমই খালি তাই এখানে অনেক ইঞ্জিনিয়ার দরকার। এটা তো বললাম কয়েক বছর পরের কথা। এই মুহূর্তের কথা বলতে গেলে ক্যামিকেল মার্কেটিং হচ্ছে অন্যতম হট একটা সেক্টর। এখানেও ডাইক্যামের ইঞ্জিনিয়ারদের দরকার। আর চাইলেই ডাইক্যাম থেকে অন্য সেক্টরগুলোতেও শিফট করা সহজ যেহেতু তোমরা বুটেক্সে পড়বে।

সবার প্রতি শুভকামনা থাকবে অনেক। নিজের প্যাশন, সুবিধা, সার্বিক পরিস্থিতি সবকিছু দিয়ে বিবেচনা করেই সাব্জেক্ট চয়েস দেওয়ার পরামর্শ থাকলো। বাকিটা উপরওয়ালার হাতে।

Reviewed by & Writing Copyright
Imam Hasan Maruf
Bangladesh Univarsity Of Textile





BUTEX এর সাব্জেক্ট গুলির রিভিউ জেনে রাখুন

BUTEX এর সাব্জেক্ট রিভিউ

ফ্যাকাল্টি অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংঃ
1. Yarn Engineering
2. Fabric Engineering

ফ্যাকাল্টি অফ টেক্সটাইল ক্যামিকেল ইঞ্জিনিয়ারিংঃ
1. Wet Process Engineering
2. Dyes & Chemicals Engineering



Yarn Engineering ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং Mother of Textile

ইয়ার্ন কি??

ইয়ার্ন মানে সুতা। স্বাভাবিক ভাবেই মনে হওয়ার কথা যে “তাইলে সুতারও ইঞ্জিনিয়ারিং আছে??” এটার উত্তর “অবশ্যই”।

ফাইবার বা খাটি বাংলায় বললে আঁশ থেকে কিভাবে সুতা তৈরি হবে সেটা এই ইঞ্জিনিয়ারিং এর মূলমন্ত্র। দুনিয়ায় যত ধরনের ফাইবার আছে তা থেকে ব্যবহারযোগ্য সুতা তৈরির জন্য ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং অত্যাবশ্যক। সবচেয়ে পুরাতন সাব্জেক্ট হিসেবে টেক্সটাইল সেক্টরের যেকোন জবের জন্য ইয়ার্নের বেসিক কোর্স করা সব বুটেক্সিয়ান এর জন্য অনিবার্য।



কি পড়ানো হয় এখানে??

তুলা থেকে শুরু করে লিনেন, বাস্ট ফাইবার (পাট), ম্যানমেড ফাইবার (কার্বন ফাইবার, নাইলন)- এই সবকিছুর সাথে ইয়ার্ন সম্পর্কিত। ফাইবার হচ্ছে সুতা তৈরির মূল উপাদান। ফাইবার থেকে সুতা তৈরি সংক্রান্ত সকল পড়াশুনা ইয়ার্নের অন্তর্ভুক্ত। কোনও ফাইবার কে আদৌ স্পিনিং এর মাধ্যমে ইয়ার্নে পরিণত করা যাবে কি না, তার কোয়ালিটি কেমন হবে, কোন ক্ষেত্রে সেই ইয়ার্ন ব্যবহৃত হবে, কোন দেশের আবহাওয়ার জন্য তা পারফেক্ট হবে এইসব কিছু ইয়ার্নের রিসার্চ সেক্টরের মধ্যে পড়ে। এছাড়াও কোয়ালিটি কন্ট্রোল ইন্ডাস্ট্রি, লেভেলের প্রোডাকশন সহ আরও অনেক বিষয় এখানে গুরুত্বপূর্ণ।

কোন সাব্জেক্টের সাথে মিল বেশি??

আগেই বলছি একটা ব্লেন্ডারে মেক্যানিক্যাল আর টেক্সটাইল কে মিক্স করলে ইয়ার্ন আর ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং উৎপন্ন হয়। স্বাভাবিকভাবেই তাহলে ইয়ার্ন এর জন্য ফিজিক্সের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। ফাইবার থেকে ইয়ার্ন প্রোডাকশনের জন্য মেশিনসমূহের স্ট্রাকচারাল ডিজাইন থেকে শুরু করে ওয়ার্কিং এবং প্রসেসিং মেথড সহ সবকিছু বুঝার জন্য মেক্যানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর জ্ঞান আবশ্যক। তাই মেক্যানিক্যাল এর সাথেও ভালো মিল আছে ইয়ার্নের।

হায়ার স্টাডিজের সুযোগ কেমন??

হায়ার স্টাডিজের জন্য ইয়ার্ন পারফেক্ট সাব্জেক্ট। ইয়ার্নের ক্ষেত্রে রিসার্চের সুযোগ সবচেয়ে বেশি কারণ ইয়ার্ন টেক্সটাইলের বেস। বেস লেভেলে চেঞ্জ এনে অনেক কিছুই চেঞ্জ করা সম্ভব। জেনেটিক্যালি মডিফাইড ফাইবার এই মুহূর্তে রিসার্চের জন্য একটি ট্রেন্ডিং সেক্টর। এছাড়াও ফাইবার এর স্ট্রেংথ বা কোয়ালিটি ইম্প্রুভ করার জন্যও প্রতিনিয়ত গবেষণা চলছে বাইরের ভার্সিটিগুলোতে। বুটেক্স থেকেও প্রতিবছর স্কলারশীপের মাধ্যমে জার্মানী, তুরস্কে স্টুডেন্ট পাঠানো হয়।

"কিন্তু ভাই এত পুরান সাব্জেক্ট। চাকরী আছে??"

আরে ভাই/বোন চাকরী রিজিকের ব্যাপার। যার Capability আছে সে এমনিতেই চাকরী পাবে। এটা সব ডিপার্টমেন্ট এর জন্য সেম। আর হ্যা চাকরি আছে। ইয়ার্ন এর সবচেয়ে পরিচিত চাকরি স্পিনিং। বাংলাদেশের সকল স্পিনিং মিলে বুটেক্সের গ্র্যাজুয়েট আছেন। বাংলাদেশের টেক্সটাইলে প্রথম সাব্জেক্ট ইয়ার্ন তাই স্বাভাবিকভাবেই ইয়ার্নের অ্যালামনাই এর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। শুধু যে স্পিনিং এই চাকরী সীমাবদ্ধ তা নয়। চাইলে ইয়ার্ন থেকে টেক্সটাইলের অন্য সেক্টরেও শিফট করা সম্ভব।

Fabric Engineering ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং

ফেব্রিক কি??

ফেব্রিক মানে কাপড়। বুটেক্সের চালু হওয়া প্রথম তিনটা সাব্জেক্টের একটা এটা। ইয়ার্ন(সুতা) কে ফেব্রিকে(কাপড়ে) রূপান্তর করার ইঞ্জিনিয়ারিং হল ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং। বাংলা ভাষায় বলতে গেলে তাঁতি   না মানুষ তাঁতি বলবে না.   আসলে তাঁতিদের তাঁত থেকে কাপড় তৈরি করার মত এতটা সহজ না ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং। তবে কন্সেপটা ওইরকমই। জাস্ট তাঁত কে টাইম ট্রাভেলের মাধ্যমে আপডেট করলে ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং আসে।  


কি পড়ানো হয় এখানে??

কি পড়ানো হয় না বলে বলা উচিৎ কি পড়ানো হয় না। ফেব্রিকের বেসিক দুইটা টার্ম হলো নিটিং ও উইভিং। এগুলো সুতা থেকে কাপর তৈরি করার দুটি উপায় এবং এই দুই সেক্টরই সমান গুরুত্ব রাখে। সুতা থেকে কাপড় তৈরি খুব স্বাভাবিক মনে হলেও আসলে এর সাথে প্রোগ্রামিংও সমান গুরুত্বপূর্ণ এখানে। ভবিষ্যতে নিটিং ও উইভিংকে আলাদা সাব্জেক্ট করা হতে পারে। কিন্তু এখন যারা ফেব্রিকে পড়বে তাদের দুটোই পড়ার সুযোগ আছে। নিটেড ফেব্রিক হোক আর ওভেন ফেব্রিক হোক কোয়ালিটি কন্ট্রোল খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রোডাকশন এর ক্ষেত্রে না হইলে কেউ কিনবে না কাপড়। ছেড়া জিন্স হয়ত বাইরে ফ্যাশন কিন্তু সবাই কি ছেড়া জিন্স পড়বে?? :3

কোন সাব্জেক্টের সাথে মিল বেশি??

আগেই বলছি একটা ব্লেন্ডারে মেক্যানিক্যাল আর টেক্সটাইল কে মিক্স করলে ইয়ার্ন আর ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং উৎপন্ন হয়। ফেব্রিক প্রোডাকশনে মেশিনারিজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই ফেব্রিকে মেক্যানিক্যালের অনেক কিছুই মিল আছে। ফিজিক্সের নলেজ যাদের ভালো তাদের জন্য পারফেক্ট একটা সাব্জেক্ট ফেব্রিক। ফেব্রিকের স্ট্রাকচার ডিজাইন এবং সে ডিজাইন এক্সিকিউট করতে প্রোগ্রামিং ও গুরুত্বপূর্ণ।

হায়ার স্টাডিজের সুযোগ কেমন??

হায়ার স্টাডিজ এর জন্য ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়েও ইয়ার্নের মতই সুযোগ আছে। মডিফাইড ইয়ার্ন থেকে ওয়্যারেবল ফেব্রিক প্রোডাকশনে বর্তমানে আমাদের দেশ এখনও পিছিয়ে। তাই এই বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নিয়ে দেশে কিছু করার ভালো স্কোপ আছে এখনও। শুধু চিন্তা করা আমরা যদি অ্যাভেঞ্জারসের ব্ল্যাক প্যানথার এর মত একটা ভাইব্রেনিয়াম স্যুট বানাইতে পারতাম দেশে কত জোস হইত :3 ওরা টেক্সটাইলে আমাদের থেকে এখনও অনেক আগায়া আছে।

জব সেক্টর কেমন??

ফেব্রিকের জব সেক্টর সবসময়ই ভালো। বর্তমানে বাংলাদেশের দৈদেশিক মুদার প্রধান যোগান দেয় যেই আরএমজি সেক্টর তার অন্যতম কারণ ডেনিম। খাটি “বাংলা”য় বলতে গেলে জিনস। আর ডেনিম প্রোডাকশন মানেই ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারদের ছড়াছড়ি। নিটিং ফ্যাক্টরি হোক আর ওভেন ফ্যাক্টরি হোক, ফেব্রিকের ইঞ্জিনিয়ার ছাড়া আমাদের চলেই না।
মানসম্পন্ন ফেব্রিক তৈরির জন্যও(ছেড়া জিন্স প্রতিরোধের আন্দোলন) অনেক ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ার নেওয়া হয় যাতে ফেব্রিকের কোয়ালিটি ঠিক থাকে।
আর বুটেক্সের ফেব্রিকের অ্যালামনাই নাই এরকম কোন ফ্যাক্টরি আমার জানামতে নাই


Wet Process Engineering ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং The Land of Colors

WPE কি??

Wet Process Engineering অর্থাৎ খাটি বাংলায় বলতে গেলে ভেজা প্রক্রিয়া প্রকৌশল। একটু কঠিন হয়ে গেল না?? 

যদি সহজভাবে বলি তাহলে সুতা, কাপড় বা জামায় রঙ সংক্রান্ত সকল বিষয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ওয়েট প্রসেস। বুটেক্সে চালু হওয়া প্রথম তিনটা সাব্জেক্টের একটা। নিশ্চিতভাবেই আমাদের সবার প্রতিদিন সাদা রঙের জামা পড়া সম্ভব না,  জীবনে একটু রং এর দরকার।


কি পড়ানো হয় এখানে??

মূলত ইয়ার্ন(সুতা), ফেব্রিক(কাপড়) বা জামা(অ্যাপারেল) এগুলোর ওয়াশিং, প্রিন্টিং(ডিজাইন/ প্যাটার্ন), ডায়িং(রং) ইত্যাদি সংক্রান্ত সকল কিছু এই সাব্জেক্টে পড়ানো হবে। শুধুমাত্র ডায়িং দিয়ে একটি সাব্জেক্ট তৈরি করা সম্ভব সেখানে ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারদের এর সাথে প্রিন্টিং, ওয়াশিং সবই পড়তে হয়। কোনও ইয়ার্ন বা ফেব্রিকে কোন ধরনের ডায়িং করলে সেটা লং লাস্টিং হবে, কোনও অ্যাপারেলের জন্য হাই ডেনসিটি প্রিন্ট ভালো নাকি স্ক্রিন প্রিন্ট ভালো এগুলো সবই এখানে পড়ানো হবে।

কোন সাব্জেক্টের সাথে মিল বেশি এটার??

মূলত কেমিস্ট্রির সাথেই সবচেয়ে বেশি মিল ওয়েট প্রসেসের। রং করার জন্য প্রথমে রং লাগবে এবং কোথায় কি ধরনের রং লাগবে সেটার জন্য ওই পার্টিকুলার ইয়ার্ন বা ফেব্রিকের কেমিক্যাল প্রোপার্টিগুলো জানতে হবে এবং সেই অনুযায়ী ডাই ইউজ করতে হবে। এজন্য কেমিস্ট্রি বিশেষ করে অরগানিক কেমিস্ট্রির ভালো নলেজ থাকা অত্যাবশ্যক।

উচ্চশিক্ষার সুযোগ কেমন??

ওয়েট প্রসেস থেকে বুটেক্সের অন্যান্য সাব্জেক্টের মতই উচ্চশিক্ষার ভাল সুযোগ আছে। ভার্সিটি থেকে অনেকেই ইউরোপের বিভিন্ন ভার্সিটি থেকে স্নাতোকোত্তর সম্পন্ন করে দেশে এসেছেন।

চাকরীর বাজার কেমন??

বুটেক্সের জন্য চাকরীর বাজার সবসময়ই সুবিধাজনক আর ওয়েট প্রসেস বর্তমানে চাকরির ক্ষেত্রে  ভালো একটি জায়গা কারণ বাংলাদেশে এখন এই মুহুর্তে কোয়ালিটিসম্পন্ন ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা বেশি। ইদানিং অনেক ছোট থেকে মাঝারি উৎপাদনক্ষম ফ্যাক্টরিগুলোতে ওয়েটের ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা বাড়ছে। চাইলে ওয়েট থেকে কেমিক্যাল মার্কেটিং এর মত সম্ভাবনাময় সেক্টরগুলোতেও শিফট করা সম্ভব। দেশের সব বড় ফ্যাক্টরি বা টেক্সটাইল বেসড কোম্পানিগুলোতেই বুটেক্সের ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়াররা রয়েছেন।

Dyes & Chemical Engineering ডাইস অ্যান্ড ক্যামিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং

ডাইক্যাম আবার কি জিনিস??

ডাইক্যাম হল ওয়েটের জময ভাই অনেকটা। EEE আর ECE যেমন দুই ভাই, ডাইক্যাম আর ওয়েটও তেমন দুই ভাই। ডাইক্যাম বুটেক্সের সর্বশেষ চালু হওয়া সাব্জেক্ট। সময়ের চাহিদা মেনে গত বছর থেকে ডাইক্যাম সাব্জেক্টটা চালু হয়। সর্বশেষ হলেও গুরুত্ব বিবেচনায় অনেক এগিয়ে।


কি পড়ানো হয় এখানে??

ডায়িং বা প্রিন্টিং যাই হোক তার জন্য সবার আগে ডাই মানে রং দরকার। আর ডাই কিভাবে বানাতে হয় তারই ইঞ্জিনিয়ারিং হল ডাইক্যাম। প্রত্যেকটা কালার জিভাবে তৈরি করতে হবে জন্য একেকটা বই আছে। সুতরাং কালার তৈরির জন্য ডায়িং যে কতটা ইম্পর্ট্যান্ট তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আর কারও যদি মনে হয় যে কয়টাই বা কালার আছে দুনিয়ায়, কি এত কঠিন তাহলে! অনুরোধ থাকবে Pantone এর লেটেস্ট কালার চার্ট টা ডাউনলোড করে একটু দেখার জন্য। তাহলেই সব কনিফিউশন দূর হয়ে যাবে।

কোন সাব্জেক্টের সাথে মিল বেশি??

নাম থেকেই বুঝা যায় কেমিস্ট্রি কত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও ক্যামিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং এর অনেক কিছুই পড়ানো হবে ডাইক্যামে কারণ কম্পোজিশন ঠিক রেখে একদম পারফেক্ট ডাই তৈরি করার জন্য ক্যামিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং এর নলেজ থাকা খুবই জরুরি।

হায়ার স্টাডিজের সুযোগ কেমন??

সাব্জেক্ট যেহেতু নতুন তাই উচ্চশিক্ষার সুযোগও সবচেয়ে বেশি এখানে। কারণ দেশে এখনও কোন ডাইক্যামের গ্র্যাজুয়েট নাই। এখান থেকে পড়াশুনা করে বাইরে স্কলারশীপ নিয়ে পড়তে যাওয়া সবচেয়ে সহজ হবে। আর ডাইক্যামে রিসার্চ করার স্কোপও এখন খোলা কারণ টেক্সটাইল ক্যামিকেল নিয়ে রিসার্চ সবসময়ই চালু থাকবে নতুন ও ভালো ক্যামিকেল প্রোডিউস করার জন্য।

জব সেক্টর কেমন??

বাংলাদেশের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় খাত এখন টেক্সটাইল ক্যামিকেল। বাইরে থেকে ক্যামিকেল আনা লাভজনক না তাই দেশেই নতুন ক্যামিকেলের ফ্যাক্টরি গড়ে উঠছে। আর এই ফ্যাক্টরি তে কাদের দরকার?? অবশ্যই ডাইক্যামের ইঞ্জিনিয়ারদের। এই সেক্টর এখন একদমই খালি তাই এখানে অনেক ইঞ্জিনিয়ার দরকার। এটা তো বললাম কয়েক বছর পরের কথা। এই মুহূর্তের কথা বলতে গেলে ক্যামিকেল মার্কেটিং হচ্ছে অন্যতম হট একটা সেক্টর। এখানেও ডাইক্যামের ইঞ্জিনিয়ারদের দরকার। আর চাইলেই ডাইক্যাম থেকে অন্য সেক্টরগুলোতেও শিফট করা সহজ যেহেতু তোমরা বুটেক্সে পড়বে।

সবার প্রতি শুভকামনা থাকবে অনেক। নিজের প্যাশন, সুবিধা, সার্বিক পরিস্থিতি সবকিছু দিয়ে বিবেচনা করেই সাব্জেক্ট চয়েস দেওয়ার পরামর্শ থাকলো। বাকিটা উপরওয়ালার হাতে।

Reviewed by & Writing Copyright
Imam Hasan Maruf
Bangladesh Univarsity Of Textile





কোন মন্তব্য নেই: