দেশজুড়ে কাপড়ের হাট
বাংলাদেশ কাপড় বোনার জন্য সুবিদিত। বিশ্বব্যাপী এর সুনাম রয়েছে কয়েক শ'বছর ধরে। আগে উইভিং এলাকাগুলোয় স্থানীয়ভাবেই পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা ছিল। হাট প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পরে তা আরও সংহত হয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন উইভিং এলাকার এমন ১১টি আলোচিত হাট পর্যালোচনায় মেলে আমাদের দেশীয় বস্ত্র বাণিজ্যের আকর্ষক চিত্র। এই ১১টি হাটের সাপ্তাহিক টার্নওভার প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। প্রতিটি হাটের আছে জন্মইতিহাস। হাটগুলোর বাণিজ্যিক ক্রিয়াকর্মে রয়েছে নিজস্ব রীতিনীতি, সংস্কৃতি। হাট বসে সাধারণত সপ্তাহে এক দিন। কিন্তু এ সব হাট সপ্তাহে তিন–চার দিনব্যাপীও চলে। হাটবারে ক্রেতা–বিক্রেতাদের এ মিলনমেলা বিশাল কর্মযজ্ঞে মুখরিত হয়ে ওঠে। আমাদের প্রতিবেদকদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তুলে ধরা হলো দেশের আলোচিত কাপড়ের হাটগুলোর সার্বিক চিত্র।
১. ডেমরা বাজার জামদানি হাট, ঢাকা
ডেমরা চৌরাস্তা থেকে উত্তর দিকে লতিফ বাওয়ানি জুট মিল সড়ক ধরে এগোলেই ডেমরা বাজার। এখানেই বালু নদের পাড়ে গড়ে উঠেছে ডেমরা বাজার জামদানি হাট। এখানে শাড়ি বিক্রি করেন রূপগঞ্জ, সোনারগাঁ ও সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে আসা জামদানি বয়নশিল্পীরা। কথিত আছে, শীতলক্ষ্যার পূর্ব পারের মসলিন কারিগরেরা শীতলক্ষ্যা ও বালু নদ পার হয়ে ডেমরা বাজারে গড়ে তোলেন এই হাট। মসলিনের পাশাপাশি এখানে একসময় জামদানিও বিক্রি শুরু হয়। ধারণা করা হয়, এই হাটের বয়স ২০০ থেকে ২৫০ বছর। আবার কারও মতে, ৩৫০ বছরের পুরোনো।
দেশের সবচেয়ে প্রাচীন এই জামদানির হাট শুক্রবার ভোর পাঁচটা থেকে সকাল নয়টা পর্যন্ত চলে। সারা দেশ থেকে ক্রেতারা এলেও ঢাকা, যশোর, খুলনা ও চট্টগ্রামের পাইকারদের সংখ্যাই বেশি। আবার দুর্গাপূজার আগে কলকাতাসহ ভারতের বেশ কিছু পাইকার এই হাট থেকে জামদানি নিয়ে যান তাঁদের দেশে। হাটবারে দোকানপ্রতি ৩২০ টাকা হারে রাজস্ব মেলে। তবে ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য হাটে নেই সুপেয় পানি ও শৌচাগারের ব্যবস্থা।
২. নোয়াপাড়া জামদানি হাট, রূপগঞ্জ
রূপগঞ্জের তারাব পৌরসভার নোয়াপাড়ায় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) জামদানি শিল্পনগরী ও গবেষণা কেন্দ্রের ভেতরে নোয়াপাড়া জামদানি হাট। স্থানীয় বয়নশিল্পীদের তৈরি জামদানির সহজ বাজার সৃষ্টির জন্য বিসিক জামদানি শিল্পনগরী ও গবেষণাকেন্দ্রের উদ্যোগে ২০০১ সালে এই হাটের প্রতিষ্ঠা। এ হাটে পাওয়া যায় বাছাই করা উন্নত মানের জামদানি। প্রতি শুক্রবারের ভোর পাঁচটা সকাল আটটা পর্যন্ত চলে। সপ্তাহে গড়ে ৪৫০ থেকে ৫০০ শাড়ি বিক্রি হয় এই হাটে, যার অর্থমূল্য ২৫ লাখ থেকে ৩০ লাখ টাকা। বিসিকের হাট হওয়ায় জামদানির এই হাট থেকে আলাদা কোনো রাজস্ব আদায় হয় না।
৩. কুমারখালী হাট, কুষ্টিয়া
তাঁতশিল্পে সমৃদ্ধ ছোট জনপদ কুমারখালীর অর্থনীতির প্রধান চালিকা শক্তিই হচ্ছে বয়নশিল্প। দেড় শ বছর আগে কুমারখালী পৌর এলাকায় গড়ে ওঠে এই কাপড়ের হাট। প্রতি বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত চলে। হাটের ৭৫ শতাংশ তাঁতিই কুমারখালী ও খোকসা এলাকার। তবে পাবনা ও সিরাজগঞ্জ থেকেও আসেন বিক্রেতারা।প্রতি হাটে কমপক্ষে চার কোটি টাকার ব্যবসা হয়। আর ইজারা থেকে প্রতিবছর পৌরসভা পায় প্রায় পৌনে আট লাখ টাকা। পণ্য পরিবহনের ব্যবস্থা আশানুরূপ নয়, পাশাপাশি নেই আবাসিক হোটেল।
৪. পোড়াদহ হাট, কুষ্টিয়া
প্রায় ৯০ বছরের পুরোনো কুষ্টিয়ার পোড়াদহ কাপড়ের হাট। এখানে সরু সরু গলির ভেতর ছোট ছোট দোকানে ঠাসাঠাসি করে রাখা শাড়ি, লুঙ্গি, গামছা ও ছেলেমেয়েদের বাহারি পোশাক । হাটে প্রতি সপ্তাহে ১০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়।
জেলার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ রেলওয়ে জংশনের সঙ্গেই প্রায় ১৫ বিঘা জমির ওপর ছোট ছোট ৬৩৪টি দোকান। আশপাশে ব্যক্তিমালিকানায় আরও ৩০ বিঘা জমির এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে এই কাপড়ের হাট। সেখানেও দোকানের সংখ্যা ৫৮০।
উনিশ শতকের প্রথম দিকে এলাকার তৎকালীন সুতা ব্যবসায়ী নুরুদ্দীন, হাশেম আলীসহ কয়েকজন মিলে এ হাট প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত কেনাবেচা হয়। শুক্রবারও কিছু হয়।
পোড়াদহ বন্দর এলাকার এই হাট কুষ্টিয়ার বাইরের বিভিন্ন জেলার ক্রেতা-বিক্রেতাদের মিলনমেলা। হাটের ৯৫ ভাগ পণ্য দেশি। ৫ ভাগ থাকে বিদেশি। প্রতি হাটবারে কাপড়ের হাটে ৩৫ থেকে ৪০ কোটি ও ব্যক্তিমালিকানা দোকানগুলোয় ৬০ কোটি টাকা কেনাবেচা হয়। এই কাপড়ের হাট থেকে প্রতিবছর গড়ে সরকারের রাজস্ব আয়ের পরিমাণ প্রায় ৪৮ লাখ টাকা। ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য থাকার ভালো হোটেল নেই। ব্যাংক না থাকায় নগদ টাকা নিয়েও সমস্যায় পড়তে হয় ব্যবসায়ীদের।
৫. এনায়েতপুর হাট, সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জের একটি বড় হাট এনায়েতপুর হাট। এই জনপদের বয়নশিল্পীরা তাঁদের পণ্য বিক্রি করতে একসময় যেতেন যমুনাতীরের ঘাটাবাড়ি হাটে। এতে তাঁতিদের নানা অসুবিধা হতো।এলাকার পাঁচ ইউনিয়নের নেতৃস্থানীয়দের তৈরি কমিটি জেলার এনায়েতপুরে এই হাট প্রতিষ্ঠা করে। হাটের বয়স প্রায় ৫০ বছর। এখানে তাঁতের শাড়ি, লুঙ্গি, গামছা ও সুতা পাইকারি বিক্রি হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় শুরু এই হাটের নাম সেই সময়ে দেওয়া হয় মুজিব হাট। হাট প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই হাটের দিন ক্রেতাদের বিনা মূল্যে গরুর মাংস-ভাত খাওয়ানো হতো। ফলে, অল্প সময়েই ব্যবসায়ীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। শুরুতে কেবল শুক্রবার হাট বসলেও বর্তমানে সপ্তাহে চার দিন বসে।
বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত স্থানীয় বয়নশিল্পীরা সরাসরি তাঁত থেকে হাটে ওঠান শাড়ি ও লুঙ্গি। বৃহস্পতিবার শুধু বসে গ্রে লুঙ্গির হাট; শুক্রবার আসে প্যাকেট করা শাড়ি ও লুঙ্গি; সঙ্গে সুতা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় নানা পণ্য। হাটের সব পণ্য দেশি। সপ্তাহে ৬০ থেকে ৭০ কোটি টাকার শাড়ি, লুঙ্গি এবং প্রায় ১০ কোটি টাকার অন্যান্য পণ্য বিক্রি হয়। জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে হাট ইজারা হয়। এ বছর সরকার রাজস্ব পেয়েছে ১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। হাটে পানি জমে, বৃষ্টি হলে ব্যবসায়ীদের বসার ঘরগুলোয় পানি পড়ে। কোনো শৌচাগার নেই।
৬. শাহজাদপুর হাট, সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জের আরেকটি বড় হাট শাহজাদপুর হাট। স্থানীয় তন্তুবায়রা একসময় যেতেন ঘাটাবাড়ি হাট ও পাবনার আতাইকুলা হাটে। স্থানীয় মানুষের উদ্যোগে ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠা পায় শাহজাদপুর হাট। এ হাটে মূলত পাইকারি বিক্রি হয় তাঁতের শাড়ি, লুঙ্গি, গামছা, থ্রি-পিস, রং ও সুতা। সপ্তাহে চার দিন হাট বসে—শনি, রবি, মঙ্গল ও বুধবার।
সপ্তাহে ২০ কোটি থেকে ৩০ কোটি টাকার শাড়ি, লুঙ্গি, গামছা, থ্রি-পিস এবং প্রায় ২৫ কোটি টাকার রং ও সুতা বিক্রি হয়।
শাহজাদপুর পৌরসভা এই হাট ইজারা দিয়ে বছরে প্রায় এক কোটি টাকা পায়।
৭. সোহাগপুর হাট, সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সোহাগপুর হাট প্রায় প্রায় ৬৫ বছরের পুরোনো। একসময় উপজেলার সোহাগপুর গ্রামে প্রতি বুধবার হাট বসত। ১৯৮৫ সালে গোটা সোহাগপুর এলাকা যমুনাগর্ভে বিলীন হলে হাটটি স্থানান্তরিত হয়ে বর্তমানে উপজেলার মুকন্দগাতী এলাকার বেলকুচি সরকারি কলেজ এলাকায় সোম, মঙ্গল ও বুধবারে বসে। সোম ও মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার বয়নশিল্পীদের তৈরি রেডিমেড শাড়ি, লুঙ্গি ও গামছা বিক্রি হয়। বুধবার সুতা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি হয়। সপ্তাহে দুই দিন প্রায় ১৪ কোটি টাকার শাড়ি, লুঙ্গি, গামছা ও অন্যান্য পণ্য বিক্রি হয়। বেলকুচি পৌরসভার তত্ত্বাবধানে হাটের ইজারা বাবদ সরকার এ বছর ১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা রাজস্ব পেয়েছে।
৮. বাজিতপুর হাট, টাঙ্গাইল
বাজিতপুর বটতলায় শুক্র ও সোমবার বসে বাজিতপুর শাড়ির হাট। ভোরে শুরু হয়ে সকাল নয়টা থেকে সাড়ে নয়টার মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। এই হাটের মূল পণ্য তাঁতের শাড়ি। বাজিতপুরের আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম বহুকাল থেকেই তাঁতপ্রধান এলাকা হিসেবে পরিচিত। অন্তত ১০০ বছর আগে গড়ে ওঠে এই হাট। বাজিতপুর হাটে মূলত টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি বিক্রি হয়। ২০ থেকে ২৫ হাজার পেটি (প্রতি পেটিতে ৫টি শাড়ি থাকে) শাড়ি এখানে বিক্রি হয়। শাড়ি তৈরির সুতা, তাঁতের বিভিন্ন উপকরণও বিক্রি হয়।
৯. করটিয়ার হাট, টাঙ্গাইল
ধারণা করা হয়, ব্রিটিশ আমলে করটিয়ার জমিদার পন্নী পরিবার শতবর্ষী এ হাটের প্রতিষ্ঠা করে। আগে ছিল সাধারণ হাট। নব্বইয়ের দশকের শুরুতে এ হাটে শাড়ি, চাদর, লুঙ্গিসহ বস্ত্রের বাজার প্রসার লাভ শুরু করে। তখন মঙ্গলবার বিকেল থেকে বুধবার বিকেল পর্যন্ত কাপড়ের হাটের প্রচলন করা হয়। বৃহস্পতিবার চলতে থাকে আগের মতোই সাধারণ হাট। কাপড়ের হাটে মূলত টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ অঞ্চলের তাঁতের শাড়ি, গামছা, থ্রি-পিস ও চাদর বিক্রি হয়। এ ছাড়া মিলের কাপড়, লুঙ্গি, বিছানার চাদরসহ বিভিন্ন বস্ত্রসামগ্রীও কেনাবেচা চলে। প্রতি সপ্তাহে ১০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়। ঈদের আগে এ লেনদেনের পরিমাণ ৩০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। এ বছর হাটের ইজারামূল্য উঠেছে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা। তবে পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থা ভালো না, সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে যায়।
১০. বাবুরহাট, নরসিংদী
দেশের সর্ববৃহৎ পাইকারি কাপড়ের হাট এই বাবুরহাট। অবস্থান প্রাচ্যের ম্যানচেস্টারখ্যাত নরসিংদীর শেখেরচর-বাবুরহাটে। ৭৯ বছর ধরে চলা এই হাট প্রথমে ছিল এক দিনের; বর্তমানে বসে সপ্তাহে তিন দিন—বৃহস্পতি থেকে শনিবার। তাঁতসমৃদ্ধ নরসিংদী ও এর আশপাশের বিভিন্ন জেলার উৎপাদিত কাপড় ও কাপড়জাত পণ্য বিক্রি হয় এই হাটে। রুমাল থেকে জামদানি পর্যন্ত কী নেই এখানে?
ইতিহাস বলছে, মাধবদীর গোপালবাবু, প্রসাদবাবু ও বিষাদবাবু নামের তিন জমিদার ভাই মাধবদীতে একটি হাট প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাঁরা থাকতেন কলকাতায়, কিন্তু তাঁদের হয়ে খাজনা আদায় করতেন একজন ব্যবস্থাপক। ওই ব্যবস্থাপক হাটের খাজনা দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেন। খাজনা বৃদ্ধির প্রতিবাদে সেই সময় শেখেরচরের জমিদার হলধরবাবু, বালাপুরের জমিদার কালীবাবু ও স্বদেশি আন্দোলনের নেতা সুন্দর আলী গান্ধী মিলে একটি নতুন হাট প্রতিষ্ঠা করেন। পাইকারেরা বলতেন বাবুদের হাট। বিবর্তনের মধ্য দিয়ে এর নাম হয়ে যায় বাবুরহাট।
এই হাটে ব্যবসায়ীদের দিতে হয় না কোনো টোল বা খাজনা। শুধু ঘরমালিকেরা রাজস্ব জমা দেন সরকারি কোষাগারে। এ ছাড়া হাটের ছোট-বড় প্রায় পাঁচ হাজার দোকানে বিক্রি হওয়া সব কাপড়ই দেশে উৎপাদিত; বিদেশি কাপড় নেই বললেই চলে। দেশের নিত্যব্যবহার্য কাপড়ের চাহিদার প্রায় ৭০ শতাংশ পূরণ করছে এই হাট। বছরজুড়ে প্রতি সপ্তাহে গড়ে অন্তত এক হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয় ।
উপযুক্ত পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থা না থাকায় টানা বৃষ্টি হলে হাটের অনেক দোকানে পানি উঠে যায়। পাইকারদের রাতযাপনের জন্য কোনো আবাসিক হোটেল নেই।
১১. ফুলতলা হাট, খুলনা
খুলনার একটি ঐতিহ্যবাহী হাট ফুলতলা হাট। স্থল ও নদীপথে যোগাযোগ থাকায় ব্যবসায়ীরা দুই পথেই মালামাল আনা-নেওয়ার সুযোগ পান। এ কারণেই হাটের পরিসর দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ধারণা করা হয়, এই হাটের বয়স ১২০ বছরের বেশি। হাট বসে রবি ও বুধবার। ফুলতলা হাটে প্রায় সব পণ্যই পাওয়া যায়। স্থানীয়ভাবে গামছা তৈরি হয় বলে কাপড়ের মধ্যে মূলত গামছাই পাওয়া যায় বেশি।
ফুলতলা হাটের আয়তন প্রায় ১২ একর। ওই হাটের মধ্যে ২২টি (পানের হাট, সুপারির হাট, লতার হাট, মুরগির হাট, সবজির হাট) ছোট হাট রয়েছে। গত বছর ওই হাটের ইজারামূল্য ছিল ৭০ লাখ টাকা। এর ৩৫ শতাংশ হাটের উন্নয়নে খরচ করা হয়। কয়েক বছর আগে জাইকা প্রজেক্টের আওতায় হাটের রাস্তাঘাট ও চাঁদনির উন্নয়ন ও পয়োনিষ্কাশনের ব্যবস্থা ভালো হয়েছে। তবে প্রয়োজন পর্যাপ্ত লাইটিংয়ের ব্যবস্থা ও টয়লেট–সুবিধা। প্রতি হাটে সমাগম হয় লক্ষাধিক মানুষের।
প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহায়তা করেছেন:
নারায়ণগঞ্জ থেকে গোলাম রাব্বানী, কুষ্টিয়া থেকে তৌহিদী হাসান, সিরাজগঞ্জ থেকে আরিফুল গণি, টাঙ্গাইল থেকে কামনাশীষ শেখর, নরসিংদী থেকে প্রণব কুমার দেবনাথ ও খুলনা থেকে শেখ আল-এহসান।
কপিরাইটঃ
প্রথম আলো
০৫ নভেম্বর ২০১৯
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন