গার্মেন্টসে পণ্য সরবরাহ করে আয়
দেশের বৈদেশির মুদ্রা আয় ও স্বল্প শিক্ষিত নারীদের কর্মসংস্থান তৈরিতে বিরাট ভূমিকা পালন করছে গার্মেন্টস শিল্প। এই শিল্পের পরিধি ও প্রসারতা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। ফলে এখানে কর্মসংস্থানের নানামুখী ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। গার্মেন্টসে নিয়মিত লেভেল, ট্যাগ, বোতাম, জিপারসহ এ জাতীয় ছোট ছোট কিছু পণ্যের প্রয়োজন হয়। গার্মেন্টসের চাহিদানুযায়ী এসব পণ্য সরবারহ করে ভালো আয় করা সম্ভব। যারা এই পণ্য সরবারহ করে তাদের বলা হয় সাপ্লায়ার বা ট্রেডার। স্বল্প মূলধন নিয়ে যে কেউ এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। তবে এই ব্যবসা শুরুর পুর্বে এর ওপর বাস্তবিক জ্ঞান প্রয়োজন, না হলে ব্যবসায় ঝুঁকি থেকে যায়। নতুন যারা ব্যবসাটির সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে চান তাদের অবশ্যই কিছুদিন কাজ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। কারখানায় চাকরি করে বা অন্য যে কোনোভাবে জানতে হবে ব্যবসার খুঁটিনাটি। প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা ছাড়া এ ব্যবসায় উন্নতি করা এবং লাভজনক জায়গায় নিয়ে যাওয়া কঠিন। পরিকল্পনা ও সুষ্ঠু ধারণা নিয়ে নামতে পারলে এই ব্যবসায় সফল হওয়া সম্ভব।
প্রাথমিক কাজ
সাপ্লায়ার বা ট্রেডার হিসেবে ব্যবসা শুরু করতে হলে প্রথমে কোম্পানির একটি ভালো নাম ঠিক করতে হবে। তারপর একটি অফিস। এরপরে ব্যবসার বৈধতার জন্য কোম্পানির নাম ও অফিসের ঠিকানা দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হবে। সরকার অনুমোদিত যে কোনো একটি ব্যাংকে খুলতে হবে চলতি হিসাব। এর বাইরে কর্মী নিয়োগ, কারখানা স্থাপনের জন্য জায়গা নির্বাচন, মেশিন কেনাসহ আরো কিছু কাজ করতে হবে।
সাপ্লায়ার বা ট্রেডার হিসেবে ব্যবসা শুরু করতে হলে প্রথমে কোম্পানির একটি ভালো নাম ঠিক করতে হবে। তারপর একটি অফিস। এরপরে ব্যবসার বৈধতার জন্য কোম্পানির নাম ও অফিসের ঠিকানা দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হবে। সরকার অনুমোদিত যে কোনো একটি ব্যাংকে খুলতে হবে চলতি হিসাব। এর বাইরে কর্মী নিয়োগ, কারখানা স্থাপনের জন্য জায়গা নির্বাচন, মেশিন কেনাসহ আরো কিছু কাজ করতে হবে।
পুঁজি
প্রাথমিক পুঁজি হিসেবে এই ব্যবসার জন্য মোটামুটি পাঁচ থেকে দশ লাখ টাকা দরকার। তবে পণ্য নিজে উৎপাদন করতে চাইলে মেশিন কিনতে হবে। পাশপাশি কারখানাও ভাড়া নিতে হবে। এতে পুঁজির পরিমাণটা বাড়াতে হবে। এ ক্ষেত্রে যারা দু’একটি পণ্য উৎপাদন করতে চান তাদের জন্য বিশ থেকে পঁচিশ লাখ টাকার প্রয়োজন হবে। আর আরো বেশি উৎপাদন করতে চাইলে প্রয়োজন অনুযায়ী পুঁজি নিতে হবে।
প্রাথমিক পুঁজি হিসেবে এই ব্যবসার জন্য মোটামুটি পাঁচ থেকে দশ লাখ টাকা দরকার। তবে পণ্য নিজে উৎপাদন করতে চাইলে মেশিন কিনতে হবে। পাশপাশি কারখানাও ভাড়া নিতে হবে। এতে পুঁজির পরিমাণটা বাড়াতে হবে। এ ক্ষেত্রে যারা দু’একটি পণ্য উৎপাদন করতে চান তাদের জন্য বিশ থেকে পঁচিশ লাখ টাকার প্রয়োজন হবে। আর আরো বেশি উৎপাদন করতে চাইলে প্রয়োজন অনুযায়ী পুঁজি নিতে হবে।
পণ্যসমূহ
প্রতিদিন গার্মেন্টসের অনেক পণ্যের প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে আপনি যেসব গার্মেন্টসের সাথে ব্যবসা করবেন তাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে আপনাকে পণ্য নির্বাচন করতে হবে। সাধারণত মেইন লেভেল, কেয়ার লেভেল, হ্যান্ডট্যাগ, কার্টন, পলি, গ্রামটেপ, বোতাম, জিপার, কলার ইনসার্ট, ইন্টার লাইনিং, টুইল টেপ, হ্যাংগার, ইলাস্টিক, সুতার রিল ইত্যাদি পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে বোতাম, হ্যান্ডট্যাগ, কার্টন, কলার ইনসার্ট- এই পণ্যগুলোতে লাভ বেশি হয়।
প্রতিদিন গার্মেন্টসের অনেক পণ্যের প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে আপনি যেসব গার্মেন্টসের সাথে ব্যবসা করবেন তাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে আপনাকে পণ্য নির্বাচন করতে হবে। সাধারণত মেইন লেভেল, কেয়ার লেভেল, হ্যান্ডট্যাগ, কার্টন, পলি, গ্রামটেপ, বোতাম, জিপার, কলার ইনসার্ট, ইন্টার লাইনিং, টুইল টেপ, হ্যাংগার, ইলাস্টিক, সুতার রিল ইত্যাদি পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে বোতাম, হ্যান্ডট্যাগ, কার্টন, কলার ইনসার্ট- এই পণ্যগুলোতে লাভ বেশি হয়।
কোথায় পাবেন
সাপ্লায়াররা চকবাজার, সদরঘাট, বংশাল ইত্যাদি জায়গা থেকে পণ্য সংগ্রহ করে। আর এসব পণ্যের ৯০ শতাংশের বেশি কাঁচামাল চীন থেকে আমদানি করা হয়। তাই যারা কারখানা করতে চান, তাদের হয় চীন থেকে আমদানি করতে হবে অথবা যারা আমদানি করে তাদের কাছ থেকে পাইকারি ক্রয় করতে হবে।
সাপ্লায়াররা চকবাজার, সদরঘাট, বংশাল ইত্যাদি জায়গা থেকে পণ্য সংগ্রহ করে। আর এসব পণ্যের ৯০ শতাংশের বেশি কাঁচামাল চীন থেকে আমদানি করা হয়। তাই যারা কারখানা করতে চান, তাদের হয় চীন থেকে আমদানি করতে হবে অথবা যারা আমদানি করে তাদের কাছ থেকে পাইকারি ক্রয় করতে হবে।
পণ্য সরবরাহ ও আয়
এই পণ্য সরবারহের ক্ষেত্রে সব চেয়ে ভালো উপায় হলো গার্মেন্টসের সাথে চুক্তি করা। যদি সেটা সম্ভব না হয় সে ক্ষেত্রে বায়িং হাউসের মাধ্যমে পণ্য সরবরাহ করা যায়। সরাসরি গার্মেন্টসের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলে লাভ বেশি হয়। বায়িং হাউসের মাধ্যমে পণ্য সরবরাহ করা হলে লাভের পরিমাণটা কমে যায়। তবে সে ক্ষেত্রেও ১০ থেকে ১৫ শতাংশ হারে লাভ থাকে। এজন্য প্রয়োজন ওই সেক্টরের লোকজনের সাথে ভালো যোগাযোগ। সাপ্লায়ার বা ট্রেডারের ব্যবসাটা মূলত যোগাযোগনির্ভর। যার যোগাযোগ যত ভালো তার জন্য ব্যবসা করাটা তত সহজ ও লাভজনক হবে।
এই পণ্য সরবারহের ক্ষেত্রে সব চেয়ে ভালো উপায় হলো গার্মেন্টসের সাথে চুক্তি করা। যদি সেটা সম্ভব না হয় সে ক্ষেত্রে বায়িং হাউসের মাধ্যমে পণ্য সরবরাহ করা যায়। সরাসরি গার্মেন্টসের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলে লাভ বেশি হয়। বায়িং হাউসের মাধ্যমে পণ্য সরবরাহ করা হলে লাভের পরিমাণটা কমে যায়। তবে সে ক্ষেত্রেও ১০ থেকে ১৫ শতাংশ হারে লাভ থাকে। এজন্য প্রয়োজন ওই সেক্টরের লোকজনের সাথে ভালো যোগাযোগ। সাপ্লায়ার বা ট্রেডারের ব্যবসাটা মূলত যোগাযোগনির্ভর। যার যোগাযোগ যত ভালো তার জন্য ব্যবসা করাটা তত সহজ ও লাভজনক হবে।
Copyright নুরুল ইসলাম
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন