টেক্সটাইল ফাইবার এর বৈশিষ্ট্যসমূহ | Textile Fibre - Textile Lab | Textile Learning Blog
টেক্সটাইল ফাইবার এর বৈশিষ্ট্যসমূহ

১/ ফাইবারের স্ট্রেন্থ বা শক্তি :

আঁশের শক্তির ওপর সুতা শেষে কাপড় উভয়ের মান নির্ভর করে।টেনসাইল স্ট্রেংথ দিয়ে এর পরিমাপ করা হয়। আর বহুল ব্যবহৃত একক পাউন্ড /বর্গ ইঞ্চি(P.S.I)।কিছু ফাইবার সব (মোটামুটি) অবস্থাতেই শক্তিগড়েই থাকে,তবে কিছু ফাইবারকে ভিজা অবস্থায় শক্তিহীন হতে দেখা যায়।তবে কটন ফাইবার ভিজলে শক্তি বেড়ে যায়। তাই ময়শ্চারাইজেসন প্রক্রিয়ায় কটনের শক্তি স্থায়ীভাবে বাড়ানো সম্ভব।শক্তির বৈচিত্র প্রকট এক্রাইলিক ফাইবারে,এখানে উল্লেখ্য জেফরান এক্রাইলিক মোড এক্রাইলিক থেকে বেশি শক্তিশালি। ভিসকসের শক্তি ও এর থেকে কম।
 

২/ Fibre Length:

আঁশের গুণাগুণের অন্যতম বৈশিষ্ট্য বিবেচনা করা হয় আঁশের দৈর্ঘ্যকে।উন্নতমানের সুতা তৈরীতে বড় দৈর্ঘ্য অপেক্ষাকৃত মসৃণ ও শক্ত আঁশের প্রয়োজন। দৈর্ঘ্য অবশ্যই ব্যাস থেকে কয়েক হাজার(সাধারণত ৫০০/৭০০-৫০০০)গুণ বেশি হতে হবে। টেক্সটাইল ফাইবার /আঁশ মূলত দুই প্রকার। ১.ফিলামেন্ট( Filament ) ফাইবার। ২.স্ট্যাপল (Staple) ফাইবার। ফিলামেন্ট ফাইবার বলতে লম্বা অবিচ্ছিন্ন ফাইবারকে বোঝায়।এটি আবার দুই রকম হয়। ক.মনোফিলামেন্ট(একটি ফিলামেন্ট সুতা হিসাবে ব্যাবহার করা হয়) খ.মাল্টিফিলামেন্ট(বহু ফিলামেন্টকে সুতা হিসেবে ব্যাবহার করা হয়) স্ট্যাপল ফাইবার হল ফাইবারের মাঝে সবচেয়ে ছোট ফাইবার।প্রাকৃতিক সকল ফাইবার স্ট্যাপল আকারে পাওয়া যায়।এটি তিন প্রকারের হয়। ১.শর্ট স্ট্যাপল ফাইবার। দৈর্ঘ্য <২” ২.মিডিয়াম স্ট্যাপল ফাইবার।দৈর্ঘ্য -২”-৪” ৩.লং স্ট্যাপল ফাইবার।দৈর্ঘ্য >৭”

৩/ Fibre Fineness : 

আঁশের সুক্ষ্মতা একটা সুবিবেচনার বিষয়।এটির ওপর সুতার মান, ধরণ এগুলোর ভালোরকম নির্ভরতা রয়েছে। একক দৈর্ঘের ওজন হিসেবে এর ভালোমন্দ হিসেব করা হয়।

৪/  Elasticity : 

ফাইবার প্রসারিত হওয়ার ক্ষমতা ও টান মুক্ত করলে পূর্ব অবস্থায় ফিরে আসার প্রবনতা নিরূপণে স্থিতিস্থাপকতা মাপকাঠি ব্যাবহার করা হয়।ফাইবারের এই বৈশিষ্ট্য পোশাককে আরামদায়ক করে। পোশাকের টেকসই গুণও এর ওপর নির্ভরশীল।






৫/ Elongation:
এটা ফাইবারের প্রসারিত হওয়ার গুণ । সুতা ও কাপড় তৈরীর জন্য নূন্যতম ১৮% প্রসারণ ক্ষমতা থাকা আবশ্যক।

৬/ Resiliency :

এটি কাপড়ের আরামপ্রদ অনুভূতি এনে দেয়।মূলত কাপড় ভাঁজ, পাক বা টানের ফলে বিকৃত হওয়ার পর পূর্ব অবস্থায় ফিরে আসার ক্ষমতাটাই রেসিলিয়েন্সি।ভাল রেসিলিয়েন্সির কাপড়ের সৌর্ন্দয, স্থায়িত্ব বেশি।উল ও সিল্ক এর রেসিলিয়েন্সি কটন ও লিনেন এর চেয়ে বেশি।

৭/ Pliability or flexibility : 

আঁশ নমনীয়তা থাকার কারনে সহজে পাক দেওয়া যায়। পোশাকও বিরক্তিকর অনুভূতির কারণ হয় নাহ।একই কারণে পোশাক ভাঁজ করা যায়।

৮/ Absorbency : 

ফাইবারের জলীয়বাষ্প গ্রহণ করার এই ক্ষমতাকে বিশেষণ বলে।আর্দশ মান (৬৩/৬৫/৬৭)%। উলের ময়েশ্চার ধারণ ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি। ময়েশ্চার রিগেইন ১৬%এর মত।রাসায়নিক সংযুক্তি ও আনবিক বিন্যাস বিশেষন ক্ষমতাকে প্রভাবি করে।কার্বক্সিলিক (COOH), অ্যামাইনো (NH2) গ্রুপযুক্ত ফাইবারের অ্যাবজরবেন্সি বেশি।

৯/ Lustre: 

কাপড়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে আর ব্যাবসায়িক স্বার্থ হাসিলে এই বৈশিষ্ট্যের বিকল্প নেই।প্রতিযোগিতার বাজারে টিকতে স্পিনিং দ্রবণে পিগমেন্ট বা অস্বচ্ছ তৈল ব্যাবহার করা হয়।

১০/ Drapability: 
ঝুলে আর ব্যাবহারকারীর শরীর লেপ্টে থাকার প্রবণতা ড্রেপাবিলিটি।প্রাকৃতিক প্রোটিন ফাইবারের মধ্যে উল ও সিল্কের ড্রেপিং গুণটা চমৎকার।





টেক্সটাইল ফাইবার এর বৈশিষ্ট্যসমূহ | Textile Fibre

টেক্সটাইল ফাইবার এর বৈশিষ্ট্যসমূহ

১/ ফাইবারের স্ট্রেন্থ বা শক্তি :

আঁশের শক্তির ওপর সুতা শেষে কাপড় উভয়ের মান নির্ভর করে।টেনসাইল স্ট্রেংথ দিয়ে এর পরিমাপ করা হয়। আর বহুল ব্যবহৃত একক পাউন্ড /বর্গ ইঞ্চি(P.S.I)।কিছু ফাইবার সব (মোটামুটি) অবস্থাতেই শক্তিগড়েই থাকে,তবে কিছু ফাইবারকে ভিজা অবস্থায় শক্তিহীন হতে দেখা যায়।তবে কটন ফাইবার ভিজলে শক্তি বেড়ে যায়। তাই ময়শ্চারাইজেসন প্রক্রিয়ায় কটনের শক্তি স্থায়ীভাবে বাড়ানো সম্ভব।শক্তির বৈচিত্র প্রকট এক্রাইলিক ফাইবারে,এখানে উল্লেখ্য জেফরান এক্রাইলিক মোড এক্রাইলিক থেকে বেশি শক্তিশালি। ভিসকসের শক্তি ও এর থেকে কম।
 

২/ Fibre Length:

আঁশের গুণাগুণের অন্যতম বৈশিষ্ট্য বিবেচনা করা হয় আঁশের দৈর্ঘ্যকে।উন্নতমানের সুতা তৈরীতে বড় দৈর্ঘ্য অপেক্ষাকৃত মসৃণ ও শক্ত আঁশের প্রয়োজন। দৈর্ঘ্য অবশ্যই ব্যাস থেকে কয়েক হাজার(সাধারণত ৫০০/৭০০-৫০০০)গুণ বেশি হতে হবে। টেক্সটাইল ফাইবার /আঁশ মূলত দুই প্রকার। ১.ফিলামেন্ট( Filament ) ফাইবার। ২.স্ট্যাপল (Staple) ফাইবার। ফিলামেন্ট ফাইবার বলতে লম্বা অবিচ্ছিন্ন ফাইবারকে বোঝায়।এটি আবার দুই রকম হয়। ক.মনোফিলামেন্ট(একটি ফিলামেন্ট সুতা হিসাবে ব্যাবহার করা হয়) খ.মাল্টিফিলামেন্ট(বহু ফিলামেন্টকে সুতা হিসেবে ব্যাবহার করা হয়) স্ট্যাপল ফাইবার হল ফাইবারের মাঝে সবচেয়ে ছোট ফাইবার।প্রাকৃতিক সকল ফাইবার স্ট্যাপল আকারে পাওয়া যায়।এটি তিন প্রকারের হয়। ১.শর্ট স্ট্যাপল ফাইবার। দৈর্ঘ্য <২” ২.মিডিয়াম স্ট্যাপল ফাইবার।দৈর্ঘ্য -২”-৪” ৩.লং স্ট্যাপল ফাইবার।দৈর্ঘ্য >৭”

৩/ Fibre Fineness : 

আঁশের সুক্ষ্মতা একটা সুবিবেচনার বিষয়।এটির ওপর সুতার মান, ধরণ এগুলোর ভালোরকম নির্ভরতা রয়েছে। একক দৈর্ঘের ওজন হিসেবে এর ভালোমন্দ হিসেব করা হয়।

৪/  Elasticity : 

ফাইবার প্রসারিত হওয়ার ক্ষমতা ও টান মুক্ত করলে পূর্ব অবস্থায় ফিরে আসার প্রবনতা নিরূপণে স্থিতিস্থাপকতা মাপকাঠি ব্যাবহার করা হয়।ফাইবারের এই বৈশিষ্ট্য পোশাককে আরামদায়ক করে। পোশাকের টেকসই গুণও এর ওপর নির্ভরশীল।






৫/ Elongation:
এটা ফাইবারের প্রসারিত হওয়ার গুণ । সুতা ও কাপড় তৈরীর জন্য নূন্যতম ১৮% প্রসারণ ক্ষমতা থাকা আবশ্যক।

৬/ Resiliency :

এটি কাপড়ের আরামপ্রদ অনুভূতি এনে দেয়।মূলত কাপড় ভাঁজ, পাক বা টানের ফলে বিকৃত হওয়ার পর পূর্ব অবস্থায় ফিরে আসার ক্ষমতাটাই রেসিলিয়েন্সি।ভাল রেসিলিয়েন্সির কাপড়ের সৌর্ন্দয, স্থায়িত্ব বেশি।উল ও সিল্ক এর রেসিলিয়েন্সি কটন ও লিনেন এর চেয়ে বেশি।

৭/ Pliability or flexibility : 

আঁশ নমনীয়তা থাকার কারনে সহজে পাক দেওয়া যায়। পোশাকও বিরক্তিকর অনুভূতির কারণ হয় নাহ।একই কারণে পোশাক ভাঁজ করা যায়।

৮/ Absorbency : 

ফাইবারের জলীয়বাষ্প গ্রহণ করার এই ক্ষমতাকে বিশেষণ বলে।আর্দশ মান (৬৩/৬৫/৬৭)%। উলের ময়েশ্চার ধারণ ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি। ময়েশ্চার রিগেইন ১৬%এর মত।রাসায়নিক সংযুক্তি ও আনবিক বিন্যাস বিশেষন ক্ষমতাকে প্রভাবি করে।কার্বক্সিলিক (COOH), অ্যামাইনো (NH2) গ্রুপযুক্ত ফাইবারের অ্যাবজরবেন্সি বেশি।

৯/ Lustre: 

কাপড়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে আর ব্যাবসায়িক স্বার্থ হাসিলে এই বৈশিষ্ট্যের বিকল্প নেই।প্রতিযোগিতার বাজারে টিকতে স্পিনিং দ্রবণে পিগমেন্ট বা অস্বচ্ছ তৈল ব্যাবহার করা হয়।

১০/ Drapability: 
ঝুলে আর ব্যাবহারকারীর শরীর লেপ্টে থাকার প্রবণতা ড্রেপাবিলিটি।প্রাকৃতিক প্রোটিন ফাইবারের মধ্যে উল ও সিল্কের ড্রেপিং গুণটা চমৎকার।





কোন মন্তব্য নেই: