ফ্যাশন ব্রেন্ড পরিচিতি : INDITEX Spain( ZARA, PULL &BEAR, Bershka, Stradivarius, OYSHO, Zara Home, Uterque, Lefties) - Textile Lab | Textile Learning Blog
INDITEX 

ইন্ডিটেক্স গ্রুপ পৃথিবীতে পোশাক খুচরা বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ইউরোপ-আমেরিকারার অন্যতম শীর্ষ স্থান দখল করে আছে। এই প্রতিষ্ঠানটিকে মুলত সবাই চেনে এদের বহুল প্রচলিত ব্র্যান্ড দিয়ে, এরা সারা পৃথিবীতে ৮ টি সুপরিচিত ব্র্যান্ড নিয়ে কাজ করে। মাত্র ৫ টি দেশ থেকে শুরু হওয়া এই প্রতিষ্ঠান বর্তমানে ৮৮ টি দেশে তাদের শো রুম পরিচালনা করে এবং ১,২৮৩১৩ জন মানুষ এই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন। আগে তাদের ব্র্যান্ড গুলোর নাম বলে দেই তারপর বিস্তারিত বলছি।


ZARA,


PULL &BEAR, 


Bershka, 


Stradivarius, 


OYSHO,


Zara Home,

Uterque,

Lefties


বাংলাদেশ পোশাক শিল্পে বিশ্ব বাজারে অনেক বড় একটি অংশ দখল করে আছে সেই সুবাদে এই ধরনের ব্র্যান্ডের পোশাক আমাদের বাজারে ও কিনতে পাওয়া যায়, অনেকেই হয়তোবা উপরের অনেক ব্র্যান্ডের কাপড় পরেছেন, আজ তার ইতিহাস পড়ছেন।

স্পেনের আরটেক্সিও নামক স্থানে ১২ই জুন ১৯৮৫ সালে এই প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠিত হয় এবং প্রতিষ্ঠানটির ফাউন্ডার ছিলেন আমানচিউ ওরটেগা এবং রোসালিয়া মিরা। বর্তমানে পৃথিবীর ৮৮ টি দেশে ৬৭০০ টি শোরুম রয়েছে এদের। এই ব্যক্তির আরেকটি বড় পরিচয় হল, ইনি বর্তমানে পৃথিবীর ২য় ধনী ব্যক্তি। কোম্পানির বর্তমান চেয়ারম্যান Pablo Isla ।

তাদের প্রতিটি পোশাক নিজস্ব ডিজাইনার দিয়ে ডিজাইন করা এবং প্রতি সপ্তাহে ২ টি করে নতুন ডিজাইনের পোশাক তাদের স্টোরে তোলা হয়। তারা তাদের সকল প্রকার পোশাক ই ৩য় বিশ্বের দেশ থেকে ক্রয় করে থাকে। সে দেশ গুলোর মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত, মরক্কো , চীন এবং তুর্কী অন্যতম । আমাদের জন্য আনন্দের কথা হচ্ছে এটা যে, তারা তাদের পোশাকের সিংহভাগ ক্রয় করে আমাদের দেশ থেকে। মূলত ১৯৬৩ সালে এই কোম্পানীর অনানুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলে ও ১৯৭৫ সালে প্রথম তাদের শোরুম চালু করে, আর ১৯৮৮ সালে তারা আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করে। ২০০১ সালে এই প্রতিষ্ঠান ৯ বিলিয়ন ডলারের শেয়ার ছেড়ে শেয়ার বাজারে প্রবেশ করে । ২০০৬ সালে এই প্রতিষ্ঠান Wharton Infosys Business Transformation Award অর্জন করে।
সবচেয়ে মজার ব্যপার হল, ২০১০ সালে এই প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড ”ZARA” পত্রিকায় একবছরে মাত্র ২ টি বিজ্ঞাপন দিয়ে ১২.৫ বিলিয়ন ইউরো বিক্রয় করে যা এখনো মার্কেটিং এবং সেলস এর জগতে উদাহরণ হয়ে রয়েছে। ২০১৫ সালের জুন মাস পর্যন্ত এই কোম্পানী ৫২১ মিলিয়ন ইউরো প্রফিট করেছে যা ২০১৪ সালের এক বছরের মুনাফার ২৮ পারসেন্ট বেশী।

বাংলাদেশে ঢাকার  উত্তরায় এই বিশ্ব বিখ্যাত গ্রুপ অব কোম্পানীর একটি লিয়াজু  অফিস রয়েছে, আমার কাজের স্বার্থে ওখানে আমি অনেক বার গিয়েছি, অফিসের ভেতরে চমৎকার ডেকোরেশন এবং ছিমছাম ভাবে গোছানো, ধূসর এবং সাদা রঙের সংমিশ্রণে অফিসের সমস্ত কিছু, শুনেছি পৃথিবীতে তাদের সকল অফিসের ডেকোরেশন ই একই রকম। ঢাকায় এই অফিস থেকে মূলত বিভিন্ন ফ্যক্টরির অডিট কার্যক্রম পরিচালনা এবং বছরে ২-৩ বার স্পেন থেকে বায়ার রা আসে ফ্যক্টরীর সাথে মিটিং করার জন্য। এই প্রতিষ্ঠানে অনেক বাংলাদেশীরা চাকুরী করে। বাংলাদেশের অনেক বড় বড় গার্মেন্টস ফ্যক্টরী এই কোম্পানীর কাজ করে, এরা আমাদের দেশ থেকে নিট, ওভেন এবং প্রচুর পরিমাণে সোয়েটার কেনে। এদের গার্মেন্টস এর অর্ডার এর ভলিওম ও অনেক বেশী, স্টাইল ওয়াইজ এক লক্ষ পিস ও হয়ে থাকে। এই প্রতিষ্ঠান অন্যান্য বায়ারের তুলনায় ফ্যক্টরী কে ভাল প্রাইস দিয়ে থাকে।

এই প্রতিষ্ঠানের ওয়েব সাইটঃ 


এই প্রতিষ্ঠানের উইকিপিডিয়া লিঙ্কঃ 






Copyright   : Sonjoy Mojumdar
তার লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে, 



ফ্যাশন ব্রেন্ড পরিচিতি : INDITEX Spain( ZARA, PULL &BEAR, Bershka, Stradivarius, OYSHO, Zara Home, Uterque, Lefties)

INDITEX 

ইন্ডিটেক্স গ্রুপ পৃথিবীতে পোশাক খুচরা বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ইউরোপ-আমেরিকারার অন্যতম শীর্ষ স্থান দখল করে আছে। এই প্রতিষ্ঠানটিকে মুলত সবাই চেনে এদের বহুল প্রচলিত ব্র্যান্ড দিয়ে, এরা সারা পৃথিবীতে ৮ টি সুপরিচিত ব্র্যান্ড নিয়ে কাজ করে। মাত্র ৫ টি দেশ থেকে শুরু হওয়া এই প্রতিষ্ঠান বর্তমানে ৮৮ টি দেশে তাদের শো রুম পরিচালনা করে এবং ১,২৮৩১৩ জন মানুষ এই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন। আগে তাদের ব্র্যান্ড গুলোর নাম বলে দেই তারপর বিস্তারিত বলছি।


ZARA,


PULL &BEAR, 


Bershka, 


Stradivarius, 


OYSHO,


Zara Home,

Uterque,

Lefties


বাংলাদেশ পোশাক শিল্পে বিশ্ব বাজারে অনেক বড় একটি অংশ দখল করে আছে সেই সুবাদে এই ধরনের ব্র্যান্ডের পোশাক আমাদের বাজারে ও কিনতে পাওয়া যায়, অনেকেই হয়তোবা উপরের অনেক ব্র্যান্ডের কাপড় পরেছেন, আজ তার ইতিহাস পড়ছেন।

স্পেনের আরটেক্সিও নামক স্থানে ১২ই জুন ১৯৮৫ সালে এই প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠিত হয় এবং প্রতিষ্ঠানটির ফাউন্ডার ছিলেন আমানচিউ ওরটেগা এবং রোসালিয়া মিরা। বর্তমানে পৃথিবীর ৮৮ টি দেশে ৬৭০০ টি শোরুম রয়েছে এদের। এই ব্যক্তির আরেকটি বড় পরিচয় হল, ইনি বর্তমানে পৃথিবীর ২য় ধনী ব্যক্তি। কোম্পানির বর্তমান চেয়ারম্যান Pablo Isla ।

তাদের প্রতিটি পোশাক নিজস্ব ডিজাইনার দিয়ে ডিজাইন করা এবং প্রতি সপ্তাহে ২ টি করে নতুন ডিজাইনের পোশাক তাদের স্টোরে তোলা হয়। তারা তাদের সকল প্রকার পোশাক ই ৩য় বিশ্বের দেশ থেকে ক্রয় করে থাকে। সে দেশ গুলোর মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত, মরক্কো , চীন এবং তুর্কী অন্যতম । আমাদের জন্য আনন্দের কথা হচ্ছে এটা যে, তারা তাদের পোশাকের সিংহভাগ ক্রয় করে আমাদের দেশ থেকে। মূলত ১৯৬৩ সালে এই কোম্পানীর অনানুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলে ও ১৯৭৫ সালে প্রথম তাদের শোরুম চালু করে, আর ১৯৮৮ সালে তারা আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করে। ২০০১ সালে এই প্রতিষ্ঠান ৯ বিলিয়ন ডলারের শেয়ার ছেড়ে শেয়ার বাজারে প্রবেশ করে । ২০০৬ সালে এই প্রতিষ্ঠান Wharton Infosys Business Transformation Award অর্জন করে।
সবচেয়ে মজার ব্যপার হল, ২০১০ সালে এই প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড ”ZARA” পত্রিকায় একবছরে মাত্র ২ টি বিজ্ঞাপন দিয়ে ১২.৫ বিলিয়ন ইউরো বিক্রয় করে যা এখনো মার্কেটিং এবং সেলস এর জগতে উদাহরণ হয়ে রয়েছে। ২০১৫ সালের জুন মাস পর্যন্ত এই কোম্পানী ৫২১ মিলিয়ন ইউরো প্রফিট করেছে যা ২০১৪ সালের এক বছরের মুনাফার ২৮ পারসেন্ট বেশী।

বাংলাদেশে ঢাকার  উত্তরায় এই বিশ্ব বিখ্যাত গ্রুপ অব কোম্পানীর একটি লিয়াজু  অফিস রয়েছে, আমার কাজের স্বার্থে ওখানে আমি অনেক বার গিয়েছি, অফিসের ভেতরে চমৎকার ডেকোরেশন এবং ছিমছাম ভাবে গোছানো, ধূসর এবং সাদা রঙের সংমিশ্রণে অফিসের সমস্ত কিছু, শুনেছি পৃথিবীতে তাদের সকল অফিসের ডেকোরেশন ই একই রকম। ঢাকায় এই অফিস থেকে মূলত বিভিন্ন ফ্যক্টরির অডিট কার্যক্রম পরিচালনা এবং বছরে ২-৩ বার স্পেন থেকে বায়ার রা আসে ফ্যক্টরীর সাথে মিটিং করার জন্য। এই প্রতিষ্ঠানে অনেক বাংলাদেশীরা চাকুরী করে। বাংলাদেশের অনেক বড় বড় গার্মেন্টস ফ্যক্টরী এই কোম্পানীর কাজ করে, এরা আমাদের দেশ থেকে নিট, ওভেন এবং প্রচুর পরিমাণে সোয়েটার কেনে। এদের গার্মেন্টস এর অর্ডার এর ভলিওম ও অনেক বেশী, স্টাইল ওয়াইজ এক লক্ষ পিস ও হয়ে থাকে। এই প্রতিষ্ঠান অন্যান্য বায়ারের তুলনায় ফ্যক্টরী কে ভাল প্রাইস দিয়ে থাকে।

এই প্রতিষ্ঠানের ওয়েব সাইটঃ 


এই প্রতিষ্ঠানের উইকিপিডিয়া লিঙ্কঃ 






Copyright   : Sonjoy Mojumdar
তার লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে, 



কোন মন্তব্য নেই: