সিনজিং এবং ডিসাইজিং সম্পর্কিত কিছু কথা | Woven Fabric Singing Desizing - Textile Lab | Textile Learning Blog
ওভেন ফেব্রিক এর সিনজিং এবং ডিসাইজিং করা হয় একই মেশিনে,  এখন জেনে নেয়া যা সিনজিং এবং ডিসাইজিং সম্পর্কিত কিছু বিষয় :

১. ৯৯% ফেক্টরিতে সিনজিং ডিসাইজিং এর জন্য যে মেশিন ব্যাবহার করা হয় তা জার্মানির অসথফ Osthoff ,  এটি ডাবল বার্নার সিনজিং মেশিন।

২. এই মেশিন দুই ভাগে বিভক্ত প্রথম অংশে সিনজিং হয় পরের অংশে ডিসাইজিং করা হয় । সিনজিং এর পরপরঈ ডিসাইজিং করার কারন হলো কাপড় এর ভেতরে থাকা আগুন এর ফুল্কি যেনো নিভে যায় সাথে সাথে।

৩. এই মেশিন এর কাপড় ডিসাইজিং করে ব্যাচার এর মধ্যে জড়িয়ে নিতে হয়,  এক ব্যাচারে  প্রায় ৫০০০-৬০০০ মিটার কাপড় নেয়া যায়।

৪. মেশিন প্যারামিটার : সিনজিং
স্পিড : ৬০-৬৫ মিটার পার মিনিট
বার্নার ফ্লেম : ১৫% দিতে হয়।

৫. ক্যামিকেল : ডিসাইজিং পার্ট
সিকুইস্টারিং এজেন্ট
এসিটিক এসিড
এনজাইম
ওয়েটিং এজেন্ট

৬. প্যারামিটার :
টেম্পারেচার ৬৫ ডিগ্রী
PH 5.5-6

৭. এনজাইম টাইপ হলো আল্ফা এমাইলেজ ,  এর জন্য এনজাইম কিলিং টেম্পারেচার লাগে না।

৮. এনজাইম বা ডিসাইজিং লিকারে ভিজানোর পর কাপড়কে  ১২ ঘন্টা রোটেশনে ঘুরাতে হয়।

৯. রিয়েকশন মেকানিজম :
সাধারনত স্টার্চ পানিতে দ্রবনীয় না,  তাকে পানিতে দ্রবনীয় করতে কেটালিস্ট হিসেবে আল্ফা এমাইলেজ এনজাইম ব্যাবহার করা হয়।

এই এনজাইম স্টার্চ কে বিভিন্ন ধাপে ভেংগে দ্রবনীয় করে তোলে।
যেমনঃ
স্টার্চ ( অদ্রবনীয় ) > ডেক্সট্রিন  ( অদ্রবনীয় ) >মল্টেজ  ( অদ্রবনীয় ) > গ্লুকোজ   (দ্রবনীয়)

১০. ইয়ার্ন ডাইং করা কাপড় আর গ্রে কাপড় এক সাথে ডিসাইজিং করা যাবে না এতে কালার ব্লিড করলে সমস্যা হতে পারে।

১১. Width Factor:
আগে বড় Width এর কাপড় লাগাতে হবে পরে ছোট Width এর কাপড় লাগাতে হবে। আর ছোট Width এর কাপড় চালালে বড় Width এর কাপড় এর সেলভেজ ভেংগে যেতে পারে,  তাই এই বিষয় টি মেশিন পরিচালনার সময় মাথায় রাখতে হবে।

১২.Speed Fact :
কাপড় চালানোর সময় পাতলা কাপড় গুলি দ্রুত চালাতে হয় মিনিটে ৬৫ মিটার করে তা না হলে কাপড় পুড়ে যেতে পারে।  পাতলা কাপড়  বলতে সিটিং,  পপলিন জাতীয় কাপড় বোঝায়।
মোটা কাপড় যেমন টুইল বা সাটিন এই কাপড় কম স্পিডে চালাতে হয় তা না হলে কাপড় এর হেয়ারি ফাইবার ভালো করে পুড়বে না।

১৩. ভয়েল কাপড়  সিনজিং করা হয় না একে ডিসাইজিং করা হয় জিগার মেশিনে।

১৪. ওভেন কাপড় এর গাইট গুলি মেশিন এর সামনে খুলে খুলে একটির সাথে অন্যটিকে জোড়া দেয়ার নাম লট দেয়া।

১৫. সেলাই সুতাঃ
এখানে সেলাই করার সময় ১০০% কটন এর সুতা দিতে হবে। পলিস্টার সুতা দিলে ডাইং এর সময় দাঘ পড়ে ।

১৬. জরুরী কাপড় বা স্যাম্পল চালানোর নিয়ম :
নতুন কাপড় চালানোর শুরুতে ছোট কোয়ানটিটির কাপড় বা স্যাম্পল গুলি আগে চালাতে হয়।  কারন ডিসাইজিং এর সময়ে এটি ব্যাচারের নিচে পড়ে কিন্তু ব্লিচিং এর সময় আগে উপরের বড় কাপড়  চালালে পরে  ছোট কাপড় গুলি ব্লিচ করা কাপড় উপরে পড়বে।

১৭. রোটেশন টাইম :
মোটা কাপড়  ১২ ঘন্টা
মাঝারী কাপড় বা পপলিন ১০ ঘন্টা
পতলা কাপড় বা সিটিং কাপড় ৮ ঘন্টা

১৮. পিকআপ বা লিকার টেক আপ % হলো ৮০%।

১৯. রোটেশনে দেয়ার সময় কাপড় এর উপরে ভালো করে পলি মুড়ে দিতে হবে তা না হলে লিকার ফ্লোরে পড়বে এবং উপরি ভাগের কাপড় শুকিয়ে যাবে আর ডিসাইজিং হবে নিচের গুলি ভেজা থাকবে ওই গুলি বেশি ডিসাইজ হবে।

২০.  ডিসাইজিং এর লিকার এক বারেই তৈরি হয় এবং তা দিয়ে মোটা পাতলা সব কাপড় চালানো যায় পার্থক্য হলো মেশিন স্পিড  বাড়িয়ে কমিয়ে ক্যামিকেল টেক আপ নিয়ন্ত্রন করা যায়।

২১. রেসিপি :
এনজাইম - 4 g/l
ওয়েটিং এজেন্ট - 4 g/l
সিকুইস্টারিং এজেন্ট - 2 g/l
এসিটিক এসিড - .1 g/l

সিনজিং এবং ডিসাইজিং সম্পর্কিত কিছু কথা | Woven Fabric Singing Desizing

ওভেন ফেব্রিক এর সিনজিং এবং ডিসাইজিং করা হয় একই মেশিনে,  এখন জেনে নেয়া যা সিনজিং এবং ডিসাইজিং সম্পর্কিত কিছু বিষয় :

১. ৯৯% ফেক্টরিতে সিনজিং ডিসাইজিং এর জন্য যে মেশিন ব্যাবহার করা হয় তা জার্মানির অসথফ Osthoff ,  এটি ডাবল বার্নার সিনজিং মেশিন।

২. এই মেশিন দুই ভাগে বিভক্ত প্রথম অংশে সিনজিং হয় পরের অংশে ডিসাইজিং করা হয় । সিনজিং এর পরপরঈ ডিসাইজিং করার কারন হলো কাপড় এর ভেতরে থাকা আগুন এর ফুল্কি যেনো নিভে যায় সাথে সাথে।

৩. এই মেশিন এর কাপড় ডিসাইজিং করে ব্যাচার এর মধ্যে জড়িয়ে নিতে হয়,  এক ব্যাচারে  প্রায় ৫০০০-৬০০০ মিটার কাপড় নেয়া যায়।

৪. মেশিন প্যারামিটার : সিনজিং
স্পিড : ৬০-৬৫ মিটার পার মিনিট
বার্নার ফ্লেম : ১৫% দিতে হয়।

৫. ক্যামিকেল : ডিসাইজিং পার্ট
সিকুইস্টারিং এজেন্ট
এসিটিক এসিড
এনজাইম
ওয়েটিং এজেন্ট

৬. প্যারামিটার :
টেম্পারেচার ৬৫ ডিগ্রী
PH 5.5-6

৭. এনজাইম টাইপ হলো আল্ফা এমাইলেজ ,  এর জন্য এনজাইম কিলিং টেম্পারেচার লাগে না।

৮. এনজাইম বা ডিসাইজিং লিকারে ভিজানোর পর কাপড়কে  ১২ ঘন্টা রোটেশনে ঘুরাতে হয়।

৯. রিয়েকশন মেকানিজম :
সাধারনত স্টার্চ পানিতে দ্রবনীয় না,  তাকে পানিতে দ্রবনীয় করতে কেটালিস্ট হিসেবে আল্ফা এমাইলেজ এনজাইম ব্যাবহার করা হয়।

এই এনজাইম স্টার্চ কে বিভিন্ন ধাপে ভেংগে দ্রবনীয় করে তোলে।
যেমনঃ
স্টার্চ ( অদ্রবনীয় ) > ডেক্সট্রিন  ( অদ্রবনীয় ) >মল্টেজ  ( অদ্রবনীয় ) > গ্লুকোজ   (দ্রবনীয়)

১০. ইয়ার্ন ডাইং করা কাপড় আর গ্রে কাপড় এক সাথে ডিসাইজিং করা যাবে না এতে কালার ব্লিড করলে সমস্যা হতে পারে।

১১. Width Factor:
আগে বড় Width এর কাপড় লাগাতে হবে পরে ছোট Width এর কাপড় লাগাতে হবে। আর ছোট Width এর কাপড় চালালে বড় Width এর কাপড় এর সেলভেজ ভেংগে যেতে পারে,  তাই এই বিষয় টি মেশিন পরিচালনার সময় মাথায় রাখতে হবে।

১২.Speed Fact :
কাপড় চালানোর সময় পাতলা কাপড় গুলি দ্রুত চালাতে হয় মিনিটে ৬৫ মিটার করে তা না হলে কাপড় পুড়ে যেতে পারে।  পাতলা কাপড়  বলতে সিটিং,  পপলিন জাতীয় কাপড় বোঝায়।
মোটা কাপড় যেমন টুইল বা সাটিন এই কাপড় কম স্পিডে চালাতে হয় তা না হলে কাপড় এর হেয়ারি ফাইবার ভালো করে পুড়বে না।

১৩. ভয়েল কাপড়  সিনজিং করা হয় না একে ডিসাইজিং করা হয় জিগার মেশিনে।

১৪. ওভেন কাপড় এর গাইট গুলি মেশিন এর সামনে খুলে খুলে একটির সাথে অন্যটিকে জোড়া দেয়ার নাম লট দেয়া।

১৫. সেলাই সুতাঃ
এখানে সেলাই করার সময় ১০০% কটন এর সুতা দিতে হবে। পলিস্টার সুতা দিলে ডাইং এর সময় দাঘ পড়ে ।

১৬. জরুরী কাপড় বা স্যাম্পল চালানোর নিয়ম :
নতুন কাপড় চালানোর শুরুতে ছোট কোয়ানটিটির কাপড় বা স্যাম্পল গুলি আগে চালাতে হয়।  কারন ডিসাইজিং এর সময়ে এটি ব্যাচারের নিচে পড়ে কিন্তু ব্লিচিং এর সময় আগে উপরের বড় কাপড়  চালালে পরে  ছোট কাপড় গুলি ব্লিচ করা কাপড় উপরে পড়বে।

১৭. রোটেশন টাইম :
মোটা কাপড়  ১২ ঘন্টা
মাঝারী কাপড় বা পপলিন ১০ ঘন্টা
পতলা কাপড় বা সিটিং কাপড় ৮ ঘন্টা

১৮. পিকআপ বা লিকার টেক আপ % হলো ৮০%।

১৯. রোটেশনে দেয়ার সময় কাপড় এর উপরে ভালো করে পলি মুড়ে দিতে হবে তা না হলে লিকার ফ্লোরে পড়বে এবং উপরি ভাগের কাপড় শুকিয়ে যাবে আর ডিসাইজিং হবে নিচের গুলি ভেজা থাকবে ওই গুলি বেশি ডিসাইজ হবে।

২০.  ডিসাইজিং এর লিকার এক বারেই তৈরি হয় এবং তা দিয়ে মোটা পাতলা সব কাপড় চালানো যায় পার্থক্য হলো মেশিন স্পিড  বাড়িয়ে কমিয়ে ক্যামিকেল টেক আপ নিয়ন্ত্রন করা যায়।

২১. রেসিপি :
এনজাইম - 4 g/l
ওয়েটিং এজেন্ট - 4 g/l
সিকুইস্টারিং এজেন্ট - 2 g/l
এসিটিক এসিড - .1 g/l

কোন মন্তব্য নেই: