ডেনিম ওয়াশঃ স্যান্ড ব্লাস্টিং
স্যান্ড ব্লাস্টিং কি?
ডেনিম গার্মেন্টেসের একটি নির্দিষ্ট জায়গা বা ডিজাইন অনুসারে বালুর ঘর্ষণ দ্বারা রং ফেড করার মেh কানিকাল প্রক্রিয়াকে স্যান্ড ব্লাস্টিং বলে। এই প্রক্রিয়াটি ঘর্ষন ম্যাটেরিয়াল দিয়ে করা যা গুড়া বা ঝুরা আকারে থাকে। এই ম্যাটেরিয়াল হাইস্পিডে প্রেসার নজেলের মাধ্যমে গার্মেন্টস এর কুনুই বা হাটুতে স্প্রে করা হয়। এই প্রসেসে ডিমান্ড অনুসারে স্টোন ওয়াশ করে স্যান্ড ব্লাস্ট করা হয়। প্রায়ই সোডিয়াম হাইপোক্লোরেট বা পটাশিয়াম পারম্যাংগানেট এর দ্রবণ স্প্রে করা হয়। তারপর নিউট্রিলাইজড, রিঞ্জড, সফেন্ড করে নেওয়া হয়।
স্যান্ড ব্লাস্টিং করার প্রক্রিয়াঃ
১. প্রত্যেকটি গার্মেন্টস আলাদা ভাবে একটি টেবিলের উপর রাখা হয়।
২. এরপর কম্প্রেসর চালু করে ৩-৪ কেজি/(সেন্টিমিটার)২ হিসেবে প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
৩. অ্যালুমিনিয়াম স্যান্ড বা সিলিকন স্যান্ড কে স্যান্ড ব্লাস্ট মেশিনের একটি চেম্বারে দেওয়া হয়।
৪. বালু ও কম্পেসড এয়ার একটি নির্দিষ্ট জায়গায় ১০-২০০ ডিগ্রী কোণে স্প্রে পাইপকে হাতের সাহায্যে ধরা হয়।
৫. বালু রেগুলেটর পদ্ধতির মাধ্যমে মেশিনের ভিতর দিয়ে যায়।
৫. বালু রেগুলেটর পদ্ধতির মাধ্যমে মেশিনের ভিতর দিয়ে যায়।
৬. মেশিনটি ব্লাস্টিং রেগুলেটর ও হ্যান্ড রেগুলেটর দ্বারা তৈরি। যা বালু ও কম্প্রেসড এয়ারকে নিয়ন্ত্রণ করে।
৭. বালুকে কত ডিগ্রী কোণে ডেনিম গার্মেন্টস এর উপর ছাড়তে হবে তা গুরুত্বপূর্ণ। যত বেশি কোণে ডেনিম গার্মেন্টস এর উপর ব্লাস্ট করা হবে তত বেশি ইফেক্ট পরবে। তবে এর ফলে ফেব্রিক ছিড়ে যাবার প্রবণতাও বেড়ে যায়।
স্যান্ড ব্লাস্টিং এর সুফলঃ
১. এটি পুরটাই মেকানিক্যাল প্রসেস তাই কেমিকালের কোন প্রয়োজন নেই।
২. পানির প্রয়োজন নেই তাই গার্মেন্টস শুকানোরও প্রয়োজন পরে না।
৩. স্পেসাল টেকনিকের মাধ্যমে যে কোন ধরনের ডিজাইন করা যায়।
স্যান্ড ব্লাস্টিং এর কুফলঃ
১. এটি হ্যাজার্ড টেকনিক। এই প্রক্রিয়া যে জায়গায় করা হয় তা সুরক্ষিত রাখতে হবে।
২. স্যান্ড ব্লাস্টিং মেশিন ব্যাবহার করা রিস্কি। সুতরাং অপারেটরকে অবশ্যই সুরক্ষার জন্য গ্লোভস, মাস্ক, গাউন পরতে হবে।
৩. এটি শরিরের জন্য ক্ষতিকারক।
courtesy: Aivy Khan TGMA-07
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন