টেক্সটাইল জবের আগে যে বিষয় গুলি জেনে রাখা উচিৎ - Textile Lab | Textile Learning Blog
জব এর ভাইবার জন্য কিছুটা সময় দেয়া এবং প্রস্তুতির কিছুটা ঘাটতি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কিছুটা আলোচনা  :


টেক্সটাইল এর যতোই রেফারেন্স থাকুক না কেন আপনাকে কোম্পানির নিয়োগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে জব পেতে হবে ।  বেশির ক্ষত্রেই দেখা যায় অনেকেই রেফারেন্সের জোরে ইন্টার্ভিউ পর্যন্ত যেতে পারলেও তারা লিখিত পরীক্ষায় টিকতে পারেন না । এর জন্য অবশ্য নিজেকেই দায়ী করতে হবে,  কারন আপনি স্টাডির পাশাপাশি নিয়োগ প্রক্রিয়া এর জন্য নিজেকে প্রুস্তুত করতে পারতেন।



আমাদের টেক্সটাইল স্টুডেন্টদের ইন্টার্ভিউ সম্পর্কিত কিছু ভ্রান্ত ধারনা :

১. টেক্সটাইল জব রেফারেন্স ভিত্তিক !!!
ভালো মানের ফেক্টরিতে জব করতে হলে তাদের HR এর নিয়োগ প্রক্রিয়া অনুসারে আপনাকে ঢুকতে হবে যার জন্য আপনাকে লিখিত, মৌখিক,  প্রেজেন্টেশন দিয়ে আপনাকে জব পেতে হবে।

২. মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিতে জব এর জন্য রেফারেন্স লাগে না এর জন্য কোয়ালিফিকেশন লাগে,  মেক্সিমাম স্টুডেন্ট নিয়োগ প্রক্রিয়া জানার না করনে উটকো ঝামেলা মনে করে ওই জব গুলিতে এপ্লাই করেন না যার ফলে এই সেক্টর এখনো অনেককেই প্রতিযোগী হীন করে রাখছে।
৩. আমাদের রানিং স্টুডেন্টদের ধারনা টেক্সটাইল এর ভাইবায় শুধু টেক্সটাইল এর প্রশ্ন হয়।

এটি সম্পুর্ন ভুল ধারনা,  কারন টেক্সটাইল এর একটি এপ্লাইড সাইন্স তাই এইখানে জবের জন্য সব দিকে ১০০ ভাগ কোয়ালিফাইড হতে হবে,  কিছু গুনাগুন আপনার কাজে দিবে যেমন ম্যাথম্যাটিকাল এবিলিটি,  সাধারন জ্ঞান,  প্রেজেন্টেশন,  ভাষার দক্ষতা ইত্যাদি।
টেক্সটাইল ভাইবার প্রশ্ন হলে
৪০% টেক্সটাইল ভিত্তিক
২০% ম্যাথম্যাটিকাল প্রব্লেম
২০% ইংরেজি
২০% জেনারেল নলেজ
এখানে একটি ভুল ধারনার জন্য মেক্সিমাম প্রথম ভাইবা তে উত্তির্ন হতে পারেন না।


৪. মেক্সিমাম স্টুডেন্টস ভাইবার আগে ভালো কন্সাল্টেন্সি পান না,  বিধায় তারা ভাইবা বোর্ডে নানান অসুবিধায় পড়েন । ৮০% স্টুডেন্ট প্রথম ভাইবা দিয়ে বোঝেন টেক্সটাইল ভাইবার প্রক্রিয়া আসলেই কেমন হয়

৫. ডিফেন্স এর ভাইবার সময় কি ভাবে প্রশ্ন হয় বা তার উত্তর কি ভবে দিতে হয় এর জন্য ডেমো টেস্ট বা মক টেস্ট ফেইস করে যায় সবাই যাতে করে তাদের কাছে ওই বিষয় গুলু আগে থেকে জানা থাকে,  আমাদের জুনিয়র গন চাইলে সিনিয়র দের হেল্প নিয়ে আগে থেকে সেই সম্বাভ্য প্রশ্ন  জেনে ভাইবায় যেতে পারেন। জব সিরিয়াস ইস্যু এর ক্ষত্রে নো কম্প্রোমাইজ।

৬. আমাদের অনেক নবিন প্রকৌশলী টেক্সটাইল এর সংজ্ঞা,  কাউন্ট এর সংজ্ঞা বলতে অনেক কস্ট পেতে তার কারন হলো সেমিস্টার শেষ হলে স্টাডি মডিউল তারা সিকোয় পুরে রাখে,  আমাদের মতে একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার ৪র্থ বছরে উঠলে অন্তত তার জবের কথা চিন্তা করে হলেও তার গতো তিন বছরের পড়া গুলি রিভিউ করা উচিৎ ।





৭. অনেকেই নিজের মেজর পড়েই খালাস,  কিন্তু ২ সেমিস্টার খুব বেশি নয়,  তাই একজন অন্য জন থেকে খুব বেশি জেনে যাবেন না ঠিক নয়,  টেক্সটাইল এর যারা কর্মরত আছেন তাদের কেইস স্টাডি করে দেখবেন ৬০-৭০% স্টুডেন্ট নিজের ট্রেড অনুযায়ী জব করতে পারেন না। ধরুন আপনি মার্কেটিং বা মার্চেন্ডাজিং করবেন তার জন্য স্পেসিফিক কোন মেজর নেই,  এটা আরো বড় বিপদ কারন এর জন্য A to Z সব কিছু জানতে হবে।  ফেক্টরি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার বলতে বোঝে আপনি সকল বিষয়ে অভিজ্ঞ একজন ব্যাক্তি কিন্ত আপনি যদি এক বিষয় এর উপর নির্ভর করে থাকের তবে আপনি তাদের চোখে বোকা থেকেই যাবেন বা ইউসলেস ।

৮. আরেকটি বিষয় যেটা টেক্সটাইল এর জব এর ক্ষত্রে জানতে চায় কোম্পানি তা হলো অভিজ্ঞা,  বলতে পারেন ফ্রেশার এর আ বার অভিজ্ঞতা কি !!!  ফ্রেশার এর অভিজ্ঞতা হলো তার ইন্টার্ন এর আর প্রজেক্ট করার অভিজ্ঞতা ।
অতিব দুঃখের সাথে বলতে হয় টেক্সটাইল নবীন ইঞ্জিনিয়ার ৮০% স্টুডেন্ট ইন্টার্ন কে পিকনিক আর সেল্ফি তোলার স্থান মনে করেন যার ফলে প্রেক্টিকাল ফেক্টরি জনার অভিজ্ঞতা থেকে তারা বঞ্চিত হন।  এটি জবের পওয়ার পরো ভোগায়।



৯. এগ্রিমেন্ট / চুক্তি
এগ্রিমেন্ট সম্পর্কে আমাদের আমাদের ফ্রেশার জুনিয়র দের ভুল ধারনা আছে অনেকেই এগ্রিমেন্ট শুনলে অনেকেই জব করতে চান না,  এগ্রিমেন্ট করা থাকলে আপনাদের সহজে চাইলেও বের করে দিতে পারবে না,  আর বের করতে হলে আপনাদের ৩ মাসের সেলারি দিয়ে পরে বের করতে হবে।  আর যার এগ্রিমেন্ট ছাড়া জব করেন তারা সকালে ফেক্টরিতে ঢুকে বিকেলে জব থাকবে কিনা তার গেরান্টি দিতে পারেন না,  আর তাদের ৬ মাস অপেক্ষা করতে হয় জব পার্মানেন্ট হতে ।

১০. ভাষার সমস্যা
বেশির ভাগ স্টুডেন্টদের ইংরেজি বলার দক্ষতা দেখলে ইন্টার্ভিউ বোর্ডের কর্মকর্তা গন হাসেন,  কারন ৪ বছর ইংলিশ পড়ার পরো ভাষা তারা কতগা বলতে পারেন না ।  টেক্সটাইল একটি গ্লোবাল সেক্টর এখানে দেশি বায়ার নেই সবাই বিদেশী তাই এখানে বহু ভাষা  জানার মুল্য অসিম ।

১১. স্মার্টনেস
আমাদের জুনিয়রদের স্মার্টনেস এর ধারনা ভুল ধারনা আছে তাদের মাঝে হাতে রিস্ট বেন্ড,  হেয়ার স্টাইল আর ঢাকাইয়া মডে কথা বলাটা স্মার্টনেস।  এই ধারনা ভুল স্মার্টনেস বলে বোঝায় শুদ্ধ বাছন ভংগি,  ভালো উপস্থাপনা, ভালো বডি ল্যাংগুয়েজ,  ভালো IQ,  ভালো টেক্সটাইল জ্ঞান,  উপস্থিথ বুদ্ধি ইত্যাদি সব কিছুর কম্বিনেশন,  এটি শুধু টেক্সটাইল জব নয় অন্য সকল জব এর জন্য এই গুন গুলি থাকা জরুরী।

১২. কম্পিউটার স্কিল
এখন টেক্সটাইল জব যেমন  IE, Marchandising ,  Planning, টেস্টিং জব গুলির জন্য কম্পিউটার দক্ষতা মাস্ট,  তাই ভাইবা নেয়ার সময় কম্পিউটার এর প্রেক্টিকাল টেস্ট নেয়া হয় ।তারা এক্সেল এর সুত্র গ্রাফ,  চার্ট করতে দেয়।
আমাদের জুনিয়র অনেকেই কম্পিউটার এর ব্যাবহার বলতে  গান বাজানো আর ফেইস বুকিং আর ফটো এডিটিং বোঝে ।



১৩. CGPA fact
নিজেকে মালিক এর পজিশনে রেখে চিন্তা করুন আপনি আপনার প্রতিস্টানে দক্ষ লোক নিবেন কিনা !!! যেহেতু আপনি তাকে কাজের বিনিময়ে সেলারি দিচ্ছেন অবশ্যাই আপনি চাইবেন তার কিছু কোয়ালিটি দক্ষতা থাকুক তাই কোম্পানি গুলি ভালো Cgpa এর কন্ডিশন বেধে দেয় আপনাদের । 
হা আমি দক্ষ !!!
আমি কোঠোর পরিশ্রমি !!!
আমি অনেক জানি !!!
হা,  আপনি ফ্রেশার জব এর এক্সপেরিয়েন্স নেই,  তাই আপনার কোয়ালিটি মিজার করার একমাত্র প্যারামিটার হলো আপনার একাডেমীক রেজাল্ট আর ব্যাক গ্রাউন্ড,  আপনার রেজাল্ট আপনার ভালো মন্দ বিচার করবে কর্তিপক্ষের কাছে । আপনি জ্ঞানের জাহাজ বুঝলাম কিন্তু আপনার CGPA খারাপ,  ভাইবার পার্ফোমেন্স খারাপ তো এই জাহাজ এর মুল্য ভাংগারির মতো।

১৪. সিভি ফেক্ট :
কাল ভাইবা আজ মনে হলো
সিভি রেডি নেই !!!
সিভি কেমন হওয়া উচিৎ !!!
কভার লেটার দিবো কি দিবো না !!!
এমন যদি হয় তবে আপনার ভেতরে পেশাদারিত্বর অভাব আছে ,  আপনি চাকুরি থাকে অবশর নেয়ার আগ দিন পর্যন্ত আপডেট সিভি,  কভার লেটার থাকা জরুরী,  তবে এর জন্য কেনো একটু সময় দেবেন না।  লাগে স্টুডেন্ট লাইফের ১ টা বছর সময় দিন আস্তে আস্তে গুছান সিভি কভার লেটার।
দেখুন তাডাহুড় করে এসাইনমেন্ট এর মতো কপি পেস্ট করতে গিয়ে,  অন্যের বাবা মার নাম যেনো এডিট করতে না ভুলে যান যেনো।





১৫. প্রতীযোগী থাকা
প্রতিযোগী থাকবে এটাই স্বাভাবিক তাদের হিংসে দিয়ে নয় নিজের গুন,  কোয়ালিটি দিয়ে হারিয়ে পজিশনে যেতে হবে আপনার ক্লাস মেটো আপনার প্রতিযোগী । বাংলাদেশে ৩০-৪০ টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট আছে যেখানে ৩০-৪০ হাজার স্টুডেন্ট বের হচ্ছে   আপনাকে আপনার কোয়ালিটির দিকে নজর দিতে হবে  কোয়ানটিটির উপর নয়।



১৬. নিজের ভার্সিটির বড়ভাই খোজা
মেক্সিমাম স্টুডেন্ট দের ক্ষত্রে দেখা যায় তারা নিজ ভার্সিটির বড় ভাই খুজে ফেরেন, হা এটি টেক্সটাইল কিছু ক্ষত্রে  পজেটিভ যেমন জব এর ভেকেন্সি গুলি জানা যায়।
নেগেটিভ দিক হলো এটির উপর নির্ভর করে আন কোয়ালিফাইড স্টুডেন্ট গুলি যারা প্রতিযোগিতায় ভয় পায়। 
রিয়েলিটি হলো : টেক্সটাইল এ একটি কথা প্রচলিত আছে যে টেক্সটাইল এ নিজের ভার্সিটি স্টুডেন্ট দিয়ে কাজ করানো যায় না কারন তাদের উপর রাগ দেখানো যায় না, আর অনেক প্রাইভেসি তারা এক্সপোজ করে দেয়।  টেক্সটাইল সেক্টর চরম পেশাদারী সেক্টর এখানে কাজের ক্ষত্রে ভাই, বন্ধু কোন মুল্য নাই। যা থাকার সব ফেক্টরির বাইরে থাকে।



১৭. সেক্টর বা জব স্টাডি
একজন পেশাদারী  টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার মেজর নেয়ার পরা একটি কাজ এসাইনমেন্ট এর মতো করতে পারে তা হলো ফেক্টরিতে কওন জঅঅবের জন্য কি কোয়ালিটি,  কোয়ালিফিকেশন  লাগে তা স্টাডি করে নিজের ইভালিউশন করে তা নিজের মাঝে ইম্পলিমেন্ট করা ।

১৮. পরো নির্ভর শিলতা
এই সেক্টরে রেফারেন্স ছাড়া জব হয় না এই ভ্রান্ত ধারনা কে পুঁজি করে অনেকে হাত পা গুটিয়ে বসে থাকে যার ফল স্বরুপ নিজের পার্সোনাল স্কিল গুলি ডেভলমেন্ট না করে অন্যের আশায় বসে থাকেন।  তারা মনে করেন মামা চাচা থাকলেই হয় রেজাল্ট বা স্কিল এর মুল্য নাই । টেক্সটাইল এর সারভাইব করতে হলে স্কিল দিয়ে টিকে থাকতে হবে রেফারেন্স এর মুল্য শুধু মাত্র ইন্টার্ভিউ পর্যন্ত।  মনে রাখবেন মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানি তে স্কিল লাগে তারা রেফারেন্স দেখে না।  তা হলে কি জব করবেন না মাল্টি ন্যাশনাল এ ???

১৯. রেফারেন্স ছাড়া জব এর ভীতি
ফরেন বাইং হাউজ, ফরেন টেস্টিং,  কোম্পানির নিয়োগ এর সময় এপ্লিকেন্ট খুজে পাওয়া যায় না কারন তাদের রিকোয়ারমেন্ট এ এর কারনে ৪০% স্টুডেন্ট বাদ পড়ে যায়।

২০. জব সোর্সিং :
বেশির ভাগ স্টুডেন্ট জব খুজতে BD jobs এর উপর নির্ভর করেন কিন্তু স্টেন্ডার্ড জব গুলোর নিয়োগ Linkedin এ হয় যা অনেকের অজনা।

২১. রেফারেন্স এর এতো ভ্যালু কেনো !!
টেক্সটাইল এর রেফারেন্স দরকার এই কারনে যেনো আপনি ভুল কপ্রে চলে গেলে আপনাকে ধারার জন্য যে রেফারেন্স দিয়েছে যে তাকে দিয়ে যেনো আপনাকে বের করা যায়।  তাই রেফারেন্স অনেকেই দিতে চায় না।
#নোট: লেখা ইগোতে না নিয়ে বরং এর উপর আমল করলে উপকারে লাগবে,  বিষয় প্রেজেন্ট কন্ডিশন আর ফেক্টরির অভি
জ্ঞতার আলোকে লেখা।

মাজেদুল হাসান শিশির
টেক্সটাইল ব্লগার 
mazadulhasan@yahoo.com 






job

টেক্সটাইল জবের আগে যে বিষয় গুলি জেনে রাখা উচিৎ

জব এর ভাইবার জন্য কিছুটা সময় দেয়া এবং প্রস্তুতির কিছুটা ঘাটতি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কিছুটা আলোচনা  :


টেক্সটাইল এর যতোই রেফারেন্স থাকুক না কেন আপনাকে কোম্পানির নিয়োগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে জব পেতে হবে ।  বেশির ক্ষত্রেই দেখা যায় অনেকেই রেফারেন্সের জোরে ইন্টার্ভিউ পর্যন্ত যেতে পারলেও তারা লিখিত পরীক্ষায় টিকতে পারেন না । এর জন্য অবশ্য নিজেকেই দায়ী করতে হবে,  কারন আপনি স্টাডির পাশাপাশি নিয়োগ প্রক্রিয়া এর জন্য নিজেকে প্রুস্তুত করতে পারতেন।



আমাদের টেক্সটাইল স্টুডেন্টদের ইন্টার্ভিউ সম্পর্কিত কিছু ভ্রান্ত ধারনা :

১. টেক্সটাইল জব রেফারেন্স ভিত্তিক !!!
ভালো মানের ফেক্টরিতে জব করতে হলে তাদের HR এর নিয়োগ প্রক্রিয়া অনুসারে আপনাকে ঢুকতে হবে যার জন্য আপনাকে লিখিত, মৌখিক,  প্রেজেন্টেশন দিয়ে আপনাকে জব পেতে হবে।

২. মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিতে জব এর জন্য রেফারেন্স লাগে না এর জন্য কোয়ালিফিকেশন লাগে,  মেক্সিমাম স্টুডেন্ট নিয়োগ প্রক্রিয়া জানার না করনে উটকো ঝামেলা মনে করে ওই জব গুলিতে এপ্লাই করেন না যার ফলে এই সেক্টর এখনো অনেককেই প্রতিযোগী হীন করে রাখছে।
৩. আমাদের রানিং স্টুডেন্টদের ধারনা টেক্সটাইল এর ভাইবায় শুধু টেক্সটাইল এর প্রশ্ন হয়।

এটি সম্পুর্ন ভুল ধারনা,  কারন টেক্সটাইল এর একটি এপ্লাইড সাইন্স তাই এইখানে জবের জন্য সব দিকে ১০০ ভাগ কোয়ালিফাইড হতে হবে,  কিছু গুনাগুন আপনার কাজে দিবে যেমন ম্যাথম্যাটিকাল এবিলিটি,  সাধারন জ্ঞান,  প্রেজেন্টেশন,  ভাষার দক্ষতা ইত্যাদি।
টেক্সটাইল ভাইবার প্রশ্ন হলে
৪০% টেক্সটাইল ভিত্তিক
২০% ম্যাথম্যাটিকাল প্রব্লেম
২০% ইংরেজি
২০% জেনারেল নলেজ
এখানে একটি ভুল ধারনার জন্য মেক্সিমাম প্রথম ভাইবা তে উত্তির্ন হতে পারেন না।


৪. মেক্সিমাম স্টুডেন্টস ভাইবার আগে ভালো কন্সাল্টেন্সি পান না,  বিধায় তারা ভাইবা বোর্ডে নানান অসুবিধায় পড়েন । ৮০% স্টুডেন্ট প্রথম ভাইবা দিয়ে বোঝেন টেক্সটাইল ভাইবার প্রক্রিয়া আসলেই কেমন হয়

৫. ডিফেন্স এর ভাইবার সময় কি ভাবে প্রশ্ন হয় বা তার উত্তর কি ভবে দিতে হয় এর জন্য ডেমো টেস্ট বা মক টেস্ট ফেইস করে যায় সবাই যাতে করে তাদের কাছে ওই বিষয় গুলু আগে থেকে জানা থাকে,  আমাদের জুনিয়র গন চাইলে সিনিয়র দের হেল্প নিয়ে আগে থেকে সেই সম্বাভ্য প্রশ্ন  জেনে ভাইবায় যেতে পারেন। জব সিরিয়াস ইস্যু এর ক্ষত্রে নো কম্প্রোমাইজ।

৬. আমাদের অনেক নবিন প্রকৌশলী টেক্সটাইল এর সংজ্ঞা,  কাউন্ট এর সংজ্ঞা বলতে অনেক কস্ট পেতে তার কারন হলো সেমিস্টার শেষ হলে স্টাডি মডিউল তারা সিকোয় পুরে রাখে,  আমাদের মতে একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার ৪র্থ বছরে উঠলে অন্তত তার জবের কথা চিন্তা করে হলেও তার গতো তিন বছরের পড়া গুলি রিভিউ করা উচিৎ ।





৭. অনেকেই নিজের মেজর পড়েই খালাস,  কিন্তু ২ সেমিস্টার খুব বেশি নয়,  তাই একজন অন্য জন থেকে খুব বেশি জেনে যাবেন না ঠিক নয়,  টেক্সটাইল এর যারা কর্মরত আছেন তাদের কেইস স্টাডি করে দেখবেন ৬০-৭০% স্টুডেন্ট নিজের ট্রেড অনুযায়ী জব করতে পারেন না। ধরুন আপনি মার্কেটিং বা মার্চেন্ডাজিং করবেন তার জন্য স্পেসিফিক কোন মেজর নেই,  এটা আরো বড় বিপদ কারন এর জন্য A to Z সব কিছু জানতে হবে।  ফেক্টরি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার বলতে বোঝে আপনি সকল বিষয়ে অভিজ্ঞ একজন ব্যাক্তি কিন্ত আপনি যদি এক বিষয় এর উপর নির্ভর করে থাকের তবে আপনি তাদের চোখে বোকা থেকেই যাবেন বা ইউসলেস ।

৮. আরেকটি বিষয় যেটা টেক্সটাইল এর জব এর ক্ষত্রে জানতে চায় কোম্পানি তা হলো অভিজ্ঞা,  বলতে পারেন ফ্রেশার এর আ বার অভিজ্ঞতা কি !!!  ফ্রেশার এর অভিজ্ঞতা হলো তার ইন্টার্ন এর আর প্রজেক্ট করার অভিজ্ঞতা ।
অতিব দুঃখের সাথে বলতে হয় টেক্সটাইল নবীন ইঞ্জিনিয়ার ৮০% স্টুডেন্ট ইন্টার্ন কে পিকনিক আর সেল্ফি তোলার স্থান মনে করেন যার ফলে প্রেক্টিকাল ফেক্টরি জনার অভিজ্ঞতা থেকে তারা বঞ্চিত হন।  এটি জবের পওয়ার পরো ভোগায়।



৯. এগ্রিমেন্ট / চুক্তি
এগ্রিমেন্ট সম্পর্কে আমাদের আমাদের ফ্রেশার জুনিয়র দের ভুল ধারনা আছে অনেকেই এগ্রিমেন্ট শুনলে অনেকেই জব করতে চান না,  এগ্রিমেন্ট করা থাকলে আপনাদের সহজে চাইলেও বের করে দিতে পারবে না,  আর বের করতে হলে আপনাদের ৩ মাসের সেলারি দিয়ে পরে বের করতে হবে।  আর যার এগ্রিমেন্ট ছাড়া জব করেন তারা সকালে ফেক্টরিতে ঢুকে বিকেলে জব থাকবে কিনা তার গেরান্টি দিতে পারেন না,  আর তাদের ৬ মাস অপেক্ষা করতে হয় জব পার্মানেন্ট হতে ।

১০. ভাষার সমস্যা
বেশির ভাগ স্টুডেন্টদের ইংরেজি বলার দক্ষতা দেখলে ইন্টার্ভিউ বোর্ডের কর্মকর্তা গন হাসেন,  কারন ৪ বছর ইংলিশ পড়ার পরো ভাষা তারা কতগা বলতে পারেন না ।  টেক্সটাইল একটি গ্লোবাল সেক্টর এখানে দেশি বায়ার নেই সবাই বিদেশী তাই এখানে বহু ভাষা  জানার মুল্য অসিম ।

১১. স্মার্টনেস
আমাদের জুনিয়রদের স্মার্টনেস এর ধারনা ভুল ধারনা আছে তাদের মাঝে হাতে রিস্ট বেন্ড,  হেয়ার স্টাইল আর ঢাকাইয়া মডে কথা বলাটা স্মার্টনেস।  এই ধারনা ভুল স্মার্টনেস বলে বোঝায় শুদ্ধ বাছন ভংগি,  ভালো উপস্থাপনা, ভালো বডি ল্যাংগুয়েজ,  ভালো IQ,  ভালো টেক্সটাইল জ্ঞান,  উপস্থিথ বুদ্ধি ইত্যাদি সব কিছুর কম্বিনেশন,  এটি শুধু টেক্সটাইল জব নয় অন্য সকল জব এর জন্য এই গুন গুলি থাকা জরুরী।

১২. কম্পিউটার স্কিল
এখন টেক্সটাইল জব যেমন  IE, Marchandising ,  Planning, টেস্টিং জব গুলির জন্য কম্পিউটার দক্ষতা মাস্ট,  তাই ভাইবা নেয়ার সময় কম্পিউটার এর প্রেক্টিকাল টেস্ট নেয়া হয় ।তারা এক্সেল এর সুত্র গ্রাফ,  চার্ট করতে দেয়।
আমাদের জুনিয়র অনেকেই কম্পিউটার এর ব্যাবহার বলতে  গান বাজানো আর ফেইস বুকিং আর ফটো এডিটিং বোঝে ।



১৩. CGPA fact
নিজেকে মালিক এর পজিশনে রেখে চিন্তা করুন আপনি আপনার প্রতিস্টানে দক্ষ লোক নিবেন কিনা !!! যেহেতু আপনি তাকে কাজের বিনিময়ে সেলারি দিচ্ছেন অবশ্যাই আপনি চাইবেন তার কিছু কোয়ালিটি দক্ষতা থাকুক তাই কোম্পানি গুলি ভালো Cgpa এর কন্ডিশন বেধে দেয় আপনাদের । 
হা আমি দক্ষ !!!
আমি কোঠোর পরিশ্রমি !!!
আমি অনেক জানি !!!
হা,  আপনি ফ্রেশার জব এর এক্সপেরিয়েন্স নেই,  তাই আপনার কোয়ালিটি মিজার করার একমাত্র প্যারামিটার হলো আপনার একাডেমীক রেজাল্ট আর ব্যাক গ্রাউন্ড,  আপনার রেজাল্ট আপনার ভালো মন্দ বিচার করবে কর্তিপক্ষের কাছে । আপনি জ্ঞানের জাহাজ বুঝলাম কিন্তু আপনার CGPA খারাপ,  ভাইবার পার্ফোমেন্স খারাপ তো এই জাহাজ এর মুল্য ভাংগারির মতো।

১৪. সিভি ফেক্ট :
কাল ভাইবা আজ মনে হলো
সিভি রেডি নেই !!!
সিভি কেমন হওয়া উচিৎ !!!
কভার লেটার দিবো কি দিবো না !!!
এমন যদি হয় তবে আপনার ভেতরে পেশাদারিত্বর অভাব আছে ,  আপনি চাকুরি থাকে অবশর নেয়ার আগ দিন পর্যন্ত আপডেট সিভি,  কভার লেটার থাকা জরুরী,  তবে এর জন্য কেনো একটু সময় দেবেন না।  লাগে স্টুডেন্ট লাইফের ১ টা বছর সময় দিন আস্তে আস্তে গুছান সিভি কভার লেটার।
দেখুন তাডাহুড় করে এসাইনমেন্ট এর মতো কপি পেস্ট করতে গিয়ে,  অন্যের বাবা মার নাম যেনো এডিট করতে না ভুলে যান যেনো।





১৫. প্রতীযোগী থাকা
প্রতিযোগী থাকবে এটাই স্বাভাবিক তাদের হিংসে দিয়ে নয় নিজের গুন,  কোয়ালিটি দিয়ে হারিয়ে পজিশনে যেতে হবে আপনার ক্লাস মেটো আপনার প্রতিযোগী । বাংলাদেশে ৩০-৪০ টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট আছে যেখানে ৩০-৪০ হাজার স্টুডেন্ট বের হচ্ছে   আপনাকে আপনার কোয়ালিটির দিকে নজর দিতে হবে  কোয়ানটিটির উপর নয়।



১৬. নিজের ভার্সিটির বড়ভাই খোজা
মেক্সিমাম স্টুডেন্ট দের ক্ষত্রে দেখা যায় তারা নিজ ভার্সিটির বড় ভাই খুজে ফেরেন, হা এটি টেক্সটাইল কিছু ক্ষত্রে  পজেটিভ যেমন জব এর ভেকেন্সি গুলি জানা যায়।
নেগেটিভ দিক হলো এটির উপর নির্ভর করে আন কোয়ালিফাইড স্টুডেন্ট গুলি যারা প্রতিযোগিতায় ভয় পায়। 
রিয়েলিটি হলো : টেক্সটাইল এ একটি কথা প্রচলিত আছে যে টেক্সটাইল এ নিজের ভার্সিটি স্টুডেন্ট দিয়ে কাজ করানো যায় না কারন তাদের উপর রাগ দেখানো যায় না, আর অনেক প্রাইভেসি তারা এক্সপোজ করে দেয়।  টেক্সটাইল সেক্টর চরম পেশাদারী সেক্টর এখানে কাজের ক্ষত্রে ভাই, বন্ধু কোন মুল্য নাই। যা থাকার সব ফেক্টরির বাইরে থাকে।



১৭. সেক্টর বা জব স্টাডি
একজন পেশাদারী  টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার মেজর নেয়ার পরা একটি কাজ এসাইনমেন্ট এর মতো করতে পারে তা হলো ফেক্টরিতে কওন জঅঅবের জন্য কি কোয়ালিটি,  কোয়ালিফিকেশন  লাগে তা স্টাডি করে নিজের ইভালিউশন করে তা নিজের মাঝে ইম্পলিমেন্ট করা ।

১৮. পরো নির্ভর শিলতা
এই সেক্টরে রেফারেন্স ছাড়া জব হয় না এই ভ্রান্ত ধারনা কে পুঁজি করে অনেকে হাত পা গুটিয়ে বসে থাকে যার ফল স্বরুপ নিজের পার্সোনাল স্কিল গুলি ডেভলমেন্ট না করে অন্যের আশায় বসে থাকেন।  তারা মনে করেন মামা চাচা থাকলেই হয় রেজাল্ট বা স্কিল এর মুল্য নাই । টেক্সটাইল এর সারভাইব করতে হলে স্কিল দিয়ে টিকে থাকতে হবে রেফারেন্স এর মুল্য শুধু মাত্র ইন্টার্ভিউ পর্যন্ত।  মনে রাখবেন মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানি তে স্কিল লাগে তারা রেফারেন্স দেখে না।  তা হলে কি জব করবেন না মাল্টি ন্যাশনাল এ ???

১৯. রেফারেন্স ছাড়া জব এর ভীতি
ফরেন বাইং হাউজ, ফরেন টেস্টিং,  কোম্পানির নিয়োগ এর সময় এপ্লিকেন্ট খুজে পাওয়া যায় না কারন তাদের রিকোয়ারমেন্ট এ এর কারনে ৪০% স্টুডেন্ট বাদ পড়ে যায়।

২০. জব সোর্সিং :
বেশির ভাগ স্টুডেন্ট জব খুজতে BD jobs এর উপর নির্ভর করেন কিন্তু স্টেন্ডার্ড জব গুলোর নিয়োগ Linkedin এ হয় যা অনেকের অজনা।

২১. রেফারেন্স এর এতো ভ্যালু কেনো !!
টেক্সটাইল এর রেফারেন্স দরকার এই কারনে যেনো আপনি ভুল কপ্রে চলে গেলে আপনাকে ধারার জন্য যে রেফারেন্স দিয়েছে যে তাকে দিয়ে যেনো আপনাকে বের করা যায়।  তাই রেফারেন্স অনেকেই দিতে চায় না।
#নোট: লেখা ইগোতে না নিয়ে বরং এর উপর আমল করলে উপকারে লাগবে,  বিষয় প্রেজেন্ট কন্ডিশন আর ফেক্টরির অভি
জ্ঞতার আলোকে লেখা।

মাজেদুল হাসান শিশির
টেক্সটাইল ব্লগার 
mazadulhasan@yahoo.com 






কোন মন্তব্য নেই: