ফেব্রিকের ন্যাচারাল ডাইং প্রসেস | Natural Dyeing - Textile Lab | Textile Learning Blog
কাপড়ে বা সুতোতে ডাইং (কালার) করার প্রাকৃতিক পদ্ধতি:

ন্যাচারাল ডাই হলো মূলত রঙ করার উপকরন বা রঞ্জক যেগুলো আমরা কাপড় রঙ করার জন্য ব্যাবহার করি। ডাই সাধারনত দুই ধরনের হয়ঃ
১। ন্যাচারাল 

২। সিন্থেটিক

ন্যাচারাল ডাই দিয়ে কাপড় রঙ করাকেই মূলত ন্যাচারাল ডাইং বলা হয়। ন্যাচারাল ডাই পাওয়ার অনেক গুলা উপকরন আছে যদিও সব ন্যাচারাল প্রোডাক্ট থেকে আমরা ডাই সংগ্রহ করতে পারি না।


তবে সবচেয়ে সহজলভ্য কিছু ন্যাচারাল ডাই পেতে পারি আমরা  নিচের উপকরণ গুলো থেকেঃ

১। কমলা / অরেঞ্জ ডাইঃ গাঁজর,পেঁয়াজের খোঁসা।
২।ব্রাউন: ড্যান্ডিলিয়ন শিকড়, , চা, কফি, শাবক।
৩।গোলাপী: গরুর মাংস, চেরি, লাল এবং গোলাপী গোলাপ।
৪। নীল:  কুঁড়ি, লাল বাঁধাকপি, লাল শশা, ব্লুবেরি, বেগুনি আঙ্গুর, ডুবুর গাছ।
৫। লাল-বাদামী: ডালিম, বীট, বাঁশ, হিবুসাস (লাল রঙের ফুল),জবা।
৬। গ্রে-কালো: ব্ল্যাকবেরি, আখরোট হুল, আইরিশ মূল।
৭।লাল-বেগুনি: লাল সুমাক বীজ, তুঁত পাতা, দিন ফুল, পোকুইড বীজ, হকবেরি।
৮। সবুজ: , সরল শিকড়, পেপারমিন্ট পাতা,  লিল্যাক্স, ঘাস, নেট, কাঁঠাল, পীচ পাতা।
৯। হলুদ: বে পাতা, মরিগোল্ড, সূর্যমুখী পেটেলস, ড্যান্ডেলিয়ন ফুল, পেপারিকা, হলুদ, , মাহোনিয়ান শিকড়, বারবেরি শিকড়, হলুদ ডোরা শিকড়।
তবে সব ধরনের ফ্যাব্রিক ন্যাচারাল ডাই এর জন্য ইউজ করা যায় না।

কোন ধরনের ফ্যাব্রিক  ন্যাচারাল ডাইং করবো ?

সাধারনত ন্যাচারাল ফাইবার থেকে তৈরি কটন, সিল্ক, উল এসব ফ্যাব্রিক ন্যাচারাল ডাইং এর জন্য সবচেয়ে ভালো।

ডায়িং প্রসেস:
ডায়িং শুরু করার আগে ফ্যাব্রিক প্রস্তুত সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ । প্রথম, ফ্যাব্রিক ধুয়ে নিতে হবে যদিও এটি শুষ্ক করা যাবেনা – এটি ভিজা হতে হবে। তারপর আমরা একটা সলুশন তৈরি করবো যেটা আমাদের ফ্যাব্রিক টাকে ডাইং এর জন্য আরো উপযোগী করে তুলবে।যে ডাই টা ব্যবহার করবো তা যদি বীজ থেকে তৈরি হয় তাহলে তার জন্য লবণ এবং অন্যান্য উদ্ভিদ উপাদান থেকে যদি ডাই তৈরি করি তখন  ভিনেগার ব্যবহার করতে হবে। এখানে পরিমাপ দেয়া হলোঃ

লবণ: ৮ কাপ ঠাণ্ডা পানিতে ½ কাপ সমপরিমান অনুপাতে লবণ দ্রবীভূত করতে হবে।

ভিনেগার: ৪ ভাগ ঠান্ডা পানির অনুপাতে  ১ ভাগ সাদা ভিনেগার (সিরকা) মিশাতে হবে।
এক ঘন্টার জন্য ফ্যাব্রিক টাকে তৈরিকৃত সলুশন এ ডুবিয়ে রাখতে হবে। তারপর  ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। তারপর,ফ্যাব্রিক ডায়িং এর জন্য প্রস্তত হবে।










ডাইং কিভাবে করবেন?

১।ডাইং শুরু করার আগে, সংবাদপত্রের মাধ্যমে কাজের এলাকাটা ঘেরাও  দিতে হবে। না হলে আপনার ঘরের অন্য যে কোন আসবাবপত্রে দাগ লাগতে পারে ।

২।একটি বড় গামলা বা পট এ( স্টেটেইনলেস স্টীল বা কাচের গামলা হলে বেশী ভালো হয়) মধ্যে উদ্ভিদ উপাদান স্থাপন করতে হবে। মনে রাখতে হবে যে, ডাইং পদার্থ গুলো  পাত্র ও চামচে দাগ ফেলবে, তাই এটি  শুধুমাত্র ডাইং এর  জন্য এটি ব্যবহার করা উচিত।

৩।পানি দিয়ে গামলাটাকে পূরন করতে হব এবং তাতে যে উপাদান থেকে কালার আনবো তা রাখতে হবে।

৪। এক ঘণ্টা বা ততক্ষণ পর্যন্ত সিদ্ধ করতে হবে  যতক্ষণ না  একটি সুন্দর গাঢ় রঙ পাওয়া না যায়।

৫। এরপর ডাই টা ছেঁকে আলাদা করে ডাই বাথে (বালতি / গামলাতে) নিতে হবে।

৬। তারপর ফ্যাব্রিক ডাই বাথ  (বালতি / গামলাতে) এ রাখতে হবে এবং প্রায় ১ ঘন্টার মত আবার ফুটাতে হবে।

৭। ফ্যাব্রিকটি কিছুক্ষন পরপর চেক করতে হবে। যখন এটি শুকিয়ে যায় তখন হালকা রঙ হবে। এক ঘন্টা ধরে ফুটালে  চমৎকার রঙ আনা করা যায় ফ্যাব্রিকে কিন্তু তা হালকা। গাড় রঙ পাওয়ার জন্য অনেকক্ষন অপেক্ষা করতে হবে।

৮।তারপর যখন আমাদের ফুটানো শেষ হবে তখন ফ্যাব্রিক টা গরম পানিতে কিছুক্ষন পরিষ্কার করতে হবে। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়া পরিষ্কার করতে হবে যখন কালার টা পেয়ে যাবো।
এভাবেই ন্যাচারাল ডাই দিয়ে আমরা ফ্যাব্রিকে বা সুতোতে   ন্যাচারাল ডায়িং করতে পারি।
সোর্স : টেক্সটাইল এন্ড ডাইং এর ফেইসবুক পেইজ থাকে














ফেব্রিকের ন্যাচারাল ডাইং প্রসেস | Natural Dyeing

কাপড়ে বা সুতোতে ডাইং (কালার) করার প্রাকৃতিক পদ্ধতি:

ন্যাচারাল ডাই হলো মূলত রঙ করার উপকরন বা রঞ্জক যেগুলো আমরা কাপড় রঙ করার জন্য ব্যাবহার করি। ডাই সাধারনত দুই ধরনের হয়ঃ
১। ন্যাচারাল 

২। সিন্থেটিক

ন্যাচারাল ডাই দিয়ে কাপড় রঙ করাকেই মূলত ন্যাচারাল ডাইং বলা হয়। ন্যাচারাল ডাই পাওয়ার অনেক গুলা উপকরন আছে যদিও সব ন্যাচারাল প্রোডাক্ট থেকে আমরা ডাই সংগ্রহ করতে পারি না।


তবে সবচেয়ে সহজলভ্য কিছু ন্যাচারাল ডাই পেতে পারি আমরা  নিচের উপকরণ গুলো থেকেঃ

১। কমলা / অরেঞ্জ ডাইঃ গাঁজর,পেঁয়াজের খোঁসা।
২।ব্রাউন: ড্যান্ডিলিয়ন শিকড়, , চা, কফি, শাবক।
৩।গোলাপী: গরুর মাংস, চেরি, লাল এবং গোলাপী গোলাপ।
৪। নীল:  কুঁড়ি, লাল বাঁধাকপি, লাল শশা, ব্লুবেরি, বেগুনি আঙ্গুর, ডুবুর গাছ।
৫। লাল-বাদামী: ডালিম, বীট, বাঁশ, হিবুসাস (লাল রঙের ফুল),জবা।
৬। গ্রে-কালো: ব্ল্যাকবেরি, আখরোট হুল, আইরিশ মূল।
৭।লাল-বেগুনি: লাল সুমাক বীজ, তুঁত পাতা, দিন ফুল, পোকুইড বীজ, হকবেরি।
৮। সবুজ: , সরল শিকড়, পেপারমিন্ট পাতা,  লিল্যাক্স, ঘাস, নেট, কাঁঠাল, পীচ পাতা।
৯। হলুদ: বে পাতা, মরিগোল্ড, সূর্যমুখী পেটেলস, ড্যান্ডেলিয়ন ফুল, পেপারিকা, হলুদ, , মাহোনিয়ান শিকড়, বারবেরি শিকড়, হলুদ ডোরা শিকড়।
তবে সব ধরনের ফ্যাব্রিক ন্যাচারাল ডাই এর জন্য ইউজ করা যায় না।

কোন ধরনের ফ্যাব্রিক  ন্যাচারাল ডাইং করবো ?

সাধারনত ন্যাচারাল ফাইবার থেকে তৈরি কটন, সিল্ক, উল এসব ফ্যাব্রিক ন্যাচারাল ডাইং এর জন্য সবচেয়ে ভালো।

ডায়িং প্রসেস:
ডায়িং শুরু করার আগে ফ্যাব্রিক প্রস্তুত সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ । প্রথম, ফ্যাব্রিক ধুয়ে নিতে হবে যদিও এটি শুষ্ক করা যাবেনা – এটি ভিজা হতে হবে। তারপর আমরা একটা সলুশন তৈরি করবো যেটা আমাদের ফ্যাব্রিক টাকে ডাইং এর জন্য আরো উপযোগী করে তুলবে।যে ডাই টা ব্যবহার করবো তা যদি বীজ থেকে তৈরি হয় তাহলে তার জন্য লবণ এবং অন্যান্য উদ্ভিদ উপাদান থেকে যদি ডাই তৈরি করি তখন  ভিনেগার ব্যবহার করতে হবে। এখানে পরিমাপ দেয়া হলোঃ

লবণ: ৮ কাপ ঠাণ্ডা পানিতে ½ কাপ সমপরিমান অনুপাতে লবণ দ্রবীভূত করতে হবে।

ভিনেগার: ৪ ভাগ ঠান্ডা পানির অনুপাতে  ১ ভাগ সাদা ভিনেগার (সিরকা) মিশাতে হবে।
এক ঘন্টার জন্য ফ্যাব্রিক টাকে তৈরিকৃত সলুশন এ ডুবিয়ে রাখতে হবে। তারপর  ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। তারপর,ফ্যাব্রিক ডায়িং এর জন্য প্রস্তত হবে।










ডাইং কিভাবে করবেন?

১।ডাইং শুরু করার আগে, সংবাদপত্রের মাধ্যমে কাজের এলাকাটা ঘেরাও  দিতে হবে। না হলে আপনার ঘরের অন্য যে কোন আসবাবপত্রে দাগ লাগতে পারে ।

২।একটি বড় গামলা বা পট এ( স্টেটেইনলেস স্টীল বা কাচের গামলা হলে বেশী ভালো হয়) মধ্যে উদ্ভিদ উপাদান স্থাপন করতে হবে। মনে রাখতে হবে যে, ডাইং পদার্থ গুলো  পাত্র ও চামচে দাগ ফেলবে, তাই এটি  শুধুমাত্র ডাইং এর  জন্য এটি ব্যবহার করা উচিত।

৩।পানি দিয়ে গামলাটাকে পূরন করতে হব এবং তাতে যে উপাদান থেকে কালার আনবো তা রাখতে হবে।

৪। এক ঘণ্টা বা ততক্ষণ পর্যন্ত সিদ্ধ করতে হবে  যতক্ষণ না  একটি সুন্দর গাঢ় রঙ পাওয়া না যায়।

৫। এরপর ডাই টা ছেঁকে আলাদা করে ডাই বাথে (বালতি / গামলাতে) নিতে হবে।

৬। তারপর ফ্যাব্রিক ডাই বাথ  (বালতি / গামলাতে) এ রাখতে হবে এবং প্রায় ১ ঘন্টার মত আবার ফুটাতে হবে।

৭। ফ্যাব্রিকটি কিছুক্ষন পরপর চেক করতে হবে। যখন এটি শুকিয়ে যায় তখন হালকা রঙ হবে। এক ঘন্টা ধরে ফুটালে  চমৎকার রঙ আনা করা যায় ফ্যাব্রিকে কিন্তু তা হালকা। গাড় রঙ পাওয়ার জন্য অনেকক্ষন অপেক্ষা করতে হবে।

৮।তারপর যখন আমাদের ফুটানো শেষ হবে তখন ফ্যাব্রিক টা গরম পানিতে কিছুক্ষন পরিষ্কার করতে হবে। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়া পরিষ্কার করতে হবে যখন কালার টা পেয়ে যাবো।
এভাবেই ন্যাচারাল ডাই দিয়ে আমরা ফ্যাব্রিকে বা সুতোতে   ন্যাচারাল ডায়িং করতে পারি।
সোর্স : টেক্সটাইল এন্ড ডাইং এর ফেইসবুক পেইজ থাকে














কোন মন্তব্য নেই: