চাকুরী থেকে বরখাস্তকরণ এবং চাকুরী হতে অব্যাহতি গ্রহণের নিয়ম:
♦♦চাকুরী থেকে বরখাস্তকরণ
কোন স্থায়ী শ্রমিককে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট আইনানুগ পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। শ্রম আইনে বর্ণিত অসদাচারণের দায়ে একজন শ্রমিককে বরখাস্ত করা যায়। নিুলিখিত কাজ অসদাচরণ বলে গন্য হবে-
উপরস্থের কোন আইন সংগত বা যুক্তিসংগত আদেশ মানার ক্ষেত্রে এককভাবে বা অন্যের সংগে সংঘবদ্ধ হইয়া ইচ্ছাকৃতভাবে অবাধ্যতা।
মালিকের, প্রতিষ্ঠানের কিংবা ব্যবসার সম্পদ চুরি, মিথ্যাচার, প্রতারণা বা অসাধুতার কারনে চাকুরী থেকে বরখাস্তকরণ হতে পারে।
মালিকের অধীনে নিজের বা অন্য কোন শ্রমিকের চাকুরী সংক্রান্ত ব্যাপারে ঘুষ বা বেআইনী কোন পারিতোষিক গ্রহণ বা প্রদান।
ছুটি ব্যতিরেকে অভ্যাসগতভাবে কাজে অনুপস্থিতি বা ছুটি ব্যতিরেকে ১০ (দশ) দিনের বেশী অনুপস্থিতি।
অভ্যাসগতভাবে বিলম্বে কাজে উপস্থিতি।
প্রতিষ্ঠানে প্রযোজ্য কোন আইন, বিধি বা প্রবিধানের অভ্যাসগত লংঘন।
প্রতিষ্ঠানে উচ্ছৃংখল বা দাংগা হাঙ্গামামূলক আচরণসহ, অথবা শৃংখলা হানিকর কোন কর্ম।
কাজে কর্মে অভ্যাসগত গাফিলতি ।
প্রধান পরিদর্শক কর্তৃক অনুমোদিত চাকরী সংক্রান্ত, শৃংখলা বা আচরণসহ, যে কোন বিধির অভ্যাসগত লংঘন।
মালিকের অফিসিয়াল রেকর্ডের রদবদল, জালকরণ, অন্যায় পরিবর্তন, উহার ক্ষতিকরণ বা উহা হারাইয়া ফেলা।
উপরোল্লিখিত গুরুতর অপরাধের দায়ে কোন শ্রমিককে বরখাস্ত করার জন্য প্রথমে প্রাথমিক তদন্ত করা হয় এবং পরবর্তীতে লিখিতভাবে অভিযোগ উত্থাপন করা হয় এবং ৭ দিনের মধ্যে তাকে ব্যাখ্যা ও কারণ দর্শনোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয় প্রয়োজনে তদন্ত কমিটির সামনে স্বাক্ষীসহ উপস্থিত হয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়া হয়। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে গুরুতর শাস্তি হিসাবে বরখাস্ত করা হয় বা লঘু শাস্তি হিসেবে পদাবনতি, পদোন্নতি বন্ধ, সাময়িক চাকুরী থেকে অপসারণ করা হয়। এ ব্যাপারে সকল সময় সুবিচারের নীতি অবলম্বন করা হয়।
উপরেল্লিখিত কারণ ব্যতিরেকে কোন শ্রমিককে চাকুরীর অবসানের ক্ষেত্রে নিুলিখিত নীতিগুলো মানা হয়ঃ।
যদি ১২০ দিনের বা ৬০ দিনের নোটিশ না দেয়া হয় তবে স্থায়ী শ্রমিকদের ক্ষেত্রে ১২০ দিনের এবং অস্থায়ী শ্রমিকদের ক্ষেত্রে ৬০ দিনের মজুরী প্রদান করা হয়। এক্ষেত্রে আইন সম্মত তার অন্যান্য পাওনাদি (যদি থাকে) পরিশোধ করা হয়।
♦♦চাকুরী হতে অব্যাহতি গ্রহণের নিয়ম
কোন স্থায়ী শ্রমিক স্বেচ্ছায় চাকুরী থেকে অব্যাহতি নিতে চাইলে তাকে ৬০ দিন পূর্বে কর্তৃপক্ষকে লিখিত নোটিশ দিতে হয়।
যদি কোন শ্রমিক বিনা নোটিশে চাকরী থেকে অব্যাহতি দেন তবে উক্ত শ্রমিক বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর নিয়োগ ও চাকরী শর্তাবলী আইনের ২৭ এর ৩ উপধারা অনুযায়ী নোটিশ মেয়াদের মজুরীর সমপরিমান টাকা প্রদান করতে হয়।
অসুস্থতাজনিত কারণে কোন শ্রমিক চাকুরী থেকে অব্যাহতি নিতে চাইলে তাকে কর্তৃপক্ষের নিকট শারীরিক অসুস্থতার বিষয়ে একটি ডাক্তারী সার্টিফিকেট জমা দিতে হয় এবং এ ক্ষেত্রে পূর্ব নোটিশের প্রয়োজন হয় না, ডাক্তারের পরামর্শই চুড়ান্ত।
অব্যাহতি প্রাপ্ত শ্রমিককে কোম্পানী কর্তৃক তাকে প্রদত্ত ড্রেস, টেপ কাটার, ববিন সহ অন্যান্য অফিস/কারখানা সংক্রান্ত জিনিসপত্র জমা দিয়ে ফ্লোর ইনচার্জের কাছ থেকে ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট নিয়ে অফিসে জমা দিতে হয়।
সার্ভিস বেনিফিট দিতে হবে|
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন