জিএসপি ইস্যু ( GSP)
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত বিভিন্ন দেশের ক্রেতারা জিএসপি (Generalize System of Preference) এর আওতায় বিভিন্ন দেশ থেকে পণ্য আমদানি করতে শুল্ক সুবিধা পেয়ে থাকে। বাংলাদেশ থেকে ঐসব দেশে কোন পণ্য রপ্তানি করতে রপ্তনিকারকদের তাই জিএসপি সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়। এতে বিদেশী ক্রেতারা শুল্ক সুবিধাপ্রাপ্ত (শূন্য শুল্কহার বা হ্রাসকৃত শুল্কহার) হয়ে পরবর্তীতে ঐ দেশ থেকে অধিক পণ্য ক্রয়ে উদ্বুদ্ধ হয়। ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র জিএসপি সুবিধা প্রত্যাহার করে।
নিম্নলিখিত দেশসমূহে পণ্য রপ্তানি করতে জিএসপি সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়ঃ
অষ্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, বুলগেরিয়া, সাইপ্রাস, চেক রিপাবলিক, ডেনমার্ক, এস্টোনিয়া, জার্মানী, গ্রীস, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, হাঙ্গেরী, আয়ারল্যান্ড, ইটালী, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, লান্সেমবার্গ, মাল্টা, ন্যাদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, স্পেন, সুইডেন, ইউকে প্রভৃতি।
জিএসপি সার্টিফিকেট ইস্যুর জন্য ব্যবসায়ীদের যেসব কাগজপত্র দাখিল করতে হয় তার বিবরন নিম্নরূপঃ
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
১. দরখাস্ত ফরম (ইপিবি কর্তৃক সরবরাহকৃত)
২. ২০০ টাকার পে-অর্ডার
৩. ক্যাশ অঙ্গীকারপত্র (ইপিবি কর্তৃক সরবরাহকৃত)
৪. দরখাস্তকারী স্বাক্ষরিত জিএসপি সেট
৫. অঙ্গীকারপত্রের ফটোকপি
৬. ইনরোলমেন্ট সার্টিফিকেট (বর্তমান)
৭. আই ডি কার্ড
৮. কর্মাশিয়াল ইনভয়েস
৯. নন-নেগোশিয়েবল বিল অব লেডিং
১০. ব্যাংক সার্টিফিকেট (ফটোকপি)
১১. বেনিফিশারি সার্টিফিকেট (ফটোকপি)
১২. বিটিএমএ সার্টিফিকেট (ফটোকপি)
১৩. জিপি-২ (ফটোকপি)
১৪. ডেলিভারি (ফটোকপি)
১৫. বিকেএমইএ প্রোডাকশন সার্টিফিকেট (কেবল নিট -এর ক্ষেত্রে)
১৬. এক্সপোর্ট এল সি (ফটোকপি)
১৭. ব্যাক টু ব্যাক এল সি
১৮. ইউডি
১৯. শিপিং বিল (ফটোকপি)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন