টি-শার্ট - T-shirt - Tee Shirt এর পুর্নাঙ্গ ইতিহাস - Textile Lab | Textile Learning Blog
টি-শার্ট  - T-shirt - Tee Shirt

টি-শার্ট (ইংরেজিতে — T-shirt বা Tee Shirt) হচ্ছে এক প্রকার শার্ট , যা ঘাড়ের অংশ থেকে দেহের ওপরাংশে কোমর পর্যন্ত বেশিরভাগ স্থানকে ঢেকে রাখে । ইংরেজি ‘টি’ (T) আকৃতির ন্যায় দেখতে, তাই এ পোশাকটির নাম টি-শার্ট হয়েছে। টি-শার্টে সাধারণত কোনো বোতাম বা কলার থাকে না । সচারচর এটি হয় গোলাকার ও খাটো হাতাযুক্ত । যদিও কিছু ক্ষেত্রে মানুষ ভুলবশত খাটো হাতাযুক্ত যে-কোনো শার্ট বা ব্লাউজকেই টি-শার্ট ভেবে ভুল করে ।




পোলো শার্ট বা অন্যান্য কলারযুক্ত শার্ট প্রকৃতপক্ষে টি-শার্ট নয় । কারণ এ ধরনের শার্টের হাতা কাঁধের পাশ দিয়ে সামান্য একটু বাড়তি থাকে, এবং খাটো হাতার ক্ষেত্রে তা কনুই পর্যন্ত হতে পারে । টি-শার্ট সাধারণত তুলা বা পলিয়েস্টার দ্বারা তৈরি হয় । কিছুক্ষেত্রে উভয় উপাদান মিশ্রিত সুতা দ্বারাও টি-শার্ট তৈরি হয় । এ দুইয়ের মিশ্রণে জার্সি ধরনের সেঁলাই করার ফলে টি-শার্ট আরো কোমল ও আরামদায়ক হয়ে ওঠে । কিছু ক্ষেত্রে টি-শার্ট ডিজাইনে সামনে কিংবা পেছনে কিংবা উভয় পার্শ্বেই ছবি, বাণী, কার্টুন চিত্র প্রভৃতি ব্যবহৃত হয় । এছাড়া বিজ্ঞাপন হিসেবে প্রচারের ক্ষেত্রেও এ ধরনের শার্টের ভূমিকা আছে


ঊনবিংশ শতাব্দীর দিকে প্রথম টি-শার্ট এর চল শুরু হয় অন্তর্বাস হিসেবে । যারা খনি উত্তলন শ্রমিক বা জাহাজঘাটে কুলি হিসেবে কাজ করত গরম পরিবেশের কারণে এই ধরনের পোশাকের ব্যাবহার তাদের থেকেই মূলত শুরু হয় । ১৮৯৮ এ স্পেন-আমেরিকা যুদ্ধের সময় এর প্রচলন লক্ষনীয় ছিল ।


১৯১৩ এর দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নৌবাহিনী তাদের অন্তর্বাস হিসেবে ছোট হাতা বিশিষ্ট সাদা সুতি টি-শার্ট এর ব্যাবহার শুরু করে অন্তর্বাস হিসেবে , যা তারা ইউনিফরম এর নিচে পরত । পরে অবশ্য এই ধরনের টি-শার্ট এর ব্যাবহার নাবিকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠে । শীঘ্রই কৃষিসহ বিভিন্ন শিল্পের শ্রমিকদের জন্য এই পোশাক এর কদর বেড়ে যায় । কারন এগুলো সস্তা ও সহজে পরিষ্কারযোগ্য ছিল । আর সেই কারণে তা তরুণদের জন্য পছন্দের শার্ট হয়ে ওঠে । তাই এগুলোর নাম দেওয়া হয় ‘বয়েজ শার্ট’ যা বিভিন্ন রং ও নকশা দিয়ে তৈরি করা হয় ।

১৯২০ সালে আমেরিকায় এর ব্যাপক ব্যাবহার এর জন্য টি-শার্ট শব্দটি মেরিয়াম-ওয়েবস্টার অভিধানে স্থান করে নেয় । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সৈন্যরা দৈনন্দিন জীবনে টি-শার্ট পরতে পছন্দ করা শুরু করে । আর তখন থেকে আরো বেশি মানুষ প্রকাশ্য স্থানে টি-শার্ট পরতে শুরু করে । ২০ শতাব্দীর ৬০’র দশকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথাগত ঐতিহ্যের বিরোধিতা করার গতিপ্রবাহ দেখা যায় । এর সঙ্গে সঙ্গে রক সঙ্গীত, মাদক দ্রব্য সেবন তরুণ-তরুণীদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠে । এসময় একেবারে সাদা রং-এর টি-শার্ট তাদের বিদ্রোহী মনোভাবের মর্ম বর্ণনা করতে ব্যর্থ হয় ।


টেক্সটাইল প্রিন্টিং প্রযুক্তি উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন ধরণের স্লোগান এবং তরুণ-তরুণীদের আদর্শের ছবি ছাপানো এমন টি-শার্ট তাদের মধ্যে আরো জনপ্রিয় হয়ে উঠে । বিশেষ করে রক সঙ্গীত ভক্তদের মধ্যে । স্ক্রিন প্রিন্ট করা টি-শার্ট পণ্য বিপণন-বাজারজাতকরণে বিজ্ঞাপন হিসেবে ব্যবহার হয় । ১৯৭০-এর দশক থেকে কোকা-কোলা ও মিকি মাউসের মতো পণ্যের বাজারজাতকরণে বিজ্ঞাপন হিসেবে টি-শার্ট ব্যবহৃত হয়ে আসছে ।


১৯৯০-এর দশক থেকেই কোম্পানিগুলো তাদের পণ্য ও কোম্পানির বিজ্ঞাপনে পণ্যের ছবি, লোগো এবং বাণিজ্যিক স্লোগানযুক্ত টি-শার্ট তৈরি ও বিপণন করা শুরু করে। এটি ছিলো তাদের প্রচারণার একটি অংশ । ১৯৮০-এর দশক থেকে ব্যক্তিগত ভাবাবেগ প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে টি-শার্টের ব্যাপক ব্যবহার হয়ে আসছে । ১৯৮০-এর দশকে ডিজাইনার ক্যাথরিন হ্যামনেট বড় করে স্লোগান ছাপানো টি-শার্টের ডিজাইন করা শুরু করেন ।

২০০০-এর দশকে স্লোগান সমৃদ্ধ টি-শার্টের প্রচলন শুরু হয়। এছাড়াও হাস্যরসাত্মক বার্তাবাহী টি-শার্টের প্রচলনও শুরু হয় । এই দশকের শেষে এসে এর জনপ্রিয়তা আরো বাড়ে । কারণ, ব্রিটনি স্পিয়ার্স ও প্যারিস হিলটনের মতো শীর্ষতারকা ব্যক্তিত্বরা এ ধরনের টি-শার্ট ব্যবহার করা শুরু করেন। বিভিন্ন সামাজিক এবং রাজনৈতিক বার্তাও টি-শার্টে স্থান পেতে শুরু করে । ২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় বিখ্যাত শিল্পীরা বিশেষ করে ওবামার জন্য নির্বাচনের পোস্টার তৈরি করেন এবং এর ভিত্তিতে নির্বাচনের টি-শার্টও ডিজাইন করেন । গত শতাব্দীর ৮০ ও ৯০’র দশকে চীনে টি-শার্টের প্রচলন শুরু হয় । আর তখন লোকেরা এ পোশাকটিকে টি-শার্ট না বলে, একে “সাংস্কৃতিক কাপড়” বলতেন । কারণ এর ওপর বিভিন্ন শব্দ বা অক্ষর ছাপানো যায় এবং এর মাধ্যমে নিজের চরিত্র ও বৈচিত্র তুলে ধরা যায় ।


২০০০ সালের দিকে চীনের আধুনিক তরুণ-তরুণীরা বিশেষভাবে চীনের সাবেক নেতার ছবি আছে এমন টি-শার্টকে অনেক পছন্দ করতেন । যেমন চীনের সাবেক প্রেসিডেন্ট মাও সে তুং প্রমুখ নেতার ছবি । ২০০৮ সালে বেইজিংয়ে অলিম্পিক গেমস আয়োজিত হয় । আর তখন রাস্তার সব জায়গায় দেখা যায় ২০০৮ বেইজিং অলিম্পিক গেমস এমন শব্দ ছাপানো সব টি-শার্ট । লোকেরা মনে করেন, বেইজিং সাফল্যের সঙ্গে অলিম্পিক গেমস আয়োজনের অধিকার পেয়েছে এবং সেবার অলিম্পিক গেমস সফলও হয় । এটি খুব গর্বের ব্যাপার ।

 লোকেরা নিজ দেশের প্রতি ভালোবাসার অনুভূতি প্রকাশের জন্য টি-শার্টে ‘ আই লাভ চীনা’ এমন শব্দ ব্যবহার করেন । আর একই বছরের মে মাসে চীনের সি ছুয়ান প্রদেশের ওয়েন ছুয়ান জেলায় রিকটার স্কেলে ৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে । সে সময় সারা চীন এ ছোট জেলাকে সাহায্য করার জন্য কাজ করে । সাধারণ লোকেরা সেখানকার মানুষকে সমর্থন এবং উত্সাহ দেবার জন্য টি-শার্টে ‘কাম ওয়ান, ওয়েনছুয়ান’ এমন শব্দ ব্যবহার করে এবং এমন টি-শার্ট পড়ে সেখানে গিয়ে উদ্ধার ও ত্রাণ কাজে অংশ নেন ।



বলা যায়, টি-শার্ট শুধু এক রকমের পোশাকই নয়, চীনারা তার মাধ্যমে নিজের অনুভূতি বর্ণনা করেন । তা থেকে বর্তমানে চীনের সংস্কৃতি, চীনের চলমান গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, সব কিছুই জানা যায় । সারা বিশ্বে আজ টি-শার্ট এর ব্যাবহার তুঙ্গে । প্রিয় পোশাক গুলোর ভেতরে খুব আঁটসাঁট জায়গা করে নিয়েছে টি-শার্ট ।

লেখক : Chairman of the
(BiAponThy knit Garments)


টি-শার্ট - T-shirt - Tee Shirt এর পুর্নাঙ্গ ইতিহাস

টি-শার্ট  - T-shirt - Tee Shirt

টি-শার্ট (ইংরেজিতে — T-shirt বা Tee Shirt) হচ্ছে এক প্রকার শার্ট , যা ঘাড়ের অংশ থেকে দেহের ওপরাংশে কোমর পর্যন্ত বেশিরভাগ স্থানকে ঢেকে রাখে । ইংরেজি ‘টি’ (T) আকৃতির ন্যায় দেখতে, তাই এ পোশাকটির নাম টি-শার্ট হয়েছে। টি-শার্টে সাধারণত কোনো বোতাম বা কলার থাকে না । সচারচর এটি হয় গোলাকার ও খাটো হাতাযুক্ত । যদিও কিছু ক্ষেত্রে মানুষ ভুলবশত খাটো হাতাযুক্ত যে-কোনো শার্ট বা ব্লাউজকেই টি-শার্ট ভেবে ভুল করে ।




পোলো শার্ট বা অন্যান্য কলারযুক্ত শার্ট প্রকৃতপক্ষে টি-শার্ট নয় । কারণ এ ধরনের শার্টের হাতা কাঁধের পাশ দিয়ে সামান্য একটু বাড়তি থাকে, এবং খাটো হাতার ক্ষেত্রে তা কনুই পর্যন্ত হতে পারে । টি-শার্ট সাধারণত তুলা বা পলিয়েস্টার দ্বারা তৈরি হয় । কিছুক্ষেত্রে উভয় উপাদান মিশ্রিত সুতা দ্বারাও টি-শার্ট তৈরি হয় । এ দুইয়ের মিশ্রণে জার্সি ধরনের সেঁলাই করার ফলে টি-শার্ট আরো কোমল ও আরামদায়ক হয়ে ওঠে । কিছু ক্ষেত্রে টি-শার্ট ডিজাইনে সামনে কিংবা পেছনে কিংবা উভয় পার্শ্বেই ছবি, বাণী, কার্টুন চিত্র প্রভৃতি ব্যবহৃত হয় । এছাড়া বিজ্ঞাপন হিসেবে প্রচারের ক্ষেত্রেও এ ধরনের শার্টের ভূমিকা আছে


ঊনবিংশ শতাব্দীর দিকে প্রথম টি-শার্ট এর চল শুরু হয় অন্তর্বাস হিসেবে । যারা খনি উত্তলন শ্রমিক বা জাহাজঘাটে কুলি হিসেবে কাজ করত গরম পরিবেশের কারণে এই ধরনের পোশাকের ব্যাবহার তাদের থেকেই মূলত শুরু হয় । ১৮৯৮ এ স্পেন-আমেরিকা যুদ্ধের সময় এর প্রচলন লক্ষনীয় ছিল ।


১৯১৩ এর দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নৌবাহিনী তাদের অন্তর্বাস হিসেবে ছোট হাতা বিশিষ্ট সাদা সুতি টি-শার্ট এর ব্যাবহার শুরু করে অন্তর্বাস হিসেবে , যা তারা ইউনিফরম এর নিচে পরত । পরে অবশ্য এই ধরনের টি-শার্ট এর ব্যাবহার নাবিকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠে । শীঘ্রই কৃষিসহ বিভিন্ন শিল্পের শ্রমিকদের জন্য এই পোশাক এর কদর বেড়ে যায় । কারন এগুলো সস্তা ও সহজে পরিষ্কারযোগ্য ছিল । আর সেই কারণে তা তরুণদের জন্য পছন্দের শার্ট হয়ে ওঠে । তাই এগুলোর নাম দেওয়া হয় ‘বয়েজ শার্ট’ যা বিভিন্ন রং ও নকশা দিয়ে তৈরি করা হয় ।

১৯২০ সালে আমেরিকায় এর ব্যাপক ব্যাবহার এর জন্য টি-শার্ট শব্দটি মেরিয়াম-ওয়েবস্টার অভিধানে স্থান করে নেয় । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সৈন্যরা দৈনন্দিন জীবনে টি-শার্ট পরতে পছন্দ করা শুরু করে । আর তখন থেকে আরো বেশি মানুষ প্রকাশ্য স্থানে টি-শার্ট পরতে শুরু করে । ২০ শতাব্দীর ৬০’র দশকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথাগত ঐতিহ্যের বিরোধিতা করার গতিপ্রবাহ দেখা যায় । এর সঙ্গে সঙ্গে রক সঙ্গীত, মাদক দ্রব্য সেবন তরুণ-তরুণীদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠে । এসময় একেবারে সাদা রং-এর টি-শার্ট তাদের বিদ্রোহী মনোভাবের মর্ম বর্ণনা করতে ব্যর্থ হয় ।


টেক্সটাইল প্রিন্টিং প্রযুক্তি উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন ধরণের স্লোগান এবং তরুণ-তরুণীদের আদর্শের ছবি ছাপানো এমন টি-শার্ট তাদের মধ্যে আরো জনপ্রিয় হয়ে উঠে । বিশেষ করে রক সঙ্গীত ভক্তদের মধ্যে । স্ক্রিন প্রিন্ট করা টি-শার্ট পণ্য বিপণন-বাজারজাতকরণে বিজ্ঞাপন হিসেবে ব্যবহার হয় । ১৯৭০-এর দশক থেকে কোকা-কোলা ও মিকি মাউসের মতো পণ্যের বাজারজাতকরণে বিজ্ঞাপন হিসেবে টি-শার্ট ব্যবহৃত হয়ে আসছে ।


১৯৯০-এর দশক থেকেই কোম্পানিগুলো তাদের পণ্য ও কোম্পানির বিজ্ঞাপনে পণ্যের ছবি, লোগো এবং বাণিজ্যিক স্লোগানযুক্ত টি-শার্ট তৈরি ও বিপণন করা শুরু করে। এটি ছিলো তাদের প্রচারণার একটি অংশ । ১৯৮০-এর দশক থেকে ব্যক্তিগত ভাবাবেগ প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে টি-শার্টের ব্যাপক ব্যবহার হয়ে আসছে । ১৯৮০-এর দশকে ডিজাইনার ক্যাথরিন হ্যামনেট বড় করে স্লোগান ছাপানো টি-শার্টের ডিজাইন করা শুরু করেন ।

২০০০-এর দশকে স্লোগান সমৃদ্ধ টি-শার্টের প্রচলন শুরু হয়। এছাড়াও হাস্যরসাত্মক বার্তাবাহী টি-শার্টের প্রচলনও শুরু হয় । এই দশকের শেষে এসে এর জনপ্রিয়তা আরো বাড়ে । কারণ, ব্রিটনি স্পিয়ার্স ও প্যারিস হিলটনের মতো শীর্ষতারকা ব্যক্তিত্বরা এ ধরনের টি-শার্ট ব্যবহার করা শুরু করেন। বিভিন্ন সামাজিক এবং রাজনৈতিক বার্তাও টি-শার্টে স্থান পেতে শুরু করে । ২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় বিখ্যাত শিল্পীরা বিশেষ করে ওবামার জন্য নির্বাচনের পোস্টার তৈরি করেন এবং এর ভিত্তিতে নির্বাচনের টি-শার্টও ডিজাইন করেন । গত শতাব্দীর ৮০ ও ৯০’র দশকে চীনে টি-শার্টের প্রচলন শুরু হয় । আর তখন লোকেরা এ পোশাকটিকে টি-শার্ট না বলে, একে “সাংস্কৃতিক কাপড়” বলতেন । কারণ এর ওপর বিভিন্ন শব্দ বা অক্ষর ছাপানো যায় এবং এর মাধ্যমে নিজের চরিত্র ও বৈচিত্র তুলে ধরা যায় ।


২০০০ সালের দিকে চীনের আধুনিক তরুণ-তরুণীরা বিশেষভাবে চীনের সাবেক নেতার ছবি আছে এমন টি-শার্টকে অনেক পছন্দ করতেন । যেমন চীনের সাবেক প্রেসিডেন্ট মাও সে তুং প্রমুখ নেতার ছবি । ২০০৮ সালে বেইজিংয়ে অলিম্পিক গেমস আয়োজিত হয় । আর তখন রাস্তার সব জায়গায় দেখা যায় ২০০৮ বেইজিং অলিম্পিক গেমস এমন শব্দ ছাপানো সব টি-শার্ট । লোকেরা মনে করেন, বেইজিং সাফল্যের সঙ্গে অলিম্পিক গেমস আয়োজনের অধিকার পেয়েছে এবং সেবার অলিম্পিক গেমস সফলও হয় । এটি খুব গর্বের ব্যাপার ।

 লোকেরা নিজ দেশের প্রতি ভালোবাসার অনুভূতি প্রকাশের জন্য টি-শার্টে ‘ আই লাভ চীনা’ এমন শব্দ ব্যবহার করেন । আর একই বছরের মে মাসে চীনের সি ছুয়ান প্রদেশের ওয়েন ছুয়ান জেলায় রিকটার স্কেলে ৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে । সে সময় সারা চীন এ ছোট জেলাকে সাহায্য করার জন্য কাজ করে । সাধারণ লোকেরা সেখানকার মানুষকে সমর্থন এবং উত্সাহ দেবার জন্য টি-শার্টে ‘কাম ওয়ান, ওয়েনছুয়ান’ এমন শব্দ ব্যবহার করে এবং এমন টি-শার্ট পড়ে সেখানে গিয়ে উদ্ধার ও ত্রাণ কাজে অংশ নেন ।



বলা যায়, টি-শার্ট শুধু এক রকমের পোশাকই নয়, চীনারা তার মাধ্যমে নিজের অনুভূতি বর্ণনা করেন । তা থেকে বর্তমানে চীনের সংস্কৃতি, চীনের চলমান গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, সব কিছুই জানা যায় । সারা বিশ্বে আজ টি-শার্ট এর ব্যাবহার তুঙ্গে । প্রিয় পোশাক গুলোর ভেতরে খুব আঁটসাঁট জায়গা করে নিয়েছে টি-শার্ট ।

লেখক : Chairman of the
(BiAponThy knit Garments)


কোন মন্তব্য নেই: