মার্চেন্ডাইজার এবং মার্চেন্ডাইজিং | Merchandiser - Merchandising - Textile Lab | Textile Learning Blog
মার্চেন্ডাইজিং কি?

মার্চেন্ডাইজ (Merchandise) একটি ইংরেজি শব্দ। এই মার্চেন্ডাইজ শব্দ থেকে এসেছে মার্চেন্ডাইজিং (Merchandising), এর আভিধানিক অর্থ পণ্য কেনা বেচা করা।অর্থাৎ আয়ের উদ্দেশ্য কোন পণ্য কিনে তা আবার বিক্রি করাকে মার্চেন্ডাইজিং বলে।

গার্মেন্টস মার্চেন্ডাইজিং কি?

গার্মেন্টস মার্চেন্ডাইজিং এর অর্থ হল গার্মেন্টস তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল যেমন কাপড়, এক্সোসরিজ ইত্যাদি কেনা এবং তা দিয়ে গার্মেন্টস তৈরি করে সেই গার্মেন্টস বিক্রি করা। উদ্দেশ্য থাকবে যে গার্মেন্টস তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় কাপড়, এক্সোসরিজ ও অন্যান্য জিনিসপত্র কেনার খরচ, গার্মেন্টস তৈরির জন্য নিয়োজিত শ্রমিক/কর্মচারীদের মজুরী/বেতন, ফ্যাক্টরি ভাড়া, ইত্যাদি যাবতীয় মোট খরচের চাইতে গার্মেন্টস এর বিক্রয় মূল্য বেশী হতে হবে।

গার্মেন্টস মার্চেন্ডাইজার কাকে বলে?

মার্চেন্ডাইজিং এর সংজ্ঞা থেকে অনুমান করা যায় যে এ কাজটি সম্পাদনের জন্য গার্মেন্টস ফ্যক্টরীতে কিংবা বায়িং হাউসে সুনির্দিষ্ট লোক থাকা প্রয়োজন। যে ব্যক্তি গার্মেন্টস ফ্যক্টরী কিংবা বায়িং হাউসে মার্চেন্ডাইজিং এর যাবতীয় কাজ সম্পাদন করেন তাকে গার্মেন্টস মার্চেন্ডাইজার বলে।
এখন আমরা দেখব মার্চেন্ডাইজিং এর বিশ্বখ্যাত ব্লগ অ্যাপারেল মার্চেন্ডাইজিং ওয়ার্ল্ড এর সংজ্ঞাঃ

Merchandising comes from the word merchandise. Merchandise means commodities or goods to be bought and sold. The word merchandising means the activity of promoting the sale of goods.

The activities include-

-working very closely with buyers/seller and determining range of merchandise/goods to be sold

-buying them at right time

-calculating their price

-taking responsibility for promotion, display, sales forecast and stock levels
- giving policy guidelines to buyer

-producing current sales figures

-producing sales history reports

-determining a strategy with the Category/Merchandise Manager

-monitoring stock management & allocation to stores

-raising purchase orders to match range plan from buyers

-developing detailed spreadsheets for the buyers

-planning and financial control

-ensuring purchase order raised to budgets

-negotiating cost prices with factories/buyers

-approving pre-production samples

-monitoring pre-production/production

-organising shipping documents
Actually a merchandiser is responsible for almost everything-from order analysis to shipment and finally payment realization. Merchandising means to arrange all the required raw materials and to make the goods ready to sell them to customers. Work, work and work

– all day long. Handling 40/45 orders/styles at a time. Chasing buyer for comments/approval, chasing suppliers for raw materials/trims, chasing production team to maintain delivery schedule and finally chasing commercial department for shipping/documentations. To a new merchandiser merchandising is nothing but hard work done with managers!

মার্চেন্ডাইজিং:

বায়িং হাউজ/গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইল সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ক্ষেত্রটির নাম হলো মার্চেন্ডাইজিং। বর্তমান বিশ্ববাজারে পোশাক শিল্পের বিপুল চাহিদার কারণে অন্য সব পেশার চেয়ে এ পেশায় চাকরি পাওয়া কিছুটা সহজ। মান-মর্যাদা, দায়িত্বশীলতা ও ভাল ক্যারিয়ার গঠনের জন্য এই পেশাকে পোশাক শিল্পের প্রাণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। একজন মার্চেন্ডাইজার সাধারণত গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি/বায়িং হাউজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সম্পাদন করে থাকে। তাকে উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রায় সকল ডিপার্টমেন্টের সাথে সমন্বয় রেখে কাজ করতে হয়। সাধারণত Product Development থেকে শুরু করে planning, sourcing, sampling, costing, coordination এবং communication এর কাজগুলো একজন মার্চেন্ডাইজারই সম্পাদন করে থাকে। এক কথায় বলতে গেলে, একটি অর্ডারকে বাস্তবায়নে যা যা করণীয় তার সব কিছুই একজন মার্চেন্ডাইজারকেই করতে হয়।

ক্যারিয়ারের প্রাথমিক অবস্থায় একজন মার্চেন্ডাইজার গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে Management Trainee অথবা Intern হিসেবে কাজ শুরু করে। বেতন নির্ভর করবে কাজের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার ওপরে। শুরুটা ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা হলেও ২ থেকে ৩ বছর পর অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে বহুজাতিক প্রতি ষ্ঠানের Buying house/liaison office এ উচ্চবেতনে চাকরী করতে পারে। এক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার পরিধি বৃদ্ধির সাথে সাথে বেতন ও অতি দ্রুত বেড়ে যায়। একজন মার্চেন্ডাইজারকে অবশ্যই স্নাতক/ স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী হতে হয়।. 

মার্চেন্ডাইজিং পেশা হিসেবে সম্ভাবনাময়-

তৈরি পোশাকশিল্পে (রেডিমেড গার্মেন্টস-আরএমজি) বাংলাদেশে কাজের অনেক সুযোগ রয়েছে। এই শিল্পে পেশা বলতে উৎপাদনবিষয়ক কাজগুলোই আমাদের কাছেবেশিপরিচিত হলেও এখানে অন্য বেশ কিছু ধরনের কাজের সুযোগও রয়েছে। পোশাকশিল্পে উৎপাদিত পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণযেমন গুরুত্বপূর্ণ, ব্যবসায়িক স্বার্থে এর উপস্থাপনাটাও বেশ দরকারি। সেই সঙ্গে আছে পারিপার্শিক আরও কিছু বিষয়। পোশাকের আমদানিকারকেরা এখন শুধু পণ্যই দেখে না, পণ্যের পাশাপাশিঅন্যান্য দিকে মানগত বিষয়ে ওদের কিছু চাহিদা থাকে।ভাবতেই ভালো লাগে, আমাদের দেশের তৈরি পোশাকের চাহিদা বিদেশে প্রচুর। এর চাহিদা দিন দিন আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিটি পোশাক কারখানাতেই অভিজ্ঞ মার্চেন্ডাইজার দরকার রয়েছে। এ কারণেই মার্চেন্ডাইজিং চাহিদাসম্পন্ন একটি পেশা। এ পেশায় রয়েছে যথেষ্ট আয়ের সুযোগ। তাই এ পেশার ব্যাপারে আগ্রহ বাড়ছে দিন দিন।

মার্চেন্ডাইজার ও মার্চেন্ডাইজিং কী?

একজন মার্চেন্ডাইজার তৈরি পোশাকশিল্পের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা। তাঁর দায়িত্ব অপরিসীম। সোজা কথায় পণ্যের উৎপাদন থেকে শুরু করে বাজারে বিপণন, বিক্রি পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াগুলো যিনি নিপুণ দক্ষতার সঙ্গে তত্ত্বাবধান করে থাকেন তিনিই মার্চেন্ডাইজার। আর এ প্রক্রিয়া বা পেশাকেই বলা হয় মার্চেন্ডাইজিং। এটি যথেষ্ট সম্মানজনক ও আকর্ষণীয় এবং এর বেতনও অন্যান্য পেশার তুলনায় বেশি। টেক্সওয়েল নামে একটি মার্চেন্ডাইজিং প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মার্চেন্ডাইজার নিরঞ্জন ভৌমিক (নিরু) বলেন ‘অনেক পেশা থাকতে এ পেশায় আসার অন্যতম কারণ, পেশাটি যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং এবং বেতনও অনেক।’ তবে তিনি বিশেষ করে অভিজ্ঞতার গুরুত্ব প্রদান করেছেন। তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের কদরই বেশি।

চাকরির ক্ষেত্রে
তৈরি পোশাক শিল্পকে একটা লাইফ লাইন বলা যায়। কারণ, মার্চেন্ডাইজিংয়ের প্রধান চাকরির ক্ষেত্র হলো আরএমজি খাত। দেশের দক্ষতাসম্পন্ন জনশক্তি এ ক্ষেত্রে বেশি প্রয়োজন।
বর্তমানে আমাদের দেশে চার হাজারেরও বেশি তৈরি পোশাক কারখানা আছে। অতএব খুব নিশ্চিত করে বলা যায়, কারও যদি এই বিষয়ে ডিগ্রি এবং প্রশিক্ষণ থাকে তাহলে শুরুতেই আকর্ষণীয় বেতন-ভাতা নিয়ে যেকোনো পোশাক কারখানায় চাকরি পাবে। তা ছাড়া দ্রুত পদোন্নতির সম্ভাবনাও রয়েছে। বাইরের দেশগুলোও আমাদের দেশ থেকে এ খাতে কাজ করার জন্য জনশক্তি রপ্তানি করে থাকে। সে ক্ষেত্রে উচ্চ বেতনে বাইরের দেশগুলোতেও কাজ করতে পারার সুযোগ থাকে।

আমাদের দেশে সম্ভাবনা

আমাদের দেশে এ পেশার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। এখন বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানিপণ্য হলো আমাদের তৈরি পোশাক।উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে আমাদের দেশের গার্মেন্টস পোশাকের ভালো চাহিদা থাকায় এবং কোটাপ্রথা উঠে যাওয়ায় সবাই এখন ভালো কাজের দিকে মনোনিবেশ করছে। আর ক্রমেই বাড়ছে মার্চেন্ডাইজারদের চাহিদা।

সব শেষে বলব, আকর্ষণীয় পেশা হিসেবে আপনিও বেছে নিতে পারেন মার্চেন্ডাইজিং পেশা।









মার্চেন্ডাইজার এবং মার্চেন্ডাইজিং | Merchandiser - Merchandising

মার্চেন্ডাইজিং কি?

মার্চেন্ডাইজ (Merchandise) একটি ইংরেজি শব্দ। এই মার্চেন্ডাইজ শব্দ থেকে এসেছে মার্চেন্ডাইজিং (Merchandising), এর আভিধানিক অর্থ পণ্য কেনা বেচা করা।অর্থাৎ আয়ের উদ্দেশ্য কোন পণ্য কিনে তা আবার বিক্রি করাকে মার্চেন্ডাইজিং বলে।

গার্মেন্টস মার্চেন্ডাইজিং কি?

গার্মেন্টস মার্চেন্ডাইজিং এর অর্থ হল গার্মেন্টস তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল যেমন কাপড়, এক্সোসরিজ ইত্যাদি কেনা এবং তা দিয়ে গার্মেন্টস তৈরি করে সেই গার্মেন্টস বিক্রি করা। উদ্দেশ্য থাকবে যে গার্মেন্টস তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় কাপড়, এক্সোসরিজ ও অন্যান্য জিনিসপত্র কেনার খরচ, গার্মেন্টস তৈরির জন্য নিয়োজিত শ্রমিক/কর্মচারীদের মজুরী/বেতন, ফ্যাক্টরি ভাড়া, ইত্যাদি যাবতীয় মোট খরচের চাইতে গার্মেন্টস এর বিক্রয় মূল্য বেশী হতে হবে।

গার্মেন্টস মার্চেন্ডাইজার কাকে বলে?

মার্চেন্ডাইজিং এর সংজ্ঞা থেকে অনুমান করা যায় যে এ কাজটি সম্পাদনের জন্য গার্মেন্টস ফ্যক্টরীতে কিংবা বায়িং হাউসে সুনির্দিষ্ট লোক থাকা প্রয়োজন। যে ব্যক্তি গার্মেন্টস ফ্যক্টরী কিংবা বায়িং হাউসে মার্চেন্ডাইজিং এর যাবতীয় কাজ সম্পাদন করেন তাকে গার্মেন্টস মার্চেন্ডাইজার বলে।
এখন আমরা দেখব মার্চেন্ডাইজিং এর বিশ্বখ্যাত ব্লগ অ্যাপারেল মার্চেন্ডাইজিং ওয়ার্ল্ড এর সংজ্ঞাঃ

Merchandising comes from the word merchandise. Merchandise means commodities or goods to be bought and sold. The word merchandising means the activity of promoting the sale of goods.

The activities include-

-working very closely with buyers/seller and determining range of merchandise/goods to be sold

-buying them at right time

-calculating their price

-taking responsibility for promotion, display, sales forecast and stock levels
- giving policy guidelines to buyer

-producing current sales figures

-producing sales history reports

-determining a strategy with the Category/Merchandise Manager

-monitoring stock management & allocation to stores

-raising purchase orders to match range plan from buyers

-developing detailed spreadsheets for the buyers

-planning and financial control

-ensuring purchase order raised to budgets

-negotiating cost prices with factories/buyers

-approving pre-production samples

-monitoring pre-production/production

-organising shipping documents
Actually a merchandiser is responsible for almost everything-from order analysis to shipment and finally payment realization. Merchandising means to arrange all the required raw materials and to make the goods ready to sell them to customers. Work, work and work

– all day long. Handling 40/45 orders/styles at a time. Chasing buyer for comments/approval, chasing suppliers for raw materials/trims, chasing production team to maintain delivery schedule and finally chasing commercial department for shipping/documentations. To a new merchandiser merchandising is nothing but hard work done with managers!

মার্চেন্ডাইজিং:

বায়িং হাউজ/গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইল সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ক্ষেত্রটির নাম হলো মার্চেন্ডাইজিং। বর্তমান বিশ্ববাজারে পোশাক শিল্পের বিপুল চাহিদার কারণে অন্য সব পেশার চেয়ে এ পেশায় চাকরি পাওয়া কিছুটা সহজ। মান-মর্যাদা, দায়িত্বশীলতা ও ভাল ক্যারিয়ার গঠনের জন্য এই পেশাকে পোশাক শিল্পের প্রাণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। একজন মার্চেন্ডাইজার সাধারণত গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি/বায়িং হাউজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সম্পাদন করে থাকে। তাকে উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রায় সকল ডিপার্টমেন্টের সাথে সমন্বয় রেখে কাজ করতে হয়। সাধারণত Product Development থেকে শুরু করে planning, sourcing, sampling, costing, coordination এবং communication এর কাজগুলো একজন মার্চেন্ডাইজারই সম্পাদন করে থাকে। এক কথায় বলতে গেলে, একটি অর্ডারকে বাস্তবায়নে যা যা করণীয় তার সব কিছুই একজন মার্চেন্ডাইজারকেই করতে হয়।

ক্যারিয়ারের প্রাথমিক অবস্থায় একজন মার্চেন্ডাইজার গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে Management Trainee অথবা Intern হিসেবে কাজ শুরু করে। বেতন নির্ভর করবে কাজের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার ওপরে। শুরুটা ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা হলেও ২ থেকে ৩ বছর পর অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে বহুজাতিক প্রতি ষ্ঠানের Buying house/liaison office এ উচ্চবেতনে চাকরী করতে পারে। এক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার পরিধি বৃদ্ধির সাথে সাথে বেতন ও অতি দ্রুত বেড়ে যায়। একজন মার্চেন্ডাইজারকে অবশ্যই স্নাতক/ স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী হতে হয়।. 

মার্চেন্ডাইজিং পেশা হিসেবে সম্ভাবনাময়-

তৈরি পোশাকশিল্পে (রেডিমেড গার্মেন্টস-আরএমজি) বাংলাদেশে কাজের অনেক সুযোগ রয়েছে। এই শিল্পে পেশা বলতে উৎপাদনবিষয়ক কাজগুলোই আমাদের কাছেবেশিপরিচিত হলেও এখানে অন্য বেশ কিছু ধরনের কাজের সুযোগও রয়েছে। পোশাকশিল্পে উৎপাদিত পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণযেমন গুরুত্বপূর্ণ, ব্যবসায়িক স্বার্থে এর উপস্থাপনাটাও বেশ দরকারি। সেই সঙ্গে আছে পারিপার্শিক আরও কিছু বিষয়। পোশাকের আমদানিকারকেরা এখন শুধু পণ্যই দেখে না, পণ্যের পাশাপাশিঅন্যান্য দিকে মানগত বিষয়ে ওদের কিছু চাহিদা থাকে।ভাবতেই ভালো লাগে, আমাদের দেশের তৈরি পোশাকের চাহিদা বিদেশে প্রচুর। এর চাহিদা দিন দিন আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিটি পোশাক কারখানাতেই অভিজ্ঞ মার্চেন্ডাইজার দরকার রয়েছে। এ কারণেই মার্চেন্ডাইজিং চাহিদাসম্পন্ন একটি পেশা। এ পেশায় রয়েছে যথেষ্ট আয়ের সুযোগ। তাই এ পেশার ব্যাপারে আগ্রহ বাড়ছে দিন দিন।

মার্চেন্ডাইজার ও মার্চেন্ডাইজিং কী?

একজন মার্চেন্ডাইজার তৈরি পোশাকশিল্পের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা। তাঁর দায়িত্ব অপরিসীম। সোজা কথায় পণ্যের উৎপাদন থেকে শুরু করে বাজারে বিপণন, বিক্রি পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াগুলো যিনি নিপুণ দক্ষতার সঙ্গে তত্ত্বাবধান করে থাকেন তিনিই মার্চেন্ডাইজার। আর এ প্রক্রিয়া বা পেশাকেই বলা হয় মার্চেন্ডাইজিং। এটি যথেষ্ট সম্মানজনক ও আকর্ষণীয় এবং এর বেতনও অন্যান্য পেশার তুলনায় বেশি। টেক্সওয়েল নামে একটি মার্চেন্ডাইজিং প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মার্চেন্ডাইজার নিরঞ্জন ভৌমিক (নিরু) বলেন ‘অনেক পেশা থাকতে এ পেশায় আসার অন্যতম কারণ, পেশাটি যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং এবং বেতনও অনেক।’ তবে তিনি বিশেষ করে অভিজ্ঞতার গুরুত্ব প্রদান করেছেন। তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের কদরই বেশি।

চাকরির ক্ষেত্রে
তৈরি পোশাক শিল্পকে একটা লাইফ লাইন বলা যায়। কারণ, মার্চেন্ডাইজিংয়ের প্রধান চাকরির ক্ষেত্র হলো আরএমজি খাত। দেশের দক্ষতাসম্পন্ন জনশক্তি এ ক্ষেত্রে বেশি প্রয়োজন।
বর্তমানে আমাদের দেশে চার হাজারেরও বেশি তৈরি পোশাক কারখানা আছে। অতএব খুব নিশ্চিত করে বলা যায়, কারও যদি এই বিষয়ে ডিগ্রি এবং প্রশিক্ষণ থাকে তাহলে শুরুতেই আকর্ষণীয় বেতন-ভাতা নিয়ে যেকোনো পোশাক কারখানায় চাকরি পাবে। তা ছাড়া দ্রুত পদোন্নতির সম্ভাবনাও রয়েছে। বাইরের দেশগুলোও আমাদের দেশ থেকে এ খাতে কাজ করার জন্য জনশক্তি রপ্তানি করে থাকে। সে ক্ষেত্রে উচ্চ বেতনে বাইরের দেশগুলোতেও কাজ করতে পারার সুযোগ থাকে।

আমাদের দেশে সম্ভাবনা

আমাদের দেশে এ পেশার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। এখন বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানিপণ্য হলো আমাদের তৈরি পোশাক।উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে আমাদের দেশের গার্মেন্টস পোশাকের ভালো চাহিদা থাকায় এবং কোটাপ্রথা উঠে যাওয়ায় সবাই এখন ভালো কাজের দিকে মনোনিবেশ করছে। আর ক্রমেই বাড়ছে মার্চেন্ডাইজারদের চাহিদা।

সব শেষে বলব, আকর্ষণীয় পেশা হিসেবে আপনিও বেছে নিতে পারেন মার্চেন্ডাইজিং পেশা।









কোন মন্তব্য নেই: