গার্মেন্টস, কাটিং,মার্চেন্ডাজিং, IE, Planning এর লোকজন ডাইং সংশ্লিষ্ট তথ্য গুলি জেনে রাখুন - Textile Lab | Textile Learning Blog
গার্মেন্টস  কাটিং এর পুর্বে ফেব্রিক সম্পর্কিত যে সকল  ইন্সপেকশন এবং রেক্টিফিকেশন প্রসেস জানা  জরুরী  :

মাঝে মাঝে দেখা যায় আমাদের গার্মেন্টস এর কাটিং, ইন্সপেকশন, মার্চেন্ডাজিং, প্রডাকশন এর ফেব্রিক এর সমস্যা জনিত কারনে হুড়োহুড়ি লেগেই থাকে যার ফলোশ্রুতিতে শিপমেন্ট কেন্সেল, রি চেক,বায়ার ক্লেইম ইত্যাদি নানা মুখি সমস্যায় পড়েন। আমাদের গার্মেন্টস সংস্লিস্ট লোকজনের যদি এই সমস্যা গুলির সোর্স এবং এর কাজ যদি জানা থাকতো তবে অগ্রিম সতর্কতা অবলম্বন করে বায়ার ক্লাইম, ওয়েস্টেজ, রি চেক, শিপমেন্ট কেন্সেল এর মতো সমস্যা গুলি এড়াতে পারতেন।


NB :     মনে রাখতে হবে গার্মেন্টস একবার কাটিং হয়ে গেলে রেক্টিফিকেশন চান্স ৬০% কমে যায়, পরে গোঁজামিল দিতে হয় যা গার্মেন্টস এর কোয়ালিটি, রেপুটেশন, বায়ার এর আস্থা হারানোর কারন হয়।

১. ফেব্রিক এর স্টেন্ডার্ড রিলাক্স টাইম জেনে নিতে হবে আর এনসিউর করতে হবে এই ফেব্রিক গুলি স্টেন্ডার্ড  রিলাক্স হওয়ার মতো টাইম পেয়েছে কিনা।

২. কাপড় গুলির GSM এবং কন্টিনিউটি রিপোর্ট নিন।

৩. ইয়ার্ন ডাইড হলে কাপড় এর রিপিট মিজার করে নিন,  কাপড় এর বোইং আছে কিনা সিউর হয়ে নিন।

৪. কাপড় এর সেড স্রিংকেজ টেস্ট এর জন্য কাপড় এক টুকরো গার্মেন্টস ওয়াসে পাঠিয়ে দিন সেখানে কাপড় কে এসিড ওয়াস করে নিন তা হলে কাপড়ে টপিং, এবং স্রিংকেজ, টুইস্টিং  এর সম্পর্কে ধারনা পাবেন।

৫. কাপড় এর কিছু কমন টেস্ট করিয়ে নিন যেমন পিলিং, ফাস্টনেস, টুইস্টিং, PH

৬. কাপড় কাটিং এর পুর্বে গার্মেন্টস এর পক্ষে আবার  ইন্সপেকশন করে নিতে হবে । 

৭. বাল্ক কাটিং এর আগেই ট্রায়াল কাটিং করে কিছু মক আপ বানিয়ে এর প্রবলেম গুলি আগেই এনালাইজ করতে হবে।

৮. লট বাই লট সেড এপ্রুভ করে নিতে হবে এপ্রুভাল ছাড়া মাল কাটা যাবে না।

সমস্যা, সম্ভাব্য কারন, এবং করনীয় :

১. যদি কাপড়ে স্পাইরিলিটি ধরা পড়ে তবে এর কারন হিসেবে ধরে নিতে হবে কাপড় এর ফিনিশিং ঠিক মতো হয় নি,  পুনোরায় কাপড় কে স্টেনটারিং এবং কম্পেক্টিং করতে হবে।  নীটিং এর সময় কাপড় এর স্টিচ লেনথ চেক করুন তা বেশি ছিলো না । আফটার গার্মেন্টস   টুইস্টিং ধরা পড়লে কাপড় কে পানিতে ভিজিয়ে ট্রেম্বেল করে নিন।

২. আফটার গার্মেন্টস APEO, NPEO ধরা পড়েছে,  এর মুল কারন ডাইং ওয়াস এর সময় APEO, NPEO  ফ্রি ডিটারজেন্ট দিয়ে কাপড় ওয়াস করা হয় নি।  সমাধান কাপড়  কে গার্মেন্টস ওয়াস করে নিন ওয়াস এর সময় ফরমিক এসিড, এসিটিক এসিড ব্যাবহার করুন।

৩. কাপড় এর GSM ফেইল,  এর মুল কারন নীটিং এর সময় ফিনিশ GSM এর তুলনায় গ্রে GSM অনেক কম ছিলো  কাপড় ভালো করে ফিনিশিং কম্পেক্টিং হয় নি।  কাপড় পুনোরায় কম্পেক্টিং এ পাঠান  আর গার্মেন্টস হয়ে গেলে পানি দিয়ে ট্রেম্বেল করুন তাতে না হলে গ্লিসারিন এবং ইউরিয়া দিয়ে ট্রাম্বেল করে নিন।





৪. কাপড় হেয়ারি, ডেড ফাইবার আছে দেখতে স্লাব এর মতো।  এখানে কাপড় মুল সমস্যা ইয়ার্ন এর খারাপ কোয়ালিটির ইয়ার্নে এই সমস্যা গুলি বেশি দেখা দেয়। এর কোন রেক্টিফিকেশন নেই। তবে ডাইং এ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলবেন এবং বড় লট করার আগে ইয়ার্ন টেস্ট রিপোর্ট চেক করতে বলবেন।

৫. কাপড় এর ফাস্টনেস বা গার্মেন্টস এর ফাস্টনেস ফেইল এর অর্থ কাপড় ডাইং এর পর আফটার ওয়াস ঠিক মতো হয় নি এবং এর উপর টপিং করা হয়েছে এবং ভালো ভাবে কালার ফিক্সিং করা হয় নি।  এর জন্য দায়ী ডাইং এবং ফিনিশিং ডিপার্টমেন্ট ।  ভালো করে ওয়াস করে কাপড় কে বাইন্ডার দিয়ে ওয়াস ট্রাম্বেল ড্রাই করে নিতে হবে।

৬. কাপড় এর PH ফেইল এর অর্থ হচ্ছে কাপড় ডাইং আফটার ওয়াস ঠিক ভাবে হয় নি।  কাপড় থাকলে কাপড় কে স্টেনটারে এসিটিক এসিড দিয়ে ফিনিশিং করে নিন।  নয়তো গার্মেন্টস হয়ে গেলে ওয়াসে এসিটিক এসিড দিয়ে অয়াস করে নিন।

৭. কাপড় এর ফরেইন ফাইবারে ভরা,  ফরেন ফাইবার এর জন্য দায়ী খারাপ ইয়ার্ন এবং নীটিং ডিপার্টমেন্ট।  ফরেইন ফাইবার দুর করার জন্য ১৮০ ডিগ্রী তে হাই টেম্পারেচারে কাপড় কিউরিং করে নিন ফাইবার পুড়ে যাবে আর গার্মেন্টস হয়ে গেলে হাতে মেন্ডিং করে নিতে হবে।

৮. ওয়াস করলে কাপড় এর বডি  সাইজ শর্ট হয়ে যাচ্ছে,  এরর মুল কারন কাপড় এর স্রিংকেজ ।  কাপড় এর ফিনিশিং কম্পেক্টিং ভালো করে না হলে এই সমস্যা হয়,  ফেব্রিককে ভালো  কম্পেক্টিং করতে হবে। কাটিং এর শুরুতে ট্রায়াল কাটিং এর সময় বডি আগে স্রিংকেজ টেস্ট করে নিতে হবে ওই অনুযায়ী এলাওন্স দিয়ে স্টিচিং করতে হবে।

৯. কাপড় শর্ট বা বেশি হওয়া এর মুল কারন মার্চেডাইজার এর বুকিং এবং কনজামশন এর ভুল হিসেব ।  ক্যাড এর কাছ থেকে কাপড় কঞ্জাম্পশন নিতে হবে এবং ফেব্রিক এর কম্পোজিশন এবং কালার অনুযায়ী কি পরিমান  বাড়তি কাপড় লাগে তা কাটিং থেকে তথ্য নিতে হবে।  ওই অনুযায়ী ওয়েস্টেজ % নির্ধারন করতে হবে।

১০. কাপড় এর গ্রেইন লাইন ঠিক না হওয়া,  কাপড় এর ফিনিশিং এর নীটিং এর সময় ইয়ার্ন টেনশন এবং গেজ এর সমস্যা থাকলে এই অসুবিধে দেখা যায়।  কাপড় রিফিনিশিং করে নিতে হবে।  গার্মেন্টস হয়ে গেলে রেক্টিফিকেশন এর সুযোগ নেই।

১১. কাপড়ে ওয়েল স্পট,  মুল কাপড় নীটিং এর সময় মেশিন এর নিডেল এবং ক্যাম লুব্রিকেশন।  গার্মেন্টস করার পর থিনার আর স্পট লিফটার মুল ভরসা।



১২. গ্রুপ ফেক্টরি গুলিতে একই মালিকের অধীনে নীটিং ডাইং গার্মেন্টস থাকায় ফেব্রিক এর হোল সেট আপ এর কারলে কাপড় 4 Pointe রিজেক্ট হলেও এই কাপড় ও কাটিং করে ফেলা  হয় পরে রিঞ্জেক্ট বডি অনুযায়ী আবার শর্ট বুকিং করা যায়   এতে ওয়েস্টেজ কম হয় এবং অনেক বডি রিজেক্ট রোল থেকে বের করা যায়।

১৩. ব্যাচ টু ব্যাচ শেড ভেরিয়েশন, মাল্টি গ্রুপ সেড এর কাপড় হচ্ছে ডাইং এর ছোট ছোট আকারে বারে বারে ডাইং। করনীয় হলো লট অনুযাযী কাটিং।  মার্চেডাইজার এর উচিৎ হবে সব কাপড় একসাথে নীটিং করে ফেলা এবং ডাইং এ বড় মেশিনে এক সাথে বড় ভলিউমে ডাইং করা । এতে সেডিং এর পরিমান কম হবে।

১৪. মার্কার রিভাইস করতে হয় এটি কাটিং এর বড় সমস্যা যে সকল ফেক্টরীতে ফেব্রিক এর সমস্য লেগেই থাকে তাদের উচিৎ অগ্রিম মার্কার প্রিন্টিং না করে স্টেন্ডার্ড সাইজ এর সাথে  স্টর্ট উইডটথ এ আরেক টি মার্কার ব্যাক আপ করে রাখা পরে তা প্রিন্টিং করা ফেক্টরীতে মেক্সিমাম সময় কাপড় এর ডায়া রিকোয়ারমেন্ট এর চেয়ে সর্ট থাকে।

Mazadul Hasan Shishir
Email : mazadulhasan@yahoo.com 





গার্মেন্টস, কাটিং,মার্চেন্ডাজিং, IE, Planning এর লোকজন ডাইং সংশ্লিষ্ট তথ্য গুলি জেনে রাখুন

গার্মেন্টস  কাটিং এর পুর্বে ফেব্রিক সম্পর্কিত যে সকল  ইন্সপেকশন এবং রেক্টিফিকেশন প্রসেস জানা  জরুরী  :

মাঝে মাঝে দেখা যায় আমাদের গার্মেন্টস এর কাটিং, ইন্সপেকশন, মার্চেন্ডাজিং, প্রডাকশন এর ফেব্রিক এর সমস্যা জনিত কারনে হুড়োহুড়ি লেগেই থাকে যার ফলোশ্রুতিতে শিপমেন্ট কেন্সেল, রি চেক,বায়ার ক্লেইম ইত্যাদি নানা মুখি সমস্যায় পড়েন। আমাদের গার্মেন্টস সংস্লিস্ট লোকজনের যদি এই সমস্যা গুলির সোর্স এবং এর কাজ যদি জানা থাকতো তবে অগ্রিম সতর্কতা অবলম্বন করে বায়ার ক্লাইম, ওয়েস্টেজ, রি চেক, শিপমেন্ট কেন্সেল এর মতো সমস্যা গুলি এড়াতে পারতেন।


NB :     মনে রাখতে হবে গার্মেন্টস একবার কাটিং হয়ে গেলে রেক্টিফিকেশন চান্স ৬০% কমে যায়, পরে গোঁজামিল দিতে হয় যা গার্মেন্টস এর কোয়ালিটি, রেপুটেশন, বায়ার এর আস্থা হারানোর কারন হয়।

১. ফেব্রিক এর স্টেন্ডার্ড রিলাক্স টাইম জেনে নিতে হবে আর এনসিউর করতে হবে এই ফেব্রিক গুলি স্টেন্ডার্ড  রিলাক্স হওয়ার মতো টাইম পেয়েছে কিনা।

২. কাপড় গুলির GSM এবং কন্টিনিউটি রিপোর্ট নিন।

৩. ইয়ার্ন ডাইড হলে কাপড় এর রিপিট মিজার করে নিন,  কাপড় এর বোইং আছে কিনা সিউর হয়ে নিন।

৪. কাপড় এর সেড স্রিংকেজ টেস্ট এর জন্য কাপড় এক টুকরো গার্মেন্টস ওয়াসে পাঠিয়ে দিন সেখানে কাপড় কে এসিড ওয়াস করে নিন তা হলে কাপড়ে টপিং, এবং স্রিংকেজ, টুইস্টিং  এর সম্পর্কে ধারনা পাবেন।

৫. কাপড় এর কিছু কমন টেস্ট করিয়ে নিন যেমন পিলিং, ফাস্টনেস, টুইস্টিং, PH

৬. কাপড় কাটিং এর পুর্বে গার্মেন্টস এর পক্ষে আবার  ইন্সপেকশন করে নিতে হবে । 

৭. বাল্ক কাটিং এর আগেই ট্রায়াল কাটিং করে কিছু মক আপ বানিয়ে এর প্রবলেম গুলি আগেই এনালাইজ করতে হবে।

৮. লট বাই লট সেড এপ্রুভ করে নিতে হবে এপ্রুভাল ছাড়া মাল কাটা যাবে না।

সমস্যা, সম্ভাব্য কারন, এবং করনীয় :

১. যদি কাপড়ে স্পাইরিলিটি ধরা পড়ে তবে এর কারন হিসেবে ধরে নিতে হবে কাপড় এর ফিনিশিং ঠিক মতো হয় নি,  পুনোরায় কাপড় কে স্টেনটারিং এবং কম্পেক্টিং করতে হবে।  নীটিং এর সময় কাপড় এর স্টিচ লেনথ চেক করুন তা বেশি ছিলো না । আফটার গার্মেন্টস   টুইস্টিং ধরা পড়লে কাপড় কে পানিতে ভিজিয়ে ট্রেম্বেল করে নিন।

২. আফটার গার্মেন্টস APEO, NPEO ধরা পড়েছে,  এর মুল কারন ডাইং ওয়াস এর সময় APEO, NPEO  ফ্রি ডিটারজেন্ট দিয়ে কাপড় ওয়াস করা হয় নি।  সমাধান কাপড়  কে গার্মেন্টস ওয়াস করে নিন ওয়াস এর সময় ফরমিক এসিড, এসিটিক এসিড ব্যাবহার করুন।

৩. কাপড় এর GSM ফেইল,  এর মুল কারন নীটিং এর সময় ফিনিশ GSM এর তুলনায় গ্রে GSM অনেক কম ছিলো  কাপড় ভালো করে ফিনিশিং কম্পেক্টিং হয় নি।  কাপড় পুনোরায় কম্পেক্টিং এ পাঠান  আর গার্মেন্টস হয়ে গেলে পানি দিয়ে ট্রেম্বেল করুন তাতে না হলে গ্লিসারিন এবং ইউরিয়া দিয়ে ট্রাম্বেল করে নিন।





৪. কাপড় হেয়ারি, ডেড ফাইবার আছে দেখতে স্লাব এর মতো।  এখানে কাপড় মুল সমস্যা ইয়ার্ন এর খারাপ কোয়ালিটির ইয়ার্নে এই সমস্যা গুলি বেশি দেখা দেয়। এর কোন রেক্টিফিকেশন নেই। তবে ডাইং এ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলবেন এবং বড় লট করার আগে ইয়ার্ন টেস্ট রিপোর্ট চেক করতে বলবেন।

৫. কাপড় এর ফাস্টনেস বা গার্মেন্টস এর ফাস্টনেস ফেইল এর অর্থ কাপড় ডাইং এর পর আফটার ওয়াস ঠিক মতো হয় নি এবং এর উপর টপিং করা হয়েছে এবং ভালো ভাবে কালার ফিক্সিং করা হয় নি।  এর জন্য দায়ী ডাইং এবং ফিনিশিং ডিপার্টমেন্ট ।  ভালো করে ওয়াস করে কাপড় কে বাইন্ডার দিয়ে ওয়াস ট্রাম্বেল ড্রাই করে নিতে হবে।

৬. কাপড় এর PH ফেইল এর অর্থ হচ্ছে কাপড় ডাইং আফটার ওয়াস ঠিক ভাবে হয় নি।  কাপড় থাকলে কাপড় কে স্টেনটারে এসিটিক এসিড দিয়ে ফিনিশিং করে নিন।  নয়তো গার্মেন্টস হয়ে গেলে ওয়াসে এসিটিক এসিড দিয়ে অয়াস করে নিন।

৭. কাপড় এর ফরেইন ফাইবারে ভরা,  ফরেন ফাইবার এর জন্য দায়ী খারাপ ইয়ার্ন এবং নীটিং ডিপার্টমেন্ট।  ফরেইন ফাইবার দুর করার জন্য ১৮০ ডিগ্রী তে হাই টেম্পারেচারে কাপড় কিউরিং করে নিন ফাইবার পুড়ে যাবে আর গার্মেন্টস হয়ে গেলে হাতে মেন্ডিং করে নিতে হবে।

৮. ওয়াস করলে কাপড় এর বডি  সাইজ শর্ট হয়ে যাচ্ছে,  এরর মুল কারন কাপড় এর স্রিংকেজ ।  কাপড় এর ফিনিশিং কম্পেক্টিং ভালো করে না হলে এই সমস্যা হয়,  ফেব্রিককে ভালো  কম্পেক্টিং করতে হবে। কাটিং এর শুরুতে ট্রায়াল কাটিং এর সময় বডি আগে স্রিংকেজ টেস্ট করে নিতে হবে ওই অনুযায়ী এলাওন্স দিয়ে স্টিচিং করতে হবে।

৯. কাপড় শর্ট বা বেশি হওয়া এর মুল কারন মার্চেডাইজার এর বুকিং এবং কনজামশন এর ভুল হিসেব ।  ক্যাড এর কাছ থেকে কাপড় কঞ্জাম্পশন নিতে হবে এবং ফেব্রিক এর কম্পোজিশন এবং কালার অনুযায়ী কি পরিমান  বাড়তি কাপড় লাগে তা কাটিং থেকে তথ্য নিতে হবে।  ওই অনুযায়ী ওয়েস্টেজ % নির্ধারন করতে হবে।

১০. কাপড় এর গ্রেইন লাইন ঠিক না হওয়া,  কাপড় এর ফিনিশিং এর নীটিং এর সময় ইয়ার্ন টেনশন এবং গেজ এর সমস্যা থাকলে এই অসুবিধে দেখা যায়।  কাপড় রিফিনিশিং করে নিতে হবে।  গার্মেন্টস হয়ে গেলে রেক্টিফিকেশন এর সুযোগ নেই।

১১. কাপড়ে ওয়েল স্পট,  মুল কাপড় নীটিং এর সময় মেশিন এর নিডেল এবং ক্যাম লুব্রিকেশন।  গার্মেন্টস করার পর থিনার আর স্পট লিফটার মুল ভরসা।



১২. গ্রুপ ফেক্টরি গুলিতে একই মালিকের অধীনে নীটিং ডাইং গার্মেন্টস থাকায় ফেব্রিক এর হোল সেট আপ এর কারলে কাপড় 4 Pointe রিজেক্ট হলেও এই কাপড় ও কাটিং করে ফেলা  হয় পরে রিঞ্জেক্ট বডি অনুযায়ী আবার শর্ট বুকিং করা যায়   এতে ওয়েস্টেজ কম হয় এবং অনেক বডি রিজেক্ট রোল থেকে বের করা যায়।

১৩. ব্যাচ টু ব্যাচ শেড ভেরিয়েশন, মাল্টি গ্রুপ সেড এর কাপড় হচ্ছে ডাইং এর ছোট ছোট আকারে বারে বারে ডাইং। করনীয় হলো লট অনুযাযী কাটিং।  মার্চেডাইজার এর উচিৎ হবে সব কাপড় একসাথে নীটিং করে ফেলা এবং ডাইং এ বড় মেশিনে এক সাথে বড় ভলিউমে ডাইং করা । এতে সেডিং এর পরিমান কম হবে।

১৪. মার্কার রিভাইস করতে হয় এটি কাটিং এর বড় সমস্যা যে সকল ফেক্টরীতে ফেব্রিক এর সমস্য লেগেই থাকে তাদের উচিৎ অগ্রিম মার্কার প্রিন্টিং না করে স্টেন্ডার্ড সাইজ এর সাথে  স্টর্ট উইডটথ এ আরেক টি মার্কার ব্যাক আপ করে রাখা পরে তা প্রিন্টিং করা ফেক্টরীতে মেক্সিমাম সময় কাপড় এর ডায়া রিকোয়ারমেন্ট এর চেয়ে সর্ট থাকে।

Mazadul Hasan Shishir
Email : mazadulhasan@yahoo.com 





কোন মন্তব্য নেই: