টেক্সটাইল ক্যামিকেল এর ব্যাবসা এবং ফেক্টরীতে এর ব্যাবহার :
ফেক্টরীতে আমরা যা ক্যামিকেল ব্যাবহার করি তা মুলত দুই ভাবে ক্রয় করা হয়
১. লোকাল পার্চেস
২. LC
১. লোকাল পার্চেস
২. LC
লোকাল পার্চেস :
লোকাল পার্চেস এর মুল বিক্রেতা হলো বড় বড় ক্যামিকেল সাপ্লাইয়াদের এর সাব সাপ্লাইয়ার এর বিগ ভলিউমে ক্যামিকেল রাখে না, এরা সল্প আকারে ক্যামিকেল ডাইজ গুলি রাখে যা ফেক্টরি গুলিতে ক্রাইসিস এর সময় এখান থেকে লুজ আকারে কিনে নিয়ে যায়। এদের ক্যামিকেল সাব স্টেন্ডার্ড হয় জেনুয়িন ক্যামিকেল পাওয়া যায় এদের কাছে। এরা ক্যামিকেল গুলি টিউনিং করে পানি মেশায় আর ভলিউম বাড়ায়। বড় ডাইজ ক্যামিকেল সাপ্লাইয়াদের কাছে ছোট ছোট ভলিউম পাওয়া যায় না তাই ছোট ভলিউমে কিন্তু লোকাল ট্রেডার দের দারস্ত হতে হয়।
লোকাল ট্রেডাররা GM দের রেফারেন্সে ডাইজ ক্যামিকেল সাপ্লাই করে, তাদের ক্রেডিট প্রসিডিউর হলো চেক হেন্ড ক্যাশ।
এদের ক্যামিকেল টেস্টিং ছাড়া ব্যাবহার করা হয় আর এদের ক্ষত্রে এতো টা বিধি নিষেধ নেই। তবে লোকালে ভালো ব্রেন্ডেড ক্যামিকেল থাকে না বিধায় এতে ফরমালডিহাইড, এজো, APEO, NPEO জাতীয় ক্যামিকেল কন্টামিনেশন হওয়ার চান্স থাকে।
LC :
LC এর সুবিধা হলো এতে ডাইজ ক্যামিকেল বিগ ভলিউমে আনা যায় আর ক্যামিকেল ডাইজ গুলির স্টেন্ডার্ড ক্যাটাগরির হয়। স্ট্রেনথ পিউরিটি ঠিক থাকে। আর লট মিক্সিং হয় না। আর ইকো সার্টিফিকেশন থাকে। এটি নিয়ন্ত্রন করে ফেক্টরির হেড অফিস এবং ডিরেক্টর, মালিক।
LC এর সুবিধা হলো এতে ডাইজ ক্যামিকেল বিগ ভলিউমে আনা যায় আর ক্যামিকেল ডাইজ গুলির স্টেন্ডার্ড ক্যাটাগরির হয়। স্ট্রেনথ পিউরিটি ঠিক থাকে। আর লট মিক্সিং হয় না। আর ইকো সার্টিফিকেশন থাকে। এটি নিয়ন্ত্রন করে ফেক্টরির হেড অফিস এবং ডিরেক্টর, মালিক।
LC এর ক্যামিকেল গুলি ফরমালডিহাইড, এজো, APEO, NPEO টেস্ট করা বাধ্যতামুলক।
উদাহরণ
হাইড্রোজেন পার অক্সাইড যদি লোকাল পার্সেস করা হয় সেখানে পিউরিটি পাবেন ৪৫% আর সেইম ক্যামিকেল ৫০% পিউরিটি থাকে
NaOH এর পিউরিটি ৯৮% ইম্পোর্ট করা গুলিতে পাওয়া গেলেও লোকালে তা ৯২% থাকে।
ফেক্টরীতে খুব একটি বিপদে না পড়লে লোকাল ক্যামিকেল কেও ব্যাবহার করে না।
টেক্সটাইল ক্যামিকেল সাপ্লাইয়ার
HUNTSMAN
ALKA
BASF
IMPARTIAL
NOVO
DYSIN
HUNTSMAN
ALKA
BASF
IMPARTIAL
NOVO
DYSIN
ক্যামিকেল সাপ্লাইয়াদের জন্য কিছু নির্দেশনা :
১. চাইনীজ, পাকিস্তানি, ইন্ডিয়ান দের চটকদার অফারের প্রলোভনে হুট করে ব্যাবসায় নামে যাবেন না, আগে ওই কোম্পানির ইন্টারন্যাশনাল মার্কেট স্টাডি করুন, পারফোরমেন্স এনালাইসিস করুন।
২. ক্যামিকেল এর এজো, ফরমালডিহাইড, APEO, NPEO, প্যাথেলেট ফ্রি কিনা তার SGS,ITS,Burue Varitas এর টেস্ট সার্টিফিকেশন আছে কিনা তা সিউর হয়ে নিন।
৩. স্যাম্পল টেস্ট করে শিউর হয়ে নিন ক্যামিকেল এর পার্ফোমেন্স কেমন।
৪. পিউরিটি, স্ট্রেনথ লট ওয়াইজ টেস্ট করিয়ে নিতে হবে।
৫. হেড অফিস গুলিতে যোগাযোগ করতে হবে যারা পার্চেসে, প্রকিউরমেন্ট এর দায়িত্বে আছেন তাদের সাথে, ফ্লোর ট্রায়াল এর অনুমতি নিতে হবে।
৬. আপনার ক্যামিকেল কেনো অন্য ক্যামিকেল এর চেয়ে আলাদা তা জানাতে হবে, যেমন কনজামশন কম কিনা, স্ট্রেনথ ভালো কিনা, ইকো ফ্রেন্ডলি কিনা ইত্যাদি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন