গার্মেন্টসের কিছু গুরুত্বপূর্ণ টেস্ট এবং টেস্টিং প্রসিডিউর | Textile Testing - Textile Lab | Textile Learning Blog
 গার্মেন্টস এর ফেব্রিক এর কিছু টেস্টিং এর নিয়ম এবং প্রসিডিউর

১.  SOP ফর ফেব্রিক স্রিঙ্কেজ টেস্ট

প্রয়োজনীয়তাঃ
ফেব্রিক মিলে ফেব্রিক তৈরী বা বুননের সময়ে পরস্পর দুইটি ইয়ান এর মধ্যে ফাকা থাকে এবং ইয়ারন এর সঙ্গে সাব ইয়ারন থাকে। ওয়াস করার পরে দুই ইয়ারন এর মধ্যবতি দুরত্ত্ব এবং সাব ইয়ারন গুলো দূর হয়ে যায়।  এই কারনে গামেন্টস ওয়াস করার পরে মেজারমেন্ট কম-বেশী হয়ে যেতে পারে। এই ধরণের সমস্যার পূব প্রস্তুতির জন্যে  ফেব্রিক স্রিঙ্কেজ টেস্ট করা প্রয়োজন।

স্যাম্প্যলিং পদ্ধতিঃ
রিসিভ কোয়ান্টিটির ১০% প্রত্যেক কালার হতে রেশিও অনুযায়ী স্যাম্পল নিতে হবে।

স্রিঙ্কেজ টেস্ট পদ্ধতিঃ
  ওয়াস গারমেন্টস এর ক্ষেত্রে ৫০cm X ৫০cm পরিমাপে নিদিস্ট পরিমাপকৃত ট্যাম্প্যালেট এর সাহায্যে মাক করে নিতে হবে। এরপর ওয়াস রেসিপি অনুযায়ী ওয়াস করতে হবে এর পর মেজারমেন্ট চেক করে স্রিঙ্কেজ এর পরিমাপ পারসেন্টেজ অনুসারে বের করতে হবে।  
   নন-ওয়াস গামেন্ট এর ক্ষেত্রে ৫০cm X ৫০cm পরিমাপে নিদিস্ট পরিমাপকৃত ট্যাম্প্যালেট এর সাহায্যে মাক করে নিতে হবে। এরপর দুই মিনিট ধরে স্টিম দিয়ে স্বাভাবিক অবস্হায়, মেজারমেন্ট চেক করে স্রিঙ্কেজ এর পরিমাপ পারসেন্টেজ অনুসারে বের করতে হবে।   

রেজাল্ট নির্ধারণঃ
  ওভেন ফেব্রিকের ক্ষেত্রে স্রিঙ্কেজ পারসেন্টেজ (+/-)৩ হলে রেজাল্ট পাস হবে।(+/-)৩ এর বেশী হলে রেজাল্ট ফেইল হবে।



২. SOP ফর কাট প্যানেল চেক

প্রয়োজনীয়তাঃ
  ফেব্রিক সংক্রান্ত ডিফেক্ট এর কারনে একটি পোষাক তৈ্রী করার পর যাতে বাতিল বা রিজেক্ট না হয়, এ কারনে কাট প্যানেল বা ফেব্রিক কম্পনেন্ট চেক করা দরকার।

পদ্ধতিঃ

·    প্যানেল চেক করার পূবে উক্ত অডার ও স্টাইল সম্পকে পরিস্কার ধারনা থাকতে হবে।

·    ফেব্রিক ইনেস্পেকশনে প্রাপ্ত ডিফেক্ট সম্পকে বিস্তারিত ধারনা থাকতে হবে।

·    কাটিং পাট এর গায়ে লিখিত সাইজ অনুযায়ী প্যাটান এর সাথে মিলিয়ে দেখতে সাইজ সঠিক আছে কি-না।

·    টপ,মিডল,বটম থেকে প্যানেল বের করে পরিক্ষা করে সেড এবং প্যটান অনুযায়ী সাইজ ঠিক আছে কি-না।

·    মাকার পেপারে স্টাইল অনুযায়ী যে নচ মাক,ড্রিল মাক আছে, তা কাট-প্যানেলে হয়েছে কিনা তা চেক করতে হবে।

·    পকেট পজিশন,ডাট পজিশন সঠিক হয়েছে কিনা মেপে পরিক্ষা করতে হবে।

·    সিলিভ প্লাকেট ওপেনিং সঠীক আছে কি-না মেজামেন্ট করে দেখতে হবে।

·    স্টাইপ বা চেক ফেব্রিক এর ক্ষেত্রে যদি চেক ম্যাচ ও কাটিং লাইন থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে।

·    আপার,লয়ার ফ্রন্ট এর সাথে ব্যাক এর সাইড সিম মিলিয়ে দেখতে হবে।

·    দুই ফ্রন্ট এর সোল্ডার মিলিয়ে দেখতে হবে সমান আছে কি-না।

·    ইয়ক এর টপ-ইন পেয়ার মিলিয়ে ব্যান্ড নাইফ এর হাড প্যাটন দিয়ে মেপে দেখতে হবে সমান আছে কি-না।

·    প্রট্যেকটি ডিফেক্ট পাটস আলাদা করতে হবে এবং রেজিস্টারে লিখতে হবে।     



৩.  SOP কাটিং বান্ডিল কন্ট্রোল

প্রয়োজনীয়তাঃ
কাটিং করার পর কাটিং কম্পোনেন্ট আলাদা আলাদা ভাবে বান্ডিল করা আবশ্যক। তাই বান্ডিল করার পূবে তা একটি বান্ডিল কাড দ্বারা নিয়ন্ত্রণ কুরতে হবে।বান্ডিল কাড ব্যাতিত একটি বান্ডিল মূল্যহীন।নিম্নে একটি আদশ বান্ডিল কাডের বিস্তারিত বিষয় বণনা করা হল।
১।অডার নাম্বার 
২।বান্ডিল নাম্বার
৩।কাটিং নাম্বার
৪।সাইজ
৫।পরিমাণ
৬।সিরিয়াল নাম্বার
৭।ডাইলট নাম্বার
৮।বান্ডিল পারসেস নাম্বার

পদ্ধতিঃ

·      বান্ডিল এর কম্পোনেন্ট এর সংখ্যা স্টেন্ডার্ড ৩০ পিচ হতে হবে।

·      বান্ডিল কাড লাইট হতে হবে।

·      বান্ডিল কম্পোনেন্ট সিরিয়াল কার্ডের সাথে থাকতে হবে।




৪. SOP ফর ফেব্রিক কালার কন্টিউনিটি কন্ট্রোল
প্রয়োজনীয়তাঃ
ফেব্রিক ডাইং করার সময় লটের ভিন্নতার কারনে কালার সেডিং বা একই রঙের মধ্যে তারতম্য দেখা যায়। কালার কন্টিউনিটি কাড করা হলে একই রঙের মধ্যে কতগুলো সেড রয়েছে তা সহজেই নিণয় করা যায়।এ ছাড়াও ফেব্রিক রোল ওয়াইজ যে সেড এর ভিন্নতা রয়েছে তা স্পস্ট ভাবে জানার জন্য কালার কন্টিউনিটি কন্ট্রোল করা প্রয়োজন।

পদ্ধতিঃ
চেক ফেব্রিকের  ক্ষেত্রে রিসিভ কোয়ান্টিটির ১০% হারে র‌্যানডম স্যাম্পল সিলেকসন করে কালার কন্টিউনিটি কাড তেরী করতে হবে।যদি সেড ভেরিয়েশন থাকে সেক্ষেত্রে ১০০% ফেব্রিক রোল থেকে কালার কন্টিউনিটি কাড তেরী করতে হবে।
সলিড ফেব্রিকের ক্ষেত্রে ১০০% ফেব্রিক রোল থেকে কালার কন্টিউনিটি কাড তেরী করতে হবে।
  সকল অথবা নিধারিত ফেব্রিকরোল (৪’’x ৪”) ইঞ্চি পরিমাপে ফেব্রিক সোয়াচ কেঁটে নিয়ে, কালার কন্টিউনিটি কাড তেরী করতে হবে।   



৫. SOP ফর এক্সেসরিস আইটেম ইনেস্পেকস

প্রয়োজনীয়তাঃ
এক্সেসরিস, গার্মেন্টস তৈরী ও রপ্তানীর ক্ষেত্রে গুরুত্ত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন করে। এক্সেসরিস রিসিভ করার পর কোয়ালিটি যাচাই করে ব্যাবহার করতে হবে অন্যথায়, শুধুমাত্র এক্সেসরিস ডিফেক্ট এর কারনে মুল্যবান গার্মেন্টস রিজেক্ট হয়ে যেতে পারে। এযাতীয় ক্ষতির আশঙ্কা থেকে নিরাপদে থাকার জন্য এক্সেসরিস ইনেস্পেকসন করা প্রয়োজন।

  পদ্ধতিঃ
এক্সেসরিস আইটেম ইনেস্পেকসনের জন্য রিসিভ কোয়ান্টিটির ১০% স্যাম্পল হিসাবে নিতে হবে। এক্সেসরিস এর ভিন্নতার কারনে এর ইনেস্পেকসন পদ্ধ্বতির ও পার্থক্য রয়েছে।
স্বাদৃশ্ব্য নির্ণয়- বায়ার কাস্টমার কতৃক এ্যপ্রুভ এক্সেসরিস এর সাথে রিসিভ এক্সেসরিস এর মিল থাকতে হবে।





কালার ফাস্টনেস টেস্ট -
এক্সেসরিস আইটেম ওয়াস করে কালার ফাস্টনেস পরীক্ষা করা হয়।
স্রিংঙ্কেজ টেস্ট- যে ফেব্রিকের সঙ্গে এক্সেসরিস ব্যাবহার করা হবে সেই আনুপাতিক হারে এক্সেসরিসের স্রিঙ্কেজ হার রয়েছে কিনা তা টেস্ট করে দেখতে হবে।
রাস্ট টেস্ট,ম্যাগনেটিক টেস্ট,ফেরাস টেস্ট,নিকেল টেস্ট -মেটাল যাতীয় এক্সেসরিস আইটেম এর ক্ষেত্রে এই টেস্টগুলো করতে হবে।

স্ক্যানিং টেস্ট-
কোন এক্সেসরিস আইটেম এ বারকোড থাকলে স্কানিং করে পরিক্ষা করতে হবে।



ফিজিক্যাল ক্যারাস্টারিস্টিক টেস্টঃ
ভিজ্যুয়ালি একটি এক্সেসরিস আইটেম গঠন গত ভাবে আকার আকৃ্তীর দিক দিয়ে সঠিক কি-না পরিক্ষা করে দেখতে হবে।

প্রত্যেকটি এক্সেসরিস আইটেম এর ক্ষেত্রে ডিফেক্টের এর পরিমান ১% এর বেশী হলে এক্সেসরিস এর লটটি ফেইল বলে গন্য হবে।
কোন রেজাল্ট ফেইল হলে মার্চেন্ডাইজার, এবং ডিরেক্টর মার্কেটিং এন্ড কিউ,এ এর পরামর্শে ব্যাবস্থ্যা গ্রহন করা হয়।



৬. SOP ফর  বেন্ড কাটিং

প্রয়োজনীয়তাঃ
একটি গার্মেন্টস এর বিষেশ কিছু ছোট পার্টস রয়েছে যা সাধারণ স্ট্রাইট নাইফ দ্বারা কাটিং করে প্রকৃত সেপে তৈরী করা সম্ভব হয়না। কোয়ালিটি সম্পন্ন সেপ দেয়ার জন্য ব্যান্ড নাইফে কাটিং করা প্রয়োজন।

পদ্ধতি:
ফেব্রিকের ধরণ অনুযায়ী পরিমাপ মত উচ্চতা রেখে ব্যান্ড নাইফ দ্বারা কাটিং করতে হবে,নিম্নে ফেব্রিকের অনুযায়ী উচ্চতার পরিমাপ দেয়া হল।
লিলেন ০.৩/৪ ইঞ্চি
টিসি/কটন ০১ ইঞ্চি
কটন স্পানডেক্স (সলিড) ০১ ইঞ্চি
কটন স্পানডেক্স (চেক/স্ট্রাইপ) ৩/৪ ইঞ্চি
অক্সফোর্ড (সলিড)০.৩/৪ ইঞ্চি
অক্সফোর্ড (চেক/স্ট্রাইপ)০.১/২ ইঞ্চি
টুইল কটন (সলিড)০.৩/৪ ইঞ্চি
টুইল কটন(চেক/স্ট্রাইপ) ০.১/২ ইঞ্চি
কর্ডয়র ০.৩/৪ ইঞ্চি
ডেনিম(সফট)  ০১ ইঞ্চি
ডেনিম(হার্ড)  ০.১/২ ইঞ্চি



৭. SOP ফর স্টিকার বা বারকোড চেকিং BARCODE STICKER SCANER
বার কোড স্টিকার ইনেস্পেকসনের সময় রিসিভ কোয়ান্টিটির ১০% ইনেস্পেকসন ও স্ক্যান করতে হবে।  যদি ডিফেক্ট ১% এর বেশী হয়  তবে উক্ত বার কোড স্টিকার ফেইল  বলে গন্য হবে। ্কোন রেজাল্ট ফেইল হলে মার্চেন্ডাইজার, এবং ডিরেক্টর মার্কেটিং এন্ড কিউ,এ এর পরামর্শে ব্যাবস্থ্যা গ্রহন করা হয়।






গার্মেন্টসের কিছু গুরুত্বপূর্ণ টেস্ট এবং টেস্টিং প্রসিডিউর | Textile Testing

 গার্মেন্টস এর ফেব্রিক এর কিছু টেস্টিং এর নিয়ম এবং প্রসিডিউর

১.  SOP ফর ফেব্রিক স্রিঙ্কেজ টেস্ট

প্রয়োজনীয়তাঃ
ফেব্রিক মিলে ফেব্রিক তৈরী বা বুননের সময়ে পরস্পর দুইটি ইয়ান এর মধ্যে ফাকা থাকে এবং ইয়ারন এর সঙ্গে সাব ইয়ারন থাকে। ওয়াস করার পরে দুই ইয়ারন এর মধ্যবতি দুরত্ত্ব এবং সাব ইয়ারন গুলো দূর হয়ে যায়।  এই কারনে গামেন্টস ওয়াস করার পরে মেজারমেন্ট কম-বেশী হয়ে যেতে পারে। এই ধরণের সমস্যার পূব প্রস্তুতির জন্যে  ফেব্রিক স্রিঙ্কেজ টেস্ট করা প্রয়োজন।

স্যাম্প্যলিং পদ্ধতিঃ
রিসিভ কোয়ান্টিটির ১০% প্রত্যেক কালার হতে রেশিও অনুযায়ী স্যাম্পল নিতে হবে।

স্রিঙ্কেজ টেস্ট পদ্ধতিঃ
  ওয়াস গারমেন্টস এর ক্ষেত্রে ৫০cm X ৫০cm পরিমাপে নিদিস্ট পরিমাপকৃত ট্যাম্প্যালেট এর সাহায্যে মাক করে নিতে হবে। এরপর ওয়াস রেসিপি অনুযায়ী ওয়াস করতে হবে এর পর মেজারমেন্ট চেক করে স্রিঙ্কেজ এর পরিমাপ পারসেন্টেজ অনুসারে বের করতে হবে।  
   নন-ওয়াস গামেন্ট এর ক্ষেত্রে ৫০cm X ৫০cm পরিমাপে নিদিস্ট পরিমাপকৃত ট্যাম্প্যালেট এর সাহায্যে মাক করে নিতে হবে। এরপর দুই মিনিট ধরে স্টিম দিয়ে স্বাভাবিক অবস্হায়, মেজারমেন্ট চেক করে স্রিঙ্কেজ এর পরিমাপ পারসেন্টেজ অনুসারে বের করতে হবে।   

রেজাল্ট নির্ধারণঃ
  ওভেন ফেব্রিকের ক্ষেত্রে স্রিঙ্কেজ পারসেন্টেজ (+/-)৩ হলে রেজাল্ট পাস হবে।(+/-)৩ এর বেশী হলে রেজাল্ট ফেইল হবে।



২. SOP ফর কাট প্যানেল চেক

প্রয়োজনীয়তাঃ
  ফেব্রিক সংক্রান্ত ডিফেক্ট এর কারনে একটি পোষাক তৈ্রী করার পর যাতে বাতিল বা রিজেক্ট না হয়, এ কারনে কাট প্যানেল বা ফেব্রিক কম্পনেন্ট চেক করা দরকার।

পদ্ধতিঃ

·    প্যানেল চেক করার পূবে উক্ত অডার ও স্টাইল সম্পকে পরিস্কার ধারনা থাকতে হবে।

·    ফেব্রিক ইনেস্পেকশনে প্রাপ্ত ডিফেক্ট সম্পকে বিস্তারিত ধারনা থাকতে হবে।

·    কাটিং পাট এর গায়ে লিখিত সাইজ অনুযায়ী প্যাটান এর সাথে মিলিয়ে দেখতে সাইজ সঠিক আছে কি-না।

·    টপ,মিডল,বটম থেকে প্যানেল বের করে পরিক্ষা করে সেড এবং প্যটান অনুযায়ী সাইজ ঠিক আছে কি-না।

·    মাকার পেপারে স্টাইল অনুযায়ী যে নচ মাক,ড্রিল মাক আছে, তা কাট-প্যানেলে হয়েছে কিনা তা চেক করতে হবে।

·    পকেট পজিশন,ডাট পজিশন সঠিক হয়েছে কিনা মেপে পরিক্ষা করতে হবে।

·    সিলিভ প্লাকেট ওপেনিং সঠীক আছে কি-না মেজামেন্ট করে দেখতে হবে।

·    স্টাইপ বা চেক ফেব্রিক এর ক্ষেত্রে যদি চেক ম্যাচ ও কাটিং লাইন থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে।

·    আপার,লয়ার ফ্রন্ট এর সাথে ব্যাক এর সাইড সিম মিলিয়ে দেখতে হবে।

·    দুই ফ্রন্ট এর সোল্ডার মিলিয়ে দেখতে হবে সমান আছে কি-না।

·    ইয়ক এর টপ-ইন পেয়ার মিলিয়ে ব্যান্ড নাইফ এর হাড প্যাটন দিয়ে মেপে দেখতে হবে সমান আছে কি-না।

·    প্রট্যেকটি ডিফেক্ট পাটস আলাদা করতে হবে এবং রেজিস্টারে লিখতে হবে।     



৩.  SOP কাটিং বান্ডিল কন্ট্রোল

প্রয়োজনীয়তাঃ
কাটিং করার পর কাটিং কম্পোনেন্ট আলাদা আলাদা ভাবে বান্ডিল করা আবশ্যক। তাই বান্ডিল করার পূবে তা একটি বান্ডিল কাড দ্বারা নিয়ন্ত্রণ কুরতে হবে।বান্ডিল কাড ব্যাতিত একটি বান্ডিল মূল্যহীন।নিম্নে একটি আদশ বান্ডিল কাডের বিস্তারিত বিষয় বণনা করা হল।
১।অডার নাম্বার 
২।বান্ডিল নাম্বার
৩।কাটিং নাম্বার
৪।সাইজ
৫।পরিমাণ
৬।সিরিয়াল নাম্বার
৭।ডাইলট নাম্বার
৮।বান্ডিল পারসেস নাম্বার

পদ্ধতিঃ

·      বান্ডিল এর কম্পোনেন্ট এর সংখ্যা স্টেন্ডার্ড ৩০ পিচ হতে হবে।

·      বান্ডিল কাড লাইট হতে হবে।

·      বান্ডিল কম্পোনেন্ট সিরিয়াল কার্ডের সাথে থাকতে হবে।




৪. SOP ফর ফেব্রিক কালার কন্টিউনিটি কন্ট্রোল
প্রয়োজনীয়তাঃ
ফেব্রিক ডাইং করার সময় লটের ভিন্নতার কারনে কালার সেডিং বা একই রঙের মধ্যে তারতম্য দেখা যায়। কালার কন্টিউনিটি কাড করা হলে একই রঙের মধ্যে কতগুলো সেড রয়েছে তা সহজেই নিণয় করা যায়।এ ছাড়াও ফেব্রিক রোল ওয়াইজ যে সেড এর ভিন্নতা রয়েছে তা স্পস্ট ভাবে জানার জন্য কালার কন্টিউনিটি কন্ট্রোল করা প্রয়োজন।

পদ্ধতিঃ
চেক ফেব্রিকের  ক্ষেত্রে রিসিভ কোয়ান্টিটির ১০% হারে র‌্যানডম স্যাম্পল সিলেকসন করে কালার কন্টিউনিটি কাড তেরী করতে হবে।যদি সেড ভেরিয়েশন থাকে সেক্ষেত্রে ১০০% ফেব্রিক রোল থেকে কালার কন্টিউনিটি কাড তেরী করতে হবে।
সলিড ফেব্রিকের ক্ষেত্রে ১০০% ফেব্রিক রোল থেকে কালার কন্টিউনিটি কাড তেরী করতে হবে।
  সকল অথবা নিধারিত ফেব্রিকরোল (৪’’x ৪”) ইঞ্চি পরিমাপে ফেব্রিক সোয়াচ কেঁটে নিয়ে, কালার কন্টিউনিটি কাড তেরী করতে হবে।   



৫. SOP ফর এক্সেসরিস আইটেম ইনেস্পেকস

প্রয়োজনীয়তাঃ
এক্সেসরিস, গার্মেন্টস তৈরী ও রপ্তানীর ক্ষেত্রে গুরুত্ত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন করে। এক্সেসরিস রিসিভ করার পর কোয়ালিটি যাচাই করে ব্যাবহার করতে হবে অন্যথায়, শুধুমাত্র এক্সেসরিস ডিফেক্ট এর কারনে মুল্যবান গার্মেন্টস রিজেক্ট হয়ে যেতে পারে। এযাতীয় ক্ষতির আশঙ্কা থেকে নিরাপদে থাকার জন্য এক্সেসরিস ইনেস্পেকসন করা প্রয়োজন।

  পদ্ধতিঃ
এক্সেসরিস আইটেম ইনেস্পেকসনের জন্য রিসিভ কোয়ান্টিটির ১০% স্যাম্পল হিসাবে নিতে হবে। এক্সেসরিস এর ভিন্নতার কারনে এর ইনেস্পেকসন পদ্ধ্বতির ও পার্থক্য রয়েছে।
স্বাদৃশ্ব্য নির্ণয়- বায়ার কাস্টমার কতৃক এ্যপ্রুভ এক্সেসরিস এর সাথে রিসিভ এক্সেসরিস এর মিল থাকতে হবে।





কালার ফাস্টনেস টেস্ট -
এক্সেসরিস আইটেম ওয়াস করে কালার ফাস্টনেস পরীক্ষা করা হয়।
স্রিংঙ্কেজ টেস্ট- যে ফেব্রিকের সঙ্গে এক্সেসরিস ব্যাবহার করা হবে সেই আনুপাতিক হারে এক্সেসরিসের স্রিঙ্কেজ হার রয়েছে কিনা তা টেস্ট করে দেখতে হবে।
রাস্ট টেস্ট,ম্যাগনেটিক টেস্ট,ফেরাস টেস্ট,নিকেল টেস্ট -মেটাল যাতীয় এক্সেসরিস আইটেম এর ক্ষেত্রে এই টেস্টগুলো করতে হবে।

স্ক্যানিং টেস্ট-
কোন এক্সেসরিস আইটেম এ বারকোড থাকলে স্কানিং করে পরিক্ষা করতে হবে।



ফিজিক্যাল ক্যারাস্টারিস্টিক টেস্টঃ
ভিজ্যুয়ালি একটি এক্সেসরিস আইটেম গঠন গত ভাবে আকার আকৃ্তীর দিক দিয়ে সঠিক কি-না পরিক্ষা করে দেখতে হবে।

প্রত্যেকটি এক্সেসরিস আইটেম এর ক্ষেত্রে ডিফেক্টের এর পরিমান ১% এর বেশী হলে এক্সেসরিস এর লটটি ফেইল বলে গন্য হবে।
কোন রেজাল্ট ফেইল হলে মার্চেন্ডাইজার, এবং ডিরেক্টর মার্কেটিং এন্ড কিউ,এ এর পরামর্শে ব্যাবস্থ্যা গ্রহন করা হয়।



৬. SOP ফর  বেন্ড কাটিং

প্রয়োজনীয়তাঃ
একটি গার্মেন্টস এর বিষেশ কিছু ছোট পার্টস রয়েছে যা সাধারণ স্ট্রাইট নাইফ দ্বারা কাটিং করে প্রকৃত সেপে তৈরী করা সম্ভব হয়না। কোয়ালিটি সম্পন্ন সেপ দেয়ার জন্য ব্যান্ড নাইফে কাটিং করা প্রয়োজন।

পদ্ধতি:
ফেব্রিকের ধরণ অনুযায়ী পরিমাপ মত উচ্চতা রেখে ব্যান্ড নাইফ দ্বারা কাটিং করতে হবে,নিম্নে ফেব্রিকের অনুযায়ী উচ্চতার পরিমাপ দেয়া হল।
লিলেন ০.৩/৪ ইঞ্চি
টিসি/কটন ০১ ইঞ্চি
কটন স্পানডেক্স (সলিড) ০১ ইঞ্চি
কটন স্পানডেক্স (চেক/স্ট্রাইপ) ৩/৪ ইঞ্চি
অক্সফোর্ড (সলিড)০.৩/৪ ইঞ্চি
অক্সফোর্ড (চেক/স্ট্রাইপ)০.১/২ ইঞ্চি
টুইল কটন (সলিড)০.৩/৪ ইঞ্চি
টুইল কটন(চেক/স্ট্রাইপ) ০.১/২ ইঞ্চি
কর্ডয়র ০.৩/৪ ইঞ্চি
ডেনিম(সফট)  ০১ ইঞ্চি
ডেনিম(হার্ড)  ০.১/২ ইঞ্চি



৭. SOP ফর স্টিকার বা বারকোড চেকিং BARCODE STICKER SCANER
বার কোড স্টিকার ইনেস্পেকসনের সময় রিসিভ কোয়ান্টিটির ১০% ইনেস্পেকসন ও স্ক্যান করতে হবে।  যদি ডিফেক্ট ১% এর বেশী হয়  তবে উক্ত বার কোড স্টিকার ফেইল  বলে গন্য হবে। ্কোন রেজাল্ট ফেইল হলে মার্চেন্ডাইজার, এবং ডিরেক্টর মার্কেটিং এন্ড কিউ,এ এর পরামর্শে ব্যাবস্থ্যা গ্রহন করা হয়।






কোন মন্তব্য নেই: