Spider Silk | স্পাইডার সিল্ক ফাইবার - Textile Lab | Textile Learning Blog
Spider Silk


স্পাইডার সিল্ক

স্পাইডার সিল্ক পোশাক শিল্পের জন্য অত্যন্ত ব্যয়বহুল একটি উপকরণ। সিল্ক থেকেই ব্যাক্টেরিয়ার মাধ্যমে তৈরি করা এ সুতা চুলের চেয়েও চিকন হলেও স্টিলের চেয়েও পাঁচ গুণ কঠিন ও কেভলারের চেয়ে তিন গুণ শক্ত। কিন্তু এটি তৈরি করা খুবই দুরূহ। তবে কোরিয়া এডভান্সড ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সের গবেষক সাং ইউপ লি এবং তার সহযোগীরা একটি বিশেষ পদ্ধতিতে এটি তৈরি করছেন। তারা প্রথমে সিল্ক প্রোটিনের জেনেটিক কোষ আলাদা করেন। এরপর তা দিয়ে সংশ্লেষণের মাধ্যমে তৈরি করেন পানিতে দ্রবণীয় সিল্ক প্রোটিন। এরপর সেগুলো ঢুকিয়ে দেন ই-কোলাই ব্যাক্টেরিয়ার মধ্যে। এই ব্যাক্টেরিয়াই এগুলোকে স্পিনিংয়ের মাধ্যমে তৈরি করে পানিতে অদ্রবণীয় ফাইবার। চুলের চেয়েও চিকন এবং প্রচণ্ড শক্ত হওয়ায় এটিকে পারাশুট কড হিসেবে ব্যবহার ছাড়াও বিভিন্ন শিল্পকারখানায় এটি ব্যবহার করা সম্ভব।


ইতিহাস :

স্পাইডার সিল্ক এর ইতিহাসঅনেক পুরনো। এটি আফ্রিকার মাদাগাস্কারে চাষ করা হত। কিন্তু তা এখন ইতিহাস।এখনো পর্যন্ত কেউ এটি দিয়ে সফল ভাবে কাপড় তৈরী করতে পারেনি।স্পাইডার সিল্ক এর দারুন কিছু বৈশিষ্ট্য আছে।এটি খুবই শক্ত,খুবই স্থিতিস্থাপক। এর সাহায্যে হাতে বুনন করাও খুব শক্ত কাজ।এছাড়াও স্পাইডারকে চাষ করা মুশকিল।গোল্ডেন স্পাইডার ওয়ার্ম আফ্রিকার মাদাগাস্কারে পাওয়া যায়।সাধারণত স্ত্রী স্পাইডার থেকে সিল্ক সংগ্রহ করা হয়।


প্রায় ৬০ জনের এক গ্রুপ মিলে ৫ বছর কাজ করে শিল্পটি তৈরী করার মত সিল্ক সংগ্রহ করেন।
কাপড় তৈরী করার জন্য প্রথমে স্পাইডার সংগ্রহ করে সেগুলোকে কারখানাতে নিয়ে যাওয়া হয় ও তারপর সেগুলো থেকে একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে সিল্ক ফিলামেন্ট সংগ্রহ করা হয়।এরপর অনেকগুলো সিল্ক ফিলামেন্ট একত্রিত করে পাক দিয়ে একটি সুতা তৈরী করা হয়।
সুতা তৈরী করার পর লুমে কাপড় তৈরী করা হয়।


উইভিং করার পরে আরো অন্যান্য আনুসংগিক কাজের মাধ্যমে ফিনিশিং প্রোডাক্ট পাওয়া যায়।
তবে কিছুদিন আগে জাপানে আধুনিক পদ্ধতিতে স্পাইডার সিল্ক হতে কাপড় তৈরী করা হয়।

আর এ সিল্কের তৈরী পোশাক সম্প্রতি জাপানের রাজধানী টোকিওতে প্রদর্শীত হয়েছে।স্পাইবার নামের জাপানী একটি প্রতিষ্ঠান সিন্থেটিক স্পাইডার সিল্কের এ পোশাক  তৈরী করেছে।তাদের দাবি স্পাইডার সিল্কের তৈরী এ পোশাক ইস্পাতের চেয়ে ৪~৫ গুন হাল্কা হলেও তা অনেক হাল্কা!এ প্রযুক্তি আবিষ্কারের জন্য ১৬টি পেটেন্টের দাবি করেছে স্পাইবার।

স্পাইডার সিল্ক কি??

স্পাইডার সিল্ক পোশাক শিল্পের জন্য অত্যন্ত ব্যয়বহুল একটি উপকরণ। সিল্ক থেকে ব্যাক্টেরিয়ার মাধ্যমে তৈরি করা এ সুতা চুলের চেয়েও চিকন হলেও স্টিলের চেয়েও পাঁচ গুণ কঠিন ও কেভলারের চেয়ে তিন গুণ শক্ত।


স্পাইডার সিল্ক মাকড়সা দ্বারা তৈরি একটি প্রোটিন ফাইবার । মাকড়সা ওয়েব বা অন্যান্য কাঠামো তৈরির জন্য তাদের সিল্ক ব্যবহার করে, যা অন্য প্রাণীদের ধরতে  জাল হিসাবে কাজ করে।
তাদের সন্তানদের রক্ষা করার জন্য ও শিকারকে মোড়ানো জন্য ব্যবহার করে। তারা নিজেদের সিল্কটি বাতাসে ভাসতে, বা শিকারীদের থেকে দূরে থাকতেও ব্যবহার করে। বেশিরভাগ মাকড়সা বিভিন্ন ব্যবহারের জন্য এই সিল্ক তৈরি করে থাকে।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে, মাকড়সা খাদ্যের উৎস হিসাবে সিল্ক ব্যবহার করতে পারে।

বৈশিষ্ট্য ও প্রকারভেদ : 

এই ফাইবার নমনীয়, ওয়াটারপ্রুফ। তন্তুগুলি কোন।ভাঙ্গন সমস্যা ছাড়াই 40% পর্যন্ত তার মূল দৈর্ঘ্য পর্যন্ত প্রসারিত হতে পারে। প্রসারণ যোগ্য হওয়ায় সড়ক নিমার্ন কাজে সক্ষম। চুলের চেয়েও সুক্ষ ও বাতাসে ভাসতে পারে। অত্যন্ত দামী ফেব্রিক তৈরিতে ব্যবহায় হয়ে আসছে।

বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে স্পাইডার সিল্ককে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়।


সেগুলো হলো :

1..Dragline Silk.

2.Tubiliform Silk.

3.Capture-Spiral Silk.

4.Minor-Ampullate Silk.

5.Aciniform Silk.

তৈরি পদ্ধতি :

কিন্তু এটি তৈরি করা খুবই দুরূহ। তবে কোরিয়া এডভান্সড ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সের গবেষক সাং ইউপ লি এবং তার সহযোগীরা একটি বিশেষ পদ্ধতিতে এটি তৈরি করছেন। তারা প্রথমে সিল্ক প্রোটিনের জেনেটিক কোষ আলাদা করেন। এরপর তা দিয়ে সংশ্লেষণের মাধ্যমে তৈরি করেন পানিতে দ্রবণীয় সিল্ক প্রোটিন। এরপর সেগুলো ঢুকিয়ে দেন ই-কোলাই ব্যাক্টেরিয়ার মধ্যে। এই ব্যাক্টেরিয়াই এগুলোকে স্পিনিংয়ের মাধ্যমে তৈরি করে পানিতে অদ্রবণীয় ফাইবার। চুলের চেয়েও চিকন এবং প্রচণ্ড শক্ত হওয়ায় এটিকে পারাশুট কড হিসেবে ব্যবহার ছাড়াও বিভিন্ন শিল্পকারখানায় এটি ব্যবহার করা সম্ভব।

উল্লেখ্যযোগ্য কিছু ব্যবহার :

১.বুলেট-প্রুফ পোশাক তৈরিতে। 

২.জাল, সীট বেল্ট, প্যারাস্যুট। 

৩.অস্ত্রোপচারের থ্রেড কৃত্রিম টিউন বা লিগ্যামেন্ট তৈরিতে। 

৪. চিকিৎসা শিল্পে ব্যান্ডেজ তৈরিতে ব্যবহার হয়ে থাকে।

৫. কৃত্রিম ফুসফুস মেরামতের জন্য ব্যবহার করা হয়।


রিসার্চ ও ডেভেলপমেন্ট :

Kraig Biocraft ল্যাবরেটরি নামে একটি বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এর ব্যবসায়ীক উদ্দেশ্যে এটা নিয়ে গবেষনা শুরু করেছে।

এছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক্স গবেষকগন এটা নিয়ে গবেষনা চালাচ্ছে।

নামিদামি কিছু কোম্পানির সাহায্য নিয়ে এটাকে ডেভেলপ করার চেষ্টা করতেছে।

তারা এটাকে বানিজ্যিকভাবে সফল হবে বলে আশা ব্যক্ত করছেন। এবং যথেষ্ট দামী ফেব্রিকক তৈরিতে অন্যতম ভূমিকা রাখবে বলে গবেষকগন আশা ব্যাক্ত করছেন।

মাকড়সার জাল থেকে পোশাকঃ 

আপনি একটি পোশাক সারাজীবন পড়বেন, কিন্তু ছিঁড়ে যাবে না !! যারা একটু কৃপণ প্রকৃতির তাদের স্বপ্ন বুঝি এবার পূর্ণ হতে চললো।     জাপানের গবেষকেরা তৈরি করেছেন সিনথেটিক স্পাইডার সিল্ক। আর এ সিল্কের তৈরি পোশাক সম্প্রতি জাপানের টোকিওতে প্রদর্শিত হয়েছে। স্পাইবার ইন কর্পোরেশন নামের জাপানের একটি উদ্যোক্তা গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিনথেটিক স্পাইডার সিল্কের পোশাক তৈরি করেছে। গত বছরও এ নিয়ে বিশেষ ফিচার করেছিল  তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট সিনেট।




যাইই হোক,  নীল রঙের এ পোশাকটি তৈরিতে সম্পূর্ণ  ‘কুমোনোস’ নামের বিশেষ উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে। জাপানি ভাষার কুমোনোসের বাংলা অর্থ দাঁড়ায় মাকড়সার জাল। এটি আদতে শক্ত হলেও নাইলনের চেয়েও নমনীয় ও আরামদয়ক মসৃন। মাকড়সার জালের মতো শক্ত অথচ হালকা সিল্ক তৈরির ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা করছেন গবেষকেরা। তাঁদের দাবি, স্পাইডার সিল্ক ইস্পাতের চেয়ে চার থেকে পাঁচ গুণ পর্যন্ত শক্ত হলেও তা অত্যন্ত হালকা। এদিকে গবেষকেরা জানিয়েছেন, হুবহু মাকড়সার জালের মতো সিল্ক তৈরি বেশ কঠিনই বটে। তবে স্পাইবারের বিশেষ প্রযুক্তির সাহায্যে গবেষকেরা জিন সংশ্লেষ ও ব্যাকটেরিয়া থেকে বিশেষ প্রোটিনের কাঠামো তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। ‘ফাইব্রোইন’ নামের এ প্রোটিন অনেকটাই মাকড়সার জালের প্রোটিনের মতো।


গবেষকেরা জানিয়েছেন, যেহেতু এটা বায়োফাইবার তাই,  পোশাক ছাড়াও কুমোনোস ব্যবহার করে ফিল্ম, জেল, স্পঞ্জ, কৃত্রিম রক্তনালি ও ন্যানো ফাইবার তৈরির কাজ করা যেতে পারে। এ ছাড়া শিল্পক্ষেত্রে গাড়ির যন্ত্রাংশ ও চিকিৎসাক্ষেত্রে এই সিল্ক কাজে লাগবে। সম্প্রতি স্পাইডার সিল্কের প্রযুক্তিটির জন্য অলরেডি ১৬টি পেটেন্টের আবেদন করেছে স্পাইবার।
আমাদের দেশে যদি এই ফেব্রিক পাওয়া যায় তাহলে,  নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে, আমাদের দেশের  অতি খরুচে গৃহিণীদের স্বামীরা, তাদের স্ত্রীদের বুক ফুলিয়ে বলতে পারবে " আগের কাপড়গুলো আগে নষ্ট হোক, পরে না হয়, নতুন কাপড় কিনে দেবো !!


এডিডাস এর প্রোটোটাইপ কেডস যা প্রস্তুত করা হয়েছে স্পাইডার সিল্ক থেকে,  ফাইবার ডেভলপ করেছে AB Silk

লেখকঃ
জোবায়ের হোসাইন নয়ন
ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট
শেখ কামাল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ঝিনাইদহ। (1st  Batch )
মেইল : Jh.noyon139950@gmail.com

Reference :
Fibrefashion.com
chim.bris.com
textilelearner.com
Fibreproperties.blogspot.com

Spider Silk | স্পাইডার সিল্ক ফাইবার

Spider Silk


স্পাইডার সিল্ক

স্পাইডার সিল্ক পোশাক শিল্পের জন্য অত্যন্ত ব্যয়বহুল একটি উপকরণ। সিল্ক থেকেই ব্যাক্টেরিয়ার মাধ্যমে তৈরি করা এ সুতা চুলের চেয়েও চিকন হলেও স্টিলের চেয়েও পাঁচ গুণ কঠিন ও কেভলারের চেয়ে তিন গুণ শক্ত। কিন্তু এটি তৈরি করা খুবই দুরূহ। তবে কোরিয়া এডভান্সড ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সের গবেষক সাং ইউপ লি এবং তার সহযোগীরা একটি বিশেষ পদ্ধতিতে এটি তৈরি করছেন। তারা প্রথমে সিল্ক প্রোটিনের জেনেটিক কোষ আলাদা করেন। এরপর তা দিয়ে সংশ্লেষণের মাধ্যমে তৈরি করেন পানিতে দ্রবণীয় সিল্ক প্রোটিন। এরপর সেগুলো ঢুকিয়ে দেন ই-কোলাই ব্যাক্টেরিয়ার মধ্যে। এই ব্যাক্টেরিয়াই এগুলোকে স্পিনিংয়ের মাধ্যমে তৈরি করে পানিতে অদ্রবণীয় ফাইবার। চুলের চেয়েও চিকন এবং প্রচণ্ড শক্ত হওয়ায় এটিকে পারাশুট কড হিসেবে ব্যবহার ছাড়াও বিভিন্ন শিল্পকারখানায় এটি ব্যবহার করা সম্ভব।


ইতিহাস :

স্পাইডার সিল্ক এর ইতিহাসঅনেক পুরনো। এটি আফ্রিকার মাদাগাস্কারে চাষ করা হত। কিন্তু তা এখন ইতিহাস।এখনো পর্যন্ত কেউ এটি দিয়ে সফল ভাবে কাপড় তৈরী করতে পারেনি।স্পাইডার সিল্ক এর দারুন কিছু বৈশিষ্ট্য আছে।এটি খুবই শক্ত,খুবই স্থিতিস্থাপক। এর সাহায্যে হাতে বুনন করাও খুব শক্ত কাজ।এছাড়াও স্পাইডারকে চাষ করা মুশকিল।গোল্ডেন স্পাইডার ওয়ার্ম আফ্রিকার মাদাগাস্কারে পাওয়া যায়।সাধারণত স্ত্রী স্পাইডার থেকে সিল্ক সংগ্রহ করা হয়।


প্রায় ৬০ জনের এক গ্রুপ মিলে ৫ বছর কাজ করে শিল্পটি তৈরী করার মত সিল্ক সংগ্রহ করেন।
কাপড় তৈরী করার জন্য প্রথমে স্পাইডার সংগ্রহ করে সেগুলোকে কারখানাতে নিয়ে যাওয়া হয় ও তারপর সেগুলো থেকে একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে সিল্ক ফিলামেন্ট সংগ্রহ করা হয়।এরপর অনেকগুলো সিল্ক ফিলামেন্ট একত্রিত করে পাক দিয়ে একটি সুতা তৈরী করা হয়।
সুতা তৈরী করার পর লুমে কাপড় তৈরী করা হয়।


উইভিং করার পরে আরো অন্যান্য আনুসংগিক কাজের মাধ্যমে ফিনিশিং প্রোডাক্ট পাওয়া যায়।
তবে কিছুদিন আগে জাপানে আধুনিক পদ্ধতিতে স্পাইডার সিল্ক হতে কাপড় তৈরী করা হয়।

আর এ সিল্কের তৈরী পোশাক সম্প্রতি জাপানের রাজধানী টোকিওতে প্রদর্শীত হয়েছে।স্পাইবার নামের জাপানী একটি প্রতিষ্ঠান সিন্থেটিক স্পাইডার সিল্কের এ পোশাক  তৈরী করেছে।তাদের দাবি স্পাইডার সিল্কের তৈরী এ পোশাক ইস্পাতের চেয়ে ৪~৫ গুন হাল্কা হলেও তা অনেক হাল্কা!এ প্রযুক্তি আবিষ্কারের জন্য ১৬টি পেটেন্টের দাবি করেছে স্পাইবার।

স্পাইডার সিল্ক কি??

স্পাইডার সিল্ক পোশাক শিল্পের জন্য অত্যন্ত ব্যয়বহুল একটি উপকরণ। সিল্ক থেকে ব্যাক্টেরিয়ার মাধ্যমে তৈরি করা এ সুতা চুলের চেয়েও চিকন হলেও স্টিলের চেয়েও পাঁচ গুণ কঠিন ও কেভলারের চেয়ে তিন গুণ শক্ত।


স্পাইডার সিল্ক মাকড়সা দ্বারা তৈরি একটি প্রোটিন ফাইবার । মাকড়সা ওয়েব বা অন্যান্য কাঠামো তৈরির জন্য তাদের সিল্ক ব্যবহার করে, যা অন্য প্রাণীদের ধরতে  জাল হিসাবে কাজ করে।
তাদের সন্তানদের রক্ষা করার জন্য ও শিকারকে মোড়ানো জন্য ব্যবহার করে। তারা নিজেদের সিল্কটি বাতাসে ভাসতে, বা শিকারীদের থেকে দূরে থাকতেও ব্যবহার করে। বেশিরভাগ মাকড়সা বিভিন্ন ব্যবহারের জন্য এই সিল্ক তৈরি করে থাকে।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে, মাকড়সা খাদ্যের উৎস হিসাবে সিল্ক ব্যবহার করতে পারে।

বৈশিষ্ট্য ও প্রকারভেদ : 

এই ফাইবার নমনীয়, ওয়াটারপ্রুফ। তন্তুগুলি কোন।ভাঙ্গন সমস্যা ছাড়াই 40% পর্যন্ত তার মূল দৈর্ঘ্য পর্যন্ত প্রসারিত হতে পারে। প্রসারণ যোগ্য হওয়ায় সড়ক নিমার্ন কাজে সক্ষম। চুলের চেয়েও সুক্ষ ও বাতাসে ভাসতে পারে। অত্যন্ত দামী ফেব্রিক তৈরিতে ব্যবহায় হয়ে আসছে।

বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে স্পাইডার সিল্ককে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়।


সেগুলো হলো :

1..Dragline Silk.

2.Tubiliform Silk.

3.Capture-Spiral Silk.

4.Minor-Ampullate Silk.

5.Aciniform Silk.

তৈরি পদ্ধতি :

কিন্তু এটি তৈরি করা খুবই দুরূহ। তবে কোরিয়া এডভান্সড ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সের গবেষক সাং ইউপ লি এবং তার সহযোগীরা একটি বিশেষ পদ্ধতিতে এটি তৈরি করছেন। তারা প্রথমে সিল্ক প্রোটিনের জেনেটিক কোষ আলাদা করেন। এরপর তা দিয়ে সংশ্লেষণের মাধ্যমে তৈরি করেন পানিতে দ্রবণীয় সিল্ক প্রোটিন। এরপর সেগুলো ঢুকিয়ে দেন ই-কোলাই ব্যাক্টেরিয়ার মধ্যে। এই ব্যাক্টেরিয়াই এগুলোকে স্পিনিংয়ের মাধ্যমে তৈরি করে পানিতে অদ্রবণীয় ফাইবার। চুলের চেয়েও চিকন এবং প্রচণ্ড শক্ত হওয়ায় এটিকে পারাশুট কড হিসেবে ব্যবহার ছাড়াও বিভিন্ন শিল্পকারখানায় এটি ব্যবহার করা সম্ভব।

উল্লেখ্যযোগ্য কিছু ব্যবহার :

১.বুলেট-প্রুফ পোশাক তৈরিতে। 

২.জাল, সীট বেল্ট, প্যারাস্যুট। 

৩.অস্ত্রোপচারের থ্রেড কৃত্রিম টিউন বা লিগ্যামেন্ট তৈরিতে। 

৪. চিকিৎসা শিল্পে ব্যান্ডেজ তৈরিতে ব্যবহার হয়ে থাকে।

৫. কৃত্রিম ফুসফুস মেরামতের জন্য ব্যবহার করা হয়।


রিসার্চ ও ডেভেলপমেন্ট :

Kraig Biocraft ল্যাবরেটরি নামে একটি বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এর ব্যবসায়ীক উদ্দেশ্যে এটা নিয়ে গবেষনা শুরু করেছে।

এছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক্স গবেষকগন এটা নিয়ে গবেষনা চালাচ্ছে।

নামিদামি কিছু কোম্পানির সাহায্য নিয়ে এটাকে ডেভেলপ করার চেষ্টা করতেছে।

তারা এটাকে বানিজ্যিকভাবে সফল হবে বলে আশা ব্যক্ত করছেন। এবং যথেষ্ট দামী ফেব্রিকক তৈরিতে অন্যতম ভূমিকা রাখবে বলে গবেষকগন আশা ব্যাক্ত করছেন।

মাকড়সার জাল থেকে পোশাকঃ 

আপনি একটি পোশাক সারাজীবন পড়বেন, কিন্তু ছিঁড়ে যাবে না !! যারা একটু কৃপণ প্রকৃতির তাদের স্বপ্ন বুঝি এবার পূর্ণ হতে চললো।     জাপানের গবেষকেরা তৈরি করেছেন সিনথেটিক স্পাইডার সিল্ক। আর এ সিল্কের তৈরি পোশাক সম্প্রতি জাপানের টোকিওতে প্রদর্শিত হয়েছে। স্পাইবার ইন কর্পোরেশন নামের জাপানের একটি উদ্যোক্তা গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিনথেটিক স্পাইডার সিল্কের পোশাক তৈরি করেছে। গত বছরও এ নিয়ে বিশেষ ফিচার করেছিল  তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট সিনেট।




যাইই হোক,  নীল রঙের এ পোশাকটি তৈরিতে সম্পূর্ণ  ‘কুমোনোস’ নামের বিশেষ উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে। জাপানি ভাষার কুমোনোসের বাংলা অর্থ দাঁড়ায় মাকড়সার জাল। এটি আদতে শক্ত হলেও নাইলনের চেয়েও নমনীয় ও আরামদয়ক মসৃন। মাকড়সার জালের মতো শক্ত অথচ হালকা সিল্ক তৈরির ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা করছেন গবেষকেরা। তাঁদের দাবি, স্পাইডার সিল্ক ইস্পাতের চেয়ে চার থেকে পাঁচ গুণ পর্যন্ত শক্ত হলেও তা অত্যন্ত হালকা। এদিকে গবেষকেরা জানিয়েছেন, হুবহু মাকড়সার জালের মতো সিল্ক তৈরি বেশ কঠিনই বটে। তবে স্পাইবারের বিশেষ প্রযুক্তির সাহায্যে গবেষকেরা জিন সংশ্লেষ ও ব্যাকটেরিয়া থেকে বিশেষ প্রোটিনের কাঠামো তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। ‘ফাইব্রোইন’ নামের এ প্রোটিন অনেকটাই মাকড়সার জালের প্রোটিনের মতো।


গবেষকেরা জানিয়েছেন, যেহেতু এটা বায়োফাইবার তাই,  পোশাক ছাড়াও কুমোনোস ব্যবহার করে ফিল্ম, জেল, স্পঞ্জ, কৃত্রিম রক্তনালি ও ন্যানো ফাইবার তৈরির কাজ করা যেতে পারে। এ ছাড়া শিল্পক্ষেত্রে গাড়ির যন্ত্রাংশ ও চিকিৎসাক্ষেত্রে এই সিল্ক কাজে লাগবে। সম্প্রতি স্পাইডার সিল্কের প্রযুক্তিটির জন্য অলরেডি ১৬টি পেটেন্টের আবেদন করেছে স্পাইবার।
আমাদের দেশে যদি এই ফেব্রিক পাওয়া যায় তাহলে,  নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে, আমাদের দেশের  অতি খরুচে গৃহিণীদের স্বামীরা, তাদের স্ত্রীদের বুক ফুলিয়ে বলতে পারবে " আগের কাপড়গুলো আগে নষ্ট হোক, পরে না হয়, নতুন কাপড় কিনে দেবো !!


এডিডাস এর প্রোটোটাইপ কেডস যা প্রস্তুত করা হয়েছে স্পাইডার সিল্ক থেকে,  ফাইবার ডেভলপ করেছে AB Silk

লেখকঃ
জোবায়ের হোসাইন নয়ন
ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট
শেখ কামাল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ঝিনাইদহ। (1st  Batch )
মেইল : Jh.noyon139950@gmail.com

Reference :
Fibrefashion.com
chim.bris.com
textilelearner.com
Fibreproperties.blogspot.com