টেক্সটাইল টেকনলজি (INDIA)
কাপড় দু’ধরনের হয়। এক তো যেগুলি আমরা পরিধেয় হিসেবে ব্যবহার করি। এগুলি অ্যাপারেল টেক্সটাইলের অন্তর্গত। আর অন্যটি হল টেকনিক্যাল টেক্সটাইল যার মধ্যে পড়ে মেডিক্যাল টেক্সটাইল(চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের কাপড়), অ্যাগ্রো টেক্সটাইল (কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহৃত কাপড়), জিয়োটেক্সটাইল-এর মতো নানা ধরনের উন্নত মানের কাপড়। বিভিন্ন পদ্ধতির সাহায্যে নানা ধরনের কাপড় উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় টেক্সটাইল টেকনলজিস্ট বা ইঞ্জিনিয়ারদের। এই বিষয় পড়ে টেক্সটাইল মিল, এক্সপোর্ট হাউস, টেক্সটাইল ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং সংস্থা ছাড়াও খাদি, হ্যান্ডলুম, জুট তৈরির সংস্থায় চাকরি পাওয়া যায়।
রাজ্যে গভর্নমেন্ট কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেক্সটাইল টেকনলজি, বহরমপুরে (http://gcettb.org.in/) টেক্সটাইল টেকনলজিতে চার বছরের বি টেক ডিগ্রি কোর্স করা যায়।
এই একই নামের আর একটি কলেজ রয়েছে শ্রীরামপুরে (জিসিইটিটিএস, http://www.gcetts.org/)। এখানেও টেক্সটাইল টেকনলজিতে বি টেক কোর্স আছে। এই দুই প্রতিষ্ঠানের বি টেক কোর্সে ভর্তি হতে ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট্র এন্ট্রান্স পরীক্ষা দিতে হয়।
জিসিইটিটিএস-এ টেক্সটাইল টেকনলজি ছাড়াও কেমিক্যাল প্রসেসিং অব টেক্সটাইলস্-এর ওপর এম টেক করা যায়। এ ছাড়া ইনস্টিটিউট অব জুট টেকনলজিতে (www.ijtindia.org) জুট অ্যান্ড ফাইবার টেকনলজিতে বি টেক পড়ায়। টেক্সটাইল টেকনলজির সঙ্গে এর অনেক মিল রয়েছে। এ ছাড়া এখানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ এম টেকও পড়া যায়। স্পেশালাইজেশন করা যায় টেকনিক্যাল টেক্সটাইলস-এ।
রাজ্যের বাইরেও নানা প্রতিষ্ঠানে এই বিষয়ে কোর্স রয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকটির নাম এখানে দেওয়া হল।
আই আই টি দিল্লিতে (www.iitd.ac.in/) টেক্সটাইল টেকনলজিতে চার বছরের বি টেক, দু’বছরের এম টেক এবং পিএইচ ডি করা যায়।
এনআইটি, জলন্দর-এ (http://tt.nitj.ac.in/ ) এই বিষয়ে বি টেক, এম টেক ও পিএইচ ডি করা যায়।
ভিওয়ানির দ্য টেকনলজিক্যাল ইনস্টিটিউট অব টেক্সটাইল অ্যান্ড সায়েন্সেস-এ (www.titsbhiwani.org) স্নাতকস্তরে টেক্সটাইল টেকনলজি এবং টেক্সটাইল কেমিস্ট্রিতে বি টেক কোর্স রয়েছে। এর পর স্নাতকোত্তর স্তরে টেক্সটাইল টেকনলজির ওপর এম টেক করতে পারে ছেলেমেয়েরা।
কোয়েম্বাটুর-এর পিএসজি কলেজ অব টেকনলজিতে (www.psgtech.edu) এই বিষয়ে পূর্ণ সময়ের এবং পার্ট টাইমে বি টেক, এম টেক এবং পিএইচ ডি করা যায়।
উচ্চশিক্ষার সময় টেক্সটাইল টেকনলজি ছাড়াও টেক্সটাইল কেমিস্ট্রি বা কেমিক্যাল প্রসেসিং, ফাইবার টেকনলজি ওপর স্পেশালাইজেশন করা যায়। অনেক প্রতিষ্ঠানে ফ্যাশন টেকনলজি বা গার্মেন্ট টেকনলজির মতো বিষয়ে মাস্টার্স পড়ায়। টেক্সটাইল টেকনলজিতে বি টেক থাকলে এই সব কোর্সে ভর্তি হওয়া যায়। যারা স্নাতক স্তরের পর অন্য কোনও বিষয়ে স্নাতকোত্তর স্তরে পড়তে চায়, তারা আই টি, ম্যানেজমেন্ট কিংবা সফটওয়্যার নিয়ে উচ্চশিক্ষা করতে পারে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন